ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র ৭ম অধ্যায় : অধিকাংশ পণ্য-উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষেই পণ্যসামস্বী সরাসরি ভোক্তার নিকট বিক্রি করা সম্ভব হয় না। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভোক্তারা অবস্থান করে থাকে। তাই তাদের নিকট পণ্য পৌছানোর জন্য পাইকার ও খুচরা-ব্যবসায়ীদের মতো মধ্যস্থব্যবসায়ীর সাহায্যের প্রয়োজন হয়।
ভোগ্য ও শিল্প পণ্যসামগ্রীর বিপণনে এদের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। তাদের গুরুত্বের পরিপ্রেক্ষিতে এ অধ্যায় পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। প্রথম পাঠে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায় এর ধারণা, বৈশিষ্ট্য ও কার্যাবলি আলোচনা করা হয়েছে। এই পাঠে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীর মধ্যে পার্থক্যও আলোচনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় পাঠে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায় এর প্রকারভেদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
এখানে বিভিন্ন ধরনের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সর্বশেষে তৃতীয় পাঠে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায় বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র ৭ম অধ্যায়
১. জনাব হানিফ একজন নবীন শিল্পোদ্যোক্তা। তিনি তার সদ্য প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির অর্থায়নের উদ্দেশ্যে ১০০ কোটি টাকার শেয়ার বাজারে ছাড়েন। ব্যবসায় শুরুর এক বছর পর কারখানার জন্য নতুন বিল্ডিং নির্মাণ করতে তিনি অস্থাবর সম্পত্তি জামানত রেখে একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেন।
ক. ভোক্তা ঋণ কী?
খ. ‘সব ঋণে জামানত বাধ্যতামূলক নয়’- কেন?
গ. জনাব হানিফ শেয়ার ছেড়ে কোন ধরনের তহবিলের সংস্থান করেছেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. জনাব হানিফ যে ধরনের ঋণ নিয়েছেন তুমি কি তা সমর্থন করো? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
২. মি. রাহী একজন ব্যবসায়ী। ২ জানুয়ারি ২০১৭ তার ব্যাংকে হিসাব জমা ছিল ৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় ঐ দিন তিনি ৬ লক্ষ টাকার চেক কেটে হিসাব থেকে উত্তোলন করেন। ব্যবসায়টি লাভজনক হওয়ায় তিনি এখন নতুন ইউনিট খোলার জন্য ঋণ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ক. ব্যাংক তহবিল কী?
খ. ব্যাংকের নিজস্ব তহবিলের মূল উৎস কোনটি ধারণা দাও।
গ. মি. রাহী এর গৃহীত ১ লক্ষ টাকা প্রকৃতি অনুযায়ী কোন ধরনের ঋণ ব্যাখ্যা করো।
ঘ. নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মেয়াদ অনুযায়ী কোন ঋণ গ্রহণ অধিক যুক্তিযুক্ত বলে তুমি মনে করো। ব্যাখ্যা দাও।
জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্ন-১. ব্যাংক তহবিল কী?
উত্তর: ব্যবসায়িক প্রয়োজনে নিজস্ব বা বহিস্থ উৎস (যেমন: ব্যাংক ঋণ) থেকে ব্যাংক যে অর্থ সংগ্রহ করে তার সমষ্টিকে ব্যাংক তহবিল বলে।
প্রশ্ন-২. ব্যাংকের মূল চালিকাশক্তি কী?
উত্তর: ব্যাংকের মূল চালিকাশক্তি হলো অর্থ।
প্রশ্ন-৩. ব্যাংক তহবিল গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: ব্যাংক তহবিল গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো আর্থিক সচ্ছলতা অর্জনের মাধ্যমে সুনামের সাথে ব্যাংক ব্যবসায় পরিচালনা করা।
প্রশ্ন-৪. ব্যাংকের নিজস্ব ও দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের উৎস কী?
উত্তর: ব্যাংকের নিজস্ব ও দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের উৎস হচ্ছে কোম্পানির শেয়ার বিক্রয় হতে প্রাপ্ত অর্থ।
প্রশ্ন-৫. ব্যাংক তহবিল গঠন প্রক্রিয়ার সমীকরণ কী?
উত্তর: ব্যাংক তহবিল গঠন প্রক্রিয়ার সমীকরণ হলো: ব্যাংক তহবিল = বাহ্যিক ঋণকৃত তহবিল + অভ্যন্তরীণ তহবিল।
প্রশ্ন-৬. ব্যাংকের জীবনীশক্তির মূল উৎস কী?
উত্তর: ব্যাংকের জীবনীশক্তির মূল উৎস হলো আমানত।
প্রশ্ন-৭. স্বল্পমেয়াদি ঋণকৃত তহবিল কী?
উত্তর: সাধারণত ব্যাংক বাহ্যিক উৎস (যেমন: আমানত হিসেবে সংগৃহীত অর্থ, মুদ্রাবাজার থেকে গৃহীত ঋণ প্রভৃতি) হতে স্বল্পমেয়াদে যে তহবিল সংগ্রহ করে তাকে স্বল্পমেয়াদি ঋণকৃত তহবিল বলে।
প্রশ্ন-৮. ব্যাংকের স্বল্পমেয়াদি ঋণকৃত তহবিলের উৎস কী?
উত্তর: আমানত হিসেবে সংগৃহীত ঋণ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক হতে সংগৃহীত ঋণ, মুদ্রাবাজার হতে সংগৃহীত ঋণ এবং ব্যাংক দলিলের মাধ্যমে সংগৃহীত ঋণ ব্যাংকের স্বল্পমেয়াদি ঋণকৃত তহবিলের উৎস।
প্রশ্ন-৯. ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি তহবিল কী?
উত্তর: ব্যাংক যে উৎস হতে দীর্ঘমেয়াদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করে তাকে ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি তহবিল বলে। ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের উৎসগুলো হলো পরিশোধিত মূলধন, সঞ্চিতি তহবিল, বিশেষ আমানত হিসাব, ঋণপত্র বা সিকিউরিটিজ বিক্রয় ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১০. ইক্যুইটি মূলধন বা Owners Equity কী?
উত্তর: ইক্যুইটি মূলধন বা Owners Equity বলতে ব্যাংকের মালিক বা স্টক বা শেয়ারহোল্ডারগণ যে তহবিলের যোগান দিয়ে থাকেন তাকে বোঝায়।
প্রশ্ন-১১. পরিশোধিত মূলধন কী?
উত্তর: ব্যাংক তার শেয়ার বিক্রি করে যে মূলধন সংগ্রহ করে তাকেই পরিশোধিত মূলধন বা Paid-up Capital বলে।
প্রশ্ন-১২. সঞ্চিতি তহবিল কী?
উত্তর: ব্যাংক তার অর্জিত মুনাফা বা নিট আয়ের সবটুকু শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ আকারে বণ্টন না করে যে পরিমাণ অর্থ সংরক্ষিত আয় হিসেবে কোম্পানিতে রেখে দেয় তাকে সঞ্চিতি তহবিল বা জবংবৎাব ঋঁহফ বলে।
প্রশ্ন-১৩. সঞ্চিতি তহবিলের আরেক নাম কী?
উত্তর: সঞ্চিতি তহবিলের আরেক নাম অভ্যন্তরীণ ইক্যুইটি।
প্রশ্ন-১৪. সংরক্ষিত মুনাফা কী?
উত্তর: কোম্পানি অর্জিত আয়ের যে অংশ ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ বা ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য অবণ্টিত রাখে তাকে সংরক্ষিত মুনাফা বলে।
প্রশ্ন-১৫. সাধারণ রিজার্ভ কী?
উত্তর: ব্যাংক তার অর্জিত মুনাফার অংশ বিশেষ জমা হিসেবে রেখে যে ফান্ড গঠন করে তাকে সাধারণ রিজার্ভ বলে।
প্রশ্ন-১৬. স্বল্পমেয়াদি ঋণ কী?
উত্তর: সাধারণত ১ বছরের কম সময়ের জন্য যে ঋণ প্রদান করা হয় তাকে স্বল্পমেয়াদি ঋণ বলে। নগদ ঋণ, জমাতিরিক্ত ঋণ, চাহিবামাত্র প্রদেয় ঋণ প্রভৃতি এই ধরনের ঋণের উদাহরণ।
প্রশ্ন-১৭. মধ্যমেয়াদি ঋণ কী?
উত্তর: ১ বছর থেকে ৫ বছরের সময়ের জন্য যে ঋণ প্রদান করা হয় তাকে মধ্যমেয়াদি ঋণ বলা হয়। সাধারণত স্থাবর সম্পত্তি জামানতের বিপরীতে ব্যাংক বাণিজ্যিক ও অ-বাণিজ্যিক খাতে এই ঋণ মঞ্জুর করে। তুলনামূলকভাবে এর সুদের হার অধিক হয়।
প্রশ্ন-১৮. দীর্ঘমেয়াদি ঋণ কী?
উত্তর: সাধারণত ৫ বছর বা তার অধিক মেয়াদের জন্য যে ঋণ প্রদান করা হয় তাকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বলে। মিল-কারখানা নির্মাণ, গৃহ নির্মাণ, জমি ও যন্ত্রপাতি ক্রয় ইত্যাদি খাতে ব্যাংক এই ধরনের ঋণ মঞ্জুর করে। স্থাবর সম্পত্তি বšধক রেখে এরূপ ঋণ প্রদত্ত হয়।
প্রশ্ন-১৯. ধার বা ঋণ কী?
উত্তর: ব্যাংক সুনির্দিষ্ট জামানতের বিপরীতে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যে অর্থ প্রদান করে তাকে ধার বা ঋণ বলা হয়।
প্রশ্ন-২০. নগদ ঋণ কী?
উত্তর: যে ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যাংক তার মক্কেলকে অগ্রিম ঋণ মঞ্জুর করে, কিন্তু সরাসরি নগদে সেই টাকা উত্তোলনের অনুমতি দেয় না তাকে নগদ ঋণ বলে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্ন-১. ব্যাংক কীভাবে ঋণের মাধ্যমে তহবিল গঠন করে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ব্যাংক প্রধানত আমানতকারীর নিকট থেকে তাদের জমাকৃত অর্থ সংগ্রহ করে, যা ব্যাংকের জন্য ঋণ। এছাড়া ব্যাংক বিভিন্ন উৎস থেকে সরাসরি ঋণ গ্রহণ করে তহবিল গঠন করে। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে গৃহীত ঋণ, মুদ্রাবাজার ঋণ, ব্যাংক দলিল (আমানত সনদ, সেভিংস বন্ড)-এর মাধ্যমে গৃহীত ঋণ প্রভৃতি। এই সকল উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ব্যাংক সাধারণত তহবিল গঠন করে থাকে।
প্রশ্ন-২. ঋণ মঞ্জুরের কালে গ্রাহকের চরিত্র বিবেচনা করতে হয় কেন? ব্যাখ্যা করো। [রা. বো. ১৭]
উত্তর: ঋণের অর্থ ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তার জন্য ব্যাংক ঋণ মঞ্জুরে ঋণগ্রহীতার চরিত্র বিবেচনা করে। যদি ঋণ গ্রহীতার অতীত গৃহীত ঋণ পরিশোধ ঝামেলাপূর্ণ হয় তবে তা নতুন আবেদনকৃত ব্যাংক ঋণকে সমস্যাগ্রস্ত ঋণে পরিণত করতে পারে। অর্থাৎ ঋণগ্রহীতার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বিচারে ব্যাংক ঋণ মঞ্জুরের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।
প্রশ্ন-৩. ‘জামানতের রক্ষাকবচ হলো বিমা’ – ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: বিমা করা থাকলে জামানতকৃত সম্পদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত থাকে। তাই জামানতের রক্ষাকবচ হিসেবে বিমাকে গণ্য করা হয়। ব্যাংক প্রদত্ব ঋর্ণ আদায়ে ব্যর্থ হলে জামানতকৃত সম্পদ বিক্রি করে তা আদায় করে থাকে। কিন্তু কোনো কারণে ঐ সম্পত্তি বা পণ্য হারিয়ে গেলে বা ধ্বংস হলে সেই জামানত থেকে ব্যাংক ঋণ আদায় করতে পারে না। কিন্তু বিমাকৃত জামানতের ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণ আদায় করতে পারে। তাই জানামতের রক্ষাকবচ হলো বিমা।
প্রশ্ন-৪. অব্যক্তিক জামানত বলতে কী বুঝ? [দি. বো. ১৭]
উত্তর: ব্যাংক যখন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি জামানত রেখে ঋণ মঞ্জুর করে তখন ঐ জামানতকে অব্যক্তিক জামানত বলে। ঋণগ্রহীতা এ পর্যায়ে জমি, দালানকোঠা, পণ্যদ্রব্য ইত্যাদি জামানত হিসেবে প্রদানের মাধ্যমে ঋণগ্রহণের সুযোগ পায়। এ ধরনের জামানত গ্রহণ ব্যাংকের জন্য অধিকতর নিরাপদ। ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধ না করলে প্রয়োজনে এ ধরনের জামানত বিক্রয় করে ব্যাংক ঋণের অর্থ আদায় করতে পারে।
প্রশ্ন-৫. ব্যাংক কখন অতিরিক্ত জামানত গ্রহণ করে? ব্যাখ্যা করো। [ঢা. বো. ১৬]
উত্তর: ঋণগ্রহীতা মূল জামানতের সাথে যে অতিরিক্ত সম্পত্তি বা গুরুত্বপূর্ণ দলিল জামানত হিসেবে ব্যাংকে প্রদান করে সেগুলোই হলো অতিরিক্ত জামানত। অতিরিক্ত জামানত সাধারণত অব্যক্তিক (ব্যক্তির সুনাম, আর্থিক অবস্থা) হয়ে থাকে। কোনো ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাংক অতিরিক্ত ঝুঁকি অনুভব করলে কেবল সেই ক্ষেত্রে ব্যাংকটি অতিরিক্ত জামানত গ্রহণ করে থাকে। কারণ মূল জামানত বিক্র্রি করে সম্পূর্ণ অর্থ আদায় সম্ভব না হলে ব্যাংক অতিরিক্ত জামানত থেকে ঋণ আদায়ের চেষ্টা করে থাকে।
প্রশ্ন-৬. ভোগ্যপণ্য ক্রয়ের জন্য ঋণদানে কোন ধরনের জামানত দিতে হয়? বুঝিয়ে লিখ। [কু. বো. ১৭]
উত্তর: ভোগ্যপণ্য ক্রয়ের জন্য ঋণ গ্রহণে ব্যক্তিগত জামানত গুরুত্বপূর্ণ। ঋণ গ্রহণের সময় ঋণগ্রহীতা ঋণের বন্ধক হিসেবে কোনো প্রকার স্থাবর সম্পত্তি জামানত না দিয়ে কেবল নিজস্ব বা তৃতীয় পক্ষের নিশ্চয়তা প্রদান করে ব্যক্তিগত জামানতে। আর এ ধরনের ব্যক্তিগত জামানত ব্যাংক হতে ভোক্তা ঋণ গ্রহণে সহায়ক।
প্রশ্ন-৭. সব ঋণে জামানত বাধ্যতামূলক নয় কেন? ব্যাখ্যা করো। [য. বো. ১৬]
উত্তর: ঝুঁকিগত তারতম্যের কারণে সব ধরনের ঋণে জামানতের প্রয়োজন হয় না। সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি ও মধ্যমেয়াদি ঋণগুলো খেলাপী ঋণে (Defaulted Loans) পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হওয়ায় এই ঋণের ঝুঁকি ও সুদের হার উভয়ই বেশি হয়। এই ঝুঁকি হ্রাসকরণে তথা ঋণদানকৃত অর্থের ফেরত প্রাপ্তির নিশ্চয়তার জন্য ব্যাংক জামানত গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু স্বল্পমেয়াদি ঋণের ঝুঁকি ও খেলাপী হওয়ার সম্ভাবনা দীর্ঘ ও মধ্যমমেয়াদি ঋণ অপেক্ষা তুলনামূলক কম হওয়ায় ব্যাংক প্রায়ই জামানত ব্যতীত এই ধরনের ঋণ মঞ্জুর করে থাকে। ব্যাংক জমাতিরিক্ত ঋণ হলো স্বল্পমেয়াদি ঋণের উত্তম উদাহরণ যাতে জামানতের প্রয়োজন হয় না। তাই বলা যায়, সব ঋণে জামানত বাধ্যতামূলক নয়।
►► আরো দেখো: এইচএসসি অন্যান্য বিষয়ের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
উপরে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র ৭ম অধ্যায় ডাউনলোড করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post