ফুলের বিবাহ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর : বিয়ে-অনুষ্ঠান বাঙালির জীবনে, বিশেষ করে বাড়ির শিশু-কিশোর ও প্রতিবেশীদের মধ্যে অতীব আনন্দ নিয়ে আসে। এই অনুষ্ঠানে বর-কনে কেন্দ্রে থাকলেও বর-কনের মাতা-পিতা, কনের পড়শি নারীরা নানা মাঙ্গলিক ব্রতে সম্পৃক্ত থাকেন, ঘটকও থাকেন বিশেষভাবে যুক্ত। বিয়ে অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকেন এমন নানা ব্যক্তির পরিবর্তে বিভিন্ন ফুলের উল্লেখ করে অসাধারণ দক্ষতায় বঙ্কিমচন্দ্র বাঙালির গার্হস্থ্য একটি অনুষ্ঠানকে আরো আনন্দদায়ক করে এখানে উপস্থাপন করেছেন।
এখানে লেখক প্রকৃতিকে বাস্তব জীবনে উপস্থাপনে অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর এই রচনাভঙ্গি ও সাহিত্যবোধ বাংলা গদ্য সমাজ বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ‘ফুলের বিবাহ’ গদ্যটি কৌতূহলী ও পর্যবেক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে সহায়ক ।
ফুলের বিবাহ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন—১: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
মৌরি একদিন বাবার কাছে বায়না ধরে বোটানিক্যাল গার্ডেনে বেড়াতে যাবে। বাবা একদিন ওকে নিয়ে বেড়াতে গেলে সে ভীষণ খুশি হয়। নানা জাতের ফুল-ফলের গাছের সমারোহ দেখে সে অভিভূত হয়ে যায়। দীর্ঘদিন সে যেসব ফুল-ফলের নাম শুনেছে সেগুলো আজ নিজ চোখে দেখে খুবই আনন্দিত হয়। অবশেষে সিদ্ধান্ত নেয় বাড়ির আঙিনায় ছোট্ট একটা বাগান করবে।
ক. ‘ফুলের বিবাহ’ গল্পে কে ঘটকের দায়িত্ব পালন করে?
খ. ক্ষুদ্র বৃক্ষটি কেন বিরক্ত হয়েছিল?
গ. উদ্দীপকের মৌরির ভালোলাগার বিষয়ের সঙ্গে ‘ফুলের বিবাহ’ গল্পের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “মৌরির মাঝে সৃষ্ট প্রতিক্রিয়াই যেন ‘ফুলের বিবাহ’ গল্পের মূল চেতনা।”—যুক্তিসহ বুঝিয়ে লিখ।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘ফুলের বিবাহ’ গল্পে ভ্রমর ঘটকের দায়িত্ব পালন করে। সে মল্লিকা ফুলের জন্য বর খুঁজে আনে এবং গোলাব ফুলের সঙ্গে মল্লিকার বিবাহের ব্যবস্থা করে।
খ. ক্ষুদ্র বৃক্ষটি বিরক্ত হয়েছিল কারণ ভ্রমর ঘটকালির কাজে নগদ অর্থ বা মধু আগাম চাওয়ার মতো কথাবার্তা বলছিল। এছাড়া, ভ্রমর কন্যার গুণের পরিবর্তে নিজের লাভের দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছিল, যা ক্ষুদ্র বৃক্ষের কাছে অযথা সময় নষ্টের মতো মনে হয়েছিল। এজন্য সে বিরক্ত হয়ে সরাসরি বরের বিষয়ে জানতে চায়।
গ. উদ্দীপকের মৌরি ফুল-ফলের গাছ দেখে অভিভূত হয়ে গভীর আনন্দ অনুভব করে। দীর্ঘদিন সে যেসব ফুল-ফলের নাম শুনেছে, সেগুলো বাস্তবে দেখে তার মনে প্রবল উচ্ছ্বাস জাগে। সে সিদ্ধান্ত নেয় বাড়ির আঙিনায় একটি ছোট্ট বাগান তৈরি করবে, যেখানে ফুল-ফল তার আনন্দের সঙ্গী হয়ে থাকবে। এটি তার প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা, আকর্ষণ এবং সৃজনশীল মনোভাবের পরিচায়ক।
‘ফুলের বিবাহ’ গল্পেও প্রকৃতি ও ফুলের প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রকাশ ঘটেছে। গল্পের কল্পিত বিবাহের মাধ্যমে ফুল, ভ্রমর, পাতা ও বাতাসকে জীবন্ত চরিত্রে পরিণত করা হয়েছে। এতে প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদানকে বর্ণনামূলকভাবে প্রাণবন্ত করা হয়েছে, যা পাঠকের মনে আনন্দ ও প্রকৃতির প্রতি গভীর আকর্ষণ সৃষ্টি করে।
উদ্দীপকের মৌরির ভালোলাগা ও গল্পের মধ্যে সাদৃশ্যপূর্ণ দিক হলোÑউভয় ক্ষেত্রেই ফুল ও প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা এবং মুগ্ধতা প্রকাশ পেয়েছে। উদ্দীপকে মৌরি ফুলের বাস্তব রূপ দেখে আনন্দ পায়, আর গল্পে ফুলের সৌন্দর্য কল্পনার রঙে রাঙিয়ে মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসা জাগিয়ে তোলে। প্রকৃতির প্রতি এই অনুভূতি মানুষের মনকে শান্তি দেয় এবং তাকে সৃষ্টির প্রতি আকৃষ্ট করে।
ঘ. মৌরির মাঝে সৃষ্ট প্রতিক্রিয়াই প্রকৃতপক্ষে ‘ফুলের বিবাহ’ গল্পের মূল চেতনার সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ।
মৌরি যখন বোটানিক্যাল গার্ডেনে বিভিন্ন ফুল-ফলের গাছ দেখে, তখন তার মনে আনন্দ ও মুগ্ধতা সৃষ্টি হয়। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য তাকে এতটাই অনুপ্রাণিত করে যে, সে নিজের বাড়িতে একটি ছোট্ট বাগান করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই ভালোলাগা এবং সৃজনশীল পরিকল্পনা প্রকৃতির প্রতি তার ভালোবাসার গভীরতা প্রকাশ করে।
‘ফুলের বিবাহ’ গল্পের মূল চেতনা প্রকৃতির সৌন্দর্যকে জীবন্ত ও কল্পনার ছোঁয়ায় আরও মধুর করে তোলা। গল্পে দেখা যায়, ফুল, গাছ, ভ্রমর, বাতাস প্রভৃতি প্রকৃতির উপাদানগুলোকে জীবন্ত চরিত্রে রূপদান করা হয়েছে। গল্পটি প্রকৃতির রূপ-গুণকে কেন্দ্র করে আবর্তিত, যেখানে ফুলের রূপ, সৌন্দর্য এবং ঘ্রাণ নিয়ে একটি কল্পিত বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এটি প্রকৃতির প্রতি মানুষের আবেগ, ভালোবাসা এবং কল্পনার জগৎকে তুলে ধরে।
মৌরির অভিজ্ঞতা এই চেতনাকেই বাস্তব রূপ দেয়। প্রকৃতির সঙ্গে সরাসরি সংস্পর্শে এসে সে অনুভব করে প্রকৃতির বিশালত্ব ও মাধুর্য। এই আনন্দ তাকে নতুন কিছু সৃষ্টির অনুপ্রেরণা দেয়, যা প্রকৃতিকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে ভালোবাসার প্রতীক।
তাই বলা যায়, মৌরির প্রতিক্রিয়া প্রকৃতি এবং ফুলের প্রতি মানুষের গভীর ভালোবাসা এবং সৃষ্টিশীল মনোভাবের একটি বাস্তব চিত্র, যা ‘ফুলের বিবাহ’ গল্পের কল্পনার চেতনাকেই জীবন্ত করে তোলে।
সৃজনশীল প্রশ্ন—২: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
এখন নিরুপমার বিবাহের প্রস্তাব চলিতেছে। তাহার পিতা রামসুন্দর মিত্র অনেক খোঁজ করেন কিন্তু পাত্র কিছুতেই মনের মতোন হয় না। অবশেষে মস্ত এক রায়বাহাদুরের ঘরের একমাত্র ছেলেকে সন্ধান করিয়া বাহির করিয়াছেন। উক্ত রায়বাহাদুরের পৈতৃক বিষয়-আশয় যদিও অনেক হ্রাস হইয়া আসিয়াছে কিন্তু বনেদি ঘর বটে। বরপক্ষ হইতে দশ হাজার টাকা পণ এবং বহুল দানসামগ্রী চাহিয়া বসিল। রামসুন্দর কিছুমাত্র বিবেচনা না করিয়া তাহাতেই সম্মত হইলেন; এমন পাত্র কোনোমতে হাতছাড়া করা যায় না।
ক. ‘ফুলের বিবাহ’ গল্পে লেখক কোন মাসে একটি বিয়ে দেখেছিলেন?
খ. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘ফুলের বিবাহ’ কেন রচনা করেছেন?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘ফুলের বিবাহ’ গল্পের সাদৃশ্য বর্ণনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকে প্রতিফলিত ভাব ‘ফুলের বিবাহ’ গল্পের সামগ্রিক ভাবকে নয়, বরং আংশিক ভাবকে ধারণ করেছে।”—তোমার মতামত তুলে ধরো।
২ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘ফুলের বিবাহ’ গল্পে লেখক বৈশাখ মাসে একটি বিয়ে দেখেছিলেন।
খ. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ভবিষ্যৎ বর-কন্যাদের জন্য ‘ফুলের বিবাহ’ রচনা করেছেন।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বৈশাখ মাসের একদিন নসী বাবুর ফুলবাগানে বসে কল্পনায় নিমজ্জিত হন। কল্পনায় তিনি একটি মল্লিকা ফুলের বিবাহ দেখতে পান। সেই বিবাহের রীতিনীতি, প্রথা সকল কিছুই বাঙালি গার্হস্থ্য-জীবনের অনুরূপ। তিনি বিয়ের জন্য সুপাত্রের সন্ধান, ঘটকালি, পণপ্রথা, বিবাহযাত্রা, বিয়েবাড়ির অবস্থা, মেয়েলি আচার-অনুষ্ঠান সর্বোপরি বাঙালি সমাজের বিয়ের সমস্ত রীতিনীতি মল্লিকা ফুলের বিয়েকে কেন্দ্র করে হাস্যরসাত্মকভাবে তুলে ধরেছেন।
বিয়ে বাঙালি সমাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রথা। বাঙালি সমাজের এই রীতি সম্পর্কে সকলকে জানানোর জন্য ‘ভবিষ্যৎ বরকন্যাদিগের শিক্ষার্থে’ ‘ফুলের বিবাহ’ গল্পটি রচনা করেছেন।
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘ফুলের বিবাহ’ গল্পের পিতার কন্যাকে পাত্রস্থ করার প্রচেষ্টার দিকটির সাথে সাদৃশ্য রয়েছে।
উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই নিরুপমার বিয়ের প্রস্তাব চলছে। তার পিতা রামসুন্দর মিত্র সুপাত্রের সন্ধান করছেন, কিন্তু মনের মতোন পাত্র খুঁজে পাচ্ছেন না। অবশেষে রায়বাহাদুরের ছেলেকে খুঁজে বের করেছেন। দশ হাজার টাকা পণ চাওয়া সত্ত্বেও রামসুন্দর মিত্র রাজি হয়ে গেলেন।
অন্যদিকে ‘ফুলের বিবাহ’ গল্পেও মল্লিকা ফুলের বিয়ের সম্বন্ধ চলছিল। কন্যার পিতা ক্ষুদ্র বৃক্ষ মেয়ের জন্য উপযুক্ত পাত্র খুঁজছিলেন কিন্তু পাচ্ছিল না। উদ্যানের রাজা স্থলপদ্ম উঁচু বংশের, তাই তার সাথে বিয়ের আলাপ এগোয়নি। জবার অসম্মতি ছিল না, তবে জবা বড়ো রাগী, গন্ধরাজ পাত্র ভালো হলেও দেমাকি। এভাবে কন্যার পিতা কেবল পিছিয়ে আসছিলেন ভ্রমরের ঘটকালিতে অবশেষে সুপাত্র গোলাপকে পাওয়া গেল। মধু পণ দিতেও কন্যার পিতা ক্ষুদ্র বৃক্ষের আপত্তি ছিল না। অর্থাৎ পাত্র ভালো হওয়া চাই।
ঘ. উদ্দীপকে বাঙালি বিয়েতে কন্যার পিতার ত্যাগ, প্রচেষ্টা এবং বাঙালি বিয়ের একটি অংশ পণপ্রথার দিকটি ধারণ করেছে, ‘ফুলের বিবাহ’ গল্পের সামগ্রিক ভাবকে নয়।
উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই নিরুপমার বিয়ে প্রস্তাব চলছে। তাকে সুপাত্রে দান করার জন্য পিতা রামসুন্দর মিত্র বদ্ধপরিকর। অনেক অনুসন্ধান করে দশ হাজার টাকা পণ চাওয়া সত্ত্বেও বনেদি ঘরে কন্যার বিয়ে ঠিক করলেন। অর্থাৎ পাত্র সুপাত্র হওয়ায় পণ দেওয়াতেও তার আপত্তি নেই।
অন্যদিকে ‘ফুলের বিবাহ’ গল্পেও আমরা একই ব্যাপার লক্ষ করেছি। অনেক অনুসন্ধানের পর মল্লিকা ফুলের জন্য সুপাত্র পাওয়া গেল। পাত্র গোলাপ, বড়ো কুলীন বংশ। পাত্র ভালো হওয়া সাপেক্ষে কন্যার পিতা ক্ষুদ্র বৃক্ষ পণ দিতেও রাজি। তবে এটুকুই গল্পটির মূলভাব নয়। রচনাটিতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কাল্পনিক ফুলের বিবাহকে অবলম্বন করে বাঙালি সমাজের বিয়ের নানা আচার, রীতিনীতি, মাঙ্গলিক ব্রত ইত্যাদি তুলে ধরেছেন। এসবের ক্ষুদ্র একটি অংশবিশেষ উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে। এছাড়াও ‘ফুলের বিবাহ’ গল্পে লেখকের দার্শনিক চেতনাও যুক্ত হয়েছে বাস্তব কল্পনার সূত্রে।
সুতরাং আমরা বলতে পারি, উদ্দীপকে প্রতিফলিত ভাব ‘ফুলের বিবাহ’ গল্পের সামগ্রিক ভাবকে নয়, বরং আংশিক ভাবকে ধারণ করেছে।
সৃজনশীল প্রশ্ন—৩: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না। তিনি দেখিলেন মেয়েটির বিবাহের বয়স পার হইয়া গিয়াছে কিন্তু আর কিছুদিন গেলে সেটাকে ভদ্র বা অভদ্র কোনো রকমে চাপা দিবার সময়টাও পার হইয়া যাইবে। মেয়ের বয়স অবৈধ রকমে বাড়িয়া গেছে বটে, কিন্তু পণের টাকার আপেক্ষিক গুরুত্ব এখনো তাহার চেয়ে কিঞ্চিৎ উপরে আছে, সেইজন্যই তাড়া।
ক. গোলাপের গৌরব অধিক কেন?
খ. ‘ফুলের বিবাহ’ গল্পে কন্যার পিতার অবস্থা সম্পর্কে লেখো।
গ. উদ্দীপকে ‘ফুলের বিবাহ’ গল্পের কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? বর্ণনা করো।
ঘ. উদ্দীপকের কন্যা ও ‘ফুলের বিবাহ’ গল্পের মল্লিকা ফুলকে একসূত্রে গাঁথা যায় কি? যুক্তিসহ প্রমাণ করো।
আরও দেখো— নবম দশম শ্রেণির বাংলা সকল গল্প-কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের বাংলা মূল বই থেকে ফুলের বিবাহ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও তোমাদের পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত বেশকিছু সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। এ প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ থাকবে। পিডিএফ ফরমেটে উত্তরমালা সংগ্রহের জন্য ‘Answer Sheet’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post