ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র ১০ম অধ্যায় : প্রযুক্তির আধুনিকায়নের ফলে ব্যবসায়িক পরিবেশে প্রতিদিন পরিবর্তন আনছে। এইসব পরিবর্তনের কারণে ক্রেতা ও ভোক্তার জন্য বিপণনকারী পণ্য বিপণন কার্যক্রমে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিতে পারছে। এতে ভোক্তার চাহিদা পূরণের সাথে সাথে তাদেরকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব হচ্ছে ও দীর্ঘমেয়াদে সম্পর্ক তৈরি করা যাচ্ছে। বর্তমানে বিপণন ব্যবস্থায় যেসব পরিবর্তন দৃশ্যমান, নে সম্পর্কে এ ইউনিটে আলোচনা করা হয়েছে।
এ ইউনিটে ধারাবাহিকভাবে বিপণন ক্ষেত্রে সাতটি সমসাময়িক বিষয় আলোকপাত করা হয়েছে। সেগুলো হলো প্রত্যক্ষ বিপণন, অনলাইন বিপণন, পরিকল্পিত বিপণন, চেইন স্টোর, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, সুপার মাকেট ও গ্রিন মার্কেটিং। এ বিষয়গুলো সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ও বৈশিষ্ট্যের সাথে সাথে তাদের সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করা হয়েছে। এ ইউনিটের মাধ্যমে শিক্ষার্থী বিপণনের সাথে সংশ্লিষ্ট সমসাময়িক বিষয়গুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা লাভ করতে পারবে।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র ১০ম অধ্যায়
১. সাজিদ তাঁর মোটরসাইকেলের জন্য ৫ লক্ষ টাকার বিমা করেন। দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাজিদ বিমা দাবি উপস্থাপন করলে বিমা কোম্পানি দাবিকৃত ক্ষতিপূরণ প্রদান করে। পরবর্তীকালে মোটরসাইলেকটি ৫০,০০০ টাকায় সাজিদ বিক্রয় করতে চাইলে বিমা কোম্পানি তাঁকে বাধা দেয়।
ক. বিশুদ্ধ ঝুঁকি কী?
খ. স্বার্থ ছাড়া বিমা চুক্তি সম্পন্ন হয় না কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. সাজিদ কোন নীতির আওতায় বিমা কোম্পানির কাছ থেকে অর্থ লাভ করেছেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে বিমা কোম্পানি কর্তৃক সাজিদকে বাধা দেয়ার যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো।
২. ঢাকার কবির চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে জাপান থেকে অটোমোবাইল যন্ত্রাংশ আমদানি করেন। সমুদ্রপথে ঝড়ঝঞ্ঝা, বজ্রপাত, জলদস্যুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিনি মর্ডান ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাথে ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের শর্তে প্রতিবছর ১.৫ লক্ষ টাকা প্রিমিয়ামের বিনিময়ে একটি বিমাচুক্তি সম্পন্ন করেন। বিমাচুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পূর্বেই কবিরের পণ্য পরিবহনকৃত জাহাজ বরফের সাথে ধাক্কা লেগে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার পণ্য নষ্ট হয়ে যায়।
ক. জীবন বিমা কর্পোরেশন কী?
খ. বিমাকে সদ্বিশ্বাসের চুক্তি বলা হয় কেন?
গ. কবির কোন ধরনের বিমা গ্রহণ করেছিলেন? বর্ণনা করো।
ঘ. কবির কী বিমাকারির নিকট থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্ন-১. বিমা কী?
উত্তর: বিমা হলো এক ধরনের লিখিত চুক্তি, যেখানে বিমাগ্রহীতা নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে তার সম্ভাব্য ঝুঁকি বা বিপদের ভার বিমাকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর অর্পণ করে।
প্রশ্ন-২. ঝুঁকি কী?
উত্তর: কোনো বিনিয়োগ থেকে প্রত্যাশিত আয় অপেক্ষা প্রাপ্ত আয় কম হওয়ার সম্ভাবনাকেই ঝুঁকি বলে।
প্রশ্ন-৩. আর্থিক ঝুঁকি কী?
উত্তর: কোনো বিপদজনক বা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা, কার্যক্রম বা দুর্ঘটনা থেকে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের যে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা লক্ষ্য করা যায় তাকে আর্থিক ঝুঁকি বলে।
প্রশ্ন-৪. নির্দিষ্ট ঝুঁকি কী?
উত্তর: যে ঝুঁকি ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক কোনো কারণে সৃষ্টি হয় এবং এর ফলাফলও কোনো বিশেষ ব্যক্তি, ব্যক্তিবর্গ বা প্রতিষ্ঠানের ওপর আবর্তিত হয় তাকে নির্দিষ্ট ঝুঁকি বলে।
প্রশ্ন-৫. বিমা চুক্তি কী?
উত্তর: প্রিমিয়ামের বিনিময়ে অন্যের ঝুঁকি নিজের কাঁধে নেয়ার জন্য বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতার মধ্যে যে চুক্তি সম্পাদিত হয় তাকে বিমা চুক্তি বলে।
প্রশ্ন-৬. সাধারণ বিমা কর্পোরেশন কী?
উত্তর: বাংলাদেশ সরকারের মালিকানায় পরিচালিত সম্পত্তি বিমার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানই হলো সাধারণ বিমা কর্পোরেশন।
প্রশ্ন-৭. সদ্বিশ্বাসের সম্পর্ক কী?
উত্তর: বিমায় সদ্বিশ্বাসের সম্পর্ক বলতে বিমা সম্পর্কিত সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপনে বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতা উভয়পক্ষের বাধ্যবাধকতাকে বোঝায়।
প্রশ্ন-৮. আর্থিক ক্ষতিপূরণের নীতি কী?
উত্তর: যে নীতি অনুযায়ী বিমাগ্রহীতা কর্তৃক চুক্তিতে উল্লেখ্য বিমাকৃত সম্পত্তির ক্ষতি হলে বিমা কোম্পানি ক্ষতিপূরণ প্রদান করে তাকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের নীতি বলে।
প্রশ্ন-৯. প্রত্যক্ষ কারণের নীতি কী?
উত্তর: যে নীতি অনুযায়ী বিমা চুক্তিতে উল্লেখ্য কারণের সাথে প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কিত কোনো ঘটনার ফলে জীবন বা সম্পত্তির হানি হলে বিমা কোম্পানি ক্ষতিপূরণ প্রদান করে তাকে প্রত্যক্ষ কারণের নীতি বলে।
প্রশ্ন-১০. আনুপাতিক অংশগ্রহণের নীতি কী?
উত্তর: কোনো সম্পত্তি একাধিক বিমা কোম্পানির নিকট বিমা করা হলে এবং তার আংশিক ক্ষতির ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে সকল বিমা কোম্পানি তাদের বিমাকৃত অঙ্কের আনুপাতিক হারে ক্ষতিপূরণে বাধ্য থাকার নীতিকে আনুপাতিক অংশগ্রহণের নীতি বলে।
প্রশ্ন-১১. প্রিমিয়াম কী? [ঢা. বো.; দি. বো.; চ. বো.; য. বো. ১৭; ব. বো. ১৬]
উত্তর: বিমাচুক্তিতে বিমাকারীর ঝুঁকি বহনের বিনিময়ে বিমাগ্রহীতা বিমাকারীকে যে অর্থ প্রদান করে তাকে প্রিমিয়াম বলে।
প্রশ্ন-১২. স্থলাভিষিক্তকরণ নীতি কী? [দি. বো.; কু. বো. ১৭]
উত্তর: যে নীতি অনুযায়ী বিমাকৃত সম্পত্তির ক্ষতিতে সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণের পর অবশিষ্ট সম্পত্তির মালিকানা বিমা কোম্পানির নিকট স্থানান্তরিত হয় তাকে স্থলাভিষিক্তকরণ নীতি বলে।
প্রশ্ন-১৩. বিশুদ্ধ ঝুঁকি কী? [দি. বো. ১৬]
উত্তর: যে সকল সম্ভাব্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি বা ঝুঁকিগত অবস্থায় অথবা কোনো দুর্ঘটনায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিশ্চিতভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয় তাকে বিশুদ্ধ ঝুঁকি বলে।
প্রশ্ন-১৪. মৌলিক ঝুঁকি কী?
উত্তর: যে ঝুঁকি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ অযোগ্য কোনো কারণে উদ্ভূত হয় এবং এর ফলাফল সবাইকে সাধারণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে তাকে মৌলিক ঝুঁকি বলে।
প্রশ্ন-১৫. বার্ষিক বৃত্তি কী? [ঢা. বো. ১৬]
উত্তর: বিমা কোম্পানি বিমাগ্রহীতাকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বা জীবনের একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রতিবছর নির্দিষ্ট হারে যে অর্থ প্রদান করে তাকে বার্ষিক বৃত্তি বলা হয়।
প্রশ্ন-১৬. বিমাযোগ্য স্বার্থ কী? [কু. বো.; চ. বো.; সি. বো. ১৭; রা. বো. ১৬]
উত্তর: বিমাযোগ্য স্বার্থ বলতে বিমাকৃত সম্পদ বা জীবনের ওপর বিমাগ্রহীতার আর্থিক স্বার্থকে বোঝায়।
প্রশ্ন-১৭. জীবন বিমা কর্পোরেশন কী?
উত্তর: বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীনে পরিচালিত জীবন বিমা সংশ্লিষ্ট একক প্রতিষ্ঠানটিই হলো জীবন বিমা কর্পোরেশন।
প্রশ্ন-১৮. বিশ্বস্ততা বিমা কী?
উত্তর: যে বিমার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রবঞ্চনা বা অসাধুতার দ্বারা সৃষ্ট বিপদের ঝুঁকি থেকে পরিত্রাণ পায় তাকে বিশ্বস্ততা বিমা বলে।
প্রশ্ন-১৯. অবিমাযোগ্য ঝুঁকি কী?
উত্তর: যে ঝুঁকির বিপক্ষে বিমা সুবিধা লাভ করা যায় না তাকে অবিমাযোগ্য ঝুঁকি বলে।
প্রশ্ন-২০. বিমাচুক্তিতে কোন দুটি পক্ষ জড়িত থাকে?
উত্তর: বিমাচুক্তিতে দুটি পক্ষ জড়িত থাকে। যথা- বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতা।
অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্ন-১. বিমাকে ঝুঁকি বণ্টনের যৌথ ব্যবস্থা বলা হয় কেন?
উত্তর: বিমার মাধ্যমে বিমাগ্রহীতা তার সম্ভাব্য ঝুঁকিকে কয়েকটি পক্ষের মধ্যে বণ্টন করে, তাই বিমাকে ঝুঁকি বণ্টনের যৌথ ব্যবস্থা বলা হয়। বিমা এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত বিমাগ্রহীতার ক্ষতিকে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে বণ্টনের ব্যবস্থা করা যায়। এ ব্যবস্থায় বিমিকারী বিভিন্ন বিমাগ্রহীতার কাছ থেকে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ক্ষতিগ্রস্ত বিমাগ্রহীতার ক্ষতিপূরণ করে।
প্রশ্ন-২. ‘বিমা চুক্তিকে ক্ষতিপূরণের চুক্তি’ বলা হয় কেন?
উত্তর: বিমা হলো এক ধরনের লিখিত চুক্তি। এই চুক্তিতে বিমাগ্রহীতা বিমাকৃত বস্তুর ক্ষতির ভার নির্দিষ্ট প্রিমিয়াম প্রদানের মাধ্যমে বিমা কোম্পানির ওপর অর্পণ করে। সাধারনত কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে বিমা চুক্তি করা হয়। এ চুক্তি অনুসারে বিমাকৃত বস্তু যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে বিমা কোম্পানি বিমাগ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করে। যেহেতু ক্ষতি হতে রক্ষার্থে এ চুক্তি সম্পাদন করা হয় তাই বিমা চুক্তিকে ক্ষতিপূরণের চুক্তি বলা হয়।
প্রশ্ন-৩. স্বার্থ ছাড়া বিমা চুক্তিসম্পন্ন হয় না কেন, ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: সম্পদের ক্ষতিতে এর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পক্ষ কেবল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় বিমা চুক্তি সম্পাদনে বিমাযোগ্য স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া হয়। এরূপ চুক্তিতে বিমাকৃত বিষয়বস্তুর ওপর বিমাগ্রহীতার আর্থিক স্বার্থ থাকা আবশ্যক। এরূপ স্বার্থ না থাকলে বিমা চুক্তি করা যায় না।
প্রশ্ন-৪. ক্ষতিসাধণের নিকটতম কারণকে কী বলে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ক্ষতির নিকটতম কারণ বলতে ক্ষতির প্রত্যক্ষ কারণকে বোঝায়। বিমা চুক্তির ক্ষেত্রে চুক্তিতে উল্লিখিত কারণেই বিমাকৃত ব্যক্তি বা বস্তুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিমা কোম্পানি ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে। এক্ষেত্রে যদি দূরবর্তী কোনো কারণে ক্ষতি সাধন হয় তবে বিমা কোম্পানি কোনো ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে না। যেমন: একটি জাহাজ প্রাকৃতিক বিপদের জন্য বিমা করা হলো। কিন্তু জাহাজটি যদি মানবসৃষ্ট কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে জাহাজের জন্য বিমা কোম্পানি কোনো ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে না।
প্রশ্ন-৫. আনুপাতিক হারে অংশগ্রহণ নীতি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: আনুপাতিক হারে অংশগ্রহণের নীতি অনুযায়ী বিমার বিষয়বস্তু ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিমা কোম্পানি কর্তৃক বিমা মূল্যের আনুপাতিক হারে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়। সাধারণত কোনো সম্পত্তি বা বিষয় বস্তুর ঝুঁকি বেশি হলে একাধিক বিমা কোম্পানিতে বিমা করা হয়। যদি বিমার বিষয়বস্তুর আংশিক ক্ষতি হয় তবে চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত বিমা কোম্পানিগুলো তাদের বিমাকৃত মূল্যের অনুপাতিক হারে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকে। এটিই আনুপাতিক হারে অংশগ্রহণের নীতি।
প্রশ্ন-৬. কোন বিমাপত্রে নগদ বিমাদাবি পূরণ করা হয় না? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: পুনঃস্থাপন বিমাপত্রের ক্ষেত্রে নগদ বিমাদাবি পূরণ করা হয় না। পুনঃস্থাপন বিমাচুক্তি এমন এক ধরনের বিমাপত্র যেখানে বিমাগ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে নগদ কোনো অর্থ প্রদান করা হয় না। এ বিমাপত্রের ক্ষেত্রে বিমাকৃত বস্তু দুর্ঘটনায় ক্ষতির স্বীকার হলে বিমা কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত বস্তুর পরিবর্তে নতুন বস্তু বা সামগ্রী প্রদান করে অথবা মেরামত করে দেয়।
প্রশ্ন-৭. চুক্তি ছাড়া বিমা হয় না কেন?
উত্তর: চুক্তি ছাড়া বিমা কোম্পানি ক্ষতিপূরণে বাধ্য না থাকায় চুক্তি ছাড়া বিমা হয় না। মানুষের জীবন বা সম্পত্তির ঝুঁকি আর্থিকভাবে মোকাবিলার কৌশল হলো বিমা চুক্তি। এ চুক্তিতে একপক্ষ থাকে বিমাকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এবং অপরপক্ষ হলো বিমাগ্রহীতা। এক পক্ষের প্রস্তাব ও অপরপক্ষের স্বীকৃতির মধ্য দিয়েই চুক্তি সম্পাদিত হয়। ফলে বিমাকৃত বস্তুর ক্ষতি হলে ঝুঁকি গ্রহণকারী পক্ষ চুক্তি অনুযায়ী বিমাগ্রহিতাকে নির্দিষ্ট অর্থ প্রদানে বাধ্য থাকে। তাই চুক্তি ছাড়া বিমা হয় না।
প্রশ্ন-৮. বিমা চুক্তিকে পরম বিশ্বাসের চুক্তি বলা হয় কেন?
উত্তর: বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতা উভয়পক্ষই আবশ্যকীয় সকল তথ্য একে অন্যকে প্রদানে বাধ্য থাকে বিধায় বিমা চুক্তিকে পরম বিশ্বাসের চুক্তি বলা হয়। বিমা চুক্তির মাধ্যমে বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতার মধ্যে সদ্বিশ্বাসের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। আর সে কারণে চুক্তিবদ্ধ প্রত্যেকে একে অন্যের কাছে সঠিক তথ্য প্রকাশে বাধ্য থাকে। কোনো পক্ষ যদি সঠিক তথ্য প্রদান না করে তাহলে বিমা চুক্তি বাতিল হতে পারে।
প্রশ্ন-৯. বিমাযোগ্য স্বার্থ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: বিমাকৃত বিষয়বস্তুতে বিমাগ্রহীতার যে আর্থিক স্বার্থ থাকে তাকে বিমাযোগ্য স্বার্থ বলে। এ ধরনের স্বার্থ না থাকলে বিমা চুক্তি করা যায় না। সাধারণত বিমাযোগ্য স্বার্থ বিমাকারী প্রতিষ্ঠান দ্বারা সংরক্ষিত হয়। মূলত বিমার বিষয়বস্তুর ওপর বিমাকারীর আর্থিক স্বার্থ থাকে এবং বিমাকারী প্রতিষ্ঠান এ বিমাকৃত বিষয়বস্তুর আর্থিক ক্ষতি হলে তা পূরণের দায়িত্ব গ্রহণ করে।
প্রশ্ন-১০. বিমাকে ঝুঁকি বণ্টন ব্যবস্থা বলে আখ্যায়িত করা হয় কেন?
উত্তর: বিমা মানুষের জীবন ও সম্পদের আর্থিক ঝুঁকি গ্রহণ করে সবার মাঝে ঝুঁকি বণ্টন করে দেয় বলে একে ঝুঁকি বণ্টন ব্যবস্থা বলে। মানুষের জীবন ও সম্পত্তির ঝুঁকি আর্থিকভাবে মোকাবিলার ব্যবস্থা হলো বিমা। বিমাকারী প্রিমিয়াম সংগ্রহের মাধ্যমে তহবিল তৈরি করে। ক্ষতিগ্রস্ত বিমাগ্রহীতাদের ক্ষতিপূরণের দাবি বিমাকারী প্রতিষ্ঠান অন্যান্য বিমাগ্রহীতাদের নিকট হতে প্রাপ্ত প্রিমিয়াম হতে মিটিয়ে থাকে। এজন্য বিমাকে ঝুঁকি বণ্টন ব্যবস্থা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
►► আরো দেখো: এইচএসসি অন্যান্য বিষয়ের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
উপরে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র ১০ম অধ্যায় ডাউনলোড করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post