পৌরনীতি ও সুশাসন ২য় পত্র ৭ম অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : সর্বজনীন ভোটাধিকার বলতে ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষ, ধনী-গরিব নির্বিশেষে প্রাপ্তবয়স্ক সকল নাগরিকের ভোটদানের অধিকারকে বোঝায়। ভোটদানের অধিকার নাগরিকদের রাজনৈতিক অধিকার। রাষ্ট্রের সংবিধান এবং সরকারি বিধিবিধানের মাধ্যমে স্বীকৃত পন্থায় নাগরিকদের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষমতাকে ভোটাধিকার বলা হয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোটদানের অধিকার সর্বত্র স্বীকৃত এবং সংরক্ষিত।
পৌরনীতি ও সুশাসন ২য় পত্র ৭ম অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
১. বিধান সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত আছেন। উক্ত প্রতিষ্ঠান প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগদানের জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন, মেধাবী ও দক্ষ লোক বাছাইয়ের কাজ করে ।
ক. নির্বাচন কী?
খ. সর্বজনীন ভোটাধিকার বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকের সাথে তোমার পঠিত কোনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সাদৃশ্য আছে কি? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানের ভূমিকার উপর রাষ্ট্রের উন্নয়ন নির্ভরশীল— বিশ্লেষণ করো।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. নির্বাচন হলো ভোটদানের মাধ্যমে প্রতিনিধি বাছাইয়ের প্রক্রিয়া।
খ. সর্বজনীন ভোটাধিকার বলতে ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষ, ধনী-গরিব নির্বিশেষে প্রাপ্তবয়স্ক সকল নাগরিকের ভোটদানের অধিকারকে বোঝায়।
ভোটদানের অধিকার নাগরিকদের রাজনৈতিক অধিকার। রাষ্ট্রের সংবিধান এবং সরকারি বিধিবিধানের মাধ্যমে স্বীকৃত পন্থায় নাগরিকদের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষমতাকে ভোটাধিকার বলা হয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোটদানের অধিকার সর্বত্র স্বীকৃত এবং সংরক্ষিত।
গ. উদ্দীপকের উল্লিখিত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির সাথে আমার পঠিত বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সাদৃশ্য আছে।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা প্রতিষ্ঠানটি প্রজাতন্ত্রের বেসামরিক কাজের জন্য মেধাবী ও যোগ্য নাগরিকদের বাছাইয়ের কাজ করে। এজন্য সংস্থাটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কর্মকমিশন বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন সার্ভিস বা পদে নিয়োগকৃতদের পদোন্নতি এবং বদলি সংক্রান্ত বিষয়েও নীতিমালা প্রণয়নের পরামর্শ প্রদান করে।
উদ্দীপকে দেখা যায়, বিধান সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত আছেন। উক্ত প্রতিষ্ঠান প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগদানের জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন, মেধাবী ও দক্ষ লোক বাছাইয়ের কাজ করে। বাংলাদেশে এরূপ কাজ করে এমন একটি প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের ভূমিকার উপর রাষ্ট্রের উন্নয়ন অনেকাংশে নির্ভরশীল।
আধুনিক রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকার কাঠামোয় মেধাবী ও দক্ষ কর্মকতা- কর্মচারীর গুরুত্ব অপরিসীম। এজন্য বিশ্বের প্রায় সকল রাষ্ট্রে মেধার ভিত্তিতে কর্মকর্তা বাছাইয়ের প্রক্রিয়া লক্ষ করা যায়। মেধা যাচাইয়ের ভিত্তিতে যোগ্যতাসম্পন্ন লোক বাছাইয়ের জন্য একটি নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশের এমন একটি প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন।
বাংলাদেশ সংবিধানের ১৩৭ নং অনুচ্ছেদে সরকারি কর্মকমশিন গঠনের কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও সংবিধানে কর্মকমিশনের কার্যাবলি সম্পর্কে বিধানাবলি সন্নিবেশিত আছে। এ বিধানাবলি অনুসারে কমিশন প্রজাতন্ত্রের কাজে দক্ষ ও উপযুক্ত কর্মচারী নিয়োগের উদ্দেশ্যে প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা, ডাক্তারি পরীক্ষা, পুলিশি তদন্ত প্রভৃতি কার্যক্রম পরিচালনা করে।
সততা ও নিরপেক্ষতার সাথে তারা প্রজাতন্ত্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বাছাই করে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন। কর্মকমিশন যেহেতু নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীর যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেয়, তাই প্রকৃত মেধাবীরাই নিয়োগ পেয়ে থাকেন। আর সৎ, যোগ্য ও মেধাবীদের নিয়ে গড়ে ওঠা প্রশাসন সুষ্ঠু রাষ্ট্র পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এর ফলে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়।
উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, সুষ্ঠুভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা এবং এর সার্বিক উন্নয়নে উদ্দীপকে বর্ণিত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের ভূমিকা অনেক।
২. মি: ‘ণ’ একজন সিনিয়র আইনজীবী। তিনি যে কোনো আদালতে বক্তব্য পেশ করতে পারেন। সরকারের পক্ষে আইনের জটিল প্রশ্নে মতামত দেন। তার কর্মকাণ্ডের ওপর সরকারের ভাবমূর্তি নির্ভর করে। তবে অসদাচরণের কারণে তাকে অপসারণ করা যায়।
ক. বাংলাদেশের সংবিধানের অভিভাবক কে?
খ. সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বলতে কী বোঝ?
গ. মি: ‘ণ’ কোন ধরনের সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত আছেন? তার ক্ষমতা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মি: ‘ণ’-এর ভূমিকা আলোচনা করো।
৩. মি. আমিন বাংলাদেশের একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ পদে কর্মরত। প্রজাতন্ত্রের বেসামরিক কর্মে যোগ্য নাগরিকদের নিয়োগের সার্বিক কাজ তাঁর তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়। তাঁর বন্ধু মি. আতিক তার পুত্রের জন্য একটি চাকরির সুপারিশ করেন। মি. আমিন তাঁর বন্ধুকে জানিয়ে দেন তিনি যে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। সততার সাথে উপযুক্ত ও দক্ষ লোকের নিয়োগ প্রদান করাই এ প্রতিষ্ঠানের কাজ।
ক. জাতীয় সংসদের সদস্য সংখ্যা কত?
খ. প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল কী?
গ. মি. আমিন কোন প্রতিষ্ঠানে ও কোন পদে কর্মরত? উত্ত প্রতিষ্ঠানের গঠন ও উক্ত পদের পদমর্যাদা বর্ণনা করো।
ঘ. উক্ত প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়নি- বিশ্লেষণ করো।
৪. জনাব মিলন ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’-এর একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। তিনি পেশাগত জীবনে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে অনেক ধনসম্পদের মালিক হন। সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও তদন্তের ভিত্তিতে মামলা দায়ের ও পরিচালনা করে। বিচার শেষে বিজ্ঞ আদালত তাকে ঐ অপরাধের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করেন।
ক. সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান কাকে বলে?
খ. কীভাবে সরকারি কর্মকমিশন যোগ্য প্রার্থী বাছাই করে?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত জনাব মিলনের বিরুদ্ধে যে প্রতিষ্ঠানটি মামলা দায়ের করেছে তার কার্যাবলি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানটির গৃহীত পদক্ষেপ দুর্নীতি দমনে কতটুকু সহায়ক হবে বলে তুমি মনে কর? মতামত দাও।
৫. ফারজানা আক্তার গুরুত্বপূর্ণ একটি সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত আছেন। তিনি জাতীয় স্বার্থের অভিভাবক। মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ৬৫ বছর পর্যন্ত তিনি তার পদে বহাল থাকবেন।
ক. বিশেষ চাহিদার জনগোষ্ঠী কারা?
খ. দুর্নীতি দমন কমিশন বলতে কী বোঝায়?
গ. ফারজানা আক্তার কোন ধরনের সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ পদের সঠিক দায়িত্ব পালনের ফলে সরকারি অর্থের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত হবে বিশ্লেষণ করো।
◉ আরও দেখো: পৌরনীতি ১ম ও ২য় পত্র সকল অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পৌরনীতি ২য় পত্র ৭ম অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আলোচনা করা হয়েছে। এই অধ্যায় থেকে মোট ৫টি প্রশ্ন উত্তর আমরা তোমাদের জন্য তৈরি করেছি। আশা করছি, এই প্রশ্নগুলো প্রাকটিস করলে তোমরা পরীক্ষার জন্য শতভাগ কমন পেয়ে যাবে। সবগুলো সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ আকারে সংগ্রহের জন্য উপরে ‘ANSWER SHEET’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post