সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন, কিন্তু হঠাৎ করে শুরু হলো পেটে ব্যথা। এমন সমস্যায় পড়েনি এমন মানুষ সংখ্যা খুবই কম। বদহজম, গ্যাস্ট্রিক, পেটের কোন সমস্যা কিংবা খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম এর কারণে হঠাৎ করেই এমন পেটে ব্যথা হয়ে থাকে। যত ধরনের পেটে ব্যথা রয়েছে তার বেশীরভাগই ক্ষতিকর নয়। ক্ষতিকর না হলেও অস্বস্তিকর তো বটে। তাই পেটে ব্যথা হলে পেটে ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় অনুযায়ী কাজ করুন। তার পাশাপাশি পেট ব্যথা কমানোর দোয়া গুলো পাঠ করুন।
বিভিন্ন ধরনের মানুষ বিভিন্ন ধরনের পেটের সমস্যায় পড়ে থাকে। একবার পেটে ব্যথায় পড়লে দ্বিতীয়বার পেটে ব্যথায় পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই যাতে এই ধরনের পরিস্থিতিতে না পড়েন তার জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখতে হবে।
অধিকাংশ মানুষের পেটে ব্যথা হয়ে থাকে পেটের কোন সমস্যায় কিংবা হজম জনিত সমস্যা থাকার কারণে। তাই যদি হজম শক্তির সমস্যা থেকে থাকে তাহলে প্রাকৃতিক উপায়ে হজম শক্তি বৃদ্ধি কিংবা ঔষধ খেয়ে হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে।
পেট ব্যথা কমানোর দোয়া
পেটে ব্যথা কমানোর জন্য আলেম-ওলামা ও ধর্মীয় বিশেষজ্ঞরা হাদিস থেকে রাসূল (সা:) নির্দেশিত কিছু দোয়ার কথা বলা হয়েছে। আমরা আজকে সেই দোয়াগুলো নিয়েই আলোচনা করবো। ইনশাল্লাহ উক্ত দোয়াগুলো পাঠ করলে রোগ থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব। চলুন উক্ত দোয়াগুলো জেনে নেওয়া যাক-
১. “উসমান ইবনে আবুল আস আস সাকাফি (রা.) এর ব্যাপারে বর্ণিত রয়েছে, তিনি একদিন রাসূল (সা.) এর কাছে এস তার পেটে ব্যথার কথা জানান। তিনি আরও জানান যে পেটে ব্যথা ওনাকে অস্থির করে তুলেছে। রাসূল (সা.) তখন বলেন, তোমার ব্যথার স্থানে তোমার ডান হাত রাখার পরে তিন বার বিসমিল্লাহ বল। এরপর সাতবার এই দোয়া পাঠ করতে বলেছেন।” (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৫২২)
أعوذُ باللهِ و قُدرتِه من شرِّ ما أَجِدُ و أُحاذِرُ
উচ্চারণ: “আউজু বি-ইজ্জাতিল্লাহি ওয়া কুদরাতিহি মিন শাররি মা আজিদু ওয়া উহাজিরু।”
অর্থ: “আল্লাহর মর্যাদা ও তার কুদরতের উসিলায় আমি যা অনুভব এবং ভোগ করছি, তা থেকে মুক্তি চাচ্ছি।”
২. আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা.) বলেন, যখন তোমরা কোন অসুস্থতা বোধ করবে কিংবা তোমাদের ভাই অসুস্থতা বোধ করবে করবে তখন এই দোয়াটি পড়তে বলবে তাকে।
ربنا الله الذي في السماء تقدس اسمك، أمرك في السماء والأرض، كما رحمتك في السماء فاجعل رحمتك في الأرض، اغفر لنا حوبنا وخطايانا أنت رب الطيبين، أنزل رحمة من رحمتك وشفاء من شفائك على هذا الوجع
উচ্চারণ: “রাব্বুনাল্লাহুল লাজি ফিস সামা-ই তাকাদ্দাসা ইসমুক, আমরুকা ফিস সামা-ই ওয়াল আরদ্ব, কামা রাহমাতুকা ফিস সামা-ই, ফাজআল রাহমাতুকা ফিল আরদ্ব, ইগফির লানা হুউবানা ওয়া খাতা-য়া-না আনতা রাব্বুত তাইয়িবিন, আনযিল রাহমাতাম মিন রাহমাতিকা, ওয়া শিফাউম মিন শিফা-ইকা আলা হাজাল ওয়াজ-ই।” (আবু দাউদ, হাদিস: ৩৮৯২; নাসায়ি, হাদিস: ১০৮৭৬)
শেষ কথা
অসুস্থ হলে আল্লাহর কাছে যেমন সুস্থতা প্রার্থনা করতে হবে ঠিক তেমনই চিকিৎসা নিতেও হবে। প্রথমে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে দেখতে হবে। চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি আল্লাহর কাছে সুস্থতা প্রার্থনা করতে হবে। তারপরও যদি দেখেন যে পেটে ব্যথা কমছে না তাহলে পেট ব্যথা কমানোর দোয়া গুলো পাঠ করতে হবে এবং ডাক্তারের কাছে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
Discussion about this post