বন্দনা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : ‘বন্দনা’ পর্ব যথেষ্ট বড়, এখানে শুধু গুরুজনদের প্রতি বন্দনার অংশটুকু স্থান পেয়েছে। কবি তাঁর মূল কাব্যের প্রারম্ভে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর প্রশংসা করেছেন। সংকলিত এই কবিতাংশে জন্মদাতা পিতামাতার ও জ্ঞানদাতা শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
পিতামাতা অশেষ দুঃখকষ্ট স্বীকার করে পরম যত্নে সন্তানকে বড় করে তোলেন। শিক্ষক জ্ঞানদান করে তাকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন। তাই তাঁদের প্রতি অফুরন্ত শ্রদ্ধা দেখাতে হবে। কবি তাঁর কাব্য রচনায় সাফল্য লাভের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন। শ্রদ্ধাবোধ ও কৃতজ্ঞতা মনুষ্যত্বের প্রধান ধর্ম। কবিতাংশে তা-ই প্রকাশিত হয়েছে।
বন্দনা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন—১: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
বায়েজিদ বোস্তামির মা এক রাতে পানি খেতে চান। ঘরে পানি না থাকায় তা বাহির থেকে সংগ্রহ করে ফিরে এসে দেখেন মা ঘুমিয়ে পড়েছেন। পানির পাত্র হাতে বায়েজিদ সারারাত মায়ের শিয়রে দাঁড়িয়ে থাকেন, যাতে ঘুম থেকে জাগলেই মাকে পানি দিতে পারেন। মা যেন পিপাসায় কষ্ট না পান।
ক. ‘বন্দনা’ কবিতায় পিতার চেয়েও কাকে বেশি শ্রদ্ধা দেখাতে বলা হয়েছে?
খ. ‘দোসর জন্ম’—বলতে কী বুঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের বায়েজিদের মাঝে ‘বন্দনা’ কবিতার যে দিক প্রকাশ পেয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘প্রকাশিত দিকটিই ‘বন্দনা’ কবিতার একমাত্র দিক নয়’—মন্তব্যটির পক্ষে তোমার যুক্তি দাও।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘বন্দনা’ কবিতায় পিতার চেয়েও মাকে বেশি শ্রদ্ধা দেখাতে বলা হয়েছে।
খ. দোসর অর্থ দ্বিতীয়। দোসর জন্ম অর্থ দ্বিতীয় জন্ম।
কবি জন্মদাতা পিতামাতার ও জ্ঞানদাতা শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। পিতামাতা অশেষ দুঃখকষ্ট স্বীকার করে পরম যতেœ সন্তানকে বড় করে তোলেন। শিক্ষক জ্ঞানদান করে তাকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন। তাই তাঁদের প্রতি অফুরন্ত শ্রদ্ধা দেখাতে হবে। তাই শিক্ষক দোসর জন্ম দিয়ে থাকে।
গ. উদ্দীপকের বায়েজিদের মাঝে ‘বন্দনা’ কবিতার যে দিক প্রকাশ পেয়েছে হলো স্নেহময়ী মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
উদ্দীপকে বায়োজিতের মা পানি খেতে চান। পানি ঘরে না পাওয়ায় বায়োজিদ পানি আনতে যান। তারপরে দেখেন তার মা ঘুমিয়ে পড়েন। তিনি তার মাকে ডাকলেন না। মায়ের কষ্ট যাতে না হয় সেজন্য বায়োজিদ তার মায়ের মাথার কাছে পানির গ্লাস ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। যেন ঘুম থেকে জাগলেই পানি দিতে পারেন। মা যেন পিপাসায় কষ্ট না পান। মা অনেক কষ্টে সন্তানদের লালন-পালন করে গড়ে তুলেন। মায়ের আদর যতœ ও পরিচর্যা লাভ করে শিশু ধীরে ধীরে মানুষ হয়ে ওঠে।
তাই আমাদের মায়ের এই কষ্টের প্রতিদান হিসেবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে এবং বৃদ্ধ বয়সে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে যেমনটা তারা শিশু এবং কৈশোর কালে করিয়েছেন। সাফল্য লাভের জন্য পিতা-মাতার কাছে দোয়া চাইতে হবে। শ্রদ্ধাবোধ ও কৃতজ্ঞতা মনুষ্যত্বের প্রধান ধর্ম।
ঘ. ‘প্রকাশিত দিকটিই ‘বন্দনা’ কবিতার একমাত্র দিক নয়’—মন্তব্যটির পক্ষে আমার যুক্তি হলো
উদ্দীপকে বায়োজিদ তার মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও মমতা প্রকাশ পেয়েছে। মা যেন কষ্ট না পায় এজন্য সারারাত মায়ের মাথার কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন পানির গ্লাস নিয়ে। কিন্তু বন্দনা কবিতায় কবি শুধু মায়ের কথাই বলেননি এখানে বলেছেন পিতা শিক্ষক এবং গুরুজনদের।বন্দনা’ পর্ব যথেষ্ট বড়, এখানে শুধু গুরুজনদের প্রতি বন্দনার অংশটুকু স্থান পেয়েছে। কবি তাঁর মূল কাব্যের প্রারম্ভে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর প্রশংসা করেছেন।
সংকলিত এই কবিতাংশে জন্মদাতা পিতামাতার ও জ্ঞানদাতা শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। পিতামাতা অশেষ দুঃখকষ্ট স্বীকার করে পরম যত্নে সন্তানকে বড় করে তোলেন। শিক্ষক জ্ঞানদান করে তাকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন। তাই তাঁদের প্রতি অফুরন্ত শ্রদ্ধা দেখাতে হবে। কবি তাঁর কাব্য রচনায় সাফল্য লাভের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন। শ্রদ্ধাবোধ ও কৃতজ্ঞতা মনুষ্যত্বের প্রধান ধর্ম। কবিতাংশে তা-ই প্রকাশিত হয়েছে। এজন্যই উদ্দীপকে প্রকাশিত দিকটিই ‘বন্দনা’ কবিতার একমাত্র দিক না।
আরও দেখো— নবম দশম শ্রেণির বাংলা সকল গল্প-কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের বাংলা মূল বই থেকে বন্দনা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও তোমাদের পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত বেশকিছু সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। এ প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ থাকবে। পিডিএফ ফরমেটে উত্তরমালা সংগ্রহের জন্য ‘Answer Sheet’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post