ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র ৬ষ্ঠ অধ্যায় : পণ্য উৎপাদনের উদ্দেশ্যে হলো ভোগ। আর পণ্যসামষ্বীর ভোগ নিশ্চিত করার জন্য তা ভোক্তার কাছে পৌছে দেওয়া প্রয়োজন। উৎপাদক তার উৎপাদনের স্থার্থেই উৎপাদিত পণ্য ভোক্তারকাছেপৌছে দেবার জন্য যথোপযুক্ত পন্থা উদ্ভাবন করে। উৎপাদক নিজে সম্ভব হলে তার পণ্য সরাসরি ভোক্তার নিকট সরবরাহ করতে পারে।
আর যদি সরাসরি পণ্য সরবরাহ আর্থিক বা অন্যান্য দিক থেকে অলাভজনক ও অসুবিধাজনক মনে হয়, তবে উৎপাদক অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নিতে পারে। সরাসরি বা তৃতীয় পক্ষ যে মাধ্যমেই হোক, উৎপাদিত পণ্য ভোক্তার নিকট প্রেরণ করার জন্য যে পদ্ধতি বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তাই বন্টন প্রণালী নামে পরিচিত। উৎপাদক ও ভোক্তা, এ দু’পক্ষের মধ্যে যারা যোগসুত্র স্থাপন করে তাদের বলা হয় মধ্যস্থব্যবসায়ী।
উৎপাদকের নিকট থেকে পণ্য ক্রয় করে ভোক্তার নিকট তারা পণ্য বিক্রি করে। উৎপাদক ও ভোক্তাকে যদি আমরা একটা সড়কের দুই প্রান্ত হিসেবে মনে করি, তবে এক প্রান্ত থেকে একটি পণ্য অপর প্রান্তে পৌছানোর কাজে মধ্যস্থব্যবসায়ী নিয়োজিত থাকে। যে “সড়ক’ ধরে পণ্যসামতী উৎপাদকের নিকট থেকে ভোক্তার নিকট পৌছে সেই “নড়কই” বন্টন প্রণালী নামে ব্যবসা জগতে পরিচিত।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র ৬ষ্ঠ অধ্যায়
১. জনাব রাজন এমন একটি চেক পেয়েছেন যা সরকারি ব্যাংক কাউন্টার থেকে ভাঙানো যাবে না। প্রাপকের হিসাবে জমা দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করতে হবে।
ক. হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল কী?
খ. সরকারি নোট ও ব্যাংক নোটের মধ্যে পার্থক্য কী? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে জনাব রাজন কী ধরনের চেক পেয়েছেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “জনাব রাজনের চেকটি অধিক নিরাপদ”-উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
২. রাজশাহীর রাসেদ ব্যবসায়ের প্রয়োজনে ঢাকার চকবাজারের কাশেমকে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করে। কাশেম সেটি নগদে উত্তোলন করতে চাইলে ব্যাংক তার নামে একটি হিসাব খুলতে বলে। পরবর্তীতে কাশেম হিসাব খুলে ১ জানুয়ারি ইস্যুকৃত চেকটি ৮ জুলাই তারিখে ব্যাংকে জমা দেন এবং টাকা উত্তোলন করতে চাইলে ব্যাংক টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানারো।
ক. বাসি চেক কাকে বলে?
খ. কোন হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিলের আদিষ্ট ব্যাংক? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত চেকটি কোন ধরনের চেক? বর্ণনা করো।
ঘ. উদ্দীপকে ব্যাংক কর্তৃক চেকের টাকা প্রদানে অস্বীকৃতি জানানো কতটুকু যুক্তিসঙ্গত? বিশ্লেষণ করো।
জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্ন-১. চেক কী?
উত্তর: আমানতকারী কর্তৃক ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনের লিখিত শর্তহীন নির্দেশনামাকে চেক বলে।
প্রশ্ন-২. আদেষ্টা কী?
উত্তর: যে ব্যক্তি চেকে স্বাক্ষর প্রদানের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তিকে অথবা নিজেকে অর্থ প্রদানের শর্তহীন নির্দেশ প্রদান করে তাকে চেকের আদেষ্টা বা Drawer বলে।
প্রশ্ন-৩. আদিষ্ট কী?
উত্তর: আদেষ্টা চেক প্রস্তুত করে মূলত যার প্রতি এর অর্থ পরিশোধের নির্দেশ দেয় তাকে চেকের আদিষ্ট বা Drawee বলে।
প্রশ্ন-৪. প্রাপক কী?
উত্তর: চেকের আদেষ্টা অর্থ পরিশোধের নিমিত্তে যার নাম চেকের পাতায় উল্লেখ করে তাকে চেকের প্রাপক বা চধুবব বলে।
প্রশ্ন-৫. অনুমোদনবলে প্রাপক কী?
উত্তর: অনুমোদন বা হস্তান্তরের মাধ্যমে চেকের স্বত্ব কেউ প্রাপ্ত হলে তাকে অনুমোদনবলে প্রাপক বা Endorsee বলে।
প্রশ্ন-৬. অনুমোদনকারী কী?
উত্তর: অনুমোদন বা হস্তান্তরের নিমিত্তে যে ব্যক্তি চেকের অর্থ প্রাপ্তির অধিকার অন্যের নিকট হস্তান্তর করে তাকে অনুমোদনকারী বা Endorser বলে। সাধারণত আদেষ্টা বা ধারক চেক অনুমোদন করতে পারেন।
প্রশ্ন-৭. ধারক কী?
উত্তর: চেকের ধারক বলতে চেকের প্রাপক বা অনুমোদনবলে প্রাপককে বোঝায়, যার নিকট দলিলটি রয়েছে বা তার পক্ষে যে দলিলটি বহন করছে।
প্রশ্ন-৮. বাহক চেক কী?
উত্তর: যেকোনো ব্যক্তি বা বাহক ব্যাংকে উপস্থাপন করে যে চেকের অর্থ সংগ্রহ করতে পারে তাকে বাহক চেক বলে।
প্রশ্ন-৯. হুকুম চেক কী? [দি. বো. ১৭]
উত্তর: যে চেকে প্রাপকের নামের শেষে “অথবা আদেশানুসারে” শব্দদ্বয় লেখা থাকে তাকে হুকুম চেক বা আদেশ চেক বলে।
প্রশ্ন-১০. দাগকাটা চেক কী?
উত্তর: বাহক বা হুকুম চেকের বাম কোনায় আড়াআড়িভাবে দু’টি সমান্তরাল সরললেখা টানা হলে ঐ চেককে দাগকাটা চেক বলে।
প্রশ্ন-১১. সাধারণভাবে দাগকাটা চেক কী?
উত্তর: যদি কোনো রেখাঙ্কিত চেকের দুই দাগের মাঝে কিছু লেখা না থাকে বা লেখা থাকলেও ব্যাংক শব্দের উল্লেখ না থাকে তবে তাকে সাধারণভাবে দাগকাটা চেক বলে।
প্রশ্ন-১২. বিশেষভাবে দাগকাটা চেক কী?
উত্তর: কোনো দাগকাটা চেকের দুই দাগের মাঝখানে কোনো ব্যাংকের নাম উল্লেখ থাকলে তাকে বিশেষভাবে দাগকাটা চেক বলে।
প্রশ্ন-১৩. মার্কেট চেক কী?
উত্তর: যে চেকের দ্বারা বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য কেনাবেচা করা যায় তাকে মার্কেট চেক বলে।
প্রশ্ন-১৪. উপহার চেক কী?
উত্তর: আপনজনকে উপহার দেয়ার জন্য সঞ্চয় সংগ্রহের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক যে চেক ইস্যু করে তাকে উপহার চেক বলে।
প্রশ্ন-১৫. ফাঁকা চেক কী?
উত্তর: যে চেকে সবকিছু যথাযথভাবে পূরণ করা হলেও টাকার অঙ্ক লেখার ঘর ফাঁকা রাখা হয় তাকে ফাঁকা চেক বলে।
প্রশ্ন-১৬. পূর্ব তারিখের চেক কী?
উত্তর: কোনো চেকে ইস্যুকৃত তারিখের পূর্বের কোনো তারিখ উল্লেখ করা হলে তাকে পূর্ব তারিখের চেক বলে। যেমন: আজকের তারিখ ২০ ফেব্র“য়ারি ২০১৭ হলেও ২০ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখের চেক হলে সেটি হবে পূর্ব তারিখের চেক। এতে অর্থ উত্তোলনে সাধারণত সমস্যা হয় না।
প্রশ্ন-১৭. পরবর্তী তারিখের চেক কী?
উত্তর: চেক ইস্যুর তারিখ উল্লেখ না করে কোনো ভবিষ্যৎ বা পরবর্তী তারিখের উল্লেখ করলে তাকে পরবর্তী তারিখের চেক বলে। যেমন: আজকের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৭ না লিখে ২৫ মার্চ ২০১৭ তারিখ লিখলে ২৫ মার্চ এর পূর্বে চেক ভাঙ্গানো যাবে না।
প্রশ্ন-১৮. বাসি চেক কী? [ঢা. বো. ১৭]
উত্তর: প্রস্তুত তারিখের পর থেকে চেক ভাঙানোর আইনানুগ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চেক ভাঙানো না হলে উক্ত চেককে বাসি চেক বলে।
প্রশ্ন-১৯. হারানো চেক কী?
উত্তর: প্রস্তুতের পর উপস্থাপনের পূর্বে কোনো চেক হারানো গেলে বা চুরি হলে তাকে হারানো চেক বলে। এ ধরনের চেক হারানোর সাথে সাথেই তা ব্যাংকে অবহিত করতে হয়, যাতে ব্যাংক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।
প্রশ্ন-২০. চেক প্রত্যাখ্যান বা অমর্যাদা কী?
উত্তর: আমানতকারী কর্তৃক কোনো চেক ব্যাংকে উপস্থাপিত হওয়ার পর ব্যাংক উক্ত চেকের অর্থ পরিশোধ করতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে চেক প্রত্যাখ্যান বা অমর্যাদা বা Dishonour বলে।
প্রশ্ন-২১. বিনিময় বিল কী?
উত্তর: বিনিময় বিল হলো এমন এক প্রকার হস্থান্তরযোগ্য ঋণের দলিল যাতে কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তিকে কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের জন্য শর্তহীন নির্দেশ প্রদান করে।
প্রশ্ন-২২. অঙ্গীকারপত্র কী?
উত্তর: অঙ্গীকারপত্র বা প্রমিসরি নোট হলো এমন এক ধরনের পত্র বা দলিলকে বোঝায় যাতে কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তিকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের অঙ্গীকার প্রদান করে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্ন-১. চেককে প্রামাণ্য দলিল হিসেবে গ্রহণ করা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: আমানতকারী চাহিবামাত্র ব্যাংক তার হিসাব থেকে অর্থ প্রদান করতে বাধ্য থাকে। এক্ষেত্রে চেক একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবে গ্রহণ করা হয়। কারণ কোনো চেক যথা নিয়মে উপস্থাপনের পরও তা অমর্যাদাকৃত হলে এর জন্য দায়ী পক্ষ সংশ্লিষ্ট অন্যদের নিকট দায়বদ্ধ থাকে। সেক্ষেত্রে কোনোরূপ সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই অমর্যাদাকৃত চেকটি আদেষ্টার দায় নির্ধারণে যথেষ্ট বিবেচিত হয়। আর এজন্যই আদালত কর্তৃক চেককে প্রামাণ্য দলিল হিসেবে গ্রহণ করে।
প্রশ্ন-২. কোন চেক অধিক নিরাপদ? ব্যাখ্যা করো। [চ. বো. ১৬]
উত্তর: দাগকাটা চেক অধিক নিরাপদ। বাহক চেক বা হুকুম চেকের উপরিভাগের বাম প্রান্তে কিছু লিখে বা না লিখে দু’টি আড়াআড়ি দাগ টানলে তাকে দাগকাটা চেক বলে। দাগকাটা চেকের অর্থ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পরিশোধিত হয় বলে এ চেক হারানো বা চুরি গেলেও এর অর্থ কেউ উত্তোলন করতে পারে না। তাই এ চেকের মাধ্যমে লেনদেন অধিক নিরাপদ।
প্রশ্ন-৩. অগ্রিম চেক বলতে কী বুঝ? [দি. বো. ১৭]
উত্তর: যে চেক ভবিষ্যতের কোনো তারিখ দিয়ে প্রস্তুত করা হয় তাকে অগ্রিম চেক বলে।
এ ধরনের চেক প্রস্তুতে চেক ইস্যুর তারিখ উল্লেখ না করে কোনো ভবিষ্যৎ বা পরবর্তী তারিখের উল্লেখ করা হয়। আর উল্লিখিত তারিখের পূর্বে এ চেক ভাঙ্গানো যায় না।
প্রশ্ন-৪. চেকের অনুমোদন বলতে কী বোঝায়? [ঢা. বো. ১৭]
উত্তর: হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে চেকের আদেষ্টা বা প্রাপক বা ধারক কর্তৃক চেকের উল্টোপিঠে কিংবা উক্ত কাগজে কোনো কিছু লিখে বা না লিখে স্বাক্ষর করাকে চেকের অনুমোদন বলে। চেক একটি হস্তান্তরযোগ্য দলিল। চেক হস্তান্তরের জন্য অনুমোদনের প্রয়োজন হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। চেক অনুমোদনের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো চেকটি হস্তান্তর করা অর্থাৎ অনুমোদনকারী কর্তৃক অন্যকে চেকের স্বত্ব প্রদান করা। হস্তান্তরের জন্য বাহক চেকে অনুমোদন প্রয়োজন হয় না কিন্তু দাগকাটা চেকের ক্ষেত্রে অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন-৫. চেকের অনুমোদন কেন প্রয়োজন হয়? ব্যাখ্যা করো। [ঢা. বো. ১৭]
উত্তর: চেকের অনুমোদন দ্বারা চেকের মালিকানা পরিবর্তন নিশ্চিত হওয়ায় চেক হস্তান্তরে চেকের অনুমোদন গুরুত্বপূর্ণ। বাহক চেক শুধু প্রদানের মাধ্যমে অনুমোদন হলেও হুকুম চেকের উল্টো পিঠে অবশ্যই বৈধ অধিকারী দ্বারা অনুমোদিত হতে হয়। চেকের অনুমোদন অবশ্যই সম্পূর্ণ চেকের জন্য হয়ে থাকে।
প্রশ্ন-৬. দাগকাটা চেক কেন অধিক নিরাপদ? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: বাহক চেক বা হুকুম চেকের বামকোণে দু’টো সমান্তরাল রেখা এঁকে যে চেক প্রস্তুত করা হয় তাকে দাগকাটা চেক বলে। দু’টো সমান্তরাল রেখার মাঝখানে ‘A/C Payee’, ‘হস্তান্তরযোগ্য’, ‘নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা’ প্রভৃতি শব্দাবলি লেখা থাকে। অন্যান্য যেকোনো চেকের তুলনায় দাগকাটা চেক অধিক নিরাপদ কারণ দাগকাটা চেকের মাধ্যমে প্রাপকের ব্যাংক হিসাব ছাড়া কেউ এর অর্থ আদায় করতে পারে না। এতে ঝুঁকি হ্রাস পায়। তাই দাগকাটা চেক অধিক নিরাপদ।
প্রশ্ন-৭. ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকা সত্ত্বেও চেক ইস্যু করা কি চেকের অমর্যাদার মধ্যে পড়ে? ব্যাখ্যা করো। [ব. বো. ১৭]
উত্তর: ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকা সত্ত্বেও চেক ইস্যু করা চেকের অমর্যাদা হিসেবে গণ্য হয়। ব্যাংক কর্তৃক চেকের অর্থ প্রদানের অস্বীকৃতিই মূলত চেকের অমর্যাদা। আর চেক ব্যাংকে উপস্থাপন মাত্র কোনো প্রকার অনিয়ম না থাকলে ব্যাংক উক্ত চেকের অর্থ প্রদানে বাধ্য থাকে। তবে একটি বৈধ চেকও কতগুলো অপরিহার্য শর্তের কারণে স্বভাবতই অমর্যাদাকৃত হতে পারে। আর এর মধ্যে অন্যতম হলো ব্যাংক হিসাবে আমানতকারীর পর্যাপ্ত টাকা না থাকা।
প্রশ্ন-৮. বাহক চেক, হুকুম চেক অপেক্ষা কম নিরাপদ কেন? [য. বো. ১৭]
উত্তর: বাহক চেক কেবল অর্পনের দ্বারা হস্তান্তরযোগ্য বলে তা হুকুম চেক অপেক্ষা কম নিরাপদ। হুকুম চেকের প্রাপক অন্য কোনো ব্যক্তিকে চেক হস্তান্তর করলে চেকে যথাযথ অনুমোদন থাকতে হয়। এক্ষেত্রে ব্যাংক প্রাপক বা অনুমোদন বলে প্রাপকের যথার্থতা যাচাই করে অর্থ প্রদান করে। আর বাহক চেকে এ সুযোগ থাকে না বিধায় তা কম নিরাপদ।
প্রশ্ন-৯. বিনিময় বিল অপেক্ষা চেকের ব্যবহার অধিক নিরাপদ কেন? ব্যাখ্যা করো। [সি. বো. ১৭]
উত্তর: চেকের অর্থ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে হস্তান্তরিত হওয়ায় তা বিনিময় বিল অপেক্ষা অধিক নিরাপদ। বিনিময় বিল ও চেক উভয়ই হস্তান্তরযোগ্য দলিল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দাগকাটা চেকের অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে তা ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হয়। এছাড়াও এই ধরনের চেক চুরি বা হারানো গেলেও ঝুঁকি থাকে না। অন্যদিকে, নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে বিনিময় বিল প্রাপক কর্তৃক ব্যাংকে উপস্থাপন করলেই অর্থ প্রদান করা হয়। তাই নিরাপত্তা বিবেচনায় চেকের ব্যবহার অধিক নিরাপদ।
►► আরো দেখো: এইচএসসি অন্যান্য বিষয়ের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
উপরে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র ৬ষ্ঠ অধ্যায় ডাউনলোড করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post