পৌরনীতি ও সুশাসন ২য় পত্র ১০ম অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : অসুখ, দুর্ঘটনা, চিকিৎসাজনিত ত্রুটি অথবা জন্মগতভাবে যদি কোনো ব্যক্তি শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে তার কর্মক্ষমতা আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে লোপ পায় তাকে শারীরিক প্রতিবন্ধিতা বলে। যাদের মাঝে নিচে উল্লেখিত লক্ষণগুলোর মধ্যে এক বা একাধিক লক্ষণ দেখা যাবে তারা শারীরিক প্রতিবন্ধী বলে বিবেচিত হবে। যথা- একটি বা উভয় হাত বা পা না থাকা; কোনো হাত বা পা পূর্ণ বা আংশিকভাবে অবশ অথবা গঠনগত এমন ত্রুটিপূর্ণ বা দুর্বল যে, দৈনন্দিন সাধারণ কাজকর্ম বা সাধারণ চলন বা ব্যবহার ক্ষমতা আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয়; স্নায়ুবিক অসুবিধার কারণে স্থায়ীভাবে শারীরিক ভারসাম্য না থাকা।
পৌরনীতি ও সুশাসন ২য় পত্র ১০ম অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
১. নজরুল ইসলাম বাজার থেকে কিছু পাকা আম ক্রয় করে বাড়ি আসেন। আম কাটার পর তিনি দেখতে পান ভেতরে আমের আঁটিগুলো শক্ত হয়নি। আম খাওয়ার পর তার পেটে কিছু সমস্যা দেখা দেয়।
ক. দুর্নীতি কী?
খ. শারীরিক প্রতিবন্ধিতা বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকের সাথে তোমার পঠিত কোনো নাগরিক সমস্যার সাদৃশ্য আছে কি? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে উদ্দীপকে বর্ণিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব বিশ্লেষণ করো।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. আইন ও নীতি বিরুদ্ধ কাজই হলো দুর্নীতি।
খ. অসুখ, দুর্ঘটনা, চিকিৎসাজনিত ত্রুটি অথবা জন্মগতভাবে যদি কোনো ব্যক্তি শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে তার কর্মক্ষমতা আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে লোপ পায় তাকে শারীরিক প্রতিবন্ধিতা বলে।
যাদের মাঝে নিচে উল্লেখিত লক্ষণগুলোর মধ্যে এক বা একাধিক লক্ষণ দেখা যাবে তারা শারীরিক প্রতিবন্ধী বলে বিবেচিত হবে। যথা- একটি বা উভয় হাত বা পা না থাকা; কোনো হাত বা পা পূর্ণ বা আংশিকভাবে অবশ অথবা গঠনগত এমন ত্রুটিপূর্ণ বা দুর্বল যে, দৈনন্দিন সাধারণ কাজকর্ম বা সাধারণ চলন বা ব্যবহার ক্ষমতা আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয়; স্নায়ুবিক অসুবিধার কারণে স্থায়ীভাবে শারীরিক ভারসাম্য না থাকা।
গ. উদ্দীপকের সাথে আমার পঠিত নাগরিক সমস্যা খাদ্যে ভেজাল-এ সাদৃশ্য রয়েছে।
সাধারণভাবে খাদ্যে ভেজাল বলতে খাঁটি বা আসল পণ্যের সাথে নিম্নমানের পণ্য বা রাসায়নিক পদার্থের মিশ্রণ ঘটিয়ে বিক্রয় করাকে বোঝায়। এতে দ্রব্যের গুণগত মান নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বিশুদ্ধতা হারায়। বর্তমানে খাদ্যে ভেজাল একটি মারাত্মক সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সমস্যা হিসেবে পরিগণিত হয়। খাদ্য দ্রব্যের সাথে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করে।
ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা যায় অপরিপক্ব ফল পাকানো এবং এর রং আকর্ষণীয় করার ক্ষেত্রে। এসব ফল খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে এবং বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। উদ্দীপকে দেখা যায়, নজরুল ইসলাম বাজার থেকে কিছু পাকা আম কিনে বাড়ি আসেন। আম কাটার পর তিনি দেখতে পান ভেতরে আমের আঁটিগুলো শক্ত হয়নি। আম খাওয়ার পর তার পেটে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এখানে মূলত খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণের বিষয়টি ফুটে উঠেছে। আমাদের প্রাত্যহিক নাগরিক জীবনে যে সমস্যাগুলো প্রকট হয়ে উঠেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো খাদ্যে ভেজাল সমস্যা।
ঘ. আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে উদ্দীপকে বর্ণিত সমস্যা অর্থাৎ খাদ্যে ভেজাল থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আমরা প্রতিনিয়ত যেসব খাবার গ্রহণ করি তার মধ্যে রয়েছে ভেজাল। ফসল তোলা থেকে শুরু করে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে মেশানো হচ্ছে নানা ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং নাগরিক সচেতনতার প্রয়োজন। ভেজাল খাদ্য কীভাবে সমাজের ক্ষতি করছে এবং এর মারাত্মক পরিণতির বিষয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা দরকার। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে খাদ্যে ভেজাল বিরোধী প্রচারণা এবং কর্মসূচির ব্যবস্থা করতে হবে।
শুধু জনগণ সচেতন হলেই খাদ্যে ভেজাল মেশানো বন্ধ করা সম্ভব নয়।
এর পাশাপাশি খাদ্যদ্রব্য ভেজালমুক্ত কিনা সেজন্য নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারিভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। ভেজাল খাদ্য উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। জরিমানা ও কারাদ-ের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং কড়াকড়িভাবে তা প্রয়োগ করতে হবে। ভোক্তা পর্যায়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের সবার দায়িত্ব হবে নিজে খাদ্যে ভেজালের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং অপরকে সচেতন করে তোলা।
উপরের আলোচনা শেষে বলা যায়, আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে খাদ্যে ভেজাল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
২. জনি রনির বড় ভাই। রনি ২০১৬ সালের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় বৃত্তি পেয়েছে। অন্যদিকে জনি কথা বলতে পারে না। তাই স্থানীয় স্কুলে তাকে ভর্তি করানো যায়নি। তার সমবয়সীরা তাকে খেলায় নিতে চায় না। এ কারণে জনি ও তার বাবা-মায়ের মন খারাপ থাকে। জনির সাথে রনির খুব বন্ধুত্ব। জনি সুন্দর ছবি আঁকতে পারে। তার বাবা তার জন্য রং ও ছবি আঁকার বই কিনে দিয়েছে। জনি এখন ছবি আঁকা নিয়ে ব্যস্ত।
ক. C.F.C (সি.এফ.সি) কী?
খ. খাদ্যে ভেজাল বলতে কী বোঝ?
গ. জনির প্রতিবন্ধিতা জনিত সমস্যাটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. জনির সমস্যা সমাধানে এবং তাকে স্বাভাবিক জীবনযাপনের ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তা আলোচনা করো।
৩. ‘ঢ’ পাঁচ বছর বয়সী একটি শিশু। তার চেহারা ও অবয়ব অন্য শিশুদের মতো। তার মধ্যে সীমাবদ্ধ কিছু কাজ বা আচরণের প্রবণতা লক্ষ করা যায়। সে অন্যদের তুলনায় একটু বেশি বা কম সংবেদনশীল।
ক. ফরমালিন কী?
খ. বিশেষ চাহিদার জনগোষ্ঠী বলতে কী বোঝায়?
গ. ‘ঢ’ কী ধরনের শিশু? তোমার পাঠ্যবইয়ের আলোকে ব্যাখ্যা করো।
ঘ. প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে ‘ী’ এর মতো শিশুরা একদিন সম্পদে পরিণত হবে- তুমি কি একমত?
৪. রাফিন কানে শোনে না। তাই তাকে তিন বছর বয়সেই একটি বিশেষ স্কুলে ভর্তি করা হয়। স্কুলের শিক্ষকরা লক্ষ করলেন যে রাফিন ছবি আঁকায় খুবই আগ্রহী। দুই বছরের মধ্যেই সে দক্ষ অংকন শিল্পী হয়ে ওঠে। সুন্দর ছবি আঁকার জন্য সে প্রধানমন্ত্রীর নিকট হতে পুরস্কারও লাভ করে। রাফিনের শিক্ষকরা তার বাবা-মায়ের সঙ্গে আলোচনা করে তাকে একটি আর্ট স্কুলে ভর্তি করে দেন।
ক. HIV -এর পূর্ণরূপ কী?
খ. দুর্নীতি বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকের রাফিন কোন ধরনের শিশু? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. রাফিনের প্রতি তার বাবা-মা ও স্কুল শিক্ষকদের গৃহীত উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়— উক্তিটি মূল্যায়ন করো।
৫. অহনার প্রিয় সবজি টমেটো। সে বাজার থেকে সুন্দর রং দেখে দুই কেজি টমেটো ক্রয় করে। বাসায় এসে কেটে দেখে টমেটো পাকার মত হয়নি। এই টমেটো খেয়ে তার ছোট বোন মারিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লো। অহনা বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ দোকানদারকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে। বিজ্ঞ আদালত দোকানদারকে ঐ আইনের বিধান অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করেন।
ক. আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী কতজন ?
খ. রাজনৈতিক অস্থিরতা কীভাবে দুর্নীতির বিকাশ ঘটায়?
গ. উদ্দীপকে অহনার সমস্যাটি বাংলাদেশের কোন সমস্যার প্রতি ইঙ্গিত বহন করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের অহনা যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে তা প্রতিরোধে তুমি কী কী সুপারিশ করবে?
◉ আরও দেখো: পৌরনীতি ১ম ও ২য় পত্র সকল অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র ১০ম অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আলোচনা করা হয়েছে। এই অধ্যায় থেকে মোট ৫টি প্রশ্ন উত্তর আমরা তোমাদের জন্য তৈরি করেছি। আশা করছি, এই প্রশ্নগুলো প্রাকটিস করলে তোমরা পরীক্ষার জন্য শতভাগ কমন পেয়ে যাবে। সবগুলো সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ আকারে সংগ্রহের জন্য উপরে ‘ANSWER SHEET’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post