প্রাণ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কড়ি ও কোমল কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে। এই জগৎ সুন্দর এবং আকর্ষণীয়। মানুষের হাসি-কান্না, মান-অভিমান, আবেগ-ভালোবাসায় পৃথিবী পরিপূর্ণ । জগতের মায়া ত্যাগ করে অন্য কিছুর আহ্বানে প্রলুন্ধ হয়ে কবি তাই মৃত্যুবরণ করতে চান না।
তিনি অভিলাষ ব্যক্ত করেছেন, মানুষের মনজয়ী রচনা সৃজনের মাধ্যমে সবার কাছে আদৃত হওয়ার। পৃথিবীর নরনারীর সুখ-দুঃখ-বিরহ যদি ঠিকভাবে তীর সৃষ্টিতে ঠাই পায়, তবেই তিনি অমর হবেন । তা-না হলে তীর রচনা শুকনো ফুলের মতোই সবার কাছে অনাদূত হয়ে পড়বে।
সৎ ও শুভকর্ম করে জগতে মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার জন্য দৃঢ় সংকল্প প্রয়োজন । কবিতাটিতে এ প্রত্যয়ই প্রতিফলিত হয়েছে। জীবন তো একবারই । জীবনে নেতিবাচকতা পরিহারপূর্বক মহামানবের পদচিহ্ন অনুসরণ করে জীবনপাঠের দীক্ষা কবিতাটিতে উচ্চকিত হয়েছে।
প্রাণ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন—১: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ
খুঁজিতে যাই না আর, অন্ধকারে জেগে উঠে ডুমুরের গাছে
চেয়ে দেখি ছাতার মতন বড়ো পাতাটির নিচে বসে আছে
ভোরের দোয়েল পাখি- চারদিকে চেয়ে দেখি পল্লবের স্তূপ
জাম-বট-কাঁঠালের-হিজলের-অশ্বত্থের করে আছে চুপ।
ক. কবি কাদের মাঝে বাঁচতে চান?
খ. এ পৃথিবীতে কবি অমর আলয় রচনা করতে চান কেন?
গ. উদ্দীপকে প্রত্যাশিত বিষয়টি ‘প্রাণ’ কবিতার ভাবের সাথে কীভাবে মিশে আছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার আংশিকভাব মাত্র, পূর্ণরূপ নয়’—যুক্তিসহকারে বুঝিয়ে লিখ।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. কবি মানুষের মাঝে বঁচাতে চান।
খ. ‘প্রাণ’ কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই সুন্দর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে চান না বলে অমর আলয় রচনা করতে চান।
এই সুন্দর পৃথিবী মানুষের হাসি-কান্না, মান-অভিমান, আবেগ-ভালোবাসায় পরিপূর্ণ, এই জগতের মায়া ত্যাগ করে অন্য কিছুর জন্য কবি তাই মৃত্যুকরণ করতে চান না। তিনি তাঁর সমস্ত সৃষ্টিতে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকার আকাক্সক্ষা প্রকাশ করেছেন।
পৃথিবীর নয় নারীর সুখ-দুঃখ বিরহ যদি ঠিকভাবে তার সৃষ্টিতে ঠাঁই পায়, তবেই তিনি অমর হবেন। এ কারণে মানব জীবনের বৈচিত্র্যকে ভালোবেসে কবি পৃথিবীতে অমর আলয় রচনা করতে চান।
গ. ‘প্রাণ’ কবিতায় কবি যেমন পৃথিবীর রূপে আকৃষ্ট হয়ে তাঁর সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে অমরত্ব চেয়েছেন, উদ্দীপকের কবিও তেমনি বাংলায় সৌন্দর্যের মধ্যে নিজের জীবনের সাযুজ্য খুঁজে পেয়েছেন।
এ পৃথিবীতে কেউই চিরস্থায়ী নয়। প্রত্যেক মানুষেরই একসময় চলে যেতে হয়, কিন্তু মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, বিরাগ-মিলন, আবেগ-ভালোবাসায় পরিপূর্ণ এই সুন্দর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে, অন্য কিছুর জন্য কবি মৃত্যুবরণ করতে চান না।
তাই তিনি তাঁর সৃষ্টির মধ্যে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন মানুষের যাপিত জীবনের বিচিত্র অনুভব অনুভূতির এক বিপুল আখ্যান।
এভাবেই তিনি মানুষের মাঝে বেঁচে থাকার আকাক্সক্ষা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে উদ্দীপকের কবিরও জন্মভূমি বাংলার প্রতি ভালোবাসা এত প্রবল যে কোথাও এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিকল্প আছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন না। বাংলায় প্রকৃতিকে ভালোবাসার এই প্রত্যাশিত বিষয়টি ‘প্রাণ’ কবিতার কবির পৃথিবীর মানুষ ও প্রকৃতির ভালোবাসার সঙ্গে এক হয়ে মিশে আছে।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আংশিকভাবে ধারণ করেছে মাত্র—মন্তব্যটি যথার্থ।
উদ্দীপকের বাংলার প্রকৃতির রূপে মুগ্ধ কবি পৃথিবীর কোথাও এই রূপের তুলনা আছে বলে মনে করেন না। প্রকৃতির প্রতি তাঁর এ ভালোবাসার প্রকাশ ঘটেছে ডুমুরের পাতার নিচে দোয়েল পাখির বসে থাকা, জাম, বট, কাঁঠাল, হিজল, অশ্বত্থের পাতার স্তূপের মধ্যে। আর ‘প্রাণ’ কবিতার কবি পৃথিবীকে ভালোবেসে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকার আকাক্সক্ষা প্রকাশ করেছেন তাঁর সমস্ত সৃষ্টির মধ্য দিয়ে।
কবি বিশ্বাস করেন পৃথিবীর নর-নারীর সুখ-দুঃখ-বিরহ যদি ঠিকভাবে তাঁর সৃষ্টিতে ঠাঁই পায় তবেই তিনি অমর হবেন। তা না হলে তাঁর রচনা শুকনো ফুলের মতোই সবার কাছে অনাদৃত হয়ে পড়বে। উদ্দীপকের কবি বাংলার রূপ দেখে কেবল বিমুগ্ধ হয়েছেন আর ‘প্রাণ’ কবিতার কবি পৃথিবীর রূপে মুগ্ধ হয়েছেন ঠিকই তার পরও ভেবেছেন সৎ ও শুভকর্ম করে কিভাবে নিজের সৃষ্টির মধ্য দিয়ে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকা যায়।
তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আংশিকভাবে ধারণ করেছে মাত্র।
সৃজনশীল প্রশ্ন—২: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
দুষ্টু ছেলেরা পাখি, ফড়িং অথবা প্রজাপতির ডানা ভেঙে দিলে তাদের করুণ অবস্থা সহজেই চোখে পড়ে। তারা উড়ে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করতে থাকে। গরু, ছাগল অথবা হাঁস-মুরগি জবাই করার সময় দেখা যায় সর্বশক্তি দিয়ে বাঁচার কী নিদারুণ চেষ্টা! পানিতে পড়ে গেেল খড় বা ভাসমান কিছু পেলে তাতে আশ্রয় নিয়ে বাঁচার প্রাণান্তকর চেষ্টা দেখা যায় পিঁপড়ার মধ্যে। প্রকৃতপক্ষে প্রাণিজগতের সব প্রাণীর কাছে তাদের প্রাণই সবচেয়ে মূল্যবান। তাই প্রতিটি জীব শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বেঁচে থাকতে চায়।
ক. ‘প্রাণ’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে?
খ. কবি নব নব সংগীতের কুসুম ফোটান কেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার কোন দিকটিকে তুলে ধরেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার কবির মনের ভাবনাকে সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরতে সফল হয়েছে কী? মতামত দাও।
২ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. প্রাণ কবিতাটি ‘কড়ি ও কোমল’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে।
খ. নিজের সৃষ্টিকর্মের রূপ-রস-গন্ধ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে কবি নব নব সংগীতের কুসুম ফোটান।
কবি মানুষের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি প্রতিনিয়তই নতুন নতুন কীর্তি গড়ে চলেন। তাঁর সৃষ্টিকর্মের মূলভিত্তি হলো মানুষের বিচিত্র অনুভব-অনুভূতি, ভাব-ভাবনা ও কর্মকাণ্ড। কবি চান মানুষ যেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁর সৃষ্টিকর্মের সান্নিধ্য লাভ করতে পারে। ‘প্রাণ’ কবিতায় কবির সৃষ্টিকর্মকেই ‘সংগীতের কুসুম বলে’ অভিহিত করা হয়েছে। মানুষের কাছে নিজের সৃষ্টিকে প্রাণময় করে তোলার জন্য কবি নব নব সংগীতের কুসুম ফোটান।
গ. উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতায় বর্ণিত কবির মর্ত্যপ্রীতির দিকটি তুলে ধরেছে।
এই জগৎ সুন্দর ও আকর্ষণীয়। হাসি, কান্না, আবেগ-ভালোবাসা, মান-অভিমান প্রভৃতিতে পরিপূর্ণ। এই জগতের মায়া ত্যাগ করে ‘প্রাণ’ কবিতার কবি মরতে চান না। এই জগতের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে তিনি বেঁচে থাকতে চান। পৃথিবীর অপরূপ সৌন্দর্যে কবি মুগ্ধ হয়েছেন। কবির এই মুগ্ধতা তাঁর নিজের জীবনের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি করেছে। তাই তিনি এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে চান না।
উদ্দীপকে ‘প্রাণ’ কবিতার কবির মতো মর্ত্যপ্রীতির বেশ কিছু নিদর্শনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সকল প্রাণীর কাছে নিজের প্রাণ অনেক মূল্যবান। কোনো প্রাণীই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে মরতে চায় না। বেঁচে থাকার জন্য সকলেই শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে। উদ্দীপকে ফড়িং, প্রজাপতি, হাঁস-মুরগি সকলের ক্ষেত্রেই তা সহজেই প্রতীয়মান হয়। আর উদ্দীপকের প্রাণীগুলোর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আকাক্সক্ষার সাথে ‘প্রাণ’ কবিতার কবির বেঁচে থাকার আকাক্সক্ষা তুলনীয়।
ঘ. ‘প্রাণ’ কবিতায় কবি সৎ ও শুভকর্ম করে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকার অভিলাষ ব্যক্ত করলেও উদ্দীপকে তার ইঙ্গিত না থাকায় সেটি কবির মনের ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে তুলে ধরতে পারেনি।
এই পৃথিবী অপরূপ সৌন্দর্যে সৌন্দর্যমণ্ডিত। মানুষের হাসি, কান্না, আবেগ, ভালোবাসা পৃথিবীকে পরিপূর্ণ করে রেখেছে। এই সুন্দর পৃথিবীতে ‘প্রাণ’ কবিতার কবি অনন্তকাল বেঁচে থাকতে চান। কিন্তু বাস্তবে অনন্তকাল বেঁচে থাকা সম্ভব নয় বলে তিনি নিজের কর্মের দ্বারা মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চান। মানুষের মনজয়ী রচনা সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের কাছে আদৃত হতে চান।
উদ্দীপকে বিভিন্ন প্রাণীর বেঁচে থাকার আকাক্সক্ষার দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিটি জীবই যে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বেঁচে থাকতে চায়, তা উদ্দীপকে তুলে ধরা হয়েছে। পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য এই আকাক্সক্ষা প্রতিটি জীবের স্বভাবজাত বিষয়। উদ্দীপকের এসব প্রাণীর মতো ‘প্রাণ’ কবিতার কবিও বেঁচে থাকতে চান। তবে সেটা মানুষের জন্য সৎ ও শুভকাজের মাধ্যমে।
পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য ‘প্রাণ’ কবিতার কবির ভাবনা আর উদ্দীপকে বর্ণিত প্রাণীগুলোর চেষ্টা এক নয়। কবি পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন তাঁর কর্মের মাধ্যমে। সৃষ্টিশীল রচনার মাধ্যমে তিনি ঠাঁই করে নিতে চেয়েছেন মানুষের মনে। এভাবে মানুষের মাঝে অমর হয়ে তিনি বেঁচে থাকতে চেয়েছেন। কিন্তু উদ্দীপকে কবির এসকল আকাক্সক্ষার কোনো প্রতিফলন দেখা যায় না। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার কবির মনের ভাবনাকে সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরতে সফল হয়নি।
সৃজনশীল প্রশ্ন—৩: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
নিখিলের এত শোভা, এত রূপ, এত হাসি-গান,
ছাড়িয়া মরিতে মোর কভু নাহি চাহে মন-প্রাণ।
এ বিশ্বের সবি আমি প্রাণ দিয়ে বাসিয়াছি ভাল-
আকাশ বাতাস জল, রবি-শশী, তারকার আলো।
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিসের মাধ্যমে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চান?
খ. ‘মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে’—চরণটি বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপকে বিষয়টি ‘প্রাণ’ কবিতার ভাবের সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার আংশিক প্রতিফলন মাত্র। যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন—৪: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন আমাদের সৃষ্টিশীলতা ও ঐতিহ্যের অহংকার। মানবজীবনের বিভিন্ন অনুষঙ্গ তুলির আঁচড়ে তিনি যেভাবে জীবন্ত করে তুলেছেন, তা অবিশ্বাস্য। দুর্ভিক্ষের ছবি এঁকে তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন। কাদায় আটকে যাওয়া গরুর গাড়ির ছবিসহ নানামাত্রিক চিত্রকর্ম তাঁকে বিরাট খ্যাতি এনে দিয়েছে।
ক. ‘প্রাণ’ কবিতার কবি কী রচনা করতে চান?
খ. ‘প্রাণ’ কবিতার কবি মানুষের মনজয়ী রচনা সৃজন করতে চান কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘প্রাণ’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার আংশিক চিত্র মাত্র—প্রমাণ করো।
আরও দেখো— নবম দশম শ্রেণির বাংলা সকল গল্প-কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের বাংলা মূল বই থেকে প্রাণ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও তোমাদের পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত বেশকিছু সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। এ প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ থাকবে। পিডিএফ ফরমেটে উত্তরমালা সংগ্রহের জন্য ‘Answer Sheet’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post