ফাইভারে কাজ পাওয়ার উপায় | বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ফাইভার একটি জনপ্রিয় নাম। ইতোমধ্যেই ফাইভার মার্কেটপ্লেসটি জনপ্রিয় হয়েছে সবার কাছে। বাংলাদেশের অনেক ফ্রিল্যান্সার আছেন, যারা দক্ষতার সাথে ফাইভারে কাজ করছেন। আবার অনেকেই আছেন যারা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেও কাজ পাচ্ছেন না।
আজ তাদের জন্য কোর্সটিকায় কিছু টিপস থাকবে, যেগুলো অনুসরণ করলে ফাইভারে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা আগের থেকে অনেক বেড়ে যাবে। পাশাপাশি আপনার গিগও আগের থেকে বেশি পরিমাণে সেল হবে।
ফাইভারে আপনি যখন কোন সার্ভিস সেল করার কথা ভাববেন, তখন সবার আগে খুঁজে নেবেন কোন ধরনের গিগগুলো এই মার্কেটপ্লেসে বেশি বিক্রি হয়। তার ওপর নির্বাচন করে আপনি আপনার গিগ সাজাবেন। ধরুন, আপনি এমন এক ধরনের সার্ভিস দেয়ার জন্য গিগ তৈরি করলেন, ফাইভারে সেই সার্ভিস নেয়ার জন্য কোন কাস্টমারই নেই, তাহলে আপনার গিগটি কখনোই সেল হবে না।
►► আরো দেখুন: ইমেজ দিয়ে ফাইভার গিগ র্যাঙ্ক করবেন যেভাবে
►► আরো দেখুন: ডাউনলোড করুন সকল ফ্রিল্যান্সিং বাংলা পিডিএফ বই একসাথে
►► আরো দেখুন: মেয়েদের ফ্রিল্যান্সিং – মেয়েদেরও আসা উচিত ফ্রিল্যান্সিং পেশায়
►► আরো দেখুন: ফ্রিল্যান্সিং করতে চান? বায়ারকে ইমপ্রেস করবেন কিভাবে?
►► আরো দেখুন: Download ফ্রিল্যান্সিং : ইন্টারনেট থেকে আয় (Update Version)
►► আরো দেখুন: হাবলুদের ফ্রিল্যান্সিং Download PDF Book
তাই আপনার উচিত হবে, কোন ধরনের গিগগুলো এই মার্কেটপ্লেসে বেশি বিক্রি হয় আগে সেগুলোকে খুঁজে বের করা। ফাইভারে প্রধানত ক্রিয়েটিভ সার্ভিস সংক্রান্ত গিগগুলোর চাহিদা বেশি হয়। আপনি সময় নিয়ে একটু খুঁজলেই দেখবেন ফাইভারে ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট, ওয়েবসাইট স্পীড মনিটাইজেশন এবং এসইও, ওয়েবসাইট ট্রাফিক, এনিমেশন তৈরি এবং লোগো বা বিজনেস কার্ড ডিজাইন ইত্যাদি সার্ভিসগুলোর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাই আপনাকে তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করার মানসিকতা নিয়েই মার্কেটপ্লেসে নামতে হবে।
ফাইভারে কাজ পাওয়ার উপায়
একজন বায়ারের যখন নির্দিষ্ট কোন সার্ভিস প্রয়োজন হয়, তখন তিনি ফাইভারে গিয়ে সেই সার্ভিসের নাম লিখে সার্চ করে। সার্চের প্রথম দিকে আপনার গিগ পাওয়া গেলে আপনার সার্ভিস বিক্রির সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। তাই আপনার গিগ কীভাবে সার্চ রেজাল্টে ফাইভারের প্রথম পেজে রাখতে পারেন, তার সম্ভাব্য কিছু টিপস অনুসরণ করতে পারেন।
১. সুন্দর ও আকর্ষণীয় একটি টাইটেল দিন
আপনার গিগকে বায়ারের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য অবশ্যই আাপনার গিগ চমৎকার করে সাজাতে হবে। আর এজন্য আপনার গিগের টাইটেল আরো আকর্ষণীয় করুন। আপনার টাইটেলে অবশ্যই সার্চের সম্ভাব্য কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন, যাতে যে কেউ টাইটেল দেখে ভিতরে গিয়ে পড়তে আকর্ষণ বোধ করে। টাইটেলে অপ্রয়োজনীয় বা অবাঞ্চিত কোন শব্দ ব্যবহার করবেন না।
২. রিলেটেড ট্যাগ ব্যবহার করুন
আপনার গিগ বায়ারের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য সার্ভিস রিলেটেড সম্ভাব্য কীওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করুন। ট্যাগগুলো অবশ্যই আপনার দেয়া সার্ভিসের সাথে প্রাসঙ্গিক হওয়া চাই। এর ফলে আপনার সার্ভিটি সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়।
৩. ফিচার ইমেজের ক্ষেত্রে আরো যত্নশীল হোন
ফাইভারে গিগ তৈরি করার ক্ষেত্রে ফিচার ইমেজ অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গিগ ইমেজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একটি আকর্ষণীয় গিগ ইমেজ আপনাকে বায়ার বা ক্লায়েন্ট পেতে অনেক সহযোগিতা করবে। গিগে ফিচার ইমেজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন কারো হঠাৎ করে দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায় এমন কিছু ব্যবহার করুন।
কিভাবে আপনার গিগের জন্য পারফেক্ট একটি ফিচার ইমেজ তৈরি করতে পারেন, সে সম্পর্কে আমরা আগে একটি পোস্টে বিস্তারিত লিখেছি। সেই লেখাটি পড়ে নিতে পারেন এখান থেকে: ইমেজ দিয়ে ফাইভার গিগ র্যাঙ্ক করবেন যেভাবে।
৪. সম্ভব হলে ভিডিও ব্যবহার করুন
গিগে আকর্ষণীয় ভিডিও ব্যবহার করলে ওই সার্ভিসটি বিক্রির সম্ভবনা ৬০% বেড়ে যায়। এটা কিন্তু কোর্সটিকার কথা না, স্বয়ং ফাইভার অথরিটিতেই এটা বলা আছে। সুতরাং চেষ্টা করুন ফাইভারের নিয়ম মেনে একটি ভিডিও তৈরি করতে। কারণ, একটি স্টিল ইমেজের চেয়ে ভিডিওতে আপনি আরো বিস্তারিতভাবে আপনার সার্ভিসটি সম্পর্কে বায়ারকে ধারণা দিতে পারবেন।
গত বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফাইভার ব্লগ থেকে জানা যায়, যেসকল গিগে ভিডিও ছিল তাদের সেল অনেক বেড়েছে। যেসকল সেলার নিজেরাই নিজের কাজের উপস্থাপন করেছেন তাদের সেল প্রায় ৯৬% বেড়েছে। আর যাদের ভিডিও ইফেক্ট, এনিমেশন, লেখা, স্টিল ছবি ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকাশ করেছে তাদের সেল ৮৪% বেড়েছে। সুতরাং গিগে ভিডিও গুরুত্বটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।
১। ভিডিও অবশ্যই সর্বোচ্চ ৭৫ সেকেন্ডর হবে।
২। Exclusively On Fiverr – এই কথাটি অব্যশই গিগে থাকতে হবে। সেটা আপনি লিখে, মুখে বা ছবির মাধ্যমে যে ভাবে হোক প্রকাশ করবেন।
৩। পর পর ৩ বার ভিডিও রিজেক্ট হলে আর কখনই গিগে ভিডিও যুক্ত করতে পারবেন না। কাজেই সাবধান থাকবেন। প্রথমে উল্লেখ করা কারণ দুটির জন্য সাধারণত ভিডিও রিজেক্ট হয়ে থাকে।
৪। আপনার ভিডিওতে কোন ব্যকগ্রাউন্ড নয়েজ থাকতে পারবে না।
৫। আপনার সাথে যোগাযোগ করা যাবে, ভিডিওতে এধরনের কোন ইনফরমেশন থাকা যাবে না।
৬। ফিচার ইমেজের মত ভিডিওতেও কোন প্রকার ব্যাজ বা রেটিং স্টার প্রদশন করা যাবে না।
৭। ভিডিওতে কপিরাইট অডিও বা ওয়াটারমার্ক ব্যবহার করা যাবে না।
উপরের এই নিয়মগুলো সব ফাইভার থেকেই পাওয়া। তাই ভিডিও তৈরির জন্য এই নিয়মগুলো বেশ সতর্কতার সাথে পালন করুন।
৫. গিগ প্রচার করুন
গিগ তৈরি করে থেমে গেলেই হবে না, সেটাকে সর্বত্র প্রচার করতে হবে। বিভিন্ন জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া যেমন: ফেসবুক, টুইটার, লিংকডইন অথবা রেডিটে আপনার তৈরির গিগের লিংক শেয়ার করুন। এর ফলে প্রচুর মানুষের কাছে আপনার সার্ভিসটি প্রচার হতে থাকবে এবং এখান থেকে আপনার বায়ার পাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে।
এছাড়াও আপার গিগটি সংশ্লিষ্ট ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে প্রচার করতে পারেন। গিগটি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কিত হয়ে থাকে, তাহলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট উপর টিপস নিয়ে কোন ব্লগ পোস্ট লিখতে পারেন। এ পোস্টটি অনেক মানুষ পড়বে। সেই পোস্টে যদি গিগ লিংকটি দিয়ে আসেন তাহলে গিগটিতে অনেক ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন।
উপরের কাজগুলো করলে আশা করা যায় খুব দ্রুত কিছু গিগ বিক্রির অর্ডার পেয়ে যাবেন। গিগ অনুযায়ী কাজ করে এবং সময়মত কাজ ডেলিভারি দিয়ে বায়ারের কাছ থেকে ভালো ফিডব্যাক সংগ্রহ করুন। যত বেশি ভালো ফিডব্যাক পাবেন, আপনার গিগ তত বেশি সার্চের উপরে উঠতে থাকবে।
►► আরো দেখুন: ইমেজ দিয়ে ফাইভার গিগ র্যাঙ্ক করবেন যেভাবে
►► আরো দেখুন: ডাউনলোড করুন সকল ফ্রিল্যান্সিং বাংলা পিডিএফ বই একসাথে
►► আরো দেখুন: মেয়েদের ফ্রিল্যান্সিং – মেয়েদেরও আসা উচিত ফ্রিল্যান্সিং পেশায়
►► আরো দেখুন: ফ্রিল্যান্সিং করতে চান? বায়ারকে ইমপ্রেস করবেন কিভাবে?
►► আরো দেখুন: Download ফ্রিল্যান্সিং : ইন্টারনেট থেকে আয় (Update Version)
►► আরো দেখুন: হাবলুদের ফ্রিল্যান্সিং Download PDF Book
আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করে নিয়মিত আমাদের টিপস সম্পর্কে আপডেট থাকুন। আমরা আছি ইউটিউবেও। ইউটিউবে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন এই লিংক থেকে। আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা জানিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ করছি। হ্যাপী ফ্রিংল্যান্সিং।
Discussion about this post