বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন সৃজনশীল সাজেশন : সাহিত্য রচনার উদ্দেশ্য অত্যন্ত মহৎ। সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে লেখকের কেবল সৌন্দর্য সৃষ্টি অথবা মানবমঙ্গলের কথাই বিবেচনায় রাখা । মূলত এ দুটিই জীবনের প্রকৃত সত্য। ধর্মের মর্মমূলেও রয়েছে এ দুয়ের উপস্থিতি। সাহিত্যের উদ্দেশ্য এ কারণেই সত্য ও ধর্ম ব্যতীত অন্য কিছু নয়।
বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন সৃজনশীল সাজেশন
সৃজনশীল—১: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর লেখনীর মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের চেষ্টা করেছেন। তিনি বিভিন্ন গল্প ও উপন্যাসের মাধ্যমে সমাজের কুসংস্কার ও সামন্তবাদী সমাজব্যবস্থার নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরেছেন। ফলে তাঁর লেখা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। লেখনীর মধ্য দিয়েই তিনি হয়ে ওঠেন অপরাজেয় কথাশিল্পী।
ক. লেখকের মতে, সভ্য ও ধর্ম ব্যতীত অন্য উদ্দেশ্যে লেখনী ধারণ কী?
খ. সাহিত্য রচনার প্রকৃত উদ্দেশ্য কী? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’রচনার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে বাংলা সাহিত্যের উন্নতিতে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার লেখকের প্রত্যাশার প্রতিফল ঘটেছে কি? তোমার মতামত দাও।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. লেখকের মতে, সত্য ও ধর্ম ব্যতীত অন্য উদ্দেশ্যে লেখনী ধারণ মহাপাপ।
খ. সাহিত্য রচনার প্রকৃত উদ্দেশ্য সৌন্দর্য সৃষ্টি ও মানবকল্যাণ।
বিভিন্ন লেখক বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে সাহিত্য রচনায় ব্রতী হন। কেউ অর্থ ও যশলাভ করতে চান। কেউ নিছক সৌন্দর্যের ভাবনা প্রকাশ করেন। কেউ আবার মানবকল্যাণে জীবন সঁপে দেন। তবে সাহিত্যের প্রকৃত লক্ষ্য হলো সত্য ও ধর্ম। সৌন্দর্য সৃষ্টি ও মানবকল্যাণ যার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ কারণে সৌন্দর্য সৃষ্টি ও মানবমঙ্গলই সাহিত্য রচনার প্রকৃত উদ্দেশ্য বলে বিবেচিত।
গ. উদ্দীপকে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার মানবকল্যাণ সাধনে সাহিত্য রচনার দিকটি ফুটে উঠেছে। ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনায় আদর্শ সাহিত্য ও সাহিত্যিকের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে। লেখক বা সাহিত্যিক সমাজে মানুষের কল্যাণে সাহিত্য রচনা করলে সে লেখা হয় সৃষ্টিশীল ও কালজয়ী। এর মধ্য দিয়ে যিনি সাহিত্য রচনা করেন তিনিও মানুষের মনে স্থান করে নিতে সক্ষম হন।
উদ্দীপকের শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর লেখনীতে সামাজিক অসঙ্গতি তুলে ধরেছেন। সমাজের কুসংস্কার ও সামন্তবাদী চিন্তার নেতিবাচক দিকগুলো তাঁর সাহিত্যে মূর্ত হয়ে উঠেছে। তাঁর গল্প ও উপন্যাস সমাজ পরিবর্তনের বার্তাবাহী তথ্যসমৃদ্ধ। ফলে তিনি তাঁর লেখার মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। সচেতন পাঠক সাহিত্যিকের কাছে এমন কল্যাণধর্মী লেখাই প্রত্যাশা করে। ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার লেখকের সাহিত্যিকের প্রতি আবেদন উদ্দীপকে প্রতিফলিত লেখকের মতো হওয়ার। আলোচ্য রচনার লেখক প্রত্যাশা করেন যশ বা অর্থের জন্য যেন লেখা না হয়। এমন লেখা রচনা করা উচিত, যার মাধ্যমে এমনিতেই খ্যাতিমান হওয়া যায়। এজন্য তিনি লেখকদের মানুষের কল্যাণ সাধনে সাহিত্য রচনার আহ্বান জানিয়েছেন। উদ্দীপকের শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মাঝে আলোচ্য রচনার এই দিকটিই ফুটে উঠেছে।
ঘ. বাংলা সাহিত্যের উন্নতিতে উদ্দীপকের সমাজ পরিবর্তনের নিমিত্তে সাহিত্য রচনার প্রচেষ্টা ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’রচনার লেখকের প্রত্যাশারই প্রতিফলন।
‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার লেখকের প্রত্যাশা একজন লেখক আদর্শ সাহিত্যিক হবেন। মানবকল্যাণে তাঁর লেখনী অব্যাহত থাকবে। যশ, খ্যাতি বা অর্থের পরিবর্তে মানুষের উপকারার্থে সমাজ বিনির্মাণে লেখক মনোযোগী হবেন।
উদ্দীপকের শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একজন সৃষ্টিশীল সাহিত্যিক। তিনি সমাজকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে অসঙ্গতিগুলো লেখনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। তাঁর গল্প ও উপন্যাসে সমাজের কুসংস্কার ও সামন্তবাদী ব্যবস্থার নেতিবাচক দিক ফুটে উঠেছে। এর উদ্দেশ্য ছিল লেখার মাধ্যমে সমাজ সংস্কার। ফলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন ও অপরাজেয় কথাশিল্পী হয়ে ওঠেন।
‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনায় লেখকের আদর্শ কী হওয়া উচিত সে বিষয়টি আলোকপাত করা হয়েছে। গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হয়েছে ভালো লেখা ও লেখকের আবশ্যকতা। রচনার লেখকের প্রত্যাশা, যারা লেখক তারা শুধু যশ আর অর্থকে মুখ্য করে নিবে না। তারা হবে মানুষ ও সমাজের হিতৈষী। তাদের লেখায় উঠে আসবে ন্যায়ের উপযোগিতা। তারা পরনিন্দা ও অনুকরণবৃত্তি মুক্ত হবে। সমাজের অসঙ্গতি দূর করতে তারা সাহিত্য রচনায় নিমগ্ন থাকবে। রচনার লেখকের এমন প্রত্যাশা পূরণে আলোচ্য উদ্দীপকটিকে বিবেচনা করা যায়। সেখানে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সমাজ পরিবর্তনে সাহিত্য রচনা করে খ্যাতিমান হয়েছেন।
সৃজনশীল—২: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
মানুষের দেহমনের সকল প্রকার ক্রিয়ার মধ্যে ক্রীড়া শ্রেষ্ঠ, কেননা, তা উদ্দেশ্যহীন। মানুষ যখন খেলা করে, তখন সে এক আনন্দ ব্যতীত অপর কোনো ফলের আকাক্সক্ষা রাখে না। যে খেলার ভিতর আনন্দ নেই, কিন্তু উপরি পাওনার আশা আছে, তার নাম খেলা নয়, জুয়াখেলা। ও ব্যাপার সাহিত্যে চলে না।
ক. ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার লেখক কে?
খ. সত্য ও ধর্মই সাহিত্যের উদ্দেশ্য’-উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো।
গ. ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনায় বর্ণিত সাহিত্য ও উদ্দীপকের উল্লিখিত ক্রীড়ার মধ্যে কোথায় পার্থক্য লক্ষ করা যায়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘অমিল থাকলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাহিত্য ও ক্রীড়ার মাঝে তাৎপর্যপূর্ণ মিলও রয়েছে’-এ বিষয়ে তোমার মতামত তুলে ধরো।
২ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার লেখক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
খ. সাহিত্য রচনার প্রকৃত উদ্দেশ্য মানবকল্যাণ ও সৌন্দর্য সৃষ্টি সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রবন্ধকার প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।
সাহিত্য রচনার উদ্দেশ্য অত্যন্ত মহৎ। সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে লেখকের কেবল সৌন্দর্য সৃষ্টি অথবা মানবমঙ্গলের কথাই বিবেচনায় রাখা । মূলত এ দুটিই জীবনের প্রকৃত সত্য। ধর্মের মর্মমূলেও রয়েছে এ দুয়ের উপস্থিতি। সাহিত্যের উদ্দেশ্য এ কারণেই সত্য ও ধর্ম ব্যতীত অন্য কিছু নয়।
গ. উদ্দীপকে ক্রীড়াকে উদ্দেশ্যহীন বলা হলেও আলোচ্য প্রবন্ধে সাহিত্যের বিভিন্ন উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে, যা উদ্দীপকের ক্রীড়া ও আলোচ্য প্রবন্ধের সাহিত্যের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করে।
‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’রচনায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সাহিত্যের উদ্দেশ্য সম্পর্কে নবীন লেখকদের মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করেছেন। ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় উদ্দেশ্য নিয়েই সাহিত্য রচনা করা যায়। লেখকের মতে, সাহিত্যের প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো সৌন্দর্য সৃষ্টি ও মানবকল্যাণ। এছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্য যেমন ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধার বা মানবপীড়নের জন্য সাহিত্য রচনাকে তিনি ‘মহাপাপ’ হিসেবে গণ্য করেছেন।
উদ্দীপকে মানুষের দেহমনের সকল ক্রিয়ার মধ্যে ক্রীড়াকে শ্রে’বলা হয়েছে। কেননা, এটি উদ্দেশ্যহীন। মানুষ নিছক আনন্দ লাভের জন্যই খেলাধুলা করে থাকে, অন্য কিছু পাবার আশায় নয়। সাধারণ ক্রীড়া উদ্দেশ্যহীন হলেও সাহিত্য তা নয়। এর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য রয়েছে। এখানেই ক্রীড়ার সাথে সাহিত্যের পার্থক্য লক্ষ করা যায়।
ঘ. অর্থের সংশ্লিষ্টতায় ক্রীড়া ও সাহিত্য উভয়েরই কলুষিত হওয়ার সুযোগ থাকে, যা উদ্দীপকের ক্রীড়া ও প্রবন্ধের সাহিত্যের মিল নির্দেশ করে।
‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ প্রবন্ধে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে নবীন লেখকদের আর্থিক লাভের। করতে বারণ করেছেন। তাঁর মতে, অর্থের জন্য লিখলে লেখায় লোকরঞ্জন-প্রবৃত্তি প্রবল ওঠে। আমাদের দেশের সাধারণ পাঠকের পশ্চাৎপদ মননশীলতার বিচারে লেখায় লোকরঞ্জন করতে গেলে রচনা বিকৃত ও অনিষ্টকর হয়ে পড়ে।
উদ্দীপকে খেলাধুলার মাধ্যমে আনন্দপ্রাপ্তির কথা বলা হয়েছে। লোকে সচরাচর অর্থ বা ব্যক্তিগত স্বার্থে নয় বরং নির্মল আনন্দ লাভের উদ্দেশ্যেই খেলাধুলা করে থাকে। উদ্দীপকে উল্লিখিত রচনার লেখকের মতে, খেলাধুলায় আনন্দ লাভের পরিবর্তে অর্থ লাভের বিষয়টি মুখ্য হয়ে উঠলে সেই খেলা জুয়াখেলায় রূপান্তরিত হয়। একইভাবে অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে সাহিত্য রচনা করতে গেলে তার স্বাভাবিক ধর্ম বিনষ্ট হয়।। আলোচ্য প্রবন্ধে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, সাহিত্য রচনার সময় কোনো কিছু পাওয়ার আশা না করতে। বরং লেখার উৎকর্ষ বৃদ্ধির প্রতি নবীন লেখকদের যত্নবান হওয়া উচিত।
লেখা ভালো হলে অর্থ, খ্যাতি আপনা থেকেই আসে। কিন্তু লেখার সময় অর্থের কথা ভাবলে লোকের মন রক্ষার কথা মাথায় চলে আসে। ক্রীড়া যেমন স্বতঃস্ফূর্ত তেমনি লেখকের লেখাও সকল প্রভাব ও হওয়া চাই। তবেই লেখা হয়ে উঠবে সৌন্দর্য প্রকাশে সক্ষম এবং মানুষের জন্য কল্যাণকর। অন্যদিকে, অর্থের প্রভাবে যেমন সাধারণ খেলা জুয়াখেলায় পরিণত হয়, তেমনি সাহিত্যও হয়ে উঠতে পারে মানুষের জন্য হানিকর। এ কারণেই দেখাও স্বতঃস্ফূর্ত ও মানবকল্যাণের আদর্শের অনুগামী হওয়া বাঞ্ছনীয়। আলোচনা থেকে দেখা যায় সামান্য অমিল থাকলেও অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষার দিক থেকে কোনো কোনো ক্রীড়া ও সাহিত্যের মাঝে তাৎপর্যপূর্ণ মিল বিদ্যমান। অর্থাৎ প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথাযথ বলেই আমি মনে করি।
সৃজনশীল—৩: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে ‘অতসীমামী’ নামে গল্প লেখেন। গল্পটি পত্রিকায় প্রকাশের পর এত আলোড়ন তৈরি করে যে, এরপর তিনি লেখালেখিতেই নিজেকে নিয়োজিত করে ফেলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে মনের আনন্দে লিখে গেছেন তিনি। ফলে তাঁর সাহিত্যিক খ্যাতি ছিল সর্বজনবিদিত।
ক. আমাদের দেশের সাধারণ পাঠকের কী বিবেচনায় লোকরঞ্জন করতে গেলে রচনা বিকৃত ও অনিষ্টকর হয়ে পড়ে?
খ. ‘টাকার জন্য লিখিবেন না’- বঙ্কিমচন্দ্র এ পরামর্শ কেন দিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকে ‘‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’’ রচনার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘লেখা ভালো হইলে যশ আপনি আসিবে’ কথাটি উদ্দীপকের মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে কতটুকু সঠিক? তোমার মতামত দাও।
সৃজনশীল—৪: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
খেতের পরে যেত চলেছে, খেতের নাহি শেষ
সবুজ গাওয়ায় দুলছে ও কার এলো মাথার কেশ।
সেই কেশেতে গয়না পরায় প্রজাপতির ঝাঁক,
চজুতে তাল ছিটায় সেথা কালো কালো কাক।
সাদা সাদা বক-কনেরা রচে সেথায় মালা,
শরৎকালের শিশির সেথা জ্বালায় মানিক আলা
তারি মায়ায় থোকা থোকা দোলে ধানের ছড়া,
মার আঁচলের পরশ থোকা যেন সকল অভাব-হরা।
সেই ফসলে আসমানিদের নেইকো অধিকার,
জীর্ণ পাঁজর বুকের হাড়ে জ্বলছে হাহাকার।
ক. কোন ধরনের প্রবন্ধ কখনো হিতকর হতে পারে না?
খ. সুতরাং তাহা একেবারে পরিহার্য ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের প্রথম আট চরণে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনায় উল্লিখিত সাহিত্য রচনার কোন উদ্দেশ্য ফুটে উঠেছে।
ঘ. ‘উদ্দীপকে সাহিত্য সৃজনের প্রকৃত উদ্দেশ্যসমূহের পরিপূর্ণ প্রকাশ ঘটেছে’ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল—৫: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
পয়লা বৈশাখের ক্রোড়পত্রে ছাপানোর জন্য প্রকাশকের জরুরি তাগাদায় একটি প্রবন্ধ লেখে আশিক। কিন্তু লেখাটি নিজের মনঃপূত না হওয়ায় পরে একসময় ছাপাতে চায় সে। আশিকের এমন মনোভাবের কথা জানতে পেরে প্রকাশক বলেন, পয়লা বৈশাখের সংখ্যায় লেখা ছাপালে বহু লোক তাকে চিনবে। তাছাড়া টাকাও বেশি পাওয়া যাবে। তাঁর কথায় আশিক লেখাটি ছাপাতে রাজি হয়।
ক. কোথায় এখন অনেকে টাকার জন্য লেখে এবং লেখাও ভালো হয়?
খ. বঙ্কিমচন্দ্র লেখাকে কিছুকাল ফেলে রাখতে বলেছেন কেন?
গ. আশিকের প্রথম সিদ্ধান্তটি ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার কোন প্রসঙ্গকে ইঙ্গিত করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. আশিকের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি তার লেখকসত্তা বিকাশে কেমন প্রভাব ফেলবে বলে তুমি মনে করো? বিশ্লেষণী মতামত দাও।
আরও দেখো: ১০০% কমন বাংলা সৃজনশীল এবং MCQ প্রশ্ন উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সাজেশন হিসেবে বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন সৃজনশীল সাজেশন আলোচনা করা হয়েছে। এখানে পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য মোট ৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন-উত্তর রয়েছে। আমি আশা করছি, এই প্রশ্নগুলো প্রাকটিস করলে তোমরা পরীক্ষার জন্য শতভাগ কমন পেয়ে যাবে। সবগুলো প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহের জন্য উপরে ‘ANSWER SHEET’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post