ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র ৩য় অধ্যায় : পণ্য উৎপাদনের মূল লক্ষ্য হলো পণ্যের ভোগ নিশ্চিত করে মুনাফা অর্জন করা । বিপণন তার কার্যক্রমের মাধ্যমে ভোক্তার হাতে পণ্য সরবরাহ করে উৎপাদনের উদ্দেশ্য অর্জনে সহায়তা করে। শুধুমাত্র পণ্য বা সেবা সরবরাহ নয়, এরসাথে জড়িত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কাজের সমন্বয় করে বিপণন ভোক্তার সন্তুষ্টি অর্জন করে ।এই ইউনিটে বিপণনের কাযববলীর উপর আলোচনা করা হয়েছে।
প্রথম পাঠে বিপণন কাযবিলীর প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয়েছে। পণ্য উৎপাদনের পূর্বে, উৎপাদনের পরে এবং বিক্রয় কার্য সমাধানের পরেও বিপণনের কিছু কার্যক্রম রয়েছে, সেইসব বর্ণনা দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় পাঠে। পরবর্তী পাঠগুলোতে বিপণনের কার্যাবলীর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পরের পাঠগুলোতে রয়েছে ক্রয় ও বিক্রয়; পরিবহন ও গুদামজাতকরণ; প্রমিতকরণ ও প্যায়িতকরণ এবং মোড়কিকরণ ও বিজ্ঞাপন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র ৩য় অধ্যায়
১. জনাব খান ‘কনিকা লি.’ এর ব্যবস্থাপক। তিনি তার ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ‘পদ্মা রাইজ লি.; এর কাছে ৪০ লক্ষ টাকা ঋণ চাইলে ব্যাংক তা মঞ্জুর করে এবং কনিকা লি.’ কে ঋণের অর্থ জমার জন্য একটি হিসাব খুলতে বলে। অন্যদিকে, শীতলক্ষা ব্যাংক দেশের গার্মেন্টস খাতে অধিক ঋণ দেয়। কিন্তু খাতটি নানান কারণে খারাপ করায় অনেক ঋণ খেলাপী তালিকাভুক্ত হয়ে পড়ে। ফলে মুনাফা থেকে প্রতিশন রাখতে যেয়ে ব্যাংকটির প্রকৃত দায় সম্পদ অপেক্ষা বেশি হয়ে যায়। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকটির পরিচালকদের আমানত খাতে সংগৃহীত অর্থ নয় বরং নিজস্ব মূলধন বৃদ্ধির জন্য চাপ দিচ্ছে।
ক. বাণিজ্যিক ব্যাংকের তহবিলের মূল উৎস কোনটি?
খ. গ্রাহককে জানতে বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ফরম কোনটি? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে ‘পদ্মা ব্যাংক লি.’ কর্তৃক ঋণের টাকা নগদে না প্রদান করার কারণ কী? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে ব্যাংকটির যে নীতির ব্যত্যয় ঘটেছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে তা ফলাফল বিশ্লেষণ করো।
২. আকাশ ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত একটি ব্যাংক। ব্যাংকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আমানতের ১৯% তারল্য জমা রেখেছে। ব্যাংকিং কাজের অগ্রগতির পাশাপাশি ব্যাংকটি গ্রাহকদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় সংগ্রহে সদা তৎপর থাকে। ফলে ব্যবসায়িক দক্ষতার মাধ্যমে ব্যাংকটি দ্রুতই অধিক মুনাফা অর্জনে সক্ষম হচ্ছে।
ক. তারল্য কী?
খ. বাণিজ্যিক ব্যাংক কীভাবে ঋণ আমানত সৃষ্টি করে? বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপকের আকাশ ব্যাংক তারল্য জমা রাখার মাধ্যমে ব্যাংক ব্যবসায়ের কোন নীতি অনুসরণ করছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. আকাশ ব্যাংকের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় সংগ্রহের কাজটি ব্যাংকিং নীতিমালার আওতাভুক্ত কী? যুক্তি সহকারে মতামত দাও।
জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্ন-১. বাণিজ্যিক ব্যাংক কী?
উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংক হলো একটি মুনাফাভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা স্বল্প সুদে জনগণের অর্থ আমানত হিসেবে গ্রহণ করে, উচ্চ সুদে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদান করে এবং গ্রাহকের অন্যান্য অর্থ সংক্রান্ত কার্যাবলি সম্পাদন করে।
প্রশ্ন-২. বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবসায়িক উপাদান কী?
উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবসায়িক উপাদান হলো অর্থ।
প্রশ্ন-৩. পে-অর্ডার কী?
উত্তর: পে-অর্ডার হলো অর্থ বিনিময়ের একটি মাধ্যম যা দ্বারা প্রাপককে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদানের প্রতিশ্র“তি দেয়া হয়।
প্রশ্ন-৪. বাণিজ্যিক ব্যাংকের আয়ের প্রধান উৎস কোনটি?
উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংকের আয়ের প্রধান উৎস হলো ঋণগ্রহীতাদের প্রদত্ত ঋণ হতে প্রাপ্ত সুদ।
প্রশ্ন-৫. প্রত্যয়পত্র কী?
উত্তর: যে দলিল দ্বারা বাণিজ্যিক ব্যাংক ক্রেতার পক্ষে দেশে বা বিদেশে বিক্রেতাকে তার পণ্যের মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে তাকে প্রত্যয়পত্র বলে।
প্রশ্ন-৬. PIN-এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর: PIN-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে ‘Personal Identification Number’।
প্রশ্ন-৭. ব্যাংক গ্যারান্টি কী?
উত্তর: ব্যাংক গ্যারান্টি এমন একটি দলিল যাতে ব্যাংক এ মর্মে দেনাদারের পক্ষে পাওনাদারকে নিশ্চয়তা প্রদান করে যে, যদি দেনাদার অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হয় তাহলে ব্যাংক উক্ত অর্থ পাওনাদারকে পরিশোধ করবে।
প্রশ্ন-৮. ভ্রমণকারীর চেক কী?
উত্তর: ভ্রমণকারীর চেক হলো এমন একটি বিনিময় মাধ্যম যার দ্বারা গ্রাহক তার গন্তব্যস্থলে অবস্থিত ব্যাংকের শাখায় চেক জমা দিয়ে সেখানকার স্থানীয় মুদ্রা সংগ্রহ করতে পারে।
প্রশ্ন-৯. চেক কী?
উত্তর: আমানতকারী কর্তৃক ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য লিখিত শর্তহীন নির্দেশনামাই হলো চেক।
প্রশ্ন-১০. বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য হলো মুনাফা অর্জন করা।
প্রশ্ন-১১. স্বল্পমেয়াদি ঋণের ব্যবসায়ী বলা হয় কোন ব্যাংককে?
উত্তর: স্বল্পমেয়াদি ঋণের ব্যবসায়ী বলা হয় বাণিজ্যিক ব্যাংককে।
প্রশ্ন-১২. তারল্য নীতি কী?
উত্তর: গ্রাহকদের চেকের অর্থ চাহিবামাত্র পরিশোধের সামর্থ্য ধরে রাখার জন্য কাম্য পরিমাণ নগদ অর্থ সংরক্ষণের কৌশলকে ব্যাংকের তারল্য নীতি বলে।
প্রশ্ন-১৩. তারল্য কী?
উত্তর: গ্রাহকদের জমাকৃত অর্থ চাহিবামাত্র তাকে ফেরত দানের ক্ষমতাকে ব্যাংকের তারল্য বলা হয়।
প্রশ্ন-১৪. বাণিজ্যিক ব্যাংকের তহবিলের প্রধান উৎস কী?
উত্তর: আমানতকারীদের জমাকৃত অর্থই হলো বাণিজ্যিক ব্যাংকের তহবিলের প্রধান উৎস।
প্রশ্ন-১৫. নিরাপত্তার নীতি কী?
উত্তর: আমানতকারীর জমাকৃত অর্থের নিরাপত্তা বিধান এবং ঋণ মঞ্জুরের সময় সতর্কতা অবলম্বন করাই হলো নিরাপত্তার নীতি।
প্রশ্ন-১৬. মুনাফার নীতি কী?
উত্তর: মুনাফার নীতি হলো কাম্য তারল্য অবস্থা সংরক্ষণের পর অতিরিক্ত অর্থ সবচেয়ে লাভজনক ও নিরাপদ খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করা।
প্রশ্ন-১৭. বাণিজ্যিক ব্যাংক কীভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে?
উত্তর: বিভিন্ন অঞ্চলে শাখা প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন ব্যবসায় ও শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক বহু লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন-১৮. বাণিজ্যিক ব্যাংকের চলমান প্রক্রিয়া কী?
উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংকের চলমান প্রক্রিয়া হলো ঋণ আমানত সৃষ্টি করা।
প্রশ্ন-১৯. সুনামের নীতি কী?
উত্তর: যে নীতির আলোকে বাণিজ্যিক ব্যাংক গ্রাহকের আমানত ও হিসাব সংক্রান্ত তথ্যের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা, দক্ষ সেবা, মুনাফা প্রদান, দ্রুত ঋণ দান ইত্যাদির মাধ্যমে সুনাম অর্জনের চেষ্টা করে তাকে সুনামের নীতি বলে।
প্রশ্ন-২০. দক্ষ ব্যবস্থাপনার নীতি কী?
উত্তর: সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কর্মীবাহিনী গঠনের চেষ্টা করাই হলো দক্ষ ব্যবস্থাপনার নীতি।
প্রশ্ন-২১. আস্থা অর্জনের নীতি কী?
উত্তর: সততা ও সর্বোত্তম সেবা প্রদানের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করাই হলো আস্থা অর্জনের নীতি।
প্রশ্ন-২২. সেবার নীতি কী?
উত্তর: গ্রাহকদের সর্বোত্তম সেবা প্রদান করে তাদের ব্যাংকের প্রতি আগ্রহী করে তোলাই হলো সেবার নীতি।
প্রশ্ন-২৩. বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক ব্যাংক কোনটি?
উত্তর: বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক ব্যাংক হলো সোনালী ব্যাংক।
প্রশ্ন-২৪. কোন ধরনের ব্যাংককে মুদ্রাবাজারের মধ্যমনি বলা হয়?
উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংককে মুদ্রাবাজারের মধ্যমনি বলা হয়।
প্রশ্ন-২৫. বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ আমানত সৃষ্টি কী?
উত্তর: যে অভিনব পন্থায় বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ গ্রাহককে মঞ্জুরকৃত ঋণের অর্থ নগদে না দিয়ে তা ঋণগ্রহীতার আমানত হিসাবে স্থানান্তর করে এবং উক্ত আমানত থেকে নতুন ঋণের সৃষ্টি করে তাকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ আমানত সৃষ্টি বা ঋণ থেকে আমানত সৃর্ষ্টি বলে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্ন-১. কোন ব্যাংককে মুদ্রা বাজারের মধ্যমনি বলা হয় এবং কেন?
উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংককে মুদ্রা বাজারের মধ্যমণি বলা হয়। মুদ্রা বাজারে এ ব্যাংক স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। উদাহরণস্বরূপ ঋণগ্রহণ, চেক, বিনিময় বিল এবং প্রত্যয়পত্র ইত্যাদি দলিলের মাধ্যমে যে কেউ স্বল্পমেয়াদি ঋণের চাহিদা পূরণ করতে পারে। এ সকল কাজ সম্পাদনে বাণিজ্যিক ব্যাংক মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এ কারণেই বাণিজ্যিক ব্যাংককে মুদ্রা বাজারের মধ্যমণি বলা হয়।
প্রশ্ন-২. বাণিজ্যিক ব্যাংকের তারল্য নীতি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংকের তারল্য নীতি বলতে এমন পরিমাণ নগদ অর্থ বা তরল সম্পদ সংরক্ষণকে বোঝায় যাতে গ্রাহকদের দাবি বা উত্থাপিত চেকের অর্থ যথাসময়ে পরিশোধ করা ব্যাংকের পক্ষে সম্ভব হয়। গ্রাহকের আমানত বাণিজ্যিক ব্যাংকের তহবিলের মূল উৎস। উক্ত আমানত হতেই ব্যাংক বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণদান করে। তবে ঋণদানের ক্ষেত্রে ব্যাংককে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আমানত হিসেবে জমা রাখতে হবে যাতে ব্যাংকটি তার গ্রাহকের অর্থ চাহিবামাত্র ফেরত প্রদানে সক্ষম হয়। এই নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যাংক তহবিলে জমা রাখাকে ব্যাংকের তারল্য নীতি বলে।
প্রশ্ন-৩. বাণিজ্যিক ব্যাংক স্বল্পমেয়াদি ঋণ দেয় কেন?
উত্তর: আমনতকারীর অর্থ চাহিবামাত্র ফেরত দানে বাধ্য থাকায় বাণিজ্যিক ব্যাংক স্বল্পমেয়াদি ঋণ দেয়।
বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণের ব্যবসায়ী। জনগণের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ব্যাংকটি নিজ ব্যবসায়ের মূলধন গঠন করে। তবে ব্যাংক গ্রাহকের এই আমানত চাহিবামাত্র গ্রাহককে ফেরত দিতে বাধ্য থাকে। তাই বাণিজ্যিক ব্যাংক সাধারণত দীর্ঘমেয়াদে ঋণ প্রদান করে না।
প্রশ্ন-৪. বাণিজ্যিক ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয়া উচিত নয় কেন? [ঢা. বো. ১৭]
উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংক সংগৃহীত আমানতের অধিকাংশই চাহিবামাত্র ফেরত দানে বাধ্য থাকায় এ ধরনের ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দান অনুচিত। এ ব্যাংকের তহবিলের মূখ্য উৎস হলো জনগণের নিকট হতে সংগৃহীত আমানত। তাই বাণিজ্যিক ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদে এ অর্থ ঋণদান বা বিনিয়োগ না করে স্বল্পমেয়াদে ঋণ দেয়। যে কারণে এ ব্যাংককে স্বল্পমেয়াদি ঋণের ব্যবসায়ী বলে।
প্রশ্ন-৫. ঋণদানকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের আয়ের প্রধান উৎস বলা হয় কেন?
উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংকের আয়ের প্রধান উৎস হলো ব্যাংক কর্তৃক প্রদানকৃত ঋণের সুদ। কেননা বাণিজ্যিক ব্যাংককে ধার করা অর্থের ধারক বলা হয়। অর্থাৎ বাণিজ্যিক ব্যাংক স্বল্প সুদের বিনিময়ে জনগণের সঞ্চিত অর্থ আমানত হিসেবে গ্রহণ করে। আবার উক্ত অর্থ অধিক সুদের বিনিময়ে ঋণ হিসেবে প্রদান করে। এছাড়াও বিভিন্ন লাভজনক খাতে অর্থ বিনিয়োগ করে। উভয় সুদের পার্থক্যের ফলে অর্জিত হয় ব্যাংকের মুনাফা। তাই ঋণদানকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের আয়ের প্রধান উৎস বলা হয়।
প্রশ্ন-৬. ব্যাংক কীভাবে ব্যবসায়িক লেনদেনে সহায়তা করে? [ঢা. বো. ১৬]
উত্তর: ব্যাংক ঋণদান, দেনা-পাওনা নিষ্পত্তি, প্রত্যয়পত্র ইস্যু প্রভৃতির মাধ্যমে ব্যবসায়িক লেনদেনে সহায়তা করে।
বর্তমানে অধিকাংশ ব্যবসায়িক লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে সংগঠিত হয়। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো চেক, পে-অর্ডার, ব্যাংক ড্রাফট, ক্রেডিট কার্ড, ভ্রমণকারীর চেক ইত্যাদি ইস্যু করে। বিনিময়ের এই মাধ্যমগুলো অনেক ক্ষেত্রে অর্থের মত ব্যবহৃত হয়। ফলে বর্তমানে ব্যবসায়িক লেনদেন অধিক সহজ ও ঝামেলামুক্ত হয়েছে।
প্রশ্ন-৭. ব্যাংককে ধার করা অর্থের ধারক বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ব্যাংক চলতি, স্থায়ী ও সঞ্চয়ী হিসাবের মাধ্যমে জনগণের অর্থ জমা রাখা, ঋণ প্রদান, বিনিময় মাধ্যম সৃষ্টিসহ নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা গ্রাহকদের প্রদান করে। ব্যাংকের মুখ্য কাজ হলো আমানতকারীদের নিকট থেকে স্বল্প সুদের বিনিময়ে আমানত সংগ্রহ করা। পরবর্তীতে ঐ আমানতকৃত অর্থ থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অধিক সুদের বিনিময়ে ঋণ প্রদান করা। অর্থ ধার নেয়া এবং ঋণ দেয়া মুখ্য কাজ হওয়ায় ব্যাংককে ধার করা অর্থের ধারক বলা হয়।
►► আরো দেখো: এইচএসসি অন্যান্য বিষয়ের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
উপরে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র ৩য় অধ্যায় ডাউনলোড করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post