পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার সাথে সাথে মুসলিমদের রোজা শুরু হয়। রোজা দেওয়ার অনেক নিয়ম রয়েছে। সবগুলো জেনেই রোজা শুরু করা উচিত। বমি করলে কি রোজা ভেঙে যায় এই প্রশ্নটিও অনেকের মনে ঘুরপাক খায়। কেননা, রোজা ভাঙ্গার কারণ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ বমি হওয়া।
বমি হওয়া রোজা ভাঙ্গার অন্যতম একটি কারণ হলেও বমি হওয়ার সাথে সাথেই কি রোজা ভেঙে যাবে, কখন ও কীভাবে বমি হলে রোজা থাকবে, কীভাবে বমি হলে রোজা ভেঙে যাবে এবং কীভাবে বমি হলে রোজার কাফফারা দিতে হবে আজকে সেগুলোই জানবো।
ঈদুল ফিতর, শবে বরাত ও ঈদুল আযহায় মুসলমানদের রোজা রাখতে হয়। তাই রোজার নিয়ম, রোজার নিয়ত, ইফতারের দোয়া এগুলো জানার পরেই রোজা রাখা উচিত। নয়তো রোজা সঠিকভাবে আদায় সম্ভব হবে না।
বমি করলে কি রোজা ভেঙে যায়
রোজা অবস্থায় বমি করলে রোজা ভাঙবে কি না তা বমি কীভাবে হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে। বমি সাধারণত দু’ভাবে হয়। একটি হচ্ছে অনিচ্ছায় বমি অন্যটি হচ্ছে ইচ্ছাকৃত ভাবে।
অনিচ্ছায় বমি হলে কি রোজা ভাঙবে: অনিচ্ছায় অল্প বমি হোক কিংবা মুখ ভর্তি বমি হোক। কোনভাবেই রোজা ভাঙবে না। অনিচ্ছায় বমি হলে আপনি নিশ্চিত থাকুন আপনার রোজা ভাঙেনি।
অনিচ্ছায় বমি হওয়ার কারণে অনেকে রোজা রাখতে সক্ষম হয় না। অনিচ্ছায় বমি হওয়ার পর রোজা রাখতে সক্ষম না হলে রোজা ভেঙে ফেলা যাবে। এমতাবস্থায় রোজা ভেঙে ফেললে রোজার কাজা ওয়াজিব হবে। এভাবে রোজা ভাঙলে কাফফারা ওয়াজিব নয়।
অনিচ্ছায় বমি হওয়ার সময় অনেকে বমিটুকু গিলে ফেলেন। এমনটা করলে সেই রোজা সাথে সাথে ভেঙে যাবে।
ইচ্ছাকৃত ভাবে বমি করলে কি রোজা ভাঙবে: ইচ্ছাকৃত ভাবে বমি করলে রোজা ভেঙে যাবে। সেটা অল্প পরিমাণ বমি হোক কিংবা মুখ ভর্তি করে বমি হোক। ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে সেই রোজার কাজা ও কাফফারা দুটোই আদায় করে নিতে হবে।
শেষ কথা
কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী কখন ও কীভাবে বমি করলে কি রোজা ভেঙে যায় তা উপরে জানানো হলো। অনেকে ধরে নেন যে বমি হলেই রোজা ভেঙে গেলো, এমনটা নয়। বমি হওয়ার ধরনের উপর নির্ভর করে যে আপনার রোজা আছে কি নেই।
রোজা রাখা অবস্থায় বমি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। রোজা অবস্থায় যদি বমি হয়ে থাকে তাহলে রোজা অবস্থায় বমি হওয়ার মাসায়ালা’টি জেনে নিতে হবে। নয়তো আপনার রোজা আছে নাকি ভেঙে গেছে এই নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকবেন।
Discussion about this post