প্লে স্টোর ঘাটাঘাটি করলে অনলাইনে টাকা আয় করার অ্যাপ অজস্র পাওয়া যাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে সবগুলোই আপনাকে পেমেন্ট করবে না। এদের মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে স্ক্যাম বা প্রতারক। এরা আপনাকে দিয়ে ঠিকই কাজ করিয়ে নিয়ে যাবে, কিন্তু যখন পেমেন্ট দেওয়ার সময় আসবে, তখন বিভিন্ন অযুহাতে আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড বা ডিজেবল করে দেওয়া হবে।
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, ইনকাম করার অ্যাপ কিন্তু ঠিকমত টাকা পেমেন্ট করে, এমনটা খুঁজে বের করা খুবই দুষ্কর। প্রকৃত পক্ষে ভালো লেনদেন করে, বাংলাদেশে এমন অ্যাপের সংখ্যা হাতে গোণা কয়েকটি মাত্র। তাই অধিকাংশ সময়ই প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আজ কোর্সটিকায় আমরা বাংলাদেশে অনলাইনে টাকা আয় করার ১০ টি অ্যাপ এর পরিচিতি আপনাদের সামনে তুলে ধরবো, যেগুলো নিয়ে কাজ করলে আপনি অবশ্যই পেমেন্ট পাবেন। বাংলাদেশ থেকে এই অ্যাপগুলো দিয়ে পেমেন্ট নেওয়া খুবই সহজ। আপনি ইচ্ছে করলে বিকাশ, পেপাল, পেওনিয়র, ব্যাংক ওয়ার ট্রান্সফার এমনকি মোবাইল রিচার্জের মাধ্যমেও টাকা নিতে পারেন।
অনলাইনে টাকা আয় করার অ্যাপ ২০২৩
১. Bkash App
বাংলাদেশিদের জন্য টাকা ইনাকাম করার সবচেয়ে বিশ্বস্ত অ্যাপ হচ্ছে Bkash App। বিকাশ সম্পর্কে জানেন না, এমন লোক হয়তো খুব কমই আছে। বিকাশ হচ্ছে বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান। এই অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশিরা দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে একে অন্যের কাছে টাকা প্রেরণ করতে পারেন।
তবে বিকাশের সেবা এখন আর কেবল মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। ইন্টারনেট বিল, বিদ্যুৎ বিল, অনলাইন কেনাকাটা, সিনেমা কিংবা ভ্রমণের টিকেট কাটাসহ আরো অনেক কাজ এখন Bkash App এর মাধ্যমে খুব সহজেই এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে করা সম্ভব।
কিন্তু যারা টাকা ইনকাম করার মোবাইল অ্যাপ খুঁজছেন, তাদের জন্য ভালো দিক হচ্ছে এখন বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে আপনি বেশ ভালো অংকের টাকাও উপার্জন করতে পারবেন। যারা খুব বেশি সিরিয়াস, তারা এই অ্যাপটি দিয়ে মাসে ৩০/৪০ হাজার টাকাও ইনকাম করছে।
তবে শুরু করতে হলে আপনার আগেই নিজের একটি বিকাশ অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। আর তারপরে আপনার বন্ধু বা পরিচিতজনদের কাছে অ্যাপটি Refer করার মাধ্যমে ইনকাম শুরু করতে পারবেন। এজন্য অ্যাপটির Settings অপশনে গিয়ে Refer a Friend অপশনে ক্লিক করতে হবে। এখানে আপনি একটি ইউনিক লিংক পাবেন।
এই লিংকটি আপনি টেক্সট মেসেজ, মেসেঞ্জার কিংবা অন্য যেকোনভাবে মানুষের কাছে শেয়ার করবেন। এই লিংকে ক্লিক করলে Bkash App টি ডাউনলোড করতে বলবে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, কেউ যদি উক্ত লিংকে ক্লিকের মাধ্যমে Bkash App ডাউনলোড করে এবং একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে, তখন আপনি ১০০/১৫০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এভাবে আপনি যতগুলো একাউন্ট আপনার লিংকে ক্লিক করে তৈরি হবে, আপনি ততবারই নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
২. My Robi Apps
এই যে আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ছেন, এজন্য কিন্তু আপনাকে ইন্টারনেট খরচ করতে হয়েছে। যা আপনাকে চড়া মূল্য দিয়ে কিনতে হয়েছে। কিন্তু কেমন হয়, যদি আপনি ইন্টারনেটের কিছু ডেটা ফ্রিতেই পেয়ে যান? হ্যাঁ, My Robi Apps আপনাকে সেই সুযোগটিই করে দিচ্ছে।
আপনার ফোনে যদি My Robi Apps টি ইনস্টল না থাকে, তাহলে এখনই সেটি ইনস্টল করে নিন। এরপর আপনার রবি নম্বর দিয়ে এখানে একটি ফ্রি অ্যাকাউন্ট করুন। অ্যাকাউন্ট করার সাথে সাথেই আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ১ জিবি ইন্টারনেট ব্যালেন্স পেয়ে যাবেন।
তবে আপনি যে কেবল ১ জিবি ইন্টারনেট ব্যালেন্সই পাবেন তা নয়, উক্ত সময় অফার চালু থাকলে আপনি ফ্রি Talktime কিংবা SMS ও পেতে পারেন। আর এ পুরো বিষয়টা বিভিন্ন সময়ে দেওয়া অফারের ওপর নির্ভর করে।
শুধু ইনকামই না, My Robi Apps এর মাধ্যমে আপনি আপনার ইন্টারনেট খরচ অনেক কমিয়ে ফেলতে পারেন। কারণ এই অ্যাপটি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি খুব কম দামে ডেটা কিনতে পারবেন, অ্যাপ ছাড়া যা কোনভাবেই সম্ভব না। তাই ইনকামের পাশাপাশি রবির অন্যান্য সব ফিচার পেতে আজই অ্যাপটি ইনস্টল করে নিন।
৩. Upay App
বিকাশ বা নগদের মত Upay বাংলাদেশের অন্যতম মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। এটি একটি ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ব্র্যান্ড যা বাংলাদেশে সহজ, সুরক্ষিত এবং উদ্ভাবনী ডিজিটাল আর্থিক সমাধানের মাধ্যমে সবার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করছে। এটি সম্প্রতি তাদের যাত্রা শুরু করলেও বিভিন্ন অফারের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। Upay App বর্তমানে প্রতিটি রেজিস্ট্রেশনে ৫০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ রিওয়ার্ড দিচ্ছে।
আর এ জন্য আপনাকে প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। নিয়ম হচ্ছে প্রথমবার আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে সেলফ রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করলে সাথে সাথেই ২৫ টাকা ক্যাশ রিওয়ার্ড পাবেন। এরপর প্রথম অ্যাপ লগইন এর ৭ দিনের মধ্যে আপনি যদি আরো ৫০ টাকা বা তার থেকে বেশি রিচার্জ করেন, তাহলে আরও ২৫ টাকা ক্যাশ রিওয়ার্ড পাবেন।
আপনার অ্যাপের অ্যাকাউন্ট পেজ থেকে My upay সেকশনে বা USD Code *268# ডায়ালের মাধ্যম ক্যাশ রিওয়ার্ড ব্যালেন্স চেক করতে পারেন। আপনি এই ক্যাশ রিওয়ার্ডটি শুধুমাত্র ক্যাশ আউট, সেন্ড মানি এবং ফান্ড ট্রান্সফার ছাড়া বাকি যেকোন কিছুর জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।
তবে হ্যাঁ, শুধু সাইন আপই নয়, মোবাইল রিচার্জ, ইন্টারনেট ডেটা ক্রয়, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট এবং খাবারের বিল পেমেন্টসহ বিভিন্ন প্রকার বিল পরিশোধেও দারুণ ক্যাশব্যাক অফার রয়েছে উপায়ের। সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে, এসকল অফারগুলো সারাবছর জুড়েই চলতে থাকে।
৪. Snack Video App
স্ন্যাক ভিডিও একটি ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম যা অনেকটা টিকটকের মতোই। তবে এর ভিন্নতা হচ্ছে, এটি কেবল ভিডিও শেয়ারিংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এখানে ভিডিও ক্লিপ দেখে টাকা আয় করাও দারুণ পদ্ধতি রয়েছে।
চমৎকার এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি নতুন অ্যাকাউন্ট সাইনআপ বা রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে পুরস্কার জিতে নিতে পারেন। এছাড়াও নিজের ভিডিও অন্যান্য বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার মাধ্যমেও বোনাস নেয়ার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি প্রতিদিনের জন্য থাকছে Check-in রিওয়ার্ড তো থাকছেই।
তবে এই অ্যাপটি থেকে উপার্জনের সবথেকে জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে Snack Video App এ ইউজার ইনভাইট করা। যখন আপনার রেফারেল লিংক অথবা ইনভাইটেশন কোড ব্যবহার করে কেউ Snack Video App ডাউনলোড এবং সাইনআপ করবে তখন সাথে সাথে প্রতি সাইন আপের জন্য আপনি পাবেন 200 PKR। যা ২৪ ঘণ্টা পরে পেমেন্ট মেথড যুক্ত করে উইথড্র করা যাবে।
৫. Google Opinion Rewards
স্বচ্ছ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গুগল সারাবিশ্বেই সমাদৃত। অন্য কোন প্রতিষ্ঠান আপনাকে দিয়ে কাজ করিয়ে পেমেন্ট না দিলেও গুগল তা কখনোই করবে না। Google এর Opinion Rewards হচ্ছে এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার Opinion বা মতামত শেয়ারের মধ্য দিয়ে Rewards (পুরস্কার) জিততে পারেন।
Google Opinion Rewards গুগলের নিজস্ব অ্যাপ। যেহেতু এই অ্যাপটি এখনো বাংলাদেশে রিজিওনে অ্যাভেইলএবল না, তাই এটি ব্যবহারের জন্য আপনাকে আমেরিকান সার্ভারের একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট লাগবে। আর ভিপিএন ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই তা করে নিতে পারেন।
প্রথমত নিয়ম অনুযায়ী বৈধ দেশের আইপি থেকে আপনার অ্যাপটিতে লগিন করুন। এরপর বিভিন্ন সেবা বা পণ্য সম্পর্কে ছোট খাট কিছু জরিপে মতামত দিন। জরিপে অংশগ্রহণ সম্পন্ন হলে গুগল তা পরীক্ষা করে আপনার অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স পাঠিয়ে দেবে।
৬. টিকটক
ভিডিও শেয়ারিং জগতে টিকটক এখন বেশ পরিচিত একটি প্লাটফর্ম। এমন কেউই নেই যে কখনো টিকটকের নাম শোনেনি কিংবা একবারের জন্য হলেও টিকটক অ্যাপটি ব্যবহার করেনি। মজার বিষয় হচ্ছে, টিকটক এখন কেবল বিনোদনই নয়, বরং উপার্জনেরও বড় একটি উৎস। আর বিশ্বের বড় বড় কনটেন্ট ক্রিয়েটরারা ঠিক তাই করছেন।
TikTok App থেকে ইনকাম করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে টিকটক এড মনিটাজেশন করে আয়। এটি এমন একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে আপনি ইউনিক ভিডিও তৈরি করে আপনার অ্যাকাউন্টটি মনিটাইজ করাতে পারেন। ফলে কেউ যদি আপনার ভিডিও দেখতে আসে, তখন ভিডিওর শুরুতে, মধ্যে বা ডিসপ্লের উপরে নিচে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রদর্শন হবে। আর এই বিজ্ঞাপনগুলোর মাধ্যমেই আপনি যথেষ্ট পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন।
টিকটক থেকে উপার্জনের দ্বিতীয় উপায়টি হল ডোনেশন। এটি হলো একটি built-in মনিটাইজেশন সুবিধা। এটি এমন এক প্রকার মনিটাইজেশন, যেখানে আপনাকে আপনার অডিয়েন্স টাকা ডোনেট করতে পারবে। যদি আপনি একজন টিকটক ইউজার হন তাহলে আপনি নিশ্চয়ই জানেন নিজের প্রোফাইলে গিয়ে আপনি চাইলে কয়েন কিনতে পারবেন। এই কয়েনগুলোর প্রতিহাজারের মূল্য দাঁড়ায় 1.39 ডলার।
যখন কেউ কয়েন ব্যবহার করে কাউকে স্টিকার পাঠায় তখন টিকটকার সেই কয়েন গ্রহণ করতে পারে। এই কয়েনের মাধ্যমে ডায়মন্ড ক্রয় করতে হয়, যা সবশেষে নগদ অর্থে পরিণত করা যায়। এই অর্থ পেপালের মাধ্যমে উইথড্র করে নেয়া যায়।
৭. ছবি বিক্রি
আপনি কি মোবাইল দিয়ে খুব সুন্দর ছবি তুলতে পারেন? আপনি কি আপনার তোলা ছবিগুলো দিয়ে বন্ধুদের মুগ্ধ করতে পারেন? তাহলে আপনা এ প্রতিভা অনলাইনে টাকা ইনকামের পথ তৈরি করে দিতে পারে। হ্যাঁ, আপনি এখন ছবি তুলেও টাকা ইনকাম করতে পারেন।
বিশ্বের জনপ্রিয় কিছু অনলাইন প্লাটফর্ম রয়েছে, যারা ফটোগ্রাফারদের কাছ থেকে ছবি ক্রয় করে। আপনি যদি মানসম্মত ছবি তুলতে পারেন, তাহলে এসকল প্লাটফর্মে আপনিও ছবি বিক্রি করতে পারেন। এমনই কিছু জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত অনলাইন প্লাটফর্ম হচ্ছে:
- Alamy.
- 500px.
- SmugMug Pro.
- Shutterstock.
- iStock Photo.
- Etsy.
- Getty Images.
- Stocksy.
এই প্লাটফর্মগুলোতে যেকেউ চাইলে তাদের তোলা যেকোন ক্যাটাগরির ছবি বিক্রি করতে পারে। আর এই প্লাটফর্মগুলোর নিয়ম অনুযায়ী আপনার থেকে ছবিগুলো প্রতিবার বিক্রি হওয়ার মূল্য থেকে আপনি একটি কমিশন পাবেন। যা আপনি পেপাল বা ওয়ার ট্রান্সফার পেমেন্ট মেথড ব্যবহারের মাধ্যমে হাতে পেতে পারেন।
কি ভাবছেন? ভালোমানের একজন ফটোগ্রাফার হওয়ার জন্য মূল্যবান ক্যামেরা লাগবে? এখনো অনেকেই এই ধারণা পোষণ করেন, যা সঠিক নয়। বর্তমান স্মার্টফোনগুলোতে অনেক আধুনিক ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যা দিয়ে দারুণ সব ছবি তোলা সম্ভব। তাই আপনার প্রিয় স্মাটফোনটি দিয়ে আজই নেমে পড়ুন চমৎকার সব ছবি তোলার কাছে।
৮. Survey Junkie
Survey Junkie হচ্ছে একটি অনলাইন জরিপ প্রতিষ্ঠান যেখানে প্রায় ১১ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে। যখন কোন বড় প্রতিষ্ঠান নতুন পণ্য তৈরি করে বা পুরোনো পণ্য হালানাগাদ করে, তখন তাদের ইউজার এক্সপেরিন্স জানার প্রয়োজন পরে। ব্যবহারকারীরা এসকল পণ্য বা সেবার অভিজ্ঞতাগুলো Survey Junkie তে প্রকাশ করে। ফলাফল স্বরূপ তারা এখান থেকে উপার্জন করতে পারে।
এই প্লাটফর্মে উপার্জনের জন্য আপনাকে বিভিন্ন জরিপে অংশ নিতে হবে। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে এবং পয়েন্ট পাওয়া যায় এমন সব কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এভাবে আপনি আপনার কাজগুলো সফলতার সাথে শেষ করে পয়েন্ট জিততে পারবেন। কমপক্ষে ৫০০ পয়েন্ট অর্জন করতে পারলে তখন আপনি বিভিন্ন পেমেন্ট মেথড ব্যবহারের মাধ্যমে টা টাকায় রূপান্তর করে হাতে পেতে পারেন।
Survey Junkie সাপোর্ট করে এমন কিছু পেমেন্ট মেথড হচ্ছে:
- PayPal
- e-Giftcards.
- Direct bank transfer.
শুধুমাত্র গুগল প্লে স্টোরোই এর 1,000,000+ ব্যবহারকারী রয়েছে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে Survey Junkie কতটা জনপ্রিয়। যদিও শুরু করার আগে অবশ্যই আপনাকে ব্যবহারকারীদের রিভিউগুলো পড়ে নেয়া উচিত।
৯. Pocket Money
বর্তমান সময়ে তরুণদের কাছে অধিক জনপ্রিয় একটি আর্নিং অ্যাপ হচ্ছে Pocket Money। Pocket Money থেকে ইনকাম করতে হলে এখানে বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করে rewards গ্রহণ করতে হবে। বহু তরুণ এই অ্যাপে কাজ করে আসছে এবং বেশ ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারছে। গুগল প্লে স্টোরে এই অ্যাপটির ৪.৫ রেটিং স্কোর রয়েছে।
অ্যাপটি ওপেন করার পরে আপনাকে বিভিন্ন প্রকার অ্যাপ সাজেস্ট করা হবে। আপনার কাজ হচ্ছে কিছু সময়ের জন্য এই অ্যাপগুলোকে ডাউনলোড এবং ব্যবহার করা। এছাড়াও এখানে বিভিন্ন Tombola Game রয়েছে, যা খেলেও আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি কোন কাজ না করেও ইনকাম করতে পারেন। আর তা হলো Pocket Money অ্যাপটি বন্ধুদের মাঝে রেফার করে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করা সম্ভব। আপনার প্রতিটি সফল রেফারের মাধ্যমে কেউ অ্যাপ ইনস্টল করলে প্রতিদিন আপনি প্রায় ২০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তার মানে আপনি যদি প্রতিদিন কাজ করতে পারেন, তাহলে এই অ্যাপটি দিয়ে আপনি মাসে ৬০০০ টাকা ইনকাম করতে পারেন।
১০. দাবা খেলে টাকা ইনকামের অ্যাপ
দাবা বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ মানুষদের খেলা। এ খেলাটি আমাদের প্রায় সবার কাছেই বেশ সুপরিচিত। কিন্তু আপনি জানেন কি, এখন দাবা খেলে টাকা ইনকাম করাও সম্ভব। অনলাইনে দাবা খেলার এমন কিছু প্লাটফর্ম রয়েছে, যেখানে আপনি অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইলে দাবা খেলে টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।
Chess Cube, Chess.com, Big Time Chess, MBChess এবং Chess2Play.com এ সকল জনপ্রিয় প্লাটফর্মগুলোর মধ্যে অন্যতম। দাবা খেলার এসব প্লাটফর্মগুলোতে প্রতিদিন ৩০ হাজারেরও বেশি ম্যাচ এরেঞ্জ করার সুযোগ দেওয় হয়। তাছাড়া আপনি এখানে চাইলে প্রতিদিন ৪০০ এরও বেশি ডেইলি টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবেন।
আপনি যদি এখানে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় জেতেন, তাহলে আপনাকে ডলার পে করা হবে। যেটি আপনি পেপাল, পেওনিয়র কিংবা অন্যান্য পেমেন্ট মেথডের মাধ্যমে হাতে নিতে পারেন। দাবা ভালোবাসেন এমন মানুষদের জন্য সত্যিকার অর্থেই এটি দারুণ উপভোগ্য একটি টাকা ইনকাম করার উপায়
►► আরো দেখুন: ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার উপায় কি?
►► আরো দেখুন: দাবা খেলে টাকা ইনকাম করবো কিভাবে?
শেষ কথা
উপরের আমরা বাংলাদেশে ১০ টি অনলাইনে টাকা আয় করার অ্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমরা এখানে এমন কোন অ্যাপের বৃত্তান্ত তুলে ধরিনি, যা বাংলাদেশ থেকে পেমেন্ট তুলতে জটিলতা সৃষ্টি করে। উপরে উল্লেখিত প্রতিটি অ্যাপই প্রসিদ্ধ এবং প্রতিষ্ঠিত। তাই এগুলোকে আপনি বিশ্বাস করতেই পারেন।
পুনঃশ্চ, অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানা স্ক্যাম অ্যাপ। এগুলোতে অযথা সময় এবং পরিশ্রম দিয়ে প্রতারিত হবেন না। যেকোন প্লাটফর্মে কাজ করার আগে অবশ্যই অন্যান্য ব্যবহারকারীদের রিভিউগুলো সংগ্রহ করবেন। এতে করে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই কমে যাবে। অনলাইন ইনকামের সকল টিপস এন্ড ট্রিক্স সম্পর্কে আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে একটি লাইক দিয়ে রাখুন। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারেন এই লিংক থেকে।
Discussion about this post