পৌরনীতি ও নাগরিকতা ৫ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর : আমরা রাষ্ট্রে বাস করি। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। এসব নিয়মাবলির সমষ্টিকে সংবিধান বলে। সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। সংবিধানকে বলা হয় রাষ্ট্রের দর্পণ বা আয়নাস্বরূপ। সংবিধানে নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্য, শাসকের ক্ষমতা এবং নাগরিক ও শাসকের সম্পর্ক কিরূপ হবে তা সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ থাকে।
কাজেই রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের সংবিধান সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। এ অধ্যায়ে আমরা সংবিধানের ধারণা, সংবিধানের গুরুত্ব, সংবিধান প্রণয়ন পদ্ধতি, বিভিন্ন প্রকার সংবিধানের বৈশিষ্ট্য, বাংলাদেশের সংবিধান তৈরির ইতিহাস, এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য এবং বিভিন্ন সংশোধনী সম্বন্ধে জানব।
পৌরনীতি ও নাগরিকতা ৫ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : ‘ক’ নামক সামাজিক সংগঠনটি সামাজিক চিরাচরিত নিয়মকানুন অনুযায়ী পরিচালিত হয় এবং নিয়মগুলো কোথাও লিপিবদ্ধ করা হয়নি। সংগঠনের মাঝে কোনো সমস্যা দেখা দিলে তারা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তা নিষ্পত্তি করে। পক্ষান্তরে ‘খ’ নামক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্কুল পরিচালনায় সুস্পষ্টভাবে লিখিত নিয়মকানুন মেনে স্কুল পরিচালনা করেন। যেকোনো নীতিমালা তৈরি বা শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম হন। মাঝে মাঝে লিখিত নিয়মকানুনের ব্যাখ্যা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়।
ক. ১২১৫ সালে ইংল্যান্ডের রাজা জন যে অধিকার সনদ প্রণয়ন করেছিলেন তার নাম কী?
খ. সংবিধান প্রণয়ন প্রয়োজন কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. ‘ক’ সংগঠনটি পরিচালনার নিয়মাবলি কোন ধরনের সংবিধানের বৈশিষ্ট্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ? তা আলোচনা করো।
ঘ. ‘ক’ ও ‘খ’ প্রতিষ্ঠান দুটির পরিচালনার নিয়মাবলির মধ্যে তুমি কোনটিকে উত্তম বলে মনে কর? তার সপক্ষে যুক্তি প্রদর্শন করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : একই ভাষা, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক ক্ষমতা এবং ধর্মীয় নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে ‘ক’ রাষ্ট্রের সংবিধান রচনা করা হলো। এ রাষ্ট্রের সংবিধানে রাষ্ট্রের সকল কাজে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। উক্ত রাষ্ট্রের আইনসভায় একটি বিল পাসের ব্যাপারে আইন সভার মোট ২১০ জন সদস্যের মধ্যে ১৪০ জনের সম্মতি না থাকায় বিলটি বাতিল হয়ে যায়।
ক. বাংলাদেশের সংবিধান কত তারিখে কার্যকর হয়?
খ. অলিখিত সংবিধান বলতে কী বোঝায়?
গ. সংশোধনের ভিত্তিতে ‘ক’ রাষ্ট্রের সংবিধান কোন শ্রেণির? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘ক’ রাষ্ট্রের সংবিধানে বাংলাদেশ সংবিধানের বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন লক্ষ করা যায়—বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : রাশেদ সাহেব নিজ এলাকায় একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয়টি পরিচালনার জন্য কোনো সুস্পষ্ট নীতিমালা নেই। তিনি অন্যান্য বিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মনীতি অনুসরণ করেন। বিদ্যালয়ের পাশেই রয়েছে ‘বন্ধন’ সমাজকল্যাণ সমিতির অফিস। কখন সমিতির অধিবেশন হবে, সভাপতি ও সম্পাদকের কার্যাবলি কী হবে এ সম্পর্কে সমিতির সদস্যদের মধ্যে আলোচনা করা হয় এবং একটি গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করা হয়। পরবর্তী এক অধিবেশনে সমিতিতে নতুন সদস্য সংগ্রহের ব্যাপারে একটি প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনে পাস হলে তা গঠনতন্ত্রে সংযোজন করা হয়।
ক. সংবিধান কাকে বলে?
খ. ব্রিটিশ সংবিধান তৈরি হয়নি, গড়ে উঠেছে— ব্যাখ্যা করো।
গ. রাশেদ সাহেবের বিদ্যালয় পরিচালনায় কোন ধরনের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. বাংলাদেশ সংবিধানের সাথে ‘বন্ধন’ সমাজকল্যাণ সমিতির গঠনতন্ত্রের কোনো মিল খুঁজে পাও কি? মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : মনির সাহেব এবং আমজাদ সাহেবের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এটি পরিচালনার জন্য তারা সুনির্দিষ্ট নীতিমালা লিখিতভাবে তৈরি করেন। ব্যবসা পরিচালনার সুবিধার্থে তারা নীতিমালাগুলো যুগোপযোগী করে নেন। তার পাশে রয়েছে “নবারুণ” নামে একটি জনকল্যাণ সমিতি ৷ সেটি সমঝোতার ভিত্তিতে কিছু লিখিত, সহজ সরল এবং প্রাঞ্জল ভাষায় নিয়মনীতি তৈরি করে। ‘ফুলকলি’ নামক একটি বিদ্যালয়। সেটি পরিচালনার জন্য কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা লিখিত নেই। তারা চিরাচরিত নিয়মনীতি ও আচার অনুষ্ঠানের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে।
ক. সংবিধান কাকে বলে?
খ. সংবিধান রাষ্ট্র পরিচালনার উৎকৃষ্ট শক্তি— ব্যাখ্যা করো।
গ. মনির সাহেবের প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. নবারুণ সমিতি ও ফুলকলি বিদ্যালয়ে পরিচালনার নীতিমালার মধ্যে কোনটিকে অধিকতর শ্রেয় মনে কর? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : বাগামারা গ্রামের যুবকরা ‘যুব সংহতি’ নামে একটি খেলাধুলার ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। ক্লাবের নিয়মনীতি সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠা পায়। এই নিয়মনীতিই যুব সংহতির গঠনতন্ত্র। অন্যদিকে রামকান্তপুর গ্রামের যুবকরা ‘নবারুণ সংঘ’ নামে একটি সমবায় সমিতি গঠন করেন। প্রতিবছর বার্ষিক সভায় সমিতির নিয়মনীতি উপস্থিত সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে ঠিক করা হয়। ২০১৭ সালের বার্ষিক সভায় কয়েকজন সদস্য সমিতির লিখিত নিয়মনীতি না থাকায় সভা ভণ্ডুল করে। ফলে কমিটি গঠনতন্ত্র তৈরির জন্য একটি নির্বাহী কমিটি গঠন করে।
ক. দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান কাকে বলে?
খ. ‘সংবিধানকে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক দলিল বলা হয়’— ব্যাখ্যা করো।
গ. ‘যুব সংহতির’ গঠনতন্ত্র প্রণয়নের সাথে সংবিধান প্রণয়নের কোন পদ্ধতির মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. নবারুণ সংঘের অনুসরণকৃত সংবিধানের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক দুটিই আছে উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্ন
১. একই ভাষা, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক ক্ষমতা এবং ধর্মীয় নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে ‘ক’ রাষ্ট্রের সংবিধান রচনা করা হলো। এ রাষ্ট্রের সংবিধানে রাষ্ট্রের সকল কাজে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। উক্ত রাষ্ট্রের আইনসভায় একটি বিল পাসের ব্যাপারে আইনসভার মোট ২১০ জন সদস্যের মধ্যে ১৪০ জনের সম্মতি না থাকায় বিলটি বাতিল হয়ে যায়।
ক. বাংলাদেশের সংবিধান কত তারিখে কার্যকর হয়?
খ. অলিখিত সংবিধান বলতে কী বোঝায়?
গ. সংশোধনের ভিত্তিতে ‘ক’ রাষ্ট্রের সংবিধান কোন শ্রেণির? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘ক’ রাষ্ট্রের সংবিধানে বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন লক্ষ করা যায়Ñ বিশ্লেষণ কর।
২. সুমন একজন সি.এন.জি টেক্সি চালক। সে সমমনা বন্ধুদের নিয়ে একটি বহুমুখী সমবায় সমিতি গঠন করেছে। সমিতির সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে সমিতির নিয়মকানুনগুলো। সমিতির নিয়মকানুনগুলো প্রণয়নের ক্ষেত্রে তারা দেশের বিদ্যমান আইনকানুনগুলো অনুসরণ করেছে। [স. বো. ’১৬]
ক. বাংলাদেশের আইনসভা কয় কক্ষবিশিষ্ট?
খ. অলিখিত সংবিধান কাকে বলে?
গ. সুমনদের সমিতির নিয়মকানুনগুলো কোন পদ্ধতিতে প্রণীত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “সুমনদের সমিতির নিয়মকানুন এবং তাদের দেশের নিয়ম-কানুন তৈরির পদ্ধতি অভিন্ন।” – তুমি কি উক্তিটির সাথে একমত? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
৩. ‘ক’ রাষ্ট্রে যেসব মূলনীতি অনুসরণ করে রাষ্ট্র পরিচালিত হয় তা কোনো সনদ বা দলিলে লিখিত নেই। বরং ক্রমে ক্রমে গড়ে উঠেছে। দেশটিতে কোনো জটিল সমস্যা উপস্থিত হলে তা প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী সমাধান করা হয়। অন্যদিকে ‘খ’ রাষ্ট্রের পরিচালনার নীতিমালা লিখিত আকারে সে দেশের আইন পরিষদ কর্তৃক প্রণীত। এই লিখিত নীতিমালা অনুসরণ করে রাষ্ট্রের যেকোনো সমস্যার সমাধান করা হয়।
ক. বাংলাদেশের আইনসভার নাম কী?
খ. “প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থার মধ্যমণি”- ব্যাখ্যা কর।
গ. ‘ক’ রাষ্ট্রের সংবিধান কোন পদ্ধতিতে প্রণীত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘খ’ রাষ্ট্রের সংবিধান যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের সফলতার পূর্বশর্ত-বিশ্লেষণ কর।
৪. বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সংবিধান রচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির প্রধান ছিলেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন। এ কমিটি অক্লান্ত পরিশ্রম করে একটি খসড়া সংবিধান প্রণয়ন করে। পরে গণপরিষদে সদস্যদের পক্ষে-বিপক্ষে মতামত প্রদানের পর পরিমার্জিত হয়ে তা গৃহীত ও কার্যকর হয়।
ক. রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক দলিল কোনটি?
খ. এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে কোন পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘সংবিধান প্রণয়নে উক্ত পদ্ধতিই একমাত্র পদ্ধতি।’ তুমি কি বক্তব্যটি সমর্থন কর? মতের পক্ষে যুক্তি দাও।
৫. ‘ঢ’ রাষ্ট্র তার সংবিধানকে অনুসরণ করে রাষ্ট্রের সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। সংবিধানটি স্থিতিশীল ও সুস্পষ্ট। ফলে সকল জনগণ এটি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা অর্জন করতে পারে। এই সংবিধান অনুযায়ী ‘ঢ’ রাষ্ট্রের প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করা হয়েছে। এছাড়াও এ সংবিধানে শাসকের ক্ষমতা ও জনগণের অধিকার উল্লেখ আছে।
ক. সংবিধান কী?
খ. অলিখিত সংবিধানের ধারণা দাও।
গ. ‘ঢ’ রাষ্ট্রে কোন ধরনের সংবিধান বিদ্যমান রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত সংবিধানের ত্রুটিসমূহ বিশ্লেষণ কর।
৬. ‘অ’ এবং ‘ই’ দুটি দেশ। ‘অ’ দেশটির সংবিধান সুস্পষ্ট এবং স্থিতিশীল। এর সংবিধান সংশোধন প্রক্রিয়া অনেক জটিল। পরিবর্তনের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ বা সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যের সম্মতির প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে ‘ই’ দেশটির সংবিধান অস্পষ্ট, জরুরি প্রয়োজনে সহায়ক এবং সহজেই পরিবর্তন করা যায়।
ক. কোন দেশের সংবিধান সুপরিবর্তনীয়?
খ. সুপরিবর্তনীয় সংবিধান বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকের কোন দেশটির সংবিধানের সাথে বাংলাদেশের সংবিধানের সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘ই’ দেশটির সংবিধানের সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে- তুমি কি মন্তব্যটি সমর্থন কর? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
৭. নোমান যেদেশে বাস করে সেদেশটি তিন বছর আগে স্বাধীন হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেশটিতে কার্যকরী ও সুষ্ঠু শাসনব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। এমতাবস্থায় দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটতে থাকে। ফলে সদ্য স্বাধীন হওয়া যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠিত হওয়ার পরিবর্তে দিনে দিনে ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
ক. জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য ৫০টি আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় কোন সংশোধনীর মাধ্যমে?
খ. বাংলাদেশের সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয় কেন?
গ. নোমানের বসবাসরত দেশে চলমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কোন পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. একটি সফল ও কার্যকরী রাষ্ট্র গঠনে উক্ত বিষয়টির কোনো বিকল্প নেই- তুমি কি এ বক্তব্যের সাথে একমত? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
৮. ‘গ’ দেশের জনগণ সে দেশের স্বৈরাচারী শাসকের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলন করে আসছিল। এ বছরের শুরুর দিকে তাদের আন্দোলন সফল হয়। নতুন শাসকগোষ্ঠী গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ও জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করে।
ক. বাংলাদেশের আইনসভা কত কক্ষবিশিষ্ট?
খ. “ব্রিটিশ সংবিধান তৈরি হয়নি, গড়ে উঠেছে”- উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
গ. ‘গ’ নামক দেশটিতে কোন পদ্ধতিতে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি মনে কর, সংবিধান প্রণয়নের জন্য উক্ত পদ্ধতিই একমাত্র পদ্ধতি? মতের পক্ষে যুক্তি দাও।
৯. মুক্তা বিবাহ সূত্রে ব্রিটেন গমন করে। সে তার নতুন বন্ধু লয়েস লেইনের নিকট থেকে জানতে পারে তাদের সংবিধান প্রথা, রীতিনীতি ও আচার-অনুষ্ঠানের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। মুক্তা লয়েসকে জানায়, তার দেশের সংবিধান ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর ভিত্তি করে রচিত। জনগণের মৌলিক অধিকারের কথা সংবিধানে লিখিত আকারে রয়েছে।
ক. বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন কী?
খ. দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।
গ. লয়েসের দেশের সংবিধান কোন প্রকৃতির? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘মুক্তার দেশের সংবিধান উত্তম সংবিধান’-তুমি কি উক্তিটির সাথে একমত? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
১০. ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর একটি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে একটি খসড়া সংবিধান প্রণয়ন করা হয়, যা একই বছর ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর কার্যকর করা হয়। কখনো কোনো কারণে এ সংবিধানে সংশোধনী আনার প্রয়োজন হলে তা সংসদে বিল আকারে পেশ করতে হয়। এই বিল গৃহীত হওয়ার জন্য সংসদ সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের সম্মতি প্রয়োজন হয়।
ক. জাতীয় সংসদ কতজন সদস্য নিয়ে গঠিত?
খ. বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী সম্পর্কে লেখ।
গ. উদ্দীপকে কোন দেশের সংবিধানকে নির্দেশ করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত দেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর।
১১. ‘ক’ ও ‘খ’ দেশের সংবিধান একরকম নয়। ‘ক’ দেশের সংবিধান সুস্পষ্ট, স্থিতিশীল এবং জনগণের মৌলিক অধিকার সেখানে সন্নিবেশিত। ‘খ’ দেশের সংবিধান অস্পষ্ট, সহজে পরিবর্তন করা যায়। কিন্তু দুটি দেশের সংবিধানই জনকল্যাণকামী।
ক. লেখার ভিত্তিতে সংবিধানকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
খ. বাংলাদেশ সংবিধানের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
গ. উদ্দীপকের দুটি দেশের সংবিধানের মধ্যে তুলনামূলক পার্থক্য তুলে ধর।
ঘ. উভয় দেশের সংবিধানের মধ্যে কোনটিকে তুমি উত্তম বলে মনে কর? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন সাজেশান্স ও নোট পেতে আমাদের Facebook Page এ Like দিয়ে রাখো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post