জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ ১ম বর্ষ। আজকের আলোচনা বাংলার ইতিহাস প্রাচীনকাল থেকে ১২০৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সাজেশন বিষয়: বাংলার ইতিহাস (প্রাচীনকাল থেকে ১২০৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত)। বিষয় কোড: ২১১৫০৫।
বাংলার ইতিহাস প্রাচীনকাল থেকে ১২০৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত
ক-বিভাগ: সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১. বাংলার জলবায়ু সাধারণত কোন প্রকৃতির?
উত্তর: বাংলার জলবায়ু সাধারণত নাতিশীতোষ্ণ প্রকৃতির।
২. বাংলার ভূ প্রকৃতির প্রভাব বিস্তারকারী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য কোনটি?
উত্তর: বাংলার ভূ প্রকৃতির প্রভাব বিস্তারকারী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল নদ-নদী।
৩. পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ কোনটি?
উত্তর: পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ বাংলাদেশ।
৪. বাংলাকে পৃথিবী বলা হয় কেন?
উত্তর: নদীবাহিত পলিমাটি দ্বারা বাংলার আকৃতি ‘ ব’ বর্ণের মতো এবং পৃথিবীতে অদ্বিতীয় হওয়ায় বাংলাকে পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ বলা হয়।
৫. প্রাচীন বাংলার বিখ্যাত বন্দর কোনটি?
উত্তর: প্রাচীন বাংলার বিখ্যাত বন্দর তাম্রলিপ্তি।
৬. সর্বপ্রথম বঙ্গের নাম পাওয়া যায় কোন গ্রন্থে?
উত্তর: সর্বপ্রথম বঙ্গের নাম পাওয়া যায় ‘ঐতরেয় আরণ্যক’ গ্রন্থে।
৭. পুন্ড্র কি?
উত্তর: পুন্ড্র প্রাচীন বাংলার একটি জাতী ও জনপদের নাম।
৮. প্রাচীন পুন্ড্র বর্ধনের বর্তমান অবস্থান কোথায়?
অথবা, পুন্ড্রনগর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: বগুড়া জেলার মহাস্থানগড় এলাকায় অবস্থিত।
৯. ‘গঙ্গারিডই’ জাতি কারা?
উত্তর: আলেকজান্ডারের ভারত বর্ষ আগমনের সময় গঙ্গা নদীর পূর্ব ও পশ্চিম সীমায় যে জাতি বসবাস করত তাঁরা ‘গঙ্গারিডই’ জাতি নামে পরিচিত।
১০. সমতট জনপদের বর্তমান নাম উল্লেখ কর।
উত্তর: জনপদের বর্তমান নাম কুমিল্লা ও নোয়াখালী।
১১. হরিকেলের রাজধানীর নাম কি ছিল?
উত্তর: হরিকেলের রাজধানীর নাম ছিল শ্রীহট্ট।
১২. প্রাচীন বাংলার ইতিহাসের উৎসসমূহ কী কী?
উত্তর: প্রাচীন বাংলার ইতিহাসের উৎসসমূহগুলো হল সাহিত্যিক রচনা, মুদ্রা, লিপিমালা, ও প্রত্নতান্ত্রিক ধ্বংসাবশেষ।
১৩. ইতিহাসের লিখিত উপাদান গুলো কী কী?
উত্তর: ইতিহাসের লিখিত উপাদানগুলো হল সাহিত্য, নথিপত্র, ও জীবনি প্রভৃতি।
১৪. ‘অর্থশাস্ত্র’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর: ‘অর্থশাস্ত্র’ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন কৌটিল্য।
১৫. ‘উদয়সুন্দরীকথা’ চম্পুক কাব্য কে রচনা করেন?
উত্তর: ‘উদয়সুন্দরীকথা’ চম্পুক কাব্য কবি সোডঢল রচনা করেন।
১৬. ‘রামচরিত’ কে রচনা করেন?
অথবা, ‘রামচরিত’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর: ‘রামচরিত’ সন্ধ্যাকার নদী রচনা করেন।
১৭. ‘হর্ষচরিত’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
অথবা, ‘হর্ষচরিত’ গ্রন্থের রচনা করেন?
উত্তর: ‘হর্ষচরিত’ গ্রন্থের রচয়িতা বাণভট্ট।
১৮. বাণভট্ট রচিত গ্রন্থটির নাম কি?
উত্তর: বাণভট্ট রচিত গ্রন্থটির নাম হল ‘হর্ষচরিত’।
১৯. ‘তবকাত ই নাসিরি’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর: ‘তবকাত ই নাসিরি’ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন মিনহাজ ই সিরাজ।
২০. ‘উয়ারী বটেশ্বর’ কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তর: ‘উয়ারী বটেশ্বর’ নরসিংদী জেলায় অবস্থিত।
২১. তাম্রলিপি কি?
উত্তর: তাম্রলিপি হল আমার পাত্রে উৎকীর্ণ ভূমি লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যাদি যা রাজা কর্তৃক অনুমোদিত ও প্রচারিত।
২২. খালিমপুর তাম্রলিপি কোন সময় উৎকীর্ণ হয়?
উত্তর: খালিমপুর তাম্রলিপি ধর্মপালের সময় উৎকীর্ণ হয়।
২৩. পান্ডুরাজার ঢিবি কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তর: পান্ডুরাজার ঢিবি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় অবস্থিত।
২৪. ‘মহাস্থানগড় ব্রাহ্মলিপি’ কোন রাজবংশের শাসনের সাক্ষ্য বহন করে?
উত্তর: ‘মহাস্থানগড় ব্রাহ্মলিপি’ বাংলা মৌর্য বংশের শাসনের সাক্ষ্য বহন করে।
২৫. মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তর: মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।
২৬. গুপ্তদের আদি বাসস্থান কোথায় ছিল?
উত্তর: গুপ্তদের আদি বাসস্থান ছিল বাংলায়।
২৭. ভারতীয় নেপোলিয়ন বলা হয় কাকে?
উত্তর: ভারতীয় নেপোলিয়ন বলা হয় সমুদ্রগুপ্তকে।
২৮. গণিত শাস্ত্রবিদ ‘০’ (শূন্য) আবিষ্কার করেন?
উত্তর: আর্যভট্ট ‘০’ (শূন্য) আবিষ্কার করেন।
২৯. ‘শ্রীমহাসামন্ত শশাঙ্ক’ নামটি কোথায় খোদিত আছে?
উত্তর: ‘শ্রীমহাসীমান্ত শশাঙ্ক’ নামটি রোহিতাশ্বরের গিরিগাত্রে খোদিত আছে।
৩০. বাংলার প্রথম স্বাধীন নরপতি কে ছিলেন?
উত্তর: বাংলার প্রথম স্বাধীন নৃপতি ছিলেন রাজা শশাঙ্ক।
৩১. মাৎস্যন্যায় শব্দের অর্থ কি?
উত্তর: মাৎস্যন্যায় শব্দের অর্থ অরাজকতা।
৩২. উত্তরাপথস্বামী কে?
উত্তর: উত্তরাপথস্বামী ধর্মপালকে বলা হয়।
৩৩. সোমপুর বিহার কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: সোমপুর বিহার ধর্মপাল প্রতিষ্ঠা করেন।
৩৪. পাল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাতা কাকে বলা হয়?
অথবা, পাল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তর: পাল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাতা বলা হয় প্রথম মহীপালকে।
৩৫. বরেন্দ্র বিদ্রোহের নেতৃত্ব কে দিয়েছিলেন?
উত্তর: বরেন্দ্র বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দিব্য।
৩৬. কৈবর্ত অর্থ কি?
উত্তর: কৈবর্ত অর্থ মৎস্যজীবী।
৩৭. পাল বংশের শেষ মুকুটমণি কে?
উত্তর: পাল বংশের শেষ মুকুটমণি রামপাল।
৩৮. দেব বংশের উদ্ভব হয় কখন?
উত্তর: দেব বংশের উদ্ভব হয় অষ্টম শতকের প্রথম ভাগে।
৩৯. দেব বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তর: দেব বংশের প্রতিষ্ঠাতা শ্রি শান্তিদেব।
৪০. চন্দ্র বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
উত্তর: চন্দ্র বংশের প্রতিষ্ঠাতা হলেন পূর্ণচন্দ্র।
খ-বিভাগ: সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলী
১. প্রাচীন বাংলার ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপেআলোচনা কর।
অথবা, প্রাচীন বাংলার ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
২. বাংলার অধিবাসীদের উপর নদনদীর প্রভাব আলোচনা কর।
৩. পুন্ড্রবর্ধন জনপদের বিবরণ দাও।
৪. বঙ্গ বা বাংলা নামের উৎপত্তি হয় কিভাবে?
৫. বঙ্গ জনপদ সম্পর্কে আলোচনা কর।
৬.প্রাচীন গৌড় জনপদের পরিচিতি দাও।
৭. কৌটিল্যের ‘অর্থশাস্ত্র’ এর বর্ণনা দাও।
৮. প্রাচীন বাংলার ইতিহাস পুনর্গঠনে পর্যটকদের বিবরণীর গুরুত্ব লেখ।
9. প্রাচীন বাংলার ইতিহাসের উৎস হিসেবে চৈনিক পরিব্রাজকদের গুরুত্বপূর্ণ কেন?
১০.প্রাচীন বাংলার প্রধান প্রত্নতান্ত্রিক উৎসসমূহ কী কী?
১১. প্রাচীন বাংলার ইতিহাসের উৎস হিসেবে মুদ্রার গুরুত্ব লেখ।
১২. প্রাচীন বাংলার ইতিহাসের উৎস হিসেবে লিপির গুরুত্ব লেখ।
১৩. সমুদ্র গুপ্তকে ভারতের নেপোলিয়ন বলা হয় কেন?
অথবা, সমুদ্রগুপ্তকে ভারতীয় নেপোলিয়ন বলা হয় কেন?- ব্যাখ্যা কর।
১৪.গুপ্ত যুগকে প্রাচীন ভারতের স্বর্ণযুগ বলা হয় কেন?
১৫. শশাঙ্কের পরিচয় দাও।
১৬. হর্ষবর্ধন কে ছিলেন?
১৭. গোপাল কিভাবে ক্ষমতাসীন হয়েছিলেন?
অথবা গোপাল কিভাবে বাংলার ক্ষমতা দখল করেন?
১৮. বৌদ্ধ ধর্মের প্রসারে ধর্মপালের অবদান উল্লেখ কর।
১৯. দেবপালের পরিচয় দাও।
২০. দ্বিতীয় মহিপালের পরিচয় দাও।
২১. দিব্য কর্তৃক বরেন্দ্র দখল সম্পর্কে আলোকপাত কর।
অথবা, দিব্য কর্তৃক বরেন্দ্র দখলের বর্ণনা দাও।
২২.রামপালকে পাল বংশের ‘শেষ মুকুটমনি’ বলা হয় কেন?
অথবা, রামপালকে পাল বংশের সর্বশেষ গৌরব বলা হয় কেন?
২৩. খড়গ রাজবংশ সম্পর্কে কী জান?
অথবা, খড়গ রাজবংশ সম্পর্কে কী জান?
২৪. শ্রীচন্দ্র কে ছিলেন?
২৫. সেন রাজবংশ প্রতিষ্ঠা বিজয় সেনের অবদান উল্লেখ কর।
২৬. কৌলিন্য প্রথা কী?
২৭. দক্ষিণ- পূর্ব রাজাদের রাজত্বকাল নির্ণয় কর।
২৮. বল্লাল সেনকি সত্যিই কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তক ছিলেন?
অথবা, রাজত্বকালে কৌলিন্য প্রথার উদ্ভবের বর্ণনা দাও।
২৯. বক্তিয়ার খলজির সহজ বাংলা জয়ের কারণ কী?
৩০. লক্ষ্ণণ সেন কেন মুসলিম আক্রমণ প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হন?
গ-বিভাগ: রচনামূলক প্রশ্নাবলী
১. প্রাচীন বাংলার ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে আলোচনা কর।
২. বাংলার ভৌগোলিক অবস্থান তুলে ধর এবং জনজীবনে এর প্রভাব ব্যাখ্যা কর।
৩. প্রাচীন বাংলার ইতিহাসের উৎসসমূহ বর্ণনা কর।
অথবা, প্রাচীন বাংলার ইতিহাসের উৎসসমূহকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় বর্ণনা কর।
৪. অশোকের ধর্ম বলতে কী বুঝ? ধর্মমত প্রচারের জন্য অশোক কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন?
৫. প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে গুপ্ত যুগকে স্বর্ণযুগ বলা হয় কেন?- ব্যাখ্যা কর।
৬. শশাঙ্ক কে ছিলেন? তার রাজ্যবিস্তার সম্পর্কে আলোচনা কর।
৭. গোপাল কী নির্বাচিত রাজা ছিলেন? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
৮. পাল বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক হিসেবে ধর্মপালের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর।
৯. ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষের উল্লেখপূর্বক ধর্মপালের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর।
১০. বিজেতা হিসেবে দেবপালের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর।
১১. বরেন্দ্র বিদ্রোহের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে দ্বিতীয় মহিপালের রাজত্বকাল আলোচনা কর।
১২. দ্বিতীয় মহিপাল রাজত্বকালে সংঘটিত উত্তর- বাংলার বিদ্রোহের কারণ প্রকৃতি পর্যালোচনা কর।
১৩. দ্বিতীয় মহিপাল রাজত্বকালে সংঘটিত উত্তর- বাংলার বিদ্রোহের কারণ ও প্রকৃতি আলোচনা কর।
১৪. রামপাল কর্তৃক বরেন্দ্র পুনরুদ্ধারের ইতিহাস আলোচনা কর।
১৫. রামপালকে পাল বংশের শেষ ‘মুকুটমণি’ বলা হয় কেন?
১৬. দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় দেব বংশের ইতিহাস পর্যালোচনা কর।
১৭. সেন বংশের প্রকৃত সার্বভৌম ক্ষমতার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিজয় সেনের কৃতিত্ব বর্ণনা কর।
অথবা, সেন রাজবংশ প্রতিষ্ঠায় বিজয় সেনের অবদান নির্ণয় কর।
১৮. বিজয় সেনের কৃতিত্ব ও চরিত্র আলোচনা কর।
১৯. লক্ষ্ণণ সেনের রাজত্বকাল বর্ণনা কর।
২০. বক্তিয়ার খলজির বাংলা বিজযয়ের বিবরণ দাও।
২১. সেন আমলের সাহিত্য উন্নতির বিবরণ দাও।
২২. প্রাচীন বাংলার ইতিহাসের সেন শাসনের গুরুত্ব আলোচনা কর।
২৩. প্রাচীন বাংলার আর্থসামাজিক অবস্থার বিবরণ দাও।
আরো দেখো: ইতিহাস ১ম বর্ষের সকল বিষয়ের সাজেশন
অনার্স ইতিহাস বিভাগের বাংলার ইতিহাস প্রাচীনকাল থেকে ১২০৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত উত্তরসহ তোমরা উপরে দেওয়া Answer Sheet অপশনে ক্লিক করে সংগ্রহ করতে পারবে। এছাড়াও প্রথম বর্ষের অন্যান্য সকল বিষয়ের পূর্ণাঙ্গ সাজেশন উত্তরসহ পেতে ওপরের নীল রঙের লিংকটি অনুসরণ করো।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post