পরাজয় গল্পের প্রশ্ন উত্তর : জীবনে বেঁচে থাকার জন্য জীবিকার প্রয়ােজন যেমন, ঠিক তেমনই মনের খােরাকের জন্য কোনাে আনন্দের রসদের প্রয়ােজন। গল্পের নায়ক রঞ্জন একজন দক্ষ ফুটবলার। যার নেশা ফুটবল খেলা, আর অন্তরের ভালােবাসার জায়গা তাঁর প্রিয় ক্লাব।
গল্পে দেখা গিয়েছে, একটু আগে সবকটি কাগজে ওদের ক্লাবের বারপুজোর অনুষ্ঠানের রিপাের্ট, উপস্থিত ব্যক্তির তালিকা ও ছবিগুলি ভালােভাবে দেখে রঞ্জন রাগে ঘরের মধ্যে চরকির মতাে ঘুরছে। গত পনেরাে বছর যে ক্লাবের জন্য সে রক্ত ঝরিয়েছে, বহু বড়াে ক্লাবের লক্ষ লক্ষ টাকার প্রলােভনকে উপেক্ষা করেছে, তারাই আজ তাকে ডাকার প্রয়ােজন বােধ করল না। অন্যান্য বছর প্রেসিডেন্টসেক্রেটারিরা তাকে ফোন করেন, বারপুজোয় যাওয়ার জন্য বলতে বাড়িতেও কেউ কেউ আসে, গাড়ি পাঠায়। গত পনেরাে বছর এভাবে চলছিল। গতবছর ওকে নিয়ে মাতামাতির কষ্ট, চোখের জল হয়ে তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
পরাজয় গল্পের প্রশ্ন উত্তর
১. হাতে কলমে
১. শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম বইয়ের নাম লেখাে।
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম বই হল-‘ফেরারি’ উপন্যাস।
২. কলকাতার ফুটবল নিয়ে লেখা তাঁর দুটি বইয়ের নাম লেখাে।
উত্তর : কলকাতার ফুটবল নিয়ে লেখা তাঁর দুটি বইয়ের নাম হল-‘ক্লাবের নাম মােহনবাগান’ ও ‘ক্লাবের নাম ইস্টবেঙ্গল।
২. নীচের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর একটি বাক্যে লেখাে :
১. ‘এত দুঃখ এত ব্যথা সে কখনও পায়নি’-এখানে কার দুঃখ-বেদনার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয়’ গল্প থেকে উদ্ধৃত প্রশ্নে ফুটবল খেলােয়াড় রঞ্জন সরকারের দুঃখবেদনার কথা বলা হয়েছে।
২. ‘রঞ্জনদা তুমি কাল ক্লাবে যাওনি?-এই প্রশ্নের উত্তরে রঞ্জন কী বলেছিল?
উত্তর : আলােচ্য ‘পরাজয়’ গল্পে উল্লিখিত ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তরে রঞ্জন জানিয়েছিল যে, কাল সকালেই তাকে কলকাতার বাইরে যেতে হয়েছিল বলে সে যেতে পারেনি।
৩. গঙ্গার পাড়ে গিয়ে কোন্ দৃশ্য রঞ্জনের চোখে ভেসে উঠল?
উত্তর : গঙ্গার পাড়ে গিয়ে রঞ্জনের চোখের সামনে গাছের পাতার ঝিরঝিরে হাওয়া, পাখির কাকলি, জলের ছােটো ছােটো ঢেউ, দূরে নােঙর করা ছােটো-বড়াে জাহাজের সারি, যাত্রী-প্রতীক্ষারত নৌকা প্রভৃতি দৃশ্য ভেসে উঠেছিল।
৪. সিদ্ধান্তটা নেওয়ার পর রঞ্জনের মন অনেকটা শান্ত হলাে। এখানে রঞ্জনের কোন্ সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : খেলােয়াড় রঞ্জন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, সে দুদিন অপেক্ষা করবে, ক্লাবের কেউ ওর সঙ্গে যােগাযােগ করে কিনা দেখার জন্য। না-হলে খেলা না-ছেড়ে, ক্লাব বদল করে সে দেখিয়ে দেবে যে সে ফুরিয়ে যায়নি।
৫. ‘ঘােষদা একটা বড়াে খবর আছে। — কী সেই ‘বড়াে খবর’?
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয়’ গল্পের প্রশ্নোধৃত অংশে স্বপনদা-র মতে, বড়াে খবরটি হল রঞ্জন অর্থাৎ, বিপক্ষ ক্লাবের রঞ্জন সরকার তাদের ক্লাবে আসতে চাইছে।
৬. রঞ্জনের দলবদল করার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে টনক নড়েছিল ক্লাবকর্তাদের।-কীভাবে ক্লাবকর্তাদের যে টনক নড়েছে, তা বােঝা গেল?
উত্তর : রঞ্জনের দলবদলে ক্লাবকর্তাদের যে টনক নড়েছিল তা বােঝা যায়, তাদের রঞ্জনের বাড়িতে ছােটাছুটি, বিভিন্ন ব্যক্তির রঞ্জনকে ফোন করা এবং তার প্রিয়পাত্রদের দিয়ে রঞ্জনের মত পরিবর্তন করানাের চেষ্টা করা প্রভৃতি ঘটনায় ।
৭. ব্যাপারটা কী হলাে বুঝতে একটু সময় লাগল সমর্থকদের।’-এখানে কোন ব্যাপারটার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : স্ট্রাইকার রঞ্জন তার পুরােনাে ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে অসাধারণ ব্যাক ভলিতে গােল করলে সমর্থকেরা কিছুক্ষণের জন্য হতবাক হয়ে যায় এবং এই ব্যাপারটি বুঝতে তাদের একটু সময় লাগে।
৮. ‘দুহাতে মুখ ঢেকে শুয়ে পড়ল একটা বেঞ্চিতে। স্ট্রাইকার রঞ্জন সরকারের এমনভাবে শুয়ে পড়ার কারণ কী?
উত্তর : স্ট্রাইকার রঞ্জন সরকারের প্রতি হওয়া অপমানের প্রতিশােধ নিতে সে অন্য বড়াে ক্লাবে যােগ দেয়। খেলার প্রতিযােগিতায় পুরােনাে ক্লাবকে নিজে গােল দিয়ে পরাজিত করলেও একটা কষ্ট, চাপা বেদনা সে অনুভব করছিল। তাই অতি প্রিয় ক্লাবের প্রতি সমবেদনায়, মমত্বে, তাঁর অন্তর্দ্বন্দ্ব ও মনােকষ্টকে চাপতে সে দু-হাতে মুখ ঢেকে বেঞ্চিতে শুয়ে পড়েছিল।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :
১. একটু আগে ও সবকটা কাগজে বারপুজোর রিপাের্ট পড়েছে। এখানে ‘ও’ বলতে কার কথা বােঝাননা হয়েছে? সে সব কটা কাগজে একই বিষয়ের রিপাের্ট পড়ল কেন?
উত্তর : ‘পরাজয়’ গল্পের আলােচ্য প্রশ্নাংশে ‘ও’ বলতে রঞ্জনের কথা বলা হয়েছে।
‘সে’ অর্থাৎ, খেলােয়াড় রঞ্জন সরকার সব ক-টা কাগজে বারপুজোর রিপাের্ট পড়ল কারণ, তার নিজের ক্লাবের বারপুজোতে সে নিমন্ত্রণ পায়নি। দীর্ঘ পনেরাে বছর সে এই ক্লাবের জন্য রক্ত ঝরালেও বারপুজোর মতাে গুরুত্বপূর্ণ দিনে কেউ তাকে ডাকা তাে দূরের কথা, ফোন পর্যন্ত করেনি। রঞ্জন কাগজের রিপাের্টে ওদের ক্লাবের অনুষ্ঠানে কে কে এসেছিল, তা দেখতে চেয়েছিল। আসলে তার প্রতি ক্লাব কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অপমানের যন্ত্রণা সে কোনােভাবেই ভুলতে পারছিল না।
পরাজয় শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
২. ওকে নিয়ে মাতামাতিটা ঠিক আগের মতাে আর নেই।’-আগে ওকে নিয়ে কী ধরনের মাতামাতি হত?
উত্তর : লেখক শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পরাজয়’ গল্পের উদ্ধৃত অংশে স্ট্রাইকার রঞ্জন সরকারকে নিয়ে মাতামাতির কথা বলা হয়েছে। আগে প্রত্যেক বছর ক্লাবের বারপুজোর দিনে তার কাছে ফোনের পর ফোন আসত। প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি, ফুটবল সেক্রেটারিও তাকে ফোন করত। ক্লাবের বারপুজোতে যাওয়ার জন্য বাড়িতেও কেউ কেউ নিমন্ত্রণ করে আসত। এ ছাড়া পয়লা বৈশাখে রঞ্জনকে মাঠে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাতসকালে গাড়ি এসে হাজির হত। রঞ্জন স্নান করে তৈরি থাকত এবং গাড়ি এলেই বেরিয়ে পড়ত। এইভাবে গত পনেরাে বছর ধরে ক্লাব থেকে সে অনেক সম্মান পেয়েছিল এবং তাকে নিয়ে ওরা মাতামাতি করত।
৩. ঠিক এক বছর আগের ঘটনা।’-এক বছর আগে কোন্ ঘটনা ঘটেছিল?
উত্তর : গতবছর থেকে রঞ্জন উপলব্ধি করে যে, তাকে নিয়ে ক্লাবের মাতামাতি উন্মাদনা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। তবুও গুরুত্ব দেয়নি রঞ্জন। ঠিক এক বছর আগে ফুটবল সেক্রেটারি ও কোচ এসে ওর সঙ্গে দল গড়া নিয়ে আলােচনা করেছিল। কাকে কাকে দলে রাখা যায়, তা নিয়ে ওরা রঞ্জনের পরামর্শ চেয়েছিলেন। ওদের সঙ্গে কথা বলার পর রঞ্জনের মনের মধ্যে জমে-ওঠা মেঘটা কেটে গিয়েছিল। আলােচ্য প্রশ্নাংশে এক বছর আগের এই ঘটনার কথাই বলা হয়েছে।
৪. রঞ্জন সারাটা দিন আর বাড়ি থেকে বেরােয়নি। “কোন্ দিনের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : আলােচ্য প্রশ্নটি শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পরাজয়’ নামাঙ্কিত গল্প থেকে সংকলিত হয়েছে। ক্লাবের বারপুজোর দিন অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত দলের নির্ভরযােগ্য খেলােয়াড় রঞ্জনকে তার ক্লাব নিমন্ত্রণ না-করায় সে প্রচণ্ড মর্মাহত হয়। এমনকি তারা ফোনেও তাকে আমন্ত্রণ জানায়নি। এইজন্য অপমানিত রঞ্জন সারাটি দিন আর বাড়ি থেকে বেরােয়নি।
৫. রঞ্জন নামগুলাে পড়ার চেষ্টা করে।’-রঞ্জন কোন্ নামগুলি পড়ার চেষ্টা করে?
উত্তর : ‘পরাজয়’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র খেলােয়াড় রঞ্জন সরকার তার অতি প্রিয় ক্লাবের অপমানজনক আচরণে অশান্ত মন নিয়ে গঙ্গার ধারে গিয়ে বসেছিল। সেখানে গঙ্গার অপরূপ, মনােরম সৌন্দর্যময় দৃশ্য দেখতে দেখতে দূরে নােঙর করা কয়েকটি ছােটো-বড়াে জাহাজকে সে প্রত্যক্ষ করে। এই জাহাজে লিপিবদ্ধ নামগুলিই রঞ্জন পড়ার চেষ্টা করে।
৬. রঞ্জন টেলিফোনটা রেখে দিল।-কোন্ কথা শুনে রঞ্জন টেলিফোনটা রেখে দিল?
উত্তর : আলােচ্য প্রশ্নটিতে রঞ্জন প্রতিপক্ষ বড়াে ক্লাবের সেক্রেটারি স্বপনদাকে ফোন করে। তার আগের ক্লাবের অপমানজনক আচরণের কথা জানালে তিনি মুহূর্তের মধ্যে রঞ্জনের মানসিক অবস্থা বুঝে নেন এবং রঞ্জনের বাড়িতে আধঘণ্টার মধ্যে পৌঁছােনাের কথা জানান। সে-কথা শােনার পরই রঞ্জন টেলিফোনটা রেখে দেয়।
৭. ‘সত্যি ওরা তােমার সঙ্গে উচিত কাজ করেনি। কোন্ অনুচিত কাজের প্রতি নির্দেশ করা হয়েছে?
উত্তর : স্ট্রাইকার রঞ্জন সরকারের অতি প্রিয় ক্লাব তার সঙ্গে যে অপমানজনক আচরণ করে সে-কথা, রঞ্জন প্রতিপক্ষ ক্লাবের সেক্রেটারিকে জানায় ও সঙ্গে এও বলে যে, বারপুজো হয়েছে, তার দু-দিন কেটেও গিয়েছে। অথচ, তারা ওর সঙ্গে যােগাযােগ করেনি এবং একটা ফোন পর্যন্ত করেনি। উল্লিখিত কথাগুলি শুনে অন্য বড়াে ক্লাবের সেক্রেটারি স্বপনদা আলােচ্য মন্তব্যটি করেন। আসলে রঞ্জনের আগের ক্লাব এ বছর তার প্রতি যে চরম উদাসীনতা ও অপমানজনক কাজ করেছে। সেই অন্যায় ও অপমানজনক কাজের প্রতিই এখানে নির্দেশ করা হয়েছে।
৮. ‘মন স্থির করে ফেলেছ তাে?’-উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কোন বিষয়ে মনস্থির করে ফেলেছে?
উত্তর : ওপরে উল্লিখিত প্রশ্নটিতে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি অর্থাৎ, খেলােয়াড় রঞ্জন সরকার তার পূর্বের ক্লাব ছেড়ে অন্য বড়াে ক্লাবে যােগদান করতে চায় এবং সে যে ফুরিয়ে যায়নি তা দেখিয়ে দেবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। রঞ্জন খেলা না-ছেড়ে তার দীর্ঘ খেলােয়াড় জীবনের একমাত্র ক্লাবের করা চরম অপমানের যােগ্য জবাব দেওয়ার আশায় অন্য বড়াে ক্লাবের হয়ে খেলার বিষয়ে মনস্থির করে ফেলে।
৯. আপনি সব ব্যবস্থা করুন। কোন ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরােধ জানানাে হয়েছে?
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যয়ের ‘পরাজয়’ গল্পে খেলােয়ার রঞ্জন পূর্বের ক্লাব ত্যাগ করে বিপক্ষ এক বড়াে ক্লাবে যােগদান করতে চায়। সে-ব্যাপারে ক্লাবের সেক্রেটারি স্বপনদাকে সমস্ত অফিসিয়াল কাজকর্ম বা ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য রঞ্জন অনুরােধ জানায়।
৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :
১. রাগে ফুঁসছিল রঞ্জন।’-তার এই রাগের কারণ কী?
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পরাজয়’ গল্পে বাংলা ও ভারতীয় দলের হয়ে ফুটবল খেলা স্ট্রাইকার রঞ্জনকে তার ক্লাব বারপুজোয় নিমন্ত্রণ করেনি, এমনকি ক্লাবের কোনাে সদস্য তাকে ফোনও করেনি। অথচ রঞ্জন এই ক্লাবের হয়ে খেলেছে দীর্ঘ পনেরাে বছর, ঝরিয়েছে ঘাম-রক্ত, ত্যাগ করেছে বিরাট অর্থের প্রলােভন, চাকরির প্রলােভন। অতি প্রিয় ক্লাবের কাছ থেকে বিনিময়ে একটু ভালােবাসা, সম্মানই সে চেয়েছিল। কিন্তু, বদলে সে পেয়েছিল অপমান ও অবহেলা। তাই সে রাগে ফুঁসছিল।
২. ‘এত দুঃখ, এত ব্যথা সে কখনও পায়নি’-এই দুঃখ-যন্ত্রণার দিনে কীভাবে অতীতের সুন্দর দিন গুলির কথা রঞ্জনের মনে এসেছে?
উত্তর : আলােচ্য উক্তিটি শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয় গল্প থেকে গৃহীত হয়েছে। গল্পের মুখ্য চরিত্র রঞ্জন একজন বিখ্যাত ফুটবলার। ক্লাবই ছিল তার ধ্যান জ্ঞান। কিন্তু ক্লাবের বারপুজোর মতাে গুরুত্বপূর্ণ দিনে সে নিমন্ত্রণ পায়নি, এমনকি কেউ তাকে ফোনও করেনি। আশাহত রঞ্জন প্রচণ্ড রাগে সমস্ত কাগজে একই বিষয় সম্পর্কে প্রতিবেদনগুলি পড়েছে এবং কারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল, তাও দেখেছে। রাগে, ক্ষোভে, দুঃখে সে ঘরের মধ্যে চরকির মতাে ঘুরছিল। বিগত পনেরাে বছর ধরে ক্লাবের প্রতি তার অবদানের কথা স্মরণ করতে করতে প্রসঙ্গক্রমে, ক্লাবের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারির তাকে ফোন করা, তার বাড়িতে গাড়ি পাঠানাে এমনকি বাড়িতে এসে তাকে নিমন্ত্রণ করে যাওয়া প্রভৃতি অতীতের সুন্দর দিনগুলির কথা রঞ্জনের মনে এসেছে।
আরো দেখো: ৮ম শ্রেণীর বাংলা সকল গল্প-কবিতার প্রশ্নোত্তর
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, তোমাদের বাংলা বোর্ড বই থেকে পরাজয় গল্পের প্রশ্ন উত্তর class 8 উপরে আলোচনা করা হয়েছে। তোমরা চাইলে পিডিএফে এই সম্পূর্ণ নোটটি ডাউনলোড করে নিতে পারো। এর জন্য ওপরে দেওয়া Answer Sheet বাটনে ক্লিক করো। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post