ফেমিকন পিল হলো বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় জন্ম নিয়ন্ত্রণ ঔষধ। ফেমিকন পিলের অপকারিতা কম ও অধিক কার্যকরি হওয়ার কারণে জনপ্রিয়তা এতটা বেশী। ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী খেলে গর্ভধারণ রোধ করার সম্ভাবনা ৯৯.৯৯%।
পিল খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী খেলে এই পিল কাজ করার সম্ভাবনা সর্বাধিক। ঠিক তেমনই খাওয়ার নিয়মের ব্যতিক্রম হলে গর্ভধারণ রোধ করা সম্ভব নয়। অনেক সময় পিল খাওয়ার নিয়মের ব্যতিক্রমের কারণে শরীরে পিলের স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা তৈরি হয়। নিয়ম অনুযায়ী খেলে এই পিল খুবই উপকারি। আবার অনিয়ম করলে হতে পারে শারীরিক সমস্যাও।
ফেমিকন পিল খাওয়ার অনিয়ম করলে শরীরের ক্ষতি হয়। এর মূল কারণ হচ্ছে পিলের ভীতরে থাকা নরজেস্ট্রেল ও ইথিলিন ইস্ট্রাডিওল হরমোন। এই উপাদানগুলো অতিমাত্রায় গ্রহণ করলে শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলে। নিয়ম অনুযায়ী না খেলে আস্তে আস্তে শরীরে রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে।
ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম
সব ধরনের পিল খাওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হলে এই পিল উপকারের বদলে ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই সকলের উচিত জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়ার নিয়ম জেনে পিল খাওয়া শুরু করা। ফেমিকন পিলে মোট ২৮টি ঔষধ রয়েছে। ২১টি সাদা ঔষধ ও ৭টি খয়েরি ঔষধ। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন রঙ্গের পিল কীভাবে খেতে হবে।
১. মাসির শুরু হওয়ার ১ম হতে ৫ম দিনের মধ্যে ফেমিকন পিল খাওয়া শুরু করতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় ১ম হতে ২য় দিনের মধ্যে শুরু করলে।
২. ফেমিকন পিলের পাতায় দেওয়া দিকনির্দেশনা (তীর চিহ্ন) অনুযায়ী সাদা পিল খাওয়া শুরু করতে হবে।
৩. প্রতিদিন একই সময়ে একটি করে পিল পানি দিয়ে গিলে খেতে হবে। এভাবে ২১দিনে, ২১টি সাদা পিল খেয়ে শেষ করতে হবে।
৪. সাদা পিল খাওয়া শেষ হলে দৈনিক ১টি করে খয়েরি বা বাদামী পিল খাওয়া শুরু করতে হবে। এভাবে ৭ দিনে, ৭টি পিল খেয়ে শেষ করতে হবে।
৫. খয়েরি পিল খাওয়াকালীন মাসিক শুরু হতে পারে। ৭টি খয়েরি বড়ি খাওয়া শেষ করার পরে মাসিক শুরু হলে কিংবা না হলেও আবার নতুন পিলের পাতা খাওয়া শুরু করে দিতে হবে। যতদিন পর্যন্ত বাচ্চা নিতে চান না ততদিন পর্যন্ত এভাবে খেতে থাকুন।
সবশেষে যা জানা দরকার
ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী খেলে এই পিল খুবই উপকারি। আবার খাওয়ার অনিয়ম করলে হতে পারে ছোট হতে বড় কোন ধরনের সমস্যাও। সেজন্য পিল খাওয়া কীভাবে শুরু করবেন, কীভাবে খাওয়া চলমান রাখবেন ও কীভাবে শেষ করবেন তা জানার পরেই পিল খাওয়া শুরু করা উচিত। নয়তো, সঠিক নিয়ম না জানার কারণে তা শারীরিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
Discussion about this post