এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন নিয়ে আমরা এর আগেও বেশকিছু লেখা কোর্সটিকায় প্রকাশ করেছি। আশা করি সেগুলাে পড়ে এসইও সম্পর্কে আপনারা অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন। এখনও যারা পড়তে পারেননি, তারা এই লিংকে গিয়ে লেখাগুলো পড়ে নিতে পারেন।
তো আমরা সবাই এটা জানি যে, সার্চ ইঞ্জিন থেকে বেশি ট্রাফিক পেতে হলে দরকার এসইও ফ্রেন্ডলী আর্টিকেল। আপনার আর্টিকেল যতই ভালো হোক না কেন, আপনি যদি এসইও এর গাইডলাইন অনুরণ করে সেগুলো না লিখতে পারেন, তাহলে কখনোই আপনার আর্টিকেলগুলো গুগল কিংবা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করবে না।
► ► বাংলায় এসইও শিখতে চান? এসইও বাংলা বই ডাউনলোড করুন।
আজকের এই লেখাটিতে আমরা বাংলা আর্টিকেল কিভাবে গুগলে র্যাঙ্ক করাতে হয়, তা নিয়ে কিছু টিপস শেয়ার করবো। আশা করি এগুলো পূর্ণাঙ্গরূপে অনুসরণ করলে আপনি আপনার আর্টিকেল তথা সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটকে বেশ ভালোভাবেই র্যাঙ্ক করাতে সক্ষম হবেন।
আমরা অনেকেই মনে করি, শুধুমাত্র ইংরেজি সাইটের জন্যই কীওয়ার্ড রিসার্চ করা যায়। কিন্তু এটা একটি ভুল ধারণা। এটা বোঝার জন্য আমাদের সবার আগে জানতে হবে, কীওয়ার্ড জিনিসটি কি? কীওয়ার্ড হচ্ছে একটি শব্দ বা একটি ছোট বাক্য, যা একজন ব্যক্তি কোন তথ্য খোঁজার জন্য সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে।
যেহেতু বর্তমানে ওয়েবে বাংলা ভাষায় কনটেন্ট লেখার পরিমাণ আগের তুলনায় অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই বাংলা লিখে সার্চ করার প্রবণতাও আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, শুধু ইংরেজীই না, বাংলায়ও কীওয়ার্ড রিসার্চ করা সম্ভব।
কীওয়ার্ড রিসার্চের জন্য আমরা খুব কার্যকরী একটি সার্জেশান্স দিতে পারি। গুগলে আপনার নির্দিষ্ট বিষয়টি লিখে সার্চ করুন। দেখবেন গুগল আপনাকে অনেকগুলো কীওয়ার্ড বা রিলেটেড সার্চ সাজেস্ট করছে। এই কীওয়ার্ডগুলো নিয়ে কাজ করে দেখুন। আশা করি খুব ভালো ফলাফল পাবেন।
► ► ওয়েবসাইট গুগলে র্যাঙ্ক করাতে পারছেন না? জেনে নিন ১০ নিঞ্জা টেকনিক।
যেমন আমরা যদি গুগলে লিখি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, তাহলে গুগল আপনাকে অনেকগুলো কীওয়ার্ড বা রিলেটেড সার্চ সাজেস্ট করবে। গুগল সেই কীওয়ার্ডই আপনাকে সাজেস্ট করবে, যেগুলো লিখে সর্বাধিক মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকে। আপনার উচিত হবে, এখান থেকে যেকোন পারফেক্ট একটি কীওয়ার্ড নির্বাচন করা।
ঠিক এভাবে বাংলা কনটেন্টকে গুগলে র্যাঙ্ক করানোর জন্য আমরা বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারি। চলুন তাহলে জেনে নেই সেই বিষয়গুলো।
বাংলা আর্টিকেল এসইও করবো যেভাবে
১. কীওয়ার্ড নির্বাচন: প্রথমেই আপনার আর্টিকেলের জন্য পারফেক্ট একটি কীওয়ার্ড নির্বাচন করুন। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন, যে বিষয়ে ভিজিটর বেশি গুগলে সার্চ দেয়, সেটিই কীওয়ার্ড হিসেবে রাখার চেষ্টা করবেন।
২. আর্টিকেলের শব্দ বিন্যাস: আপনি আপনার আর্টিকেলটি যথা সম্ভব বড় রাখার চেষ্টা করুন। বড় আর্টিকেল গুগল এসইও ফ্রেন্ডলী। যদি খুব বেশ বড় করতে নাও পারেন, কমপক্ষে ৩০০ শব্দের লেখা নির্বাচন করার চেষ্টা করুন।
৩. এসইও টাইটেল বা হেডলাইন: আপনার নির্বাচিত কীওয়ার্ড দিয়েই আর্টিকেলের টাইটেল বা শিরোনাম লেখার চেষ্টা করুন। আর্টিকেলের শিরোনাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ, টাইটেল দেখে আকর্ষিত হয়েই একজন ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে।
আপনার টাইটেলটি খুব বেশি বড় করবেন না, আবার ছোটও করবেন না। মোটামুটি ৫ থেকে ৬ শব্দের মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন।
৪. ফোকাস কীওয়ার্ড: Focus Keyword হচ্ছে আর্টিকেলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ Keyword। তাই এটিও খুব সাবধানে এবং অনেক সতর্কতার সাথে নির্বাচন করুন।
৫. মেটা ডিসক্রিপশন: গুগলে প্রদর্শিত কোন আর্টিকেলের টাইটেলের নিচে সংক্ষেপিত যে লেখাটুকু দেখা যায়, তাই মেটা ডিসক্রিপশন। এটিও বেশ গুরুত্বের সাথে লিখুন। কারণ, একজন ভিজিটর ওয়েবসাইটে প্রবেশের আগে টাইটেলের সাথে অতিরিক্ত কিছু তথ্য পেতে পছন্দ করে।
৬. ট্যাগ নির্বাচন করুন: আপনি যে আর্টিকেলটি লিখলেন, সেটি আর কি কি লিখে মানুষ সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করতে পারে, তার একটি সম্ভাব্য লিস্ট তৈরি করে ট্যাগে দিন। কমপক্ষে হলেও ৩ টি ট্যাগ রাখা জরুরী
৭. ফিচার ইমেজ: আপনার আর্টিকেলে একটি ফিচার ইমেজ যুক্ত করুন। ফিচার ইমেজটির সাইজ যদি খুব বেশি হয়, তাহলে অবশ্যই অপটিমাইজ করে নেবেন। মনে রাখবেন, ইমেজের সাইজ বড় হলে সাইট অনেক দেরীতে লোড নেয়। আর যে সকল ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড কম গতিতে হয়, তা গুগলে র্যাঙ্ক করে না।
সবশেষে, এসইও একটি দীর্ঘমেয়াদী ও সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। হঠাৎ করে কয়েক ঘণ্টা বা একদিনেই আপনার ওয়েবসাইট গুগলে র্যাঙ্ক করবে না। এর জন্য বিস্তর প্রস্তুতি আপনাকে গ্রহণ করতে হবে।
প্রিয় পাঠক, কোর্সটিকায় আপনি কোন বিষয়ে লেখা চান, তা জানিয়ে নিচে কমেন্ট করুন। ওয়েব ডিজাইন, ডেভেলপমেন্টে এবং ফ্রিল্যান্সিং শিখতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন।
Discussion about this post