বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্লেষণমূলক রচনা pdf : ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সূচনা থেকেই বাংলাদেশ অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে আজকের দিনে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে সক্ষম। কয়েক দশক আগেও যেখানে বাংলাদেশ ছিল স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায়, আজ সেখানে দেশ ‘নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশ’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ২০২৪ সালের মধ্যে ‘মধ্যম আয়ের দেশ’-এ উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যও সামনে রয়েছে।
বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্লেষণমূলক রচনা
বিশ্লেষণমূলক রচনা: বাংলাদেশের অগ্রগতি
ভূমিকা: ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সূচনা থেকেই বাংলাদেশ অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে আজকের দিনে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে সক্ষম। কয়েক দশক আগেও যেখানে বাংলাদেশ ছিল স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায়, আজ সেখানে দেশ ‘নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশ’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ২০২৪ সালের মধ্যে ‘মধ্যম আয়ের দেশ’-এ উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যও সামনে রয়েছে।
শিক্ষাখাতে অর্জন
শিক্ষাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেবার জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো-শতভাগ ছাত্রছাত্রীর মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ কার্যক্রম। নারীশিক্ষাকে এগিয়ে নেবার জন্য প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত চালু করা হয়েছে উপবৃত্তি ব্যবস্থা। বর্তমান ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নতুন করে জাতীয়করণ করেছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবায় সাফল্য
শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের জন্য এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম আদর্শ দেশ হিসেবে তার স্থান করে নিয়েছে। স্বাস্থ্যখাতকে যুগোপযোগী করতে প্রণয়ন করা হয়েছে-জাতীয় স্বাস্থ্য নীতিমালা-২০১১। তৃণমূল পর্যায়ের দরিদ্র মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গড়ে তোলা হয়েছে ১২ হাজার ৭৭৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক। ৩১২টি উপজেলা হাসপাতালকে উন্নীত করা হয়েছে ৫০ শয্যায়। মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপতালগুলোতে ২ হাজার শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার এবং জন্মহার হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
নারীর ক্ষমতায়নে অর্জন
নারী বঞ্চনার তিক্ত অতীত পেরিয়ে বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে অনেক দূর এগিয়েছে। পোশাকশিল্পে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ দেশ। আর এই শিল্পের সিংহভাগ কর্মী হচ্ছে নারী। ক্ষুদ্রঋণ বাংলাদেশে গ্রামীণ উন্নয়নে ও নারীর ক্ষমতায়নে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছে। আর ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতাদের মধ্যে ৮০ শতাংশ এর ওপর নারী। বাংলাদেশ সরকার নানাভাবে নারী উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণা দিয়ে এসেছে।
কৃষিতে কৃতিত্ব এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন
কৃষিখাতে অভূতপূর্ব কিছু সাফল্যের জন্য বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ বার বার আলোচিত হয়েছে। প্রায় ১৬ কোটি জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশ বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন। প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম আবিষ্কার করেছেন পাটের জিনোম সিকুয়েন্সিং।
বিদ্যুৎখাতে সাফল্য
বিদ্যুৎখাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে রয়েছে জাতীয় গ্রিডে অতিরিক্ত ৬ হাজার ৩২৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সংযোজন, যার ফলে বিদ্যুতের সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে ৬২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। একই সাথে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ২২০ কিলোওয়াট ঘণ্টা থেকে বেড়ে ৩৪৮ কিলোওয়াট ঘণ্টায় দাঁড়িয়েছে। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে ৩৫ লাখ গ্রাহককে। নির্মাণ করা হয়েছে নতুন ৬৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
উপসংহার
বাংলাদেশের অভাবনীয় অগ্রযাত্রার পেছনে রয়েছে যোগ্য নেতৃত্ব, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, অবকাঠামো ও প্রযুক্তির অগ্রগতি, বৈদেশিক বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানের সম্প্রসারণ, এবং শক্তিশালী বাজার পরিকল্পনা। তবে এই অগ্রযাত্রা সত্ত্বেও, এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ অবশিষ্ট রয়েছে। দারিদ্র্য, দুর্নীতিএবং আয়ের বৈষম্যের মতো সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য কাজ করে যেতে হবে। আর তা করতে পারলে অচিরেই বাংলাদেশ অর্জন করতে পারে উন্নত দেশের মর্যাদা।
আরও দেখো: নবম শ্রেণির সকল বাংলা রচনা PDF
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্লেষণমূলক রচনা pdf উপরের ‘রচনা PDF’ অপশন থেকে সংগ্রহ করে নাও। এছাড়াও অন্যান্য বিষয়ের ওপর রচনার লিংক উপরে দেওয়া আছে। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় রচনাটি সংগ্রহ করতে পারো।
আমাদের ওয়েবসাইটে তোমার প্রয়োজনীয় সাবজেক্টের প্রশ্নের উত্তর না পেলে কোর্সটিকা ফেসবুক পেজে ইনবক্স করতে পারো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post