বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর : রাজশেখর বসু ১৮৮০–১৯৬০ জন্ম নদিয়া জেলার বীরনগরে। পিতা দার্শনিক পণ্ডিত চন্দ্রশেখর বসুদ্বারভাঙ্গা রাজ এস্টেটের ম্যানেজার ছিলেন। বাংলা সাহিত্যে পরশুরাম” ছদ্মনামে রসরচনার জন্য রাজশেখর বসু চিরস্মরণীয়। “গড্ডলিকা”, “কজ্জলী”, “হনুমানের স্বপ্ন” প্রভৃতি রসরচনার তিনি অনন্য অ্টা।
তার লেখা প্রবন্ধপ্রন্থ গুলির মধ্যে রয়েছে: “লঘুগুরু’, “বিচিন্তা”, “ভারতের খনিজ”, “কুটির শিল্প” ইত্যাদি। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে তার অবিস্মরণীয় কীর্তি “চলত্তিকা” বাংলা অভিধান “অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন এবং “পদ্মভূষণ* উপাধিতে ভূষিত হন। কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৫৭ ও ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে তাকে “ডক্টুরেট’ উপাধি প্রদান করেন।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর
১. বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধটির লেখক?
ক. আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়
খ. জগদীশচন্দ্র বসু
গ. রাজশেখর বসু
ঘ. সত্যেন্দ্রনাথ বসু
২. যাদের জন্য বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা গ্রন্থ বা প্রবন্ধ লেখা হয়, তাদের মোটামুটি ক-টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়?
ক. চারটি
খ. পাঁচটি
গ. দুটি
ঘ. তিনটি
৩. একটি নির্দিষ্ট সীমাবিশিষ্ট সরলরেখার ওপর কী অঙ্কন করতে হবে?
ক. সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ
খ. বিষমবাহু ত্রিভুজ
গ. সমকোণী ত্রিভুজ
ঘ. সমবাহু ত্রিভুজ
৪. জলের মতো আর একটি উদ্বায়ী পদার্থ
ক. আয়োডিন
খ. ক্রোটন
গ. কপূর
ঘ. বেঞ্জিন
৫. পিতলের চেয়ে অ্যালুমিনিয়াম-
ক. ভারী
খ. হালকা
গ. ওজনদার
ঘ. মসৃণ
৬. লাউ, কুমড়ো জাতীয় গাছে ফুল হয়
ক. একরকম
খ. দু-রকম
গ. তিনরকম
ঘ. চাররকম
৭. আজন্ম ইজার পরা লোকের পক্ষে হঠাৎ অভ্যাস করা শক্ত
ক. ধুতি পরা
খ. লুঙ্গি পরা
গ. কোট-প্যান্ট পরা
ঘ. কোট-প্যান্ট-টাই পরা
৮. কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকলন খুব বড়ো নয়?
ক. কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
খ. বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়
গ. উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়
ঘ. কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়
৯. কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করে
ক. ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে
খ. ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে
গ. ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে
ঘ. ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে
১০. ‘প্যারাডাইক্লোরোবেনজিন’ একটি-
ক. রাসায়নিক তথ্য
খ. রাসায়নিক প্রক্রিয়া
গ. রাসায়নিক বস্তু
ঘ. উদ্ভিজ্জ বস্তু
১১, ‘International’ শব্দটি সমিতি নিযুক্ত করে-
ক. সর্বজাতীয়
খ. সকলজাতিক
গ. সর্বস্বজাতীয়
ঘ. সার্বজাতিক
১২. বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ বোঝার জন্য অবশ্য প্রয়োজন-
ক. বিজ্ঞানের জ্ঞান
খ. বিজ্ঞানের পরিভাষা
গ. কিঞ্চিৎ প্রাথমিক বিজ্ঞান
ঘ. বিজ্ঞানের সামগ্রিক জ্ঞান
১৩. সাধারণে পপুলার বিজ্ঞান বুঝতে পারে-
ক. এশিয়া ও ইউরোপে
খ. ইংল্যান্ড ও আমেরিকায়
গ. ইউরোপে ও আমেরিকায়
ঘ. আমেরিকায় ও জার্মানিতে
১৪. “বাংলা প্রতিশব্দেরও ঠিক তাই হওয়া চাই।”—“ঠিক তাই’বলতে বোঝায়?
ক. অর্থবোধ
খ. অর্থবিস্তার
গ. অর্থব্যাপ্তি
ঘ. অর্থান্তরন্যাস
১৫. কোন্ পরিভাষা লিখলে Sensitized Paper’-এর অনুবাদঠিকহবে?
ক. সুগ্রাহী কাগজ
খ. সুসংবেদী কাগজ
গ. স্পর্শকাতর কাগজ
ঘ. শোষক কাগজ
১৬. “যেসব জন্তুর শিরদাঁড়া নেই,”—কথাটি যার বদলে লেখা যেতে পারে তা হল?
ক. শিরহীন
খ. অমেরুদণ্ডী
গ. শিরাবিহীন
ঘ. মেরুদণ্ডী
১৭. পরিভাষার একটি অন্যতম উদ্দেশ্য?
ক. অর্থ যথাযথ করা
খ. অর্থ নির্দিষ্ট করা
গ. অর্থ সুনির্দিষ্ট করা
খ. অর্থ প্রকাশ করা
১৮. আমাদের আলংকারিকগণ শব্দের কত ধরনের কথা বলেছেন?
ক. একক
খ. ত্রিবিধ
গ. দ্বৈত
ঘ. কোনোটিই নয়
১৯. “হিমালয় যেন পৃথিবীর মানদণ্ড’–এই উক্তিটি কার?
ক. জয়দেবের
খ. রূপ গোস্বামীর
গ. কালিদাসের
ঘ. শ্রীজীব গোস্বামীর
২০. অরণ্যে রোদন’কথাটির অর্থ
ক. নিষ্ফল আবেদন
খ. ভূমিকা
গ. সংকীর্ণমনা
ঘ. দীর্ঘসূত্রতা
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১. রাজশেখর বসুর ছদ্মনাম কী?
উত্তর: রাজশেখর বসুর ছদ্মনাম পরশুরাম।
২. প্রাবন্ধিক বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা গ্রন্থের পাঠকদের যে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন তার উল্লেখ করো।
উত্তর: প্রাবন্ধিকের ভাগ করা বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থের পাঠকদের দুটি শ্রেণি হল—যারা ইংরেজি জানে না বা অতি অল্প জানে আর যারা ইংরেজি জানে ও ইংরেজি ভাষায় অল্পাধিক বিজ্ঞান পড়েছে।
৩. কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কত সালে পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করেছিল?
উত্তর: কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করেছিল ১৯৩৬ সালে।
৪. “তারা কিছুই জানে না।”—কারা, কোন বিষয় জানে না?
উত্তর: প্রাবন্ধিকের মতে উল্লেখিত প্রথম শ্রেণির পাঠক সুশৃঙ্খল আধুনিক বৈজ্ঞানিক তথ্য সম্পর্কে কিছুই জানে না।
৫. “তাদের সংস্কারের বিরোধী নয়।”—কোন বিষয়, কেন সংস্কারের বিরোধী নয়?
উত্তর: বাংলা পরিভাষা আয়ত্ত করে বাংলায় বিজ্ঞান শেখা বিষয় ইংরেজি না-জানা পাঠকদের কাছে সংস্কারের বিরোধী নয়
৬. “ইংরেজি প্রভাব থেকে মুক্ত।”—কাদের সম্পর্কে কথাটি বলা হয়েছে?
উত্তর: অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়ে এবং অল্পশিক্ষিত বয়স্ক লোক যারা ইংরেজি জানে না বা অতি অল্প জানে তাদের সম্পর্কে উদ্ধৃত কথাটি বলা হয়েছে।
৭. “এর মানে বুঝতে বাধা হয়নি।”—কোন্ কথার মানে বুঝতে কোনো বাধা হয়নি?
উত্তর: প্রাবন্ধিকের ভাষাগত বিরোধী সংস্কার না-থাকায় ব্ৰত্মমোহন মল্লিকের জ্যামিতিতে লেখা, এক নির্দিষ্ট সীমাবিশিষ্ট সরলরেখার ওপর এক সমবাহু ত্রিভুজ অঙ্কন করতে হবে, কথাটির মানে বুঝতে কোনো বাধা হয়নি।
৮. “অভ্যাস করা একটু শক্ত।”—কার কাছে, কীসের অভ্যাস শক্ত ?
উত্তর: আজন্ম ইজার পরা লোকের কাছে হঠাৎ ধুতি পরার অভ্যাস করা একটু শক্ত।
৯. “তাতে অনেকে মুশকিলে পড়েছেন।”—কারা, কোন্ কাজে ‘অনেকে মুশকিলে পড়েছেন’?
উত্তর: রাজকার্যে দেশি পরিভাষা চালানোয় সরকারের কাজে অনেকে মুশকিলে পড়েছেন।
১০. “ভাষার জন্য তার বাধা হয় না।”—কোন কাজে, কাদের বাধা হয় না? তাদের কী করতে হয়?
উত্তর: বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান শেখার কাজে ইংরেজি না-জানা বা অতি অল্প ইংরেজি জানা পাঠকদের বাধা হয় না। তাদের কেবল যত্ন করে বিষয়টি বুঝতে হয়।
১১. “মাতৃভাষার পদ্ধতি আয়ত্ত করতে হয়।”—কোন্ সময়, কাদের মাতৃভাষার পদ্ধতি’ আয়ত্ত করতে হয়?
উত্তর: প্রাবন্ধিকের কথা অনুযায়ী ইংরেজি জানা, ইংরেজি ভাষায় কমবেশি বিজ্ঞান পড়া পাঠকেরা যখন বাংলা ভাষায় লেখা বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ পড়ে, তখন তাদের মাতৃভাষার পদ্ধতি আয়ত্ত করতে হয়।
১২. “এখনও নানারকম বাধা আছে।”—কোন্ বিষয়ে, কেন এখনও বাধা আছে?
উত্তর: বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার বিষয়ে, পারিভাষিক শব্দের অপ্রতুলতার জন্য এখনও বাধা আছে।
১৩. “তার ফলে তাদের চেষ্টা অধিকতর সফল হয়েছে।”—কাদের চেষ্টা, কেন সফল হয়?
উত্তর: ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতির চেষ্টা, একযোগে কাজ করার জন্য অধিকতর সফল হয়।
১৪. “নানা ত্রুটি হতে পারে।”—কীসে, কেন ত্রুটির সম্ভাবনা?
উত্তর: পরিভাষা রচনা কোনো ব্যক্তির একার কাজ নয়—যুগ্নকাজ, সেই কাজ একা করতে গেলে অর্থাৎ সমবেতভাবে না-করলে ত্রুটির সম্ভাবনা থাকে।
১৫. “উপযুক্ত ব্যবস্থা করা আবশ্যক।”—উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আবশ্যকতা কী?
উত্তর: কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সংকলিত পরিভাষা বড়ো নয়—আরও শব্দের প্রয়োজন আর এই ব্যাপারেই উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আবশ্যকতা আছে।
১৬. “তারা বিধান দিয়েছেন,”—কারা, কী বিধান দিয়েছেন?
উত্তর: কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতি বিধান দিয়েছেন—নবাগত রাসায়নিক বস্তুর ইংরেজি নামই বাংলা বানানে চলবে।
১৭. “বাংলায় চালানো যেতে পারে।”—প্রাবন্ধিক কী চালানোর কথা বলেছেন?
উত্তর: প্রাবন্ধিক নবাগত রাসায়নিক বস্তুর নাম, উদ্ভিদ ও প্রাণীর জাতিবাচক বা পরিচয়বাচক অধিকাংশ ইংরাজি সার্বজাতিক International. নাম বাংলায় চালানোর কথা বলেছেন।
১৮. “বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ বোঝা কঠিন।”—কেন?
উত্তর: আমাদের দেশের জনসাধারণের প্রাথমিক বিজ্ঞানের সঙ্গে কিছুটা পরিচয় না-থাকায় বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ বোঝা কঠিন হয়।
১৯. “সাধারণে সহজেই বোঝে।”—কোনো স্থানের জনসাধারণ কী, কেন সহজে বুঝতে পারে?
উত্তর: ইউরোপ ও আমেরিকার জনসাধারণ, সেখানকার পপুলার সায়েন্স লেখা সুসাধ্য হওয়ার কারণে বিজ্ঞান বিষয়ক যে-কোনো সন্দর্ভ সহজে বুঝতে পারে।
২০. “তাদের লেখা জনপ্রিয় হবে না।”—“তাদের লেখা’ কীভাবে জনপ্রিয় হতে পারে?
উত্তর: আমাদের দেশের বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভে লেখকদের লেখা যদি প্রাথমিক বিজ্ঞানের মতো গোড়া থেকে সবার বোধগম্য করে লেখা হয়, তবে তা জনপ্রিয় হতে পারে।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর
২১. “তখন বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা সুসাধ্য হবে।”—কখন বৈজ্ঞানিক সাহিত্যরচনা সুসাধ্য হবে? অথবা,তখন’বলতে কোন্ সময়কে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: কালক্রমে যখন এদেশে বিজ্ঞান শিক্ষার বিস্তার হবে এবং সমস্ত অসুবিধা দূর হবে, তখন বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা সুসাধ্য হবে।অথবা, ‘তখন’ বলতে সময়ান্তরে বিজ্ঞান শাখার বিস্তার ও সমস্ত অসুবিধা দূর হওয়ার সময়কে বোঝানো হয়েছে।
২২. ‘রচনাপদ্ধতি’আয়ত্ত করতে না-পারা লেখকদের লেখা সম্পর্কে প্রাবন্ধিকের মত কী?
উত্তর: রচনাপদ্ধতি আয়ত্ত করতে না-পারা লেখকদের লেখা সম্পর্কে প্রাবন্ধিক বলেছেন—অনেক স্থানে তাদের ভাষা আড়ষ্ট ও ইংরেজির অনুবাদ আক্ষরিক হয়ে যায়।
২৩. “এই দোষ থেকে মুক্ত না হলে,”–‘দোষটি কী?
উত্তর: দোষটি হল বিজ্ঞান আলোচনার রচনাপদ্ধতি আয়ত্ত করতে না-পারার কারণে লেখকদের ভাষা আড়ষ্ট ও ইংরেজির অনুবাদ আক্ষরিক হয়ে যাওয়া।
২৪. “অনেক লেখক মনে করেন,”—লেখকরা কী মনে করেন?
উত্তর: এই লেখকরা মনে করেন–ইংরেজি সব্দের যে অর্থব্যাপ্তি বা Connotation, বাংলা প্রতিশব্দেরও ঠিক তাই হওয়া চাই।
২৫. “ইংরেজি Sensitive শব্দ নানা অর্থে চলে।”—প্রাবন্ধিক ব্যবহৃত অর্থগুলি লেখো।
উত্তর: ইংরেজি Sensitive শব্দের প্রাবন্ধিক উল্লেখিত অর্থগুলি হল—Sensitive Person, Wound, Plant, Balance, Photographic Paper ইত্যাদি।
২৬. “এতে রচনা উকট হয়।”—রচনা কীসে উৎকট হয়ে ওঠে?
উত্তর: ইংরেজিতে ভাবা বক্তব্যের যথাযথ বাংলা অনুবাদে প্রকাশ করার চেষ্টায় রচনা উৎকট হয়।
২৭. “এরকম মাছিমারা নকল না করে,”–‘মাছিমারা’ নকলটি উল্লেখ করো।
উত্তর: When the Sulpher burns in air the Nitrogen does not take part is the reactiori, কথায় ‘মাছিমারা’ নকলটি হল- যখন গন্ধক পোড়ে তখন নাইট্রোজেন প্রতিক্রিয়ায় আশগ্রহণ করে না।
২৮. “লিখলে বাংলা ভাষায় বজায় থাকে।”—কী লেখার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: প্রাবন্ধিক উল্লেখিত ‘মাছিমারা নকল’ -এর বদলে ‘নাইট্রোজেন কোনো পরিবর্তন হয় না’ লেখার কথা বলা হয়েছে।
২৯. “এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়।”—কোন্ ধারণা সম্পূর্ণ ঠিক নয়?
উত্তর: অনেকের মনে করা পারিভাষিক শব্দ বাদ দিয়ে বক্তব্য প্রকাশে রচনা সহজ হয়-ধারণাটি সম্পূর্ণ ঠিক নয়।
৩০. পরিভাষার উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: পরিভাষার উদ্দেশ্য হল ভাষার সংক্ষেপ এবং অর্থ সুনির্দিষ্ট করা।
৩১. “এই কথাটি সকল লেখকেরই মনে রাখা উচিত।”—কো কথা সব লেখকের মনে রাখা উচিত?
উত্তর: বৈজ্ঞানিক প্রসঙ্গের ভাষা আত্যন্ত সরল ও স্পষ্ট হওয়া আবশ্যক—এই কথাটি সবসময় লেখকদের মনে রাখা উচিত।
৩২. “কিছুদিন আগে একটি পত্রিকায় দেখেছি”—কে, কী দেখেছিলেন?
উত্তর: প্রাবন্ধিক রাজশেখর বস একটি পত্রিকায় দেখেন জনৈক লেখক লিখেছেন -অক্সিজেন বা হাইড্রোজেন স্বাস্ব্যকর বলে বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই। তারা জীবের বেঁচে থাকবার পক্ষে অপরিহার্য অঙ্গ মাত্র।
৩৩. “এই রকম ভুল লেখা সাধারণ পাঠকের পক্ষে অনিষ্টকর।”—ভুল লেখাটি কী?
উত্তর: ভুল লেখাটি হল–অক্সিজেন বা হাইড্রোজেন স্বাস্থ্যকর বলে বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই। তারা জীবের বেঁচে থাকার পক্ষে অপরিহার্য অঙ্গ মাত্র। তবে ওজন গ্যাস স্বাস্থকর।
৩৪. রাজশেখর বসুর ছদ্মনাম কী?
উত্তর: রাজশেখর বসুর ছদ্মনাম পরশুরাম।
৩৫. কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কত সালে পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করেছিল?
উত্তর: কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করেছিল ১৯৩৬ সালে।
৩৬. ‘তখন বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা সুসাধ্য হবে’- কখন?
উত্তর: লেখকের মতে, কালক্রমে আমাদের দেশে বিজ্ঞান শিক্ষার বিস্তার ঘটলে বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা সুসাধ্য হবে।
৩৭. ‘এই দোষ থেকে মুক্ত না হলে…’- কোন দোষের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ভাষার আড়ষ্টতা এবং ইংরেজির আক্ষরিক অনুবাদের প্রবণতা।
৩৮. প্রথমশ্রেণির পাঠকরা যে গুটিকতক ইংরেজি পারিভাষিক শব্দ শিখেছে তাদের নাম উল্লেখ করাে।
উত্তর: পারিভাষিক শব্দগুলি হল টাইফয়েড, আয়োডিন, মোটর, ক্রোটন, জেব্রা।
৩৯. লেখক ছেলেবেলায় ব্রহ্মমােহন মল্লিকের বাংলা জ্যামিতি বইয়ে কী পড়েছিলেন?
উত্তর: লেখক পড়েছিলেন, “এক নির্দিষ্ট সীমাবিশিষ্ট সরলরেখার উপর এক সমবাহু ত্রিভুজ অঙ্কিত করিতে হইবে।”
৪০. ‘তাঁদের চেষ্টা অধিকতর সফল হয়েছে।’ – কাদের চেষ্টা সফল হয়েছে।
উত্তর: ১৯৩৬ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যে পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করেছিলেন, এখানে সেই সমিতির কথা বলা হয়েছে।
৪১. ‘যতদিন উপযুক্ত ও প্রামাণিক বাংলা শব্দ রচিত না হয়’- ততদিন কী হবে?
উত্তর: ততদিন ইংরেজি শব্দ বাংলা বানানে চালানো ভালো বলে লেখক মন্তব্য করেছেন।
৪৩. ‘তাঁদের লেখা জনপ্রিয় হবে না।’ – কাদের লেখা জনপ্রিয় হবে না?
উত্তর: যারা জনসাধারণের জন্য বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বিষয়ক রচনা লেখেন, এখানে তাদের কথা বলা হয়েছে।
৪৪. ‘সুগ্রাহী কাগজ লিখলে ভালাে হয়।’- কীসের অনুবাদ সুগ্রাহী কাগজ?
উত্তর: Sensitized Paper-এর অনুবাদ হল সুগ্রাহী কাগজ।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর
৪৫. ‘এতে রচনা উৎকট হয়’ – কীসে রচনা উকট হয়?
উত্তর: কোনো লেখক যদি তার বক্তব্য ইংরেজিতে ভাবেন এবং তারপর সেটির যথাযথ বাংলা অনুবাদ করে প্রকাশ করার চেষ্টা করেন, সেই রচনা উৎকট হয়।
৪৬. লেখক কী করাকে ‘মাছিমারা নকল’ বলেছেন?
উত্তর: ‘When sulphur burns in air the nitrogen does not take part in the reaction’- এই ইংরেজি বাক্যের বাংলা অনুবাদ যদি এরূপ করা হয়- ‘ যখন গন্ধক হাওয়ায় পোড়ে তখন নাইট্রোজেন প্রতিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না’, তবে তা হবে মাছিমারা নকল।
৪৭. ‘এই ধারণা পুরােপুরি ঠিক নয়।’ – কোন্ ধারণার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: অনেকে মনে করেন যে, পারিভাষিক শব্দ বাদ দিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করলে রচনা সহজ হয়। লেখকের মতে, এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়।
৪৮ “কালিদাসের এই উক্তি কাব্যেরই উপযুক্ত” উক্তিটি কী?
উত্তর: উক্তিটি হল, ‘হিমালয় যেন পৃথিবীর মানদন্ড’।
৪৯. ‘এই রকম ভুল লেখা সাধারণ পাঠকের পক্ষে অনিষ্টকর।’ – কীরকম লেখা?
উত্তর: অখ্যাত লেখকের ভ্রান্তিপূর্ণ রচনা সাধারণ পাঠকের পক্ষে অনিষ্টকর। উদাহরণ হিসেবে লেখক কোনো এক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি রচনার উল্লেখ করেছেন যাতে বলা হয়েছে যে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন স্বাস্থ্যকর নয় বরং ওজন গ্যাস স্বাস্থ্যকর।
৫০. পরিভাষার উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: পরিভাষার উদ্দেশ্য ভাষার সংক্ষিপ্ত এবং অর্থ সুনির্দিষ্ট করা।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান রচনাধর্মী প্রশ্নের উত্তর
১. “যাদের জন্য বিজ্ঞানবিষয়ক বাংলা গ্রন্থ বা প্রবন্ধ লেখা হয়, তাদের মোটামুটি দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে।”—প্রথম শ্রেণির পাঠকদের সম্পর্কে লেখো।
২. “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চায় এখনও নানারকম বাধা আছে।” –বাধাগুলি কী কী? এ ব্যাপারে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা কীরূপ ছিল?
৩. পাশ্চাত্য দেশের সঙ্গে এদেশের জনসাধারণের বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের পার্থক্য লেখো।
৪. আলংকারিকগণের ত্রিরিধর কথা ব্যাখ্যা করো। বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধদিতে একটি দোষের উল্লেখ করো।
৫. “এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়।”—কোন্ ধারণা, কীভাবে পুরোপুরি ঠিক নয়, তা ব্যাখ্যা করো। এই প্রসঙ্গে রচনা কীভাবে উকট হয়—তা আলোচনা করো।
৬. রাজশেখর বসুর লেখা বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’প্রবন্ধের নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো।
৭. রাজশেখর বসুর ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধের পটভূমি বা ভাববস্তু আলোচনা করো।
৮. বাংলাভাষায় বিজ্ঞান’প্রবন্ধটির প্রেক্ষিতে লেখকেরলিখনশৈলীবিচার করো।
৯. “অনেকে মনে করেন পারিভাষিক শব্দ বাদ দিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করলে রচনা সহজ হয়।”—মতটিকে কি তুমি সমর্থন করো?
১০. “এই দোষ থেকে মুক্ত না হলে বাংলা বৈজ্ঞানিক সাহিত্য সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।”—কোন্ দোষের কথা এখানে বলা হয়েছে? কীভাবে এই দোষ থেকে মুক্ত হওয়া যাবে?
১১. ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ রচনায় লেখক বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বিষয়ক রচনা লেখার ক্ষেত্রে কী কী পরামর্শ দিয়েছেন?
১২. অভিধা, লক্ষণা ও ব্যঞ্জনা বলতে কী বোঝায়? বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধে কোন প্রসঙ্গে লেখক এই কথাগুলি ব্যবহার করেছেন?
১৩. ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধে লেখক যে দুই শ্রেণির পাঠকের কথা বলেছেন তাদের পরিচয় দাও।
আরো দেখো: মাধ্যমিক বাংলা সম্পূর্ণ সাজেশন উত্তরসহ
মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা, উপরে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করেবাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর pdf ডাউনলোড করে নাও। এছাড়াও মাধ্যমিক অন্যান্য বিষয়ের পূর্ণাঙ্গ সাজেশন রয়েছে কোর্সটিকায়। যা তোমরা বিনামূল্যে পিডিএফ ফাইলে ডাউনলোড করতে পারবে। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post