নৈতিক ও মানবিক গুণ : ন্যায় কাজ বা ভালো কাজের গুরুত্ব অনেক বেশি। যিনি ন্যায় কাজ করেন, ন্যায় পথে চলেন, সমাজের সবাই তাকে প্রশংসা করে। ন্যায় কাজ অন্যায়কে ঘৃণা করতে শেখায়। ন্যায় কাজের দ্বারা সমাজের অনেক উপকার হয়। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই আমাদের ন্যায় কাজ করা উচিত, ন্যায় পথে চলা উচিত।
নৈতিক ও মানবিক গুণ
রাজু : শ্রেণিকক্ষে একটি কলম পেয়ে শিক্ষককে দিয়েছিলাম। শিক্ষক যার কলম তাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
আরিশা : স্কুলের মাঠে খেলার সময় আমি একজনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিলাম।
ইহান : আমি গতকাল শ্রেণিকক্ষে বসে পিছন থেকে বন্ধুর পোশাকে কালির দাগ দিয়েছি।
রিদিশা : একজন গরিব অসুস্থ লোককে আমরা টিফিনের টাকা দিয়ে সাহায্য করেছি।
সাজু : শ্রেণিকক্ষে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলি।
নাজিফা : আরিশার কলমের কালি নেই। ওকে আমি একটা কলম ধার দিয়েছি।
রাজু, রিদিশা, আরিশা, সাজু, ইহান ও নাজিফার কথাগুলো পড়ি এবং ন্যায় ও অন্যায় কাজগুলো চিহ্নিত করি-
১ . একজন গরিব অসুস্থ লোককে আমরা টিফিনের টাকা দিয়ে সাহায্য করেছি। ২. শ্রেণিকক্ষে ঝুড়ি থাকলেও তাতে ময়লা না ফেলে মেঝেতে ফেলি।
৩. আমি গতকাল শ্রেণিকক্ষে বসে পিছন থেকে বন্ধুর পোশাকে কালির দাগ দিয়েছি।
৪. শ্রেণিকক্ষে একটি কলম পেয়ে শিক্ষককে দিয়েছিলাম। শিক্ষক যার কলম তাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
উপরের অন্যায় কাজের কথাগুলোকে ন্যায় কাজের কথায় পরিবর্তন করি
১. যে কাজগুলো ভালো ও মানুষের জন্য কল্যাণকর, সেগুলোই ন্যায় কাজ।
২. মিথ্যা বলা, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া, অসৎপথে চলা, অন্যায়ের প্রতিবাদ না করা, বড়োদের অবাধ্য হওয়া, অন্যকে অকারণে বিরক্ত করা ইত্যাদি অন্যায় কাজ।
৩. সত্য কথা বলা, সৎপথে চলা, সৎ ও আদর্শ বন্ধু বেছে নেওয়া সত্যবাদীর পক্ষে কথা বলা, মিথ্যাবাদীর পক্ষ না নেওয়া ইত্যাদি হলো ন্যায় কাজ।
ভালো কাজের গুরুত্ব
সাজু ও নায়রা দুজনে কথা বলছে
সাজু : আমি আজ স্কুলের মাঠে কিছু টাকা কুড়িয়ে পেয়ে প্রধান শিক্ষক স্যারের কাছে জমা দিয়েছি।
নায়রা : আমার বন্ধু আজ স্কুলে টিফিন নিয়ে আসেনি। আমি আমার টিফিন তার সাথে ভাগ করে খেয়েছি।
রাজু ও নুহা দুজনে কথা বলছে
রাজু : আমি গতকাল ক্লাসে আমার পাশে বসা বন্ধুকে না বলে তার বইয়ে দাগ দিয়েছি।
নুহা : মা নিষেধ করেছিল; তবুও আজ আমি খোলা আচার কিনে খেয়েছি।
আমরা একটু চেষ্টা করলেই অনেক ভালো কাজ করতে পারি। যেমন-সত্য কথা বলা, সৎপথে চলা, সৎ বন্ধু নির্বাচন করা, সত্যবাদীর পক্ষে কথা বলা, মিথ্যাবাদী ও অন্যায়কারীর পক্ষ না নেওয়া ইত্যাদি। আমরা সবাই ন্যায় কাজের অনুশীলন করলে সমাজ থেকে অন্যায় দূর হবে, সমাজে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে। সমাজের মানুষ শান্তিতে থাকবে।
এই অধ্যায়ের অনুশীলনীমূলক কাজ
ক. সঠিক উত্তরের পাশে টিক (✓) চিহ্ন দিই।
১। কোন কাজটিকে আমরা ন্যায় কাজ বলব?
ক) অন্যকে বিরক্ত করা
খ) কাউকে সহযোগিতা করা
গ) বড়দের কথা না শোনা
ঘ) মিথ্যা কথা বলা
২। কোন কাজ করা থেকে বিরত থাকব?
ক) বড়োদের কথা শোনা
খ) অন্যায়ের প্রতিবাদ করা
গ) অন্যায় মেনে নেওয়া
ঘ) সৎপথে চলা
খ. সঠিক শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করি।
অন্যায়, শান্তি, অনুশীলন, প্রশংসা
১. ন্যায় কাজের মাধ্যমে সমাজে _______ প্রতিষ্ঠিত হয়।
২. ভালো কাজ করলে সমাজ থেকে _______ দূর হবে।
৩. দৈনন্দিন জীবনে ভালো কাজের _______ করা প্রয়োজন।
৪. যিনি ন্যায় কাজ করেন তিনি _______ পান।
গ. সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন।
১. ন্যায় কাজ বলতে কী বোঝায়?
২. দুইটি ন্যায় কাজের উদাহারণ লিখি।
৩. অন্যায় কাজ বলতে কী বোঝায়?
৪. দুইটি অন্যায় কাজের উদাহারণ লিখি।
৫. আমি প্রতিদিন করি এমন তিনটি ন্যায় কাজের তালিকা তৈরি করি।
◉ আরও দেখো: তৃতীয় শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সকল অধ্যায়ের সমাধান
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় মূল বই থেকে ৯ম অধ্যায় নৈতিক ও মানবিক গুণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই অধ্যায়ের অনুশীলনীমূলক কাজগুলোর সমাধান পেতে উপরের উত্তরমালা অপশনে ক্লিক করো। এছাড়াও তোমাদের পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত বেশকিছু প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। এ প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ থাকবে।
Discussion about this post