নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : ‘নিমগাছ’ গল্পটি বনফুলের ১৯৪৭ সালে প্রকাশিত ‘অদৃশ্যলোক’ গ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে। এই গল্পে লেখক সংক্ষিপ্ত অবয়বের মধ্যে যে গভীর বক্তব্য উপস্থাপনের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তা বাংলা সাহিত্যে বিরল। এ গল্পে লেখক
নিমগাছের প্রতীকের মাধ্যমে একজন গৃহকর্ম-নিপুণা বধূর জীবনবাস্তবতা তুলে ধরেছেন। নিমগাছ যেমন মানুষের নানা উপকারে আসে অথচ কেউ এর যথার্থ মূল্যায়ন করে না, তেমনি প্রাত্যহিক জীবন-সংসারের জালে আবদ্ধ বধূরও যথার্থ মূল্যায়ন হয় না।
নিম মানুষের জন্য খুবই উপকারী। মানুষ বিচিত্রভাবে তার উপকার গ্রহণও করে। কিন্তু গাছটার দিকে খুব একটা মনোযোগ দেয় না। তার অবস্থান এক কোণে ঝোপ-জঙ্গলের মধ্যে। অনাদর-অবহেলায়ও তার কিছু করার থাকে না। গাছের তো আর নড়ার উপায় নেই। শেষের একটিমাত্র বাক্যে লেখক এই নিমগাছের তুলনা করেছেন বাড়ির বউটার সঙ্গে। বোঝা যায়, নিমগাছের ছলে তিনি আসলে বউয়ের গল্পই বলেছেন।
নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : রহিমদের বাড়িতে দীর্ঘ চল্লিশ বছর যাবৎ কাজ করছে আকলিমা খাতুন। এক কথায় সে তাদের সংসারটা শুধু বাঁচিয়ে রেখেছে তা নয় বরং তাদের সমৃদ্ধির মূলে তার অবদান সীমাহীন। বয়সের ভারে আজ সে অক্ষম হয়ে বিদায় নিতে চায়। কেননা তার পক্ষে এখন আর গতর কাটানো অসম্ভব। তার এ প্রস্তাবে রহিম বলে, ‘আপনাকে কোথাও যেতে হবে না। জীবনের বাকি সময়টুকু আমাদের পরিবারের সদস্য হয়ে কাটাবেন।’
ক. চর্মরোগের অব্যর্থ মহৌষধ কোনটি?
খ. নিমগাছটি না কাটলেও কেউ তার যত্ন করে না কেন?
গ. উদ্দীপকের আকলিমার সাথে ‘নিমগাছ’ গল্পের লক্ষ্মী বউয়ের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি তুলে ধর।
ঘ. ‘‘উদ্দীপকটি ‘নিমগাছ’ গল্পের সমগ্রভাবকে নয় বরং বিশেষ একটা দিককে তুলে ধরে”- যুক্তিসহ প্রমাণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : কবির জার্মানিতে থাকে। সপরিবারে। দুই যুগ ধরে। ওয়েল সেটেলড যাকে বলে। কিন্তু মন তার পড়ে আছে বৈরল, ময়মনসিংহে। এখানে তার কেটেছে শৈশব ও কৈশোরের দুরন্ত দিনগুলো। সব ছেড়ে মন চায় উড়াল দিতে ঢাকার পথে।
ক. খানিকক্ষণ চেয়ে থেকে চলে গেল কে?
খ. কচি পাতাগুলো খায়ও অনেকে – কেন খায়?
গ. অুনচ্ছেদের বক্তব্যের সঙ্গে ‘নিমগাছ’ গল্পের কোনো মিল আছে কি? লেখ।
ঘ. কবিরের অনুভূতির সঙ্গে লক্ষ্মীবউয়ের দশার সাযুজ্য আছে কি? তোমার মূল্যায়ন ব্যক্ত কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ :
তরুতলে বসে পান্থ শ্রান্তি করে দূর
ফল আস্বাদনে পায় আনন্দ প্রচুর
বিদায়ের কালে হাতে ডাল ভেঙে লয়
তরু তবু অকাতর, কিছু নাহি কয়।
…
শুনি নাই তো মানুষের কী বাণী
মহাকালের বীণায় বাজে
আমি কেবল জানি
রাঁধার পরে খাওয়া আবার খাওয়ার পরে রাঁধা
বাইশ বছর এক চাকাতেই বাঁধা।
ক. লোকে নিমগাছের ডাল ডঢ়বোয় কেন?
খ. নিমগাছটার লোকটার সাথে চলে যেতে ইচ্ছা করে কেন?
গ. প্রথম উদ্দীপকের সঙ্গে ‘নিমগাছ’ গল্পের যে সাদৃশ্য রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “দ্বিতীয় উদ্দীপক ও ‘নিমগাছ’ গল্পের মূলভাব অভিন্ন” ধারণ করে না – মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : বৃক্ষের দিকে তাকালে জীবনের গুরুত্ব উপলব্ধি সহজ হয়। তাই বারবার সেদিকে তাকানো প্রয়োজন। মাটির রস টেনে নিয়ে নিজেকে মোটাসোটা করে তুলতেই বৃক্ষের কাজের সমাপ্তি নয়। নইলে তার জীবন অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। তাই বৃক্ষকে সার্থকতার প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করা প্রয়োজন। সজীবতা ও সার্থকতার এমন জীবন্ত দৃষ্টান্ত আর নেই।
ক. ‘নিমগাছ’ কোন জাতীয় গল্প?
খ. ‘মাটির ভিতর শিকড় অনেক দূরে চলে গেছে’ – এ কথা দিয়ে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘নিমগাছ’ প্রবন্ধের যে দিকের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ – তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘নিমগাছ’ প্রবন্ধের মূলভাবকে পুরোপুরি প্রকাশ করে না যৌক্তিক ব্যাখ্যা দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : স্বামী সন্তান, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে ‘জাহেদার’ বড় সংসার। প্রতি মুহূর্তেই সংসারে তাকে প্রয়োজন। কঠিন দায়িত্বের জালে আবদ্ধ সে। এভাবেই জীবনের সত্তরটি বছর কেটে গেল। ছেলেমেয়েরা প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশের বাইরে থাকে। তাকে এখন দেখার মতো কেউ নেই। তার ঠাঁই এখন বৃদ্ধাশ্রমে।
ক. বাড়ির পাশে নিমগাছ গজালে কারা খুশি হয়?
খ. নিমগাছটার লোকটার সাথে চলে যেতে ইচ্ছে করে কেন?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘নিমগাছ’ গল্পের সাদৃশ্য বর্ণনা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘নিমগাছ’ গল্পের সমগ্র ভাব ধারণ করে না – মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : এ সংসারে এসেছিলেন ন বছরের মেয়ে তারপরে এই পরিবারের দীর্ঘ গলি বেয়ে দশের ইচ্ছে-বোঝাই করা এই জীবনটা টেনে টেনে শেষে পৌঁছিনু আজ পথের প্রান্তে এসে সুখের দুখের কথা একটু খানি ভাবব এমন সময় ছিল কোথা!
ক. যকৃতের পক্ষে কোনটি খুব উপকারী?
খ. কবিরাজরা নিমগাছের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কেন?
গ. ‘নিমগাছ’ গল্পের সাথে উদ্দীপকের সাদৃশ্য নির্ণয় কর।
ঘ. “উদ্দীপকের গৃহবধূ আর ‘নিমগাছ’ গল্পের লক্ষ্মী বউটার জীবন একই সূত্রে গাঁথা।”- মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : পুতুল খেলার দিনগুলো কাটতে না কাটতে মা বললেন মঞ্জুলী তোর বিয়ে। তখনো বিয়ে জিনিসটা বুঝতেই শিখিনি। সেই যে শুরু করেছিলাম সংসার আজ জীবনের পড়ন্তবেলা। সবাই বলে ধনে-জনে মঞ্জুলীর সংসার যেন চাঁদের হাটে পরিণত হয়েছে। অথচ দশের বোঝা টেনে টেনে আমি ক্লান্ত। সুখ কিংবা দুঃখের হিসাব জীবন খাতার পাতায় মেলানোর ফুরসত আমার কোথা!
ক. ১৯৩৯ সালে বনফুলের কোন গ্রন্থ প্রকাশিত হয়?
খ. নিমগাছ নতুন লোকটার সাথে চলে যেতে চায় কেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘নিমগাছ’ গল্পের যে দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ তার পরিচয় দাও।
ঘ. ‘নিমগাছ’ গল্পের শেষ বক্তব্যের সাথে উদ্দীপকের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়’ বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : একান্নবর্তী পরিবারের বড় বউ বিধবা রাবেয়া। স্বামীর অবর্তমানে বাপের বাড়িতে ফিরে না গিয়ে সে শ্বশুরবাড়িকেই আপন করে নেয়। সবার প্রয়োজনের দিকে নজর রাখতে গিয়ে নিজের দিকে ভালো করে তাকাবার অবসর তার হয়নি। তার শরীরের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে পরিবারের কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই। একমাত্র ছোট ভাইটি মাঝেমধ্যে তাকে দেখতে এলে তার শরীরের কুশল জানতে চাইত। কিন্তু চাকরি নিয়ে বিদেশে চলে যাওয়ার পর রাবেয়ার মনঃকষ্ট আরও বেড়ে যায়।
ক. ‘নিমগাছ’ গল্পটি বনফুলের কোন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত?
খ. ‘হঠাৎ একদিন একটা নতুন ধরনের লোক এলো’— কার সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের রাবেয়ার সঙ্গে ‘নিমগাছ’ গল্পের যে সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায় তা তুলে ধর।
ঘ. ‘ছোট ভাইটি বিদেশে চলে গেলে রাবেয়ার মনঃকষ্ট আরো বেড়ে যায়’—মন্তব্যটি ‘নিমগাছ’ গল্প অবলম্বনে ব্যাখ্যা কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : মোটে এগার বছর বয়স আতর বানুর। মা-বাবা নেই। ভাই-ভাবীর সংসারে পড়ে আছে। খুব যে ভালো আছে তা নয়। উঠতে বসতে টিপ্পনি আর তিরস্কার তার নিত্য উপহার। কাজল খালা একবার ভেবেছিলেন বোনঝিকে নিজের কাছে নিয়ে মানুষ করবেন। কিন্তু আতর বানু রাজি হয়নি। রক্তসম্পর্ক ছেড়ে সে অন্য কোথাও পরগাছা হতে চায় না। কাজল খালা আতর বানুর মানসিকতা উপলব্ধি করে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
ক. নিমগাছটার কার সঙ্গে চলে যেতে ইচ্ছা করল?
খ. কবিরাজরা নিমগাছের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কেন?
গ. উদ্দীপকের আতরবানুর সঙ্গে ‘নিমগাছ’ গল্পে কার সাদৃশ্য রয়েছে? – আলোচনা করুন।
ঘ. “উদ্দীপকের কাজল খালার ভূমিকা ‘নিমগাছ’ গল্পের কবির মতোই।” – মন্তব্যটি বিচার করুন।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : আমি একটি পাকুড় গাছ। জন্ম কোথায় কোন কালে আমার জানা নেই। দিগন্তবিস্তারী আমার শাখাপ্রশাখা। আমার শেকড়বাকড় মাটির অনেক গভীরে বিস্তৃত। ক্লান্ত পথিক শ্রান্তি ফিরিয়ে নেয় আমার সুশীতল ছায়ায়। আমি ছায়া দিই, বাতাস দিই মানুষকে। কিন্তু কেউ কেউ আমার গায়ে গর্ত করে, ডাল ভেঙে ফেলে। আমি কষ্ট পাই। একদিন আমার কাছে একটা লোক আসে। আমার দিকে চেয়ে থাকে অপলক দৃষ্টিতে। বলে, ‘পৃথিবীর যত শান্তি এখানে।’ আমি বুঝি, এ অন্য জাতের মানুষ।
ক. বনফুল কোন আঙ্গিকে গল্প লিখতেন
খ. ‘কাটে না, কিন্তু যতড়বও করে না।’ – ব্যাখ্যা করুন।
গ. উদ্দীপকের পাকুড়গাছের সঙ্গে ‘নিমগাছ’ গল্পের নিমগাছের সাদৃশ্য বর্ণনা করুন।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘নিমগাছ’ গল্পের অন্তর্নিহিত ভাব নয় বরং একটি বিশেষ অবস্থাকে তুলে ধরেছে।” – আলোচনা
করুন।
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : সুভা
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : ঝর্ণার গান
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : বই পড়া
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : অভাগীর স্বর্গ
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : পয়লা বৈশাখ
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : আমার পরিচয়
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : পল্লিসাহিত্য
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : নিমগাছ
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : মমতাদি
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : আম আঁটির ভেঁপু
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : প্রবাস বন্ধু
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : বহিপীর
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : কাকতাডুয়া
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : একাত্তরের দিনগুলি
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : পল্লি জননী
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : জীবন সঙ্গীত
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : সেইদিন এই মাঠ
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : কপোতাক্ষ নদ
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : বঙ্গবাণী
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : রানার
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : মানুষ
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : জুতা আবিষ্কার
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন
এসএসসি শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে জয়েন করো HSC Candidates, Bangladesh ফেসবুক গ্রুপে। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post