নোরিক্স ১ ইমার্জেন্সি পিলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যখন কেউ গর্ভধারণ করতে চায় না অথচ তার গর্ভধারণের সম্ভাবনা রয়েছে তখন নোরিক্স পিল খেতে হয়। ইমার্জেন্সি সময়ে নোরিক্স ব্যবহৃত হলেও অনেকে নোরিক্স ১ পিল খাওয়ার নিয়ম জানেনই না। যার ফলে ঘটতে পারে অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ।
নোরিক্স সহ প্রায়ই সকল ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী নোরিক্স পিল না খেলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ওজন বৃদ্ধি ও গর্ভধারণে সমস্যা হয়ে থাকে। নোরিক্স পিল খাওয়ার নিয়মের ব্যতিক্রম করলে সাথে সাথে যে লক্ষণ প্রকাশ পাবে এমনটা নয়। শরীরের ক্ষতি করতে করতে এক পর্যায়ে ক্ষতিসাধন হয়ে গেলে লক্ষণগুলো পেয়ে পায়।
সঠিক নিয়মে ইমার্জেন্সি পিল ব্যবহার করলে এই পিল খুবই কার্যকর। এই পিল যখন ব্যবহার করবেন তখন অন্য কোন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে না। আবার, এই পিল সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে হতে পারে বড় কোন বিপদের কারণ।
নোরিক্স ১ পিল খাওয়ার নিয়ম
নোরিক্স এক ধরনের ইমার্জেন্সি পিল। সকল ইমার্জেন্সি পিল ব্যবহারের কিছু নিয়ম রয়েছে। অনেকে ইমার্জেন্সি পিল বেশী খেলে, ইমার্জেন্সি পিলের অপকারিতা এর সম্মুখীন হতে হবে। তাই নিয়ম মোতাবেক নোরিক্স ১ পিল ব্যবহার করতে হবে।
নোরিক্স ১ পিল ব্যবহার করার নিয়ম হচ্ছে–
১. প্রতি মাসিকে একটির বেশী নোরিক্স ১ ব্যবহার করা যাবে না।
২. অরক্ষিত শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বা কোন প্রটেকশন ব্যবহার না করলে নোরিক্স ১ ব্যবহার করতে হবে।
৩. শারীরিক সম্পর্কের পরে গর্ভধারণের সম্ভাবনা রয়েছে অথচ গর্ভধারণ করতে চান না তখন ব্যবহার করতে হবে।
৪. শারীরিক সম্পর্কের পরে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই পিল খেতে হবে।
৫. ঝুঁকি নিতে না চাইলে ১২-৫৫ ঘণ্টার মধ্যে এই পিল খেতে হবে।
৬. নোরিক্স ১ পিল ব্যবহার করার পরে মাসিক দেরিতে হতে পারে। এটি নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
শেষ কথা
নোরিক্স ১ পিল খাওয়ার নিয়ম এর ব্যতিক্রম হলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা রয়ে যায়। আবার একই মাসিকে একের অধিক নোরিক্স ১ পিল গ্রহণে মাসিকে বিলম্বতা হতে পারে। প্রথমবার নোরিক্স খাওয়ার নিয়মের ব্যতিক্রম হলে বড় কোন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় না। নিয়ম না মেনে নোরিক্স ১ পিল খাওয়া চলমান রাখলে বড় কোন ধরনের সমস্যা হতে পারে।
Discussion about this post