পৌরনীতি ও সুশাসন ২য় পত্র ৮ম অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন বাস্তবায়ন ও ও সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করে। নির্বাচন ব্যবস্থায় আইন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন নির্বাচনি সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ, মনোনয়নপত্র বাছাই চূড়ান্ত মনোনয়নপত্র প্রকাশ, নির্বাচনি আচরণবিধি ঘোষণা, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন গ্রহণ ও বাতিল, নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা, নির্বাচন গ্রহণ, ফলাফল প্রকাশ এবং নির্বাচিত দলকে সরকার গঠনের জন্য গেজেট প্রকাশসহ বিভিন্ন আইনি কার্যক্রম করে।
পৌরনীতি ও সুশাসন ২য় পত্র ৮ম অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
১. লোকমানপুর গ্রামের ফারুক সাহেব একজন সৎ ও নির্ভিক ব্যক্তি। তিনি তার এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। আর্থিকভাবে তিনি স্বচ্ছল না হয়েও প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। এলাকাবাসী চাঁদা তুলে তাকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে তিনি নির্বাচনে জয়লাভও করেন।
ক. জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসন ছিল না কোন নির্বাচনে?
খ. বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কী ধরনের কাজ সম্পাদন করে?
গ. উদ্দীপকের ঘটনার আলোকে নির্বাচনে জনগণের সক্রিয় ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ৪র্থ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসন ছিল না।
খ. বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন বাস্তবায়ন ও ও সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করে।
নির্বাচন ব্যবস্থায় আইন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন নির্বাচনি সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ, মনোনয়নপত্র বাছাই চূড়ান্ত মনোনয়নপত্র প্রকাশ, নির্বাচনি আচরণবিধি ঘোষণা, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন গ্রহণ ও বাতিল, নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা, নির্বাচন গ্রহণ, ফলাফল প্রকাশ এবং নির্বাচিত দলকে সরকার গঠনের জন্য গেজেট প্রকাশসহ বিভিন্ন আইনি কার্যক্রম করে।
গ. উদ্দীপকের ঘটনার আলোকে বোঝা যায়, নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ অত্যন্ত সক্রিয়। জাতীয় রাষ্ট্রে সকল নাগরিকের পক্ষে রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশ নেওয়া সম্ভব নয়। তাই তারা নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভোটের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীকে বাছাই করে নেয়। এ কারণেই নির্বাচনে জনগণের সক্রিয় ভূমিকার কথা বলা বাহুল্য। যেকোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নির্বাচন হলো শাসনব্যবস্থা পরিচালনার ভিত্তি। আর নির্বাচনের প্রাণ হলো জনগণ। তারা নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য, দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রতিনিধিকে বাছাই করে নেয়।
এর মাধ্যমে শাসনব্যবস্থা দক্ষ ও উন্নত করতে জনগণ সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। প্রার্থী বাছাই এবং প্রার্থীকে পরাজিত করতে জনগণের ভোটই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়। উদ্দীপকের ঘটনাও এর প্রমাণ বহন করে। এখানে দেখা যায়, লোকমানপুর গ্রামের ফারুক সাহেব প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। তিনি আর্থিকভাবে সবল না হওয়ায় এলাকাবাসীই নিজ উদ্যোগে চাঁদা তুলে তাকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে। আবার জনগণের বিপুল ভোটে তিনি নির্বাচিতও হন। সুতরাং দেখা যায়, নির্বাচন নির্ভর করে জনগণের ওপর এবং প্রার্থীর বাছাই নির্ভর করে তাদের ভোটের ওপর।
উপরিউক্ত আলোচনায় নির্বাচনের জনগণের সক্রিয় ভূমিকা সম্পর্কে সহজেই ধারণা পাওয়া যায়।
ঘ. প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থার ভিত্তি হলো নির্বাচন। আর এ নির্বাচনের প্রাণ হলো জনগণ। জনগণ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ তাদের পক্ষে দেশের শাসনকার্য পরিচালনায় অংশ নেয়। তাই জনগণ নির্বাচনে অংশ নিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয় এবং সুযোগ্য প্রতিনিধি বাছাই করে নেয় জনগণের সমর্থন যে বেশি লাভ করতে সক্ষম হয় সেই দেশের শাসনব্যবস্থায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়। উদ্দীপকের ফারুক সাহেবও এভাবে জনগণের ভোটেই নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি ব্যাপক জনসমর্থন আদায়ে সক্ষম হন। এ কারণেই আর্থিকভাবে সবল না হওয়া সত্ত্বেও জনগণ তাকে চাঁদা তুলে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করায়। বিপুল জনসমর্থন থাকার কারণেই তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করতে সক্ষম হন। মূলত জনগণের অংশগ্রহণ ব্যতীত উদ্দীপকের ফারুক সাহেব শাসনকার্যে অংশ নিতে পারতেন না। তাই বলা যায়, প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
২. বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলির মধ্যে একটি নির্বাচন হয়েছিল ডিসেম্বর মাসে। সে নির্বাচনে একটি বড় রাজনৈতিক দলের স্লোগান ছিল ‘দিন বদলের ডাক’। অন্য একটি বড় রাজনৈতিক দলের স্লোগান ছিল ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’। ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রদান প্রভৃতি নতুন উদ্যোগে নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয় এদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণকে, এবং দীর্ঘ দুই বছরের রাজনৈতিক সংকটের অবসান হয়ে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ফিরে আসে।
ক. ব্রিটিশ ভারতের সর্বশেষ গর্ভনর জেনারেল কে ছিলেন?
খ. নির্বাচনে কেন নাগরিকদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন?
গ. উদ্দীপকে যে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত নির্বাচন কীভাবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনে? বিশ্লেষণ করো।
৩. মিতু তার বাবার কাছে তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশের একটি তাৎপর্যপূর্ণ নির্বাচনের গল্প শোনে। উক্ত নির্বাচনের পূর্বে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে তৎকালীন সরকারের স্বৈরাচারী কর্মকা-ের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনের মুখে ঐ সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। সংবিধান অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করেন।
ক. দুর্নীতি দমন কমিশন কখন প্রতিষ্ঠিত হয়?
খ. নির্বাচন কমিশন কীভাবে গঠিত হয়? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত নির্বাচনের সাথে বাংলাদেশের কোন নির্বাচনের সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উক্ত নির্বাচন গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় মাইল ফলক’- তোমার পাঠ্যবইয়ের আলোকে মূল্যায়ন করো।
৪. ‘ক’ রাষ্ট্রে কেবল সর্বনিম্ন ২১ বছর বয়স্ক পুরুষ নাগরিকদের ভোটাধিকার রয়েছে। নাগরিকগণ প্রকাশ্য ভোটদানের মাধ্যমে প্রতিনিধিদের নির্বাচন করতে পারে। কিন্তু এ রাষ্ট্রে নাগরিকগণ নির্বাচন সম্পর্কে উদাসীন। বেশিরভাগ নাগরিক নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে না এবং প্রার্থী সম্পর্কেও তারা ভালোভাবে অবগত হতে আগ্রহী হোন।
ক. বাংলাদেশে প্রথম কত সালে সংসদ নির্বাচন হয়?
খ. ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত ‘ক’ রাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কিত বিষয়গুলোর অসামঞ্জস্যতা বর্ণনা করো।
ঘ. উদ্দীপকের রাষ্ট্রের নাগরিকদের ভূমিকার যথার্থতা মূল্যায়ন করো।
৫. সালমান সম্প্রতি ১৮ বছরে পদার্পণ করেছে। আগামী একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সে ভোট দিতে পারবে বলে খুবই উৎফুল্ল। সে ঠিক করেছে ভোটের আগে সমস্ত দিক লক্ষ্য রেখে তবেই যোগ্য প্রার্থীকে ভোট প্রদান করবে। কেননা যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে না পারলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। বাবার সাথে এসব বিষয় নিয়ে সে প্রায়শই আলোচনা করে।
ক. সর্বজনীন ভোটাধিকার কাকে বলে?
খ. গণভোট বলতে কী বুঝ?
গ. উদ্দীপকে যে বিষয়টির প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে বাংলাদেশে উক্ত বিষয়টির কী কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে বর্ণনা কর।
ঘ. “উক্ত বিষয়টির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে” — মূল্যায়ন কর।
◉ আরও দেখো: পৌরনীতি ১ম ও ২য় পত্র সকল অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পৌরনীতি ও সুশাসন ২য় পত্র ৮ম অধ্যায় আলোচনা করা হয়েছে। এই অধ্যায় থেকে মোট ৫টি প্রশ্ন উত্তর আমরা তোমাদের জন্য তৈরি করেছি। আশা করছি, এই প্রশ্নগুলো প্রাকটিস করলে তোমরা পরীক্ষার জন্য শতভাগ কমন পেয়ে যাবে। সবগুলো সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ আকারে সংগ্রহের জন্য উপরে ‘ANSWER SHEET’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post