বাক্যতত্ত্ব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর hsc 2025 : বাক্যতত্ত্ব বাংলা ভাষার ব্যাকরণের একটি মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাক্যের গঠন, শ্রেণিবিন্যাস ও বিশ্লেষণ পরীক্ষায় নিয়মিত প্রশ্ন আকারে আসে, বিশেষ করে বাংলা দ্বিতীয় পত্রে। অনেক শিক্ষার্থী এই অংশে দ্বিধায় পড়ে যায়, ফলে নম্বর হারায়।
তাই পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় কোর্সটিকায় আমরা তৈরি করেছি বাক্যতত্ত্ব সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন-উত্তর সংকলন। এই প্রশ্নগুলোর অনুশীলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে ও প্রয়োগ করতে পারবে। আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো করতে চাইলে এখন থেকেই বাক্যতত্ত্ব চর্চা শুরু করো—বিশ্বাস রাখো কোর্সটিকায়!
বাক্যতত্ত্ব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর hsc 2025
১. বাক্য বলতে কী বোঝ? একটি সার্থক বাক্য গঠনে কী কী গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন উদাহরণসহ আলোচনা কর।
উত্তর : পরস্পর অর্থ সম্বন্ধবিশিষ্ট যেসব পদ দ্বারা একটি সম্পূর্ণ ধারণা বা বক্তব্য বা ভাব প্রকাশ পায় সেই পদগুলোর সমষ্টিকে বাক্য বলে। যেমন- ‘চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে কদম তলায় কে।’ এখানে চাঁদ, ফুল ও কদমতলা সম্পর্কে কয়েকটি শব্দ দ্বারা মনের ভাব প্রকাশ পেয়েছে।
বাক্যকে সার্থক করে গঠন করতে হলে তিনটি গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। যথা-
১. আকাক্সক্ষা: বাক্যের অর্থ পরিষ্কারভাবে বোঝার জন্য এক পদের পর অন্য পদ শোনার যে ইচ্ছা তাকে আকাক্সক্ষা বলে। যেমন- ‘আমি বাড়ি’ বললে বাক্যটি মনের সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশ করে না, আরও কিছু শোনার আকাক্সক্ষা থাকে। ‘আমি বাড়ি যাব’ বললে বাক্যটি পূর্ণ হয় এবং আকাক্সক্ষা মিটে যায়।
২. আসত্তি: বাক্যের অর্থসংগতি রক্ষার জন্য সুশৃঙ্খল পদবিন্যাসই আসত্তি। যেমন- “ভালো কবিতা হক লেখেন লিলি” বললে পদবিন্যাস সঠিকভাবে না হওয়ায় মনোভাবটি ঠিকমতো প্রকাশ পায়নি। কিন্তু “লিলি হক ভালো কবিতা লেখেন” বললে পদবিন্যাস সঠিক হওয়ার কারণে মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। বাক্যের মধ্যে এ আসত্তিগুণ থাকা আবশ্যক।
৩. যোগ্যতা : বাক্যস্থিত পদসমূহের অর্থগত ও ভাবগত মিল বা সংগতি সাধনকে যোগ্যতা বলে। যেমন- “আকাশে পদ্ম ফোটে।” এ পদসমষ্টিতে এক পদের সাথে অন্য পদের অর্থগত মিল নেই। কারণ আকাশে পদ্ম ফোটে না। কিন্তু যদি বলা হয় “পুকুরে পদ্ম ফোটে” তবে পদগুলোর অর্থগত মিল পাওয়া যায়। সুতরাং বাক্যে আকাক্সক্ষা, আসত্তি, যোগ্যতা এই তিনটি গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন।
২. গঠন অনুসারে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ লেখ।
উত্তর : যে সুবিন্যস্ত পদসমষ্টি দিয়ে কোনো বিষয়ে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায় তাকে বাক্য বলে।
গঠন অনুসারে বাক্য তিন প্রকার। যথা- ১. সরল বাক্য, ২. জটিল বাক্য ও ৩. যৌগিক বাক্য।
১. সরল বাক্য: যে বাক্যের একটিমাত্র কর্তা (উদ্দেশ্য) এবং একটিমাত্র সমাপিকা ক্রিয়া (বিধেয়) থাকে তাকেই সরল বাক্য বলে। যেমন- কালাম রহিমকে ভালোবাসে। এখানে ‘কালাম’ উদ্দেশ্য ও ‘ভালোবাসে’ বিধেয়।
২. জটিল বা মিশ্রবাক্য: যে বাক্যে একটি প্রধান খ-বাক্য এবং এক বা একাধিক নির্ভরশীল বাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহৃত হয়, তাকে জটিল বাক্য বলে। যেমন- আমি যে তোমার অদর্শনে কত যন্ত্রণা ভোগ করেছি তা তুমি একবারও ভাবনি।
৩. যৌগিক বাক্য: পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা ততোধিক সরল বা মিশ্র বাক্য সংযোজক বা বিয়োজক অব্যয়ের সাহায্যে মিলিত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে। যেমন- হাসান মেধাবী ছাত্র কিন্তু চঞ্চল।
৩. অর্থানুসারে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ করে বিস্তারিত আলোচনা কর।
উত্তরা : অর্থবোধক একাধিক পদের সমন্বয়ে যখন মনের ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায় তখন সেই পদসমষ্টিকে বাক্য বলে। শ্রেণিবিভাগ: অর্থানুসারে বাক্য প্রধানত সাত ভাগে বিভক্ত। যথা-
১. বিবৃতিমূলক বা বর্ণনাত্মক বা নির্দেশাত্মক বাক্য: সাধারণভাবে হ্যাঁ বা না বাচক বাক্য হলো বিবৃতিমূলক বাক্য। যে বাক্যে কোনো ঘটনার ভাব বা তথ্য থাকে এবং সে বক্তব্যকে সাধারণভাবে বিবৃত বা নির্দেশ করা হয়, তাকে বর্ণনাত্মক বা নির্দেশাত্মক বাক্য বলে। একে নির্দেশমূলক, নির্দেশসূচক, নির্দেশাত্মক, বিবৃতিমূলক বাক্যও বলা হয়। যেমন- কৃষ্ণ বাঁশি বাজায়। ঐন্দ্রিলা রুদ্রকে ভালোবাসে ইত্যাদি।
২. প্রশ্নবোধক বাক্য: যে ধরনের বাক্যে কোনো বিষয় সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসা বা প্রশ্নসূচক অর্থ প্রকাশ পায়, তাকে প্রশ্নবোধক বাক্য বলে। যেমন- আপনি কোথা থেকে এসেছেন? সে কি আমাদের এখানে আসবে না?
৩. অনুজ্ঞাবাচক বাক্য: যে বাক্য দ্বারা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কালের আদেশ, অনুরোধ, উপদেশ, নিষেধ, প্রস্তাব ইত্যাদি বোঝায়, তাকে অনুজ্ঞাবাচক বাক্য বলে। যেমন- আদেশ: ঘর থেকে বের হয়ে যাও। অনুরোধ: দয়া করে বইটি দিন।
৪. ইচ্ছা বা প্রার্থনাসূচক বাক্য: যে বাক্যে ইচ্ছা বা প্রার্থনাসূচক অর্থ প্রকাশ পায়, তাকে ইচ্ছা বা প্রার্থনাসূচক বাক্য বলে। যেমন- ইচ্ছা আমার যেতে ইচ্ছে করে গ্রামের বাড়িতে। প্রার্থনা: খোদা তোমার মঙ্গল করুক।
৫. কার্যকারণাত্মক বাক্য: যদ্যপি, যদি প্রভৃতি অব্যয়ের সাহায্যে যে বাক্য গঠিত হয় এবং যাতে কার্যকারণ সম্পর্ক প্রকাশ পায়, তাকে কার্যকারণাত্মক কার্যকারণাত্মক বাক্য। বাক্য বলে। যেমন- দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কী মহীতে। (শর্ত)
৬. সংশয়সূচক বা সন্দেহদ্যোতক বাক্য: যে ধরনের নির্দেশক বাক্যে বক্তব্য বিষয় সম্পর্কে সংশয়, সন্দেহ, সম্ভাবনা, অনুমান, অনিশ্চয়তা ইত্যাদি ভাব প্রকাশিত হয়, তাকে সংশয়সূচক বা সন্দেহদ্যোতক বাক্য বলে। এ ধরনের বাক্যে হয়তো, বুঝি, বুঝিবা, সম্ভবত, বোধ হয়, নাকি প্রভৃতি সন্দেহসূচক ক্রিয়া বিশেষণ ব্যবহৃত হয়। যেমন- লোকটাকে খারাপ বোধ হয়। মনে হয়, সুমন পাস করবে।
৭. আবেগসূচক বাক্য: যে বাক্যে আশ্চর্য কিছু বোঝায় বা বিস্ময়, হর্ষ, ঘৃণা, বিষাদ, ক্রোধ, ভয়, শোক ইত্যাদি প্রকাশিত হয়, তাকে আবেগসূচক বাক্য বলে। যেমন- হর্ষ: হুররে, আমরা ক্রিকেট খেলায় জিতেছি! আবেগ : বাহ, সুন্দর গান গাইলে তুমি!
৪. পদক্রম কী? পাঁচটি নিয়ম লেখ।
উত্তর : বাক্যের অন্তর্ভুক্ত পদগুলোকে যথাযথ স্থানে সংস্থাপন করাকেই পদ সংস্থাপনক্রম বা পদক্রম বলে।
বাংলা বাক্যে পদক্রমের পাঁচটি নিয়ম:
১. প্রথমে বাক্যের সম্প্রসারকসহ উদ্দেশ্য (কর্তা) এবং বাক্যের শেষে সম্প্রসারকসহ বিধেয় (ক্রিয়াপদ) বসে।
২. সম্বন্ধ পদ বিশেষ্যের পূর্বে বসে। যেমন- ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছে।
৩. কারক-বিভক্তিযুক্ত পদ বা অসমাপিকা ক্রিয়াপদ বিশেষণের আগে বসে। যেমন- রাজশাহীর আম খেতে চমৎকার।
৪. বিধেয় বিশেষণ সবসময় বিশেষ্যের পরে বসে। যেমন- লোকটি যে জ্ঞানী তাতে সন্দেহ নেই।
৫. বাক্যের প্রথমে কর্তা, পরে কর্ম ও শেষে ক্রিয়াপদ বসে। যেমন- আমি ‘গীতাঞ্জলি’ পড়েছি।
৫. সরল বাক্য ও যৌগিক বাক্যের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ কর।
উত্তর : নিচে সরল বাক্য ও যৌগিক বাক্যের মধ্যে পার্থক্য দেখানো হলো-
সরল বাক্য
১. যে বাক্যে একটিমাত্র উদ্দেশ্য একটিমাত্র বিধেয় থাকে তাকে সরল বাক্য বলে। যেমন- দরিদ্র হলেও তার মন ছোট নয়।
২. একটি সরল একটিমাত্র কর্তা এবং একটিমাত্র ক্রিয়া থাকে।
৩. সরল বাক্য কোনো অব্যয় দ্বারা অন্য কোনো বাক্যের সাথে যুক্ত থাকে না।
৪. সরল বাক্য মূলত একটি বাক্য।
যৌগিক বাক্য
১. দুই বা তারও বেশি সরল বা জটিল বাক্য সংযোজক বা বিয়োজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত হয়ে একটি দীর্ঘ বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে। যেমন- সে দরিদ্র, কিন্তু তার মন ছোট নয়।
২. একটি যৌগিক বাক্যে একাধিক কর্তা এবং ক্রিয়া থাকে।
৩. যৌগিক বাক্য সব সময় সংযোজক বা বিয়োজক অব্যয় দ্বারা সংযুক্ত থাকে।
৪. যৌগিক বাক্য মূলত একাধিক সরল বা জটিল বাক্যের সমন্বয়ে গঠিত হয়।
নির্দেশ অনুসারে বাক্য রূপান্তর কর
১. জাদুঘর আমাদের আনন্দ দেয়। (প্রশ্নবোধক)
উত্তর: জাদুঘর আমাদের আনন্দ দেয় না কি?
২. ধনীর কন্যা তার পছন্দ নয়। (অস্তিবাচক)
উত্তর: ধনীর কন্যা তার অপছন্দ।
৩. আমরা পৌঁছে খবর পেলাম জাহাজ ছেড়ে চলে গেছে। (জটিল)
উত্তর: যখন আমরা পৌঁছলাম তখন খবর পেলাম জাহাজ ছেড়ে চলে গেছে।
৪. যারা দেশপ্রেমিক তারা দেশকে ভালোবাসে। (সরল)
উত্তর: দেশপ্রেমিকরা দেশকে ভালোবাসে।
৫. এ কথা স্বীকার করতেই হয়। (নেতিবাচক)
উত্তর: এ কথা স্বীকার না করলেই নয়।
৬. জীবে দয়া করা উচিত। (অনুজ্ঞাবাচক)
উত্তর: জীবে দয়া কর।
৭. সূর্যোদয়ে অন্ধকার দূর হয়। (যৌগিক)
উত্তর: সূর্যোদয় হয় এবং অন্ধকার দূর হয়।
৮. দেশকে ভালোবেসে শত শহিদ জীবন উৎসর্গ করেছেন। (প্রশ্নবাচক)
উত্তর: দেশকে ভালোবেসে শত শহিদ কি জীবন উৎসর্গ করেননি?
৯. ইহাদের ন্যায় রূপবতী রমণী আমার অন্তঃপুরে নাই। (জটিল)
উত্তর: ইহারা যেমন রূপবতী রমণী তেমন আমার অন্তঃপুরে নাই।
১০. জননী ও জন্মভূমি কি স্বর্গের চেয়েও প্রিয় নয়? (নির্দেশাত্মক)
উত্তর: জননী ও জন্মভূমি স্বর্গের চেয়েও প্রিয়।
১১. একেই কি বলে সভ্যতা? (নেতিবাচক)
উত্তর: একে সভ্যতা বলে না।
১২. শম্ভুনাথ এ কথায় একেবারে যোগই দিলেন না। (অস্তিবাচক)
উত্তর: শম্ভুনাথ এ কথায় যোগ দেওয়া থেকে একেবারেই বিরত থাকলেন।
১৩. যা বার্ধক্য, তাকে সবসময় বয়সের ফ্রেমে বাঁধা যায় না। (সরল)
উত্তর: বার্ধক্যকে সবসময় বয়সের ফ্রেমে বাঁধা যায় না।
১৪. ভুলগুলো এখনই সংশোধন করতে বলছি। (অনুজ্ঞাবাচক)
উত্তর: ভুলগুলো এখনই সংশোধন করো।
১৫. যে লোক চরিত্রহীন, সে পশুর চেয়ে অধম। (সরল)
উত্তর: চরিত্রহীন লোক পশুর চেয়েও অধম।
১৬. পরশমণির বয়স হইলেও শিক্ষা হয় নাই। (যৌগিক)
উত্তর: পরশমণির বয়স হইয়াছে কিন্তু শিক্ষা হয় নাই।
১৭. বিদ্বান হলেও তাঁর অহংকার নেই। (যৌগিক)
উত্তর: তিনি বিদ্বান অথচ তাঁর অহংকার নেই।
১৮. তিনি ধনী ছিলেন, কিন্তু সুখী ছিলেন না। (জটিল)
উত্তর: যদিও তিনি ধনী ছিলেন তবুও সুখী ছিলেন না।
১৯. যদি পরিশ্রম কর, তাহলে ফল পাবে। (যৌগিক)
উত্তর: পরিশ্রম কর তবে ফল পাবে।
২০. মানুষ মরণশীল। (নেতিবাচক)
উত্তর: মানুষ অমর নয়।
২১. বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। (প্রশ্নবোধক)
উত্তর: বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ নয় কি?
২২. ছিঃ এ তো ভারি লজ্জার কথা। (বিস্ময়বাচক)
উত্তর: ছি! এটি কী লজ্জার কথা!
২৩. ঠাট্টার সম্পর্কটাকে স্থায়ী করিবার ইচ্ছা আমার নাই। (জটিল)
উত্তর: যে সম্পর্কটা ঠাট্টার সেটা স্থায়ী করিবার ইচ্ছা আমার নাই।
২৪. আমি আশায় রইলাম। (অস্তিবাচক)
উত্তর: আমি আশা ছাড়িতে অপারগ হইলাম।
২৫. স্বল্পপ্রাণ, স্থূলবুদ্ধি ও জবরদস্তিপ্রিয় মানুষে সংসার পরিপূর্ণ। (নেতিবাচক)
উত্তর: স্বল্পপ্রাণ, স্থূলবুদ্ধি ও জবরদস্তিপ্রিয় মানুষে সংসার অপরিপূর্ণ নয়।
২৬. যা বাঙালির আত্মজাগরণ, তা অভিনন্দনের দাবি রাখে। (সরল)
উত্তর: বাঙালির আত্মজাগরণ অভিনন্দনের দাবি রাখে।
২৭. সদা সত্য কথা বলা উচিত। (অনুজ্ঞা)
উত্তর: সদা সত্য কথা বলবে।
২৮. বাঁশির সুরটি সুমধুর। (বিস্ময়বোধক)
উত্তর: বাঃ! বাঁশির সুর কী সুমধুর।
২৯. মানুষ অমর নয়। (অস্তিবাচক)
উত্তর: মানুষ মরণশীল।
৩০. তিনি দরিদ্র কিন্তু সৎ। (জটিল)
উত্তর: যদিও তিনি দরিদ্র তবুও সৎ।
৩১. সরস্বতী বর দেবেন না। (প্রশ্নবোধক)
উত্তর: সরস্বতী বর দেবেন কি?
৩২. সে আর ভিক্ষা করে না। (প্রশ্নবোধক)
উত্তর: সে আর ভিক্ষা করে কি?
৩৩. বাংলাদেশ কি একটি উন্নয়নশীল দেশ নয়? (অস্তিবাচক)
উত্তর: বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ।
৩৪. তোমার এরূপ ব্যবহার অনুচিত। (নেতিবাচক)
উত্তর: তোমার এরূপ ব্যবহার উচিত নয়।
৩৫. লোকটির সবই আছে, কিন্তু সুখী নয়। (জটিল বাক্য)
উত্তর: যদিও লোকটির সবই আছে তবুও সে সুখী নয়।
৩৬. আমার এমন কিছু নেই, যা তোমাকে দিতে পারি। (সরল)
উত্তর: তোমাকে দেওয়ার মতো আমার কিছু নেই।
৩৭. মেঘনা আসামের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে সাগরে পড়েছে। (যৌগিক)
উত্তর: মেঘনা আসামের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়েছে এবং সাগরে পড়েছে।
৩৮. তুমি যা বললে তা অসত্য। (সরল)
উত্তর: তোমার বলা কথাটা অসত্য।
৩৯. সে সুন্দর গান গায়। (বিস্ময়সূচক)
উত্তর: বাঃ! সে কী সুন্দর গান গায়।
৪০. দুর্জনকে দূরে রাখা উচিত। (অনুজ্ঞা)
উত্তর: দুর্জনকে দূরে রেখো।
আরও দেখো—এইচএসসি বাংলা ২য় পত্রের উত্তরসহ সাজেশন
এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের জন্য চূড়ান্ত সাজেশন হিসেবে বাক্যতত্ত্ব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হয়েছে। তোমাদের পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য বেশকিছু প্রশ্ন উত্তরসহ দেওয়া হয়েছে। শতভাগ কমন পাওয়ার জন্য এ প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ থাকবে। পিডিএফ ফরমেটে উত্তরমালা সংগ্রহের জন্য ‘Answer Sheet’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post