প্রার্থী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর : প্রার্থী কবিতাটি সুকান্ত ভট্টাচার্যের “ছাড়পত্র” কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত। আমাদের এই পৃথিবীতে শক্তির মুল উৎস সূর্ধ। সূর্ধ যে তাপ বিকিরণ করে তার সাহায্যেই তৃপৃষ্ঠে উদ্ভিদ, জীবজন্ত ও মানুষ জীবনধারণ করে। প্রচন্ড শীতে সূর্ধের এই উত্তাপের জন্য সারারাত অপেক্ষা করে বস্তরহীন, আশ্রয়হীন শীতার্ত মানুষ।
কবি সমাজের নিচুতলার মানুষের প্রতি গতীর মমতা থেকে সূর্যের কাছে উত্তাপ প্রার্থনা করেছেন। অবহেলিত ও বঞ্চিত শিশুর প্রতি তার অসীম মমতা । কবি এই শিশুদের কল্যাণে সূর্যের অবদান থেকে প্রেরণা নিতে চান। তিনি এমন সমাজ গড়তে চান- যাতে বস্ত্রহীন শীতার্ত মানুষের জীবন থেকে সব দুঃখ চিরতরে ঘুচে যায়।
প্রার্থী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
১. দামি গাড়ি হাঁকিয়ে বারিধারা অফিসে যাবার পথে বিজয় সরণি সিগন্যালে জীর্ণ-শীর্ণ এক ভিক্ষুক নাদিম সাহেবের গাড়ির জানালার পাশে ভিক্ষার থালা বাড়িয়ে দিলে তিনি জানালার কালো গ্লাস তুলে দেন। আর ভীষণ বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন- রাবিশ, ভিক্ষুকে দেশটা ভরে গেছে। কথা শুনে ড্রাইভার আবদুল বলে- স্যার, গরিব মানুষ, কী করবে বলেন? এই ভিক্ষার আয় রোজগার দিয়েই তো ওরা সংসায় চালায়।
ক. ‘প্রার্থী’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত?
খ. কবি সূর্যকে জ্বলন্ত অগ্নিপি- বলেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকের নাদিম সাহেবের আচরণ ‘প্রার্থী’ কবিতার কোন ভাবের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ- বর্ণনা কর।
ঘ. ড্রাইভার আবদুলের অভিব্যক্তিতে ‘প্রার্থী’ কবিতার মূল চেতনা প্রকাশ পেলেও কবি সুকান্তের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটেনি- মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর।
২. দেখিনু সেদিন রেলে
কুলি বলে এক বাবু সাব
তারে ঠেলে দিল নিচে ফেলে।
চোখ ফেটে এল জল
এমনি করিয়া কী জগৎ জুড়িয়া
মার খাবে দুর্বল?
ক. সুকান্ত ভট্টাচার্যের জন্ম সাল কত?
খ. ‘আমরা প্রত্যেকেই এক একটা জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ডে পরিণত হব’-বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
গ. কবিতাংশের প্রথম তিন চরণে ‘প্রার্থী’ কবিতার যে দিকটির সাথে বৈসাদৃশ্য রয়েছে তার বর্ণনা দাও।
ঘ. ভাবের উক্ত বৈসাদৃশ্যকে সাদৃশ্যপূর্ণ করতে ‘প্রার্থী’ কবিতায় সুকান্ত ভট্টাচার্যের অভিমত বিশ্লেষণ কর।
৩. ঈদে যাকাতের কাপড় আনতে গিয়ে ২৭ জন নিহত হবার খবর জেনে উপল মর্মাহত হলো। সে যাকাতের টাকা দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিল। সে দেখেছে গ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী অনাহারে, অর্থাভাবে কষ্টে থাকে। এসব নিঃস্ব পরিবারগুলোকে স্বাবলম্বী করার জন্য সে সেলাই মেশিন, ভ্যান, গরু ও ছাগল কিনে দিল। উপলের এই উদ্যোগের খবর প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে।
ক. ‘প্রার্থী’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত?
খ. কবি সূর্যের কাছে উত্তাপ চেয়েছেন কেন?
গ. উদ্দীপকের নিঃস্ব মানুষগুলো ‘প্রার্থী’ কবিতার সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কযুক্ত?- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের উপলের উদ্যোগ যেন ‘প্রার্থী’ কবিতার কবির প্রত্যাশার প্রতিফলন” – মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
৪. প্রচণ্ড শীতের রাত্র কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেল কিছু অসহায় ছিন্নমূল শিশু প্লাটফর্মের উপরে জড়সড় হয়ে শুয়ে আছে। ছিন্ন বস্ত্র গায়ে দিয়ে তারা শীত নিবারণের বৃথা চেষ্টা করছে।
ক. সকালের এক টুকরো রোদ্দুর কীসের চেয়ে দামি?
খ. ‘প্রার্থী’ কবিতায় ‘রোদ্দুরের তৃষ্ণা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকটিতে বর্ণিত দিকটি ‘প্রার্থী’ কবিতার যে দিকের সাথে সংগতিপূর্ণ তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপক ও ‘প্রার্থী’ কবিতায় বর্ণিত শ্রেণির ভাগ্য উন্নয়নই ছিল সুকান্ত ভট্টাচার্যের উদ্দেশ্য” – বিশ্লেষণ কর।
৫. গত বছর কয়লা কুড়ানির দলে রাতুল নিজের নাম লিখিয়েছে। সারারাত স্টেশনে কয়লার চালান আসে। মাল খালাসের পর চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে কয়লার টুকরো। সেসব কুড়িয়ে রাতুল অন্যদের মতো হাটে বিক্রি করে। সারাবছরই রাত জাগতে হয় রাতুলদের। তেমন কষ্ট হয় না। শুধু শীতের সময় ছাড়া। শীতের রাতে শরীর কুঁকড়ে যায়। রক্ত চলাচল স্তিমিত হয়ে যায়। নাক দিয়ে কুয়াশা চলাচল করে। সে কুয়াশা একেবারে কলিজা পর্যন্ত ঠাণ্ডা করে দেয়। এ শীতে মাত্র একটা জামা আছে রাতুলের। প্রচ- শীতের রাতে সে স্টেশনে কু-লী পাকিয়ে ঘুমায়।
ক. শীত নিবারণের জন্য সাধারণত কী জ্বালানো হয়?
খ. “কত কষ্টে আমরা শীত আটকাই!” – চরণটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে।
গ. উদ্দীপকে ‘প্রার্থী’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “‘প্রার্থী’ কবিতার সমগ্রভাব উদ্দীপক ধারণ করেনি।” – মন্তব্যটির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর।
৬. বেঁচে থাকার জন্য সূর্যের আলো অপরিহার্য। শুধু মানুষ নয়, পৃথিবীর সব উদ্ভিদ ও প্রাণী সূর্যের মুখাপেক্ষী। কিন্তু সূর্য কৃপণ নয়। অকৃপণভাবে সবার কাছে সমান উত্তাপ পৌঁছে দেয়। সূর্য থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সমাজ গড়তে হবে। সমাজে যারা সম্পদশালী আছে, তাদের মধ্যে মানবতার ঘাটতি থাকে। মানবতার এ ঘাটতি পূরণ করে আমরা যদি সূর্যের মতো সবার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই। তবে সমাজের কেউ আর শীতের মতো কঠিন কষ্টে ভুগবে না।
ক. কীসের উত্তাপে আমাদের জড়তা পুড়ে যাবে?
খ. শীতার্ত মানুষেরা সূর্যের জন্য অপেক্ষা করে কেন?
গ. বিবেক জাগানোর মাধ্যম হিসেবে উদ্দীপকের উপমার সাথে ‘প্রার্থী’ কবিতার কোন দিকটির মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকে ‘প্রার্থী’ কবিতার মূলভাবের স্ফুরণ ঘটেছে” – বিশ্লেষণ কর।
৭. রায়হান ৫ বছর দেশের বাইরে রয়েছে। এ বছর ঈদ করার জন্য দেশে ফেরার পথে দেখল রাস্তার পাশে অসংখ্য মানুষ শীতে কষ্ট পাচ্ছে। এ দৃশ্যটি তার বিদেশে ফিরে যাওয়ার উৎসাহকে দমিয়ে ফেলল। সে তার পরিকল্পনা বদলে তথ্যচিত্র বানানোর উদ্যোগ নিল। রায়হানের এ উদ্যোগকে সকলে সাধুবাদ জানাল।
ক. কে জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ড?
খ. শীতের সূর্য বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকের রায়হানের-এর দেখা দৃশ্যের সাথে ‘প্রার্থী’ কবিতাটি কীভাবে সম্পর্কিত? তুলনামূলক আলোচনা কর।
ঘ. কবির চিন্তা উদ্দীপকের রায়হানের পরিবর্তিত পরিকল্পনা ও লক্ষ্যের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে- বিশ্লেষণ কর।
৮. টেলিভিশনে বন্যার্ত মানুষের দুর্দশা দেখে সৈকত মর্মাহত। এসব মানুষের জন্য কী করা যায় রাত জেগে সে চিন্তাই করেছে সৈকত। সকালে রাহাতকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দুই বন্ধু নিজেদের এবং পাশের বিদ্যালয়ের ছাত্রদের বুঝিয়ে তাদের থেকে জামাকাপড়, টাকাপয়সা, শুকনো খাবার সংগ্রহ করে বন্যার্তদের সাহায্য করবে।
ক. কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য কত বছর বয়সে মারা যান?
খ. ধান কাটার দিনগুলো রোমাঞ্চকর হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
গ. সৈকতের পদক্ষেপে ‘প্রার্থী’ কবিতায় ফুটে ওঠা দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের সৈকত ও ‘প্রার্থী’ কবিতার কবির মধ্যে মিল থাকলেও প্রেক্ষাপট ভিন্ন”- মন্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।
গুরুত্বপূর্ণ অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ হিমশীতল সুদীর্ঘ রাত কার অপেক্ষায় থাকে?
উত্তর : হিমশীতল সুদীর্ঘ রাত সূর্যের অপেক্ষায় থাকে।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ শীতের রাতে আমরা কার অপেক্ষায় থাকি?
উত্তর : শীতের রাতে আমরা সূর্যের অপেক্ষায় থাকি।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ কৃষকের চঞ্চল চোখ কীসের প্রতীক্ষায় থাকে?
উত্তর : কৃষকের চঞ্চল চোখ ধান কাটার রোমাঞ্চকর দিনের অপেক্ষায় থাকে।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ আমাদের গরম কাপড়ের অভাবের কথা কে জানে?
উত্তর : আমাদের গরম কাপড়ের অভাবের কথা সূর্য জানে।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ আমরা খড়কুটো জ্বালাই কখন?
উত্তর : আমরা খড়কুটো জ্বালাই শীতের রাতে।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ এক টুকরো কাপড়ে কান ঢেকে আমরা কী আটকাই?
উত্তর : এক টুকরো কাপড়ে কান ঢেকে আমরা শীত আটকাই।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ সকালের এক টুকরো রোদকে কীসের চেয়ে দামি মনে হয়?
উত্তর : সকালের এক টুকরো রোদকে সোনার চেয়ে দামি মনে হয়।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ ঘর ছেড়ে আমরা এদিক-ওদিকে যাই কেন?
উত্তর : ঘর ছেড়ে আমরা এদিক-ওদিক যাই এক টুকরো রোদের আশায়।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ আমাদের স্যাঁতসেঁতে ঘরের জন্য কবি সূর্যের কাছে কী প্রার্থনা করেছেন?
উত্তর : আমাদের স্যাঁতসেঁতে ঘরের জন্য কবি সূর্যের কাছে উত্তাপ আর আলো প্রার্থনা করেছেন।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ রাস্তার উলঙ্গ ছেলের জন্য কবি সূর্যের কাছে কী চেয়েছেন?
উত্তর : রাস্তার উলঙ্গ ছেলের জন্য কবি সূর্যের কাছে উত্তাপ চেয়েছেন।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ কবি সূর্য সম্পর্কে কী শুনেছেন?
উত্তর : কবি শুনেছেন সূর্য এক জ্বলন্ত অগ্নিপি-।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ সূর্যের আলো পেয়ে হয়তো একদিন আমরা কীসে পরিণত হব?
উত্তর : সূর্যের আলো পেয়ে হয়তো একদিন আমরা জ্বলন্ত অগ্নিপি-ে পরিণত হব।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ ‘হরতাল’ কাব্যগ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তর : ‘হরতাল’ কাব্যগ্রন্থটির সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ সুকান্ত ভট্টাচার্যের পিতৃনিবাস কোথায়?
উত্তর : সুকান্ত ভট্টাচার্যের পিতৃনিবাস গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায়।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতায় কীসের জয়গান বলিষ্ঠভাবে ধ্বনিত হয়েছে?
উত্তর : সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতায় বলিষ্ঠভাবে মানবমুক্তির জয়গান ধ্বনিত হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ পৃথিবীতে শক্তির মূল উৎস কী?
উত্তর : পৃথিবীতে শক্তির মূল উৎস হলো সূর্য।
প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ ‘প্রার্থী’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর : ‘প্রার্থী’ শব্দটির অর্থ হলো প্রার্থনাকারী।
প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ হিমশীতল শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : হিমশীতল শব্দের অর্থ হলো তুষারের মতো ঠা-া।
জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ কবি সূর্যের কাছ থেকে প্রেরণা নিতে চান কেন?
উত্তর : কবি শিশুদের কল্যাণের জন্য সূর্যের কাছ থেকে প্রেরণা নিতে চান। কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ছিল অবহেলিত শিশুদের প্রতি গভীর মমত্ববোধ। কবি এই শিশুদের কল্যাণে সূর্যের অবদান থেকে প্রেরণা নিতে চান। তিনি নিজেকে সূর্যের ন্যায় অগ্নিপিণ্ডে পরিণত করতে চান যেন ভবিষ্যতে তিনি ঐ পথের ধারের উলঙ্গ শিশুটাকে উত্তাপ দিতে পারেন।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ কবি কীভাবে বস্ত্রহীন শীতার্ত মানুষের দুঃখ দূর করতে চান?
উত্তর : সমাজে সবার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কবি অসহায় মানুষের দুঃখ দূর করতে চান।
আমাদের সমাজে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য আছে। দরিদ্র মানুষ সবসময় তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। বস্ত্রহীন, শীতার্ত, আশ্রয়হীন মানুষ সারারাত অপেক্ষা করে সূর্যের উত্তাপের জন্য। এদের প্রতি মমতা থেকে কবি সূর্যের কাছে উত্তাপ চেয়েছেন। সূর্যের কাছ থেকে প্রেরণা নিয়ে কবি এমন সমাজ গড়তে চান যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। আর এভাবেই শীতার্ত, বস্ত্রহীন মানুষের দুঃখ কবি দূর করতে প্রত্যাশী।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ কৃষকের চঞ্চল চোখ কীসের প্রতীক্ষায় থাকার কারণ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ফসল তোলার দিনের জন্যই কৃষকের চঞ্চল চোখ প্রতীক্ষা করে। কৃষকের কাজ ফসল উৎপাদন করা। তাই সে সারা বছর মাঠে কঠোর পরিশ্রম করে। কৃষক সারা বছর ঘরে ফসল তুলতে পারে না। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে সে জমি চাষ করে। ফসলের বীজ বোনে আর গাছ পরিচর্যা করে, কঠোর এ পরিশ্রম স্বীকার করার একমাত্র কারণ হলো ফসল তোলার আনন্দ উপভোগ করে। ধান কাটার রোমাঞ্চকর দিনের অপেক্ষাতেই কৃষক সারা বছর কাজ করে।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ ‘আমাদের গরম কাপড়ের কত অভাব’ – ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আমাদের দেশের দরিদ্র ও শীতার্ত মানুষগুলোর যে সামান্য শীতবস্ত্রও নেই, সে কথাই বুঝিয়েছেন কবি আলোচ্য উদ্ধৃতিতে। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের একটা বিরাট অংশ চরম দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করে। প্রতিদিন তিনবেলা খাদ্যের জোগাড় যেমন তারা করতে পারে না, তেমনি প্রচণ্ড শীত থেকে বাঁচার মতো সামান্য শীত বস্ত্রও নেই তাদের। এসব দরিদ্র মানুষের সঙ্গে একত্মবোধ করে কবি সূর্যকে তাই বলেছেন ‘তুমি তো জানো, আমাদের গরম কাপড়ের কত অভাব’।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ সকালের এক টুকরো রোদ সোনার চেয়ে দামি মনে হয় কেন?
উত্তর : প্রচ- শীতে সারা রাত ভোগার পর যখন সকালের এক টুকরো রোদ দরিদ্র মানুষগুলোকে উষ্ণতা দেয়, তখন সেই এক টুকরো রোদ মনে হয় সোনার চেয়ে দামি। দারিদ্র্যপীড়িত শীতার্ত মানুষগুলোর প্রচ- শীতকে নিবারণ করার মতো সামান্য শীতবস্ত্র নেই। সামান্য কাপড়ে কান ঢেকে এবং খড়কুটো জ্বালিয়ে তারা শীত কাটায়। সকালের এক টুকরো সোনারোদের প্রতীক্ষায় থাকে সারারাত, তাই এ রোদ তাদের কাছে এত মূল্যবান মনে হয়।
►► আরো দেখো: ৮ম শ্রেণি বাংলা সব গল্পের প্রশ্নের উত্তর
উপরে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে প্রার্থী সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post