পিতৃপুরুষের গল্প জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর : মায়ের কাছে মুক্তিযোদ্ধা কাজল মামার সাহসী সংগ্রামের গল্প শুনে অন্তুর মনে মামার মুখ থেকে যুদ্ধের গল্প শোনার আগ্রহ জাগে। সে মামার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে। একুশে ফেব্রুয়ারির দু’দিন আগে কাজল মামা ঢাকায় আসেন। মামার কাছেই শুরু হয় অন্তুর অতীত সম্পর্কে তথ্যনির্ভর ইতিহাসের পাঠ।
অন্তু জানতে পারে ঢাকা শহরের নামের ইতিহাস, সাতমসজিদ রাস্তার নামের ইতিহাস। জানতে পারে যুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের পার্থক্য। পঁচিশে মার্চের রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণ ও ছাত্রদের প্রতিবাদী ভূমিকার কথা। ঢাকা শহরে রিকশায় ঘুরতে ঘুরতে কিশোর অন্ত স্মৃতিসৌধ, মাতৃভাষা আন্দোলন, শহিদ মিনারসহ বাঙালি জাতির পিতৃপুরুষ কারা সে সম্পর্কে ধারণা লাভ করে।
পিতৃপুরুষের গল্প জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর
১. ১৯৭১ সালে কাজল মামা কোথায় পড়ত?
উত্তর: ১৯৭১ সালে কাজল মামা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত।
২. কাজল মামা গ্রামে কেন থাকতে পছন্দ করতেন?
উত্তর: কাজল মামা গ্রামে থাকতে খুব ভালো লাগত।
৩. কাজল মামা গ্রামে এসে কী কী কাজ করেছিল?
উত্তর: কাজল মামা গ্রামে এসে মিছিল মিটিং করেছিল, রাইফেল জোগাড় করে ট্রেনিং দিয়েছিল।
৪. অন্তু কী কারণে কাজল মামাকে চিঠি লিখেছিল?
উত্তর: অন্তু কাজল মামাকে চিঠি লিখেছিল যাতে সে একুশে ফেব্রুয়ারি ঢাকা আসে এবং যুদ্ধের গল্প শোনায়।
৫. কাজল মামা ঢাকায় কখন এসে পৌঁছেছিলেন?
উত্তর: কাজল মামা ভোরবেলায় এসে পৌঁছেছিলেন।
৬. অন্তু কাজল মামার সঙ্গে কোথায় যেতে চেয়েছিল?
উত্তর: অন্তু কাজল মামার সঙ্গে শহিদ মিনারে যেতে চেয়েছিল।
৭. সাতমসজিদ রোডের নামকরণের ইতিহাস কী?
উত্তর: সাতমসজিদ রোডের নাম সাতগম্বুজ মসজিদের নামে রাখা হয়েছে, যেটি মোগল আমলে তৈরি হয়েছিল।
৮. কাজল মামা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কখন পড়তে শুরু করেছিলেন?
উত্তর: কাজল মামা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে শুরু করেছিলেন ১৯৭১ সালের আগে।
৯. কাজল মামা কোথায় থাকতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে?
উত্তর: কাজল মামা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ মহসীন হলে থাকতেন।
১০. শহিদ মিনারে কেন ফুল দেওয়ার কথা ছিল?
উত্তর: শহিদ মিনারে একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহিদদের স্মরণে ফুল দেওয়ার কথা ছিল।
১১. কাজল মামা কেন শহিদ মিনারের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেছিলেন?
উত্তর: কাজল মামা শহিদ মিনারের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেছিলেন, কারণ এটি ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মৃতির মিনার।
১২. একুশে ফেব্রুয়ারির শহিদরা কেন বাঙালির প্রথম শহিদ?
উত্তর: একুশে ফেব্রুয়ারির শহিদরা বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ার জন্য নিজেদের প্রাণ দিয়েছিলেন।
১৩. কাজল মামা একুশে ফেব্রুয়ারি শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে কী করেছিলেন?
উত্তর: কাজল মামা একুশে ফেব্রুয়ারি শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে অন্তুর সঙ্গে শহিদ মিনারে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন।
১৪. মুক্তিযুদ্ধ আর যুদ্ধের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: যুদ্ধ রাজা-রাজা বা দেশ-দেশের মধ্যে হয়, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ একটি জাতির স্বাধীনতার জন্য হয়।
১৫. কাজল মামা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় কোন সময়ের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল?
উত্তর: কাজল মামা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল।
১৬. শহিদ মিনারে কেন রক্তের স্মৃতি রাখা হয়েছে?
উত্তর: শহিদ মিনারে রক্তের স্মৃতি রাখা হয়েছে, কারণ একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষার জন্য প্রাণ দেওয়া শহিদদের সম্মানে।
১৭. শহিদ মিনারের সামনে কী কথা বলেছিলেন কাজল মামা?
উত্তর: কাজল মামা বলেছিলেন যে, শহিদ মিনার বাঙালির ভাষার জন্য আত্মত্যাগের স্মৃতি।
১৮. অন্তু শহিদ মিনারে গিয়ে কী শিখেছিল?
উত্তর: অন্তু শহিদ মিনারে গিয়ে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এবং শহিদদের আত্মত্যাগের কথা শিখেছিল।
১৯. ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে কী ঘটেছিল?
উত্তর: ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানি পুলিশ বাঙালির ভাষার দাবির বিরুদ্ধে গুলি চালিয়ে অনেককে হত্যা করেছিল।
পিতৃপুরুষের গল্প প্রশ্ন উত্তর ৭ম শ্রেণি
১. অন্তুর মামার নাম কী?
উত্তর: অন্তুর মামার নাম কাজল।
২. কাজল মামা মুক্তিযুদ্ধচলাকালীন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত?
উত্তর: কাজল মামা মুক্তিযুদ্ধচলাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত।
৩. অন্তু প্রত্যেক দিন রাত কয়টা নাগাদ ঘুমিয়ে পড়ে?
উত্তর: অন্তু প্রত্যেক দিন রাত ৯টা-সাড়ে ৯টায় নাগাদ ঘুমিয়ে পড়ে।
৪. কাজল মামা অন্তুদের বাড়িতে কত তারিখ আসে?
উত্তর: কাজল মামা অন্তুদের বাড়িতে ১৯ তারিখ আসে।
৫. কাজল মামা অন্তুদের বাড়িতে কত দিন থাকবেন?
উত্তর: কাজল মামা অন্তুদের বাড়িতে ৫ দিন থাকবেন।
৬. অন্তু ও কাজল মামা কোথা থেকে রিকশায় উঠল?
উত্তর: অন্তু ও কাজল মামা মোহাম্মদপুর নূরজাহান রোড থেকে রিকশায় উঠল।
৭. ঢাকা শহরের পূর্বনাম কী ছিল?
উত্তর: ঢাকা শহরের পূর্বনাম ছিল জাহাঙ্গীরনগর।
৮. কাজল মামা ছাত্রাবস্থায় কোন হলে থাকতেন?
উত্তর: কাজল মামা ছাত্রাবস্থায় হাজী মোহাম্মদ মহসীন হলে থাকতেন।
৯. কারা বাংলাদেশটাকে গোলাম করে রাখতে চেয়েছিল?
উত্তর: পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা বাংলাদেশটাকে গোলাম করে রাখতে চেয়েছিল।
১০. আমাদের পিতৃপুরুষ কারা?
উত্তর: ভাষা শহিদরা আমাদের পিতৃপুরুষ।
১১. বাঙালি জাতির প্রথম শহিদ কারা?
উত্তর: ভাষা আন্দোলনের শহিদরা বাঙালি জাতির প্রথম শহিদ।
১২. অন্তু ও কাজল মামা কত মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল?
উত্তর: অন্তু ও কাজল মামা এক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল।
১৩. স্বাধীনতার জন্য যে যুদ্ধ করা হয় তার নাম কী?
উত্তর: স্বাধীনতার জন্য যে যুদ্ধ করা হয় তার নাম মুক্তিযুদ্ধ।
১৪. চাপ চাপ রক্তে কোথাকার মাটি ভিজে গেছে?
উত্তর: চাপ চাপ রক্তে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণের মাটি ভিজে গেছে।
১৫. মুক্তিযুদ্ধ রণাঙ্গনে কোন লেখক সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেছেন?
উত্তর: কথা সাহিত্যিক হারুন হাবীব মুক্তিযুদ্ধ রণাঙ্গনে সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেছেন।
১৬. হারুন হাবীব জন্মগ্রহণ করেন কত সালে?
উত্তর: হারুন হাবীব জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৮ সালের জামালপুরে।
আরও দেখো—সপ্তম শ্রেণির বাংলা গল্প-কবিতার সমাধান
সপ্তম শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের সপ্তবর্ণা বাংলা বই থেকে পিতৃপুরুষের গল্প জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হয়েছে। এই অধ্যায় থেকে পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য ৩০টিরও অধিক প্রশ্ন উত্তরসহ দেওয়া হয়েছে। Answer Sheet অপশনে ক্লিক করে উত্তরগুলো সংগ্রহ করে নাও। এছাড়াও অধ্যায়ভিত্তিক অনুধাবনমূলক, সৃজনশীল এবং বহুনির্বাচনি প্রশ্নের সমাধান পেতে উপরে দেওয়া লিংকে ভিজিট করো।
Discussion about this post