ফুটবল খেলোয়াড় কবিতার প্রশ্ন উত্তর : এক মজার বন্ধুর কথা বলা হয়েছে এই কবিতায়। জাত খেলোয়াড় ইমদাদ হক। খেলা এবং খেলায় জেতাই তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। নিজের অবস্থা যেমনই হোক না কেন খেলা-পাগল সে, খেলবেই। খেলতে গিয়ে ইমদাদ কত শত আঘাত পায়। তবু সেসব কষ্টকে পরোয়া না করে সে খেলে এবং তার জন্যই খেলায় জিত আসে।
সকল দর্শক খেলার আনন্দ তার জন্যই পায়। এই কবিতায় খেলাচ্ছলে একটি আদর্শকে তুলে ধরা হয়েছে। তা হলো, নিজের যতটুকু যোগ্যতা তার সবটুকু দিয়ে মানুষ যদি একান্তভাবে কিছু করে, তবে অন্য সকলের জন্যও সে বড় কিছু করতে পারে।
ফুটবল খেলোয়াড় কবিতার প্রশ্ন উত্তর
২. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
ক্ষত, পটি, মালিশ, ড্রিবলিং, বজ্র, কোলাহলকল, মহাকলরব।
- ক্ষত—শরীরের কাটা স্থান বা আঘাত পাওয়া স্থান।
- পটি—কাপড়ের লম্বা টুকরা। এটা দিয়ে শরীরের কোনো স্থান বাঁধা থাকে, পট্টি।
- মালিশ—যে ওষুধ চেপে-চেপে শরীরে লাগাতে হয়।
- ড্রিবলিং—এটা ফুটবল খেলার একটি কৌশল। ইংরেজি উৎরননষব শব্দের অর্থ হলো পায়ে-পায়ে বল গড়িয়ে নিয়ে কৌশলে বল কাটিয়ে নিয়ে যাওয়া।
- বজ্র—ভীষণ শব্দ করে ঝড়ের আকাশে বিদ্যুৎ প্রকাশ পাওয়া, বাজ।
- কোলাহলকল—কোলাহল হলো অনেক মানুষের শোরগোল, গোলমাল আর ‘কল’ বলতে বোঝায় মানুষের গলার সুন্দর আওয়াজ। এখানে খেলায় সকলে একসঙ্গে গোল-
- গোল চিৎকার করলে বেশ ভালো শোনায় বলে ‘কোলাহলকল’ বলা হয়েছে।
- মহাকলরব—কলরব শব্দের অর্থ অনেক মানুষের গলায় এক সাথে চেঁচামেচি, আওয়াজ। মহাকলরব অর্থ হয় ভীষণ চিৎকার, চেঁচামেচি।
৩. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
বজ্র পটি মালিশের ক্ষত মহাকলরব
ক. ইমদাদ হকের শরীরে অনেক আঘাতের রয়েছে।
খ. সন্ধ্যাবেলায় পায়ে হাতে বাঁধে সে।
গ. খেলায় জিতে দর্শকেরা করে ফিরে যাচ্ছে।
ঘ. টেবিলের উপর শিশিগুলো রাখা আছে।
ঙ. পড়ার শব্দে শিশুটির ঘুম ভেঙে গেল।
উত্তর : ক. ক্ষত; খ. পটি; গ. মহাকলরব; ঘ. মালিশের; ঙ. বজ্র।
৪. প্রশ্নগুলোর উত্তর জেনে নিই ও লিখি।
ক. প্রভাত বেলায় ফুটবল খেলোয়াড় ইমদাদ হকের বিছানা শূন্য পড়ে আছে কেন?
উত্তর : প্রভাত বেলায় ইমদাদ হক ঘুম থেকে উঠে বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। তাই তার বিছানা শূন্য পড়ে আছে।
খ. টেবিলের উপরে ছোট-বড় মালিশের শিশি কবিকে উপহাস করছে কেন?
উত্তর : ইমদাদ হক প্রতিদিন খেলতে গিয়ে অনেক আঘাত পায়। সারা রাত ক্ষতগুলোতে মালিশ লাগায়। বেদনায় কাতরায়। কবি ভাবেন ইমদাদ হক বুঝি ছয় মাসের জন্য পঙ্গু হয়ে গেল। কিন্তু সকাল বেলা গিয়ে দেখেন ইমদাদ হকের বিছানা খালি। মালিশের শিশিগুলো যেন তাঁকে অবাক হতে দেখে দাঁত বের করে হাসে।
গ. কবিতায় ইমদাদ হকের খেলা ও দর্শকের আনন্দপূর্ণ নানান অভিমতের বর্ণনা নিজের ভাষায় বলি ও লিখি।
উত্তর : ইমদাদ হক ফুটবল খেলায় অত্যন্ত দক্ষ। সে বল নিয়ে সবার আগে ছুটে চলে। কখনো বাঁ পায়ে ড্রিবলিং করে। কখনো ডান পায়ে ঠেলা মারে বলকে। ইমদাদ হকের গোলেই তার দল জয় পায়। দর্শকেরা ইমদাদ হকের অসাধারণ খেলা দেখে উচ্ছ্বসিত হয়। তারা চিৎকার করে তাকে উৎসাহ দেয়। ‘চালিয়ে যাও’, ‘আরো আগে যাও’ ‘মারো জোরে মারো’, ‘গোল গোল’ ইত্যাদি বলে তারা আনন্দ প্রকাশ করে।
৬. ইমদাদ হক সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লিখি।
উত্তর : নিচে ইমদাদ হক সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখা হলো—
১) ইমদাদ হক একজন ফুটবল খেলোয়াড়।
২) ফুটবল খেলা ও খেলায় জেতাই তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য।
৩) ফুটবল খেলতে গিয়ে অনেক শারীরিক আঘাত পেলেও সে খেলা ছাড়ে না।
৪) ইমদাদ হক প্রতিদিন বিছানায় শুয়ে ব্যথায় কাতরায়।
৫) ইমদাদ হক গোল করে তার দলকে জেতায়।
৭. কবিতাটি আবৃত্তি করি।
উত্তর : পাঠ্য বই থেকে কবির নামসহ কবিতাটি মুখস্থ করে শিক্ষকের সহায়তায় কবিতাটি আবৃত্তি কর।
৮. কর্ম-অনুশীলন।
ক) ‘আমার প্রিয় খেলা’ নিয়ে একটি রচনা লিখি।
খ) ফুটবল খেলা দেখতে যাওয়ার জন্য সাময়িক ছুটি চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট একটা আবেদনপত্র লিখি।
গ) নিচের ফরমটি খাতায়/কাগজে লিখে পূরণ করি।
আরও দেখো—পঞ্চম শ্রেণির বাংলা সকল গল্প-কবিতার প্রশ্ন উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের বাংলা বই থেকে ফুটবল খেলোয়াড় কবিতার প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ থাকবে। পিডিএফ ফরমেটে উত্তরমালা সংগ্রহের জন্য ‘Answer Sheet’ অপশনে ক্লিক করো। এছাড়াও বাংলা বইয়ের বহুনির্বাচনি, শূন্যস্থান, মিলকরণ ইত্যাদি প্রশ্নোত্তরের জন্য উপরের লিংকটি অনুসরণ করো।
Discussion about this post