ফেসবুকে ওয়েবসাইটের লিংক ব্লক : নতুন ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা ভিজিটর নেয়ার অন্যতম প্রধান মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। কারণ, একটি নতুন ওয়েবসাইটের পরিপূর্ণ এসএইও হতে অনেক সময় লাগে। আর এ সময়টিতে গুগল থেকে সাধারণত কম ট্রাফিকই এসে থাকে। এজন্য আমরা সর্বদা চেষ্টা করি ফেসবুকে আমাদের ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করে প্রাথমিক পর্যায়ে সেখান থেকে কিছু ভিজিটর নিয়ে আসার।
কিন্তু সমস্যার কথা এই যে, বিভিন্ন কারণে ফেসবুক ওয়েবসাইটের ডোমেইন বা লিংকটি তাদের ব্লকলিস্টের অন্তর্ভুক্ত করে দেয়। এর ফলে পরবর্তীতে ওই সাইটের লিংক ফেসবুকে আর শেয়ার করা যায় না। এতে করে আমরা ফেসবুক থেকে কাঙ্খিত ভিজিটর আমাদের ওয়েবসাইটে নিতে ব্যর্থ হই।
আজ আমরা আলোচনা করবো, কেন ফেসবুকে ডোমেইন ব্লক করে দেয়া হয়? আশা করি, এই লেখাটি পড়ে আপনি আপনার প্রিয় ওয়েবসাইটের লিংক ফেসবুকে ব্লক হওয়া থেকে বাঁচাতে পারবেন।
১. অতিরিক্ত লিংক শেয়ার করা
সাধারণ দৃষ্টিতে যখন কেউ কোন ওয়েবসাইট তৈরি করে, সেই ওয়েবসাইটের লিংক ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করে। গণহারে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট শেয়ার করলে ফেসবুকের আর্টিফিসাল ইনটিলিজেন্স আপনার লিংকটি স্পাম ভেবে ব্লক করে দেয়।
আর এভাবে ওয়েবসাইটের লিঙ্ক অতিরিক্ত ফেসবুকে শেয়ার করলে তা ব্লক হতে পারে। তবে এটিই যে একমাত্র কারণ, তা নয়। এছাড়াও আরো নানাবিধ কারণ রয়েছে।
২. ওয়েবসাইটে ভাইরাসযুক্ত থিম বা ক্রিপ্ট ব্যবহার
অনেকেই প্রথমাবস্থায় পারদর্শী বা সতর্ক না হওয়ায় ভাইরাসযুক্ত থিম বা পিএসপি স্ক্রিপ্ট তাদের ওয়েবসাইটে ব্যবহার করে থাকেন। এটা হতে পারে ডোমেইন ব্লকের অন্যতম কারণ।
৩. ওয়েবসাইটের ধরণ
অনেকেই আছেন এমন ধরনের ওয়েবসাইট ফেসবুকে প্রচার করে থাকেন, যেগুলো ফেসবুক অনুমতি দেয় না। অনলাইন মানি মেকিং, গ্যাম্বেলিং, ডেটিং বা পর্নোগ্রাফি এ ধরনের সাইট তার মধ্যে অন্যতম। তাই এসকল ওয়েসাইটের লিংক বা এড ফেসবুকে সাবমিট করলে ডোমেইন ব্লক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ।
৪. ডোমেইনের অতীত রেকর্ড
কিছু ডোমেইন নতুন কিনে ফেসবুকে পোস্ট করলেই ব্লক দেখায়। আপনি হয়তো অবাক হবেন এই ভেবে যে, নতুন ডোমেইন ব্লক হওয়ার কারণ কি? কিন্তু আপনি যদি আপনার কেন ওই ডোমেইনের অতীত রেকর্ড চেক করেন, তাহলে হয়তো দেখতে পাবেন যে, ওই ডোমেইনটি ইতোপূর্বে অন্য কেউ ব্যবহার করেছে। আর পবর্তীতে সে কোন ডোমেইন প্রোভাইডারের কাছে সেল করে দিয়েছে। যেখান থেকে আপনি ক্রয় করেছেন।
সুতরাং, পূর্বে ওই ডোমেইন ব্যবহারকারীর থেকেই ডোমেইনটি ফেসবুকে ব্লক ছিল। যার ফলে আপনিও একই সমস্যার মধ্যে পরেছেন। তাই বুঝতেই পারছেন, ফেসবুক কেন ডোমেইন ব্লক করে দেয়। তাই এগুলো মাথায় রেখে ওয়েবসাইট পরিচালনা করুন। একটা বিষয় খেয়াল করুন। বিভিন্ন ভেরিফাইড ডোমেইন, যেমন কোর্সটিকা, প্রথম আলো বা ইভ্যালী ইত্যাদি ওয়েবসাইট ফেসবুক কখনোই ব্লক করে না। কারণ, তারা ফেসবুক থেকে ভেরিফাইড।
আপনার ডোমেইনটি ফেসবুকে ভেরিফাইড কিনা, সেটি পরীক্ষা করু ফেসবুকের ডেভেলপার টুল থেকে। পাশাপাশি আপনার ব্যবহৃত ডোমেইনটি ইতোপূর্বে অন্য কেউ ব্যবহার করেছে কিনা, তার রেকর্ড জানুন এখান থেকে।
প্রিয় পাঠক, কোর্সটিকায় আপনি কোন বিষয়ে লেখা চান, তা জানিয়ে নিচে কমেন্ট করুন। ওয়েব ডিজাইন, ডেভেলপমেন্টে এবং ফ্রিল্যান্সিং শিখতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন এখান থেকে।
Discussion about this post