বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর : লক্ষ্মণকে হত্যা করার মাধ্যমে তিনি লঙ্কার কলঙ্ক মুক্ত করবেন। মেঘনাদের মতে, লক্ষ্মণ একজন অবমানিত ও নিম্নশ্রেণির ব্যক্তি, যিনি লঙ্কার পবিত্র যজ্ঞাগারে প্রবেশ করেছে। মেঘনাদ মনে করেন, যুদ্ধের মাধ্যমে লক্ষ্মণকে হত্যা করে এবং তাকে যমালয়ে পাঠিয়ে লঙ্কার কলঙ্ক থেকে মুক্তি পেতে হবে। ‘মেঘনাদবধ’ মহাকাব্যে রামচন্দ্র স্বর্ণলঙ্কা আক্রমণ করলে রাজা রাবণ তাঁর দ্বীপ রাজ্য স্বর্ণলঙ্কা রক্ষার জন্য যুদ্ধে লিপ্ত হন, সে যুদ্ধে ভাই কুম্ভকর্ণ এবং পুত্র বীরবাহুর মৃত্যু হলে মেঘনাদকে সেনাপতি নির্বাচিত করেন।
পরবর্তী দিন যুদ্ধে যাওয়ার আগে মেঘনাদ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে অগ্নিদেবের পূজা করতে মনস্থির করে। মায়াদেবীর দৈবকৌশলে এবং তার খুল্লতাত বিভীষণের সহায়তায় সেই যজ্ঞাগারে প্রবেশ করে রামানুজ লক্ষ্মণ সেখানে নিরস্ত্র মেঘনাদকে আক্রমণ করে। মেঘনাদ অস্ত্রাগারে প্রবেশ করতে চাইলে বিভীষণ তাকে বাধা দেয় এবং দ্বার রোধ করে রাখে। এ অবস্থায় মেঘনাদ আলোচ্য উক্তিটি করেছিলেন।
বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর
১. ‘প্রফুল্ল কমলে কীটবাস’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: ‘প্রফুল্ল কমলে কীটবাস’ বলতে উঁচু বংশে জন্মগ্রহণ করেও বিশ্বাসঘাতকতা এবং হীন ব্যক্তিদের সাথে আঁতাত করার জন্য বিভীষণের হীন স্বভাবকে বোঝানো হয়েছে।
‘মেঘনাদবধ-কাব্যে’র ষষ্ঠ সর্গ থেকে সংকলিত হয়েছে ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতা। এখানে রামানুজ লক্ষণ কর্তৃক রাবণপুত্র মেঘনাদ নিধনের কাহিনী কবি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচনা করেছেন। রামচন্দ্র দ্বীপরাজ্য স্বর্ণলঙ্কা আক্রমণ করলে সেখানকার রাজা রাবণ সম্মুখযুদ্ধে ভাই কুম্ভকর্ণ এবং পুত্র বীরবাহুকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে। তখন অসীম সাহসী বীর পুত্র মেঘনাদকে সেনাপতি করে পরবর্তী দিনের যুদ্ধ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। মেঘনাদ যুদ্ধযাত্রার আগে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে ইষ্টদেবতা অগ্নিদেবের পূজা সম্পন্ন করার জন্য মনস্থির করে। সেখানে মায়াদেবীর আনুকূল্যে এবং বিভীষণের সহায়তায় লক্ষণ প্রবেশ করে নিরস্ত্র মেঘনাদকে আক্রমণ করে। মেঘনাদ তখন পিতৃব্য বিভীষণকে নানাভাবে বুঝিয়ে অস্ত্রাগারে যাওয়ার অনুমতি চাইল। কিন্তু বিভীষণ দ্বার ছেড়ে দাঁড়াল না। বরং সে যে রাঘবের দাস তা জানিয়ে দিল। তখন ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে মেঘনাদ আলোচ্য উক্তিটি করেছে।
২. “তব জন্মপুরে, তাত, পদার্পণ করে বনবাসী।” ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: “তব জন্মপুরে, তাত, পদার্পণ করে বনবাসী।”- উক্তিটি মেঘনাদ করেছে তার পিতৃব্য বিভীষণকে উদ্দেশ্য করে। এখানে লক্ষ্মণকে বনবাসী হিসেবে নির্দেশ করা হয়েছে।
রামচন্দ্র কর্তৃক দ্বীপরাজ্য স্বর্ণলঙ্কা আক্রান্ত হলে রাজা রাবণ শত্রুর উপর্যুপরি দৈব কৌশলের কাছে অসহায় হয়ে পড়েন। ভাই কুম্ভকর্ণ ও পুত্র বীরবাহুর মৃত্যুর পর মেঘনাদকে তিনি পরবর্তী দিবসে অনুষ্ঠেয় মহাযুদ্ধের সেনাপতি হিসেবে বরণ করে নেন। যুদ্ধজয় নিশ্চিত করার জন্য মেঘনাদ যুদ্ধযাত্রার আগেই নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে ইষ্টদেবতা অগ্নিদেবের পূজা সম্পন্ন করতে মনস্থির করে। লক্ষ্মণ মায়াদেবীর আনুকূল্যে এবং রাবণের অনুজ বিভীষণের সহায়তাপ্রাপ্তি হয় বলে মেঘনাদ দুঃখ করে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করে।
৩. নিজ গৃহ পথ, তাত, দেখাও তস্করে?/চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: নিজ গৃহ পথ, তাত, দেখাও তস্করে?/চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে? উক্তিটি আত্মক্ষোভে মেঘনাদ বিশ্বাসঘাতক বিভীষণকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল। চণ্ডালে বলতে এখানে রামানুজ লক্ষ্মণকে বোঝানো হয়েছে।
‘মেঘনাদবধ’ মহাকাব্যে রামচন্দ্র স্বর্ণলঙ্কা আক্রমণ করলে রাজা রাবণ তাঁর দ্বীপ রাজ্য স্বর্ণলঙ্কা রক্ষার জন্য যুদ্ধে লিপ্ত হন, সে যুদ্ধে ভাই কুম্ভকর্ণ এবং পুত্র বীরবাহুর মৃত্যু হলে মেঘনাদকে সেনাপতি নির্বাচিত করেন। পরবর্তী দিন যুদ্ধে যাওয়ার আগে মেঘনাদ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে অগ্নিদেবের পূজা করতে মনস্থির করে। মায়াদেবীর দৈবকৌশলে এবং তার খুল্লতাত বিভীষণের সহায়তায় সেই যজ্ঞাগারে প্রবেশ করে রামানুজ লক্ষ্মণ সেখানে নিরস্ত্র মেঘনাদকে আক্রমণ করে। মেঘনাদ অস্ত্রাগারে প্রবেশ করতে চাইলে বিভীষণ তাকে বাধা দেয় এবং দ্বার রোধ করে রাখে। এ অবস্থায় মেঘনাদ আলোচ্য উক্তিটি করেছিলেন।
৪. “ছাড় দ্বার, যাব অস্ত্রাগারে/পাঠাইব রামানুজে শমন ভবনে,/লঙ্কার কলঙ্ক আজি ভঞ্জিব আহবে।” ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: “ছাড় দ্বার, যাব অস্ত্রাগারে/পাঠাইব রামানুজে শমন ভবনে,/লঙ্কার কলঙ্ক আজি ভঞ্জিব আহবে।”-কথাগুলো মেঘনাদ বলেছেন বিশ্বাসঘাতক বিভীষণকে উদ্দেশ্য করে।
‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ যুদ্ধযাত্রার আগে মেঘনাদ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে ইষ্টদেবতা অগ্নিদেবের পূজা সম্পন্ন করতে মনস্থির করলেন। কিন্তু মায়াদেবীর আনুকূল্যে এবং রাবণের অনুজ বিভীষণের সহায়তায় শত শত প্রহরীর চোখ ফাঁকি দিয়ে সেই যজ্ঞাগারে প্রবেশ করে রামানুজ লক্ষ্মণ। সেখানে লক্ষ্মণ নিরস্ত্র মেঘনাদকে তার সাথে যুদ্ধের আহ্বান করে এবং তরবারি কোষমুক্ত করে আক্রমণ করে। সেই আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য মেঘনাদ অস্ত্রাগারে যাওয়ার জন্য বিভীষণকে অনুরোধ করেন। কারণ বিভীষণ অস্ত্রাগারের দ্বার রোধ করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ প্রসঙ্গে মেঘনাদ বিভীষণকে আলোচ্য কথাগুলো বলেছেন।
৫. লক্ষ্মণকে দুর্বল মানব বলে অভিহিত করা হয়েছে কেন?
উত্তর: অস্ত্রহীন মেঘনাদের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ করার কারণে লক্ষ্মণকে দুর্বল মানব হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
রাক্ষসপুরীর পরাক্রমশালী বীর মেঘনাদের বক্তব্য অনুযায়ী লক্ষ্মণ অতি দুর্বলচিত্তের মানব। কেননা, তিনি চোরের মতো লুকিয়ে যজ্ঞাগারে প্রবেশ করে অস্ত্রহীন মেঘনাদকে যুদ্ধে আহ্বান জানিয়েছেন। অথচ বীরের ধর্ম হলো অস্ত্রহীন কারো সাথে সংগ্রামে লিপ্ত না হওয়া। লক্ষ্মণের কাপুরুষোচিত বৈশিষ্ট্যের কারণেই তাকে দুর্বল মানব হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
৬. বিভীষণ নিজেকে রাঘবের দাস বলেছেন কেন?
উত্তর: বিভীষণ রামের নৈতিকতার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তাঁর আদর্শে নিজেকে সমর্পণ করেছেন বলে তিনি নিজেকে রাঘবের দাস বলেছেন।
রাক্ষসরাজ রাবণ বিভীষণের বড় ভাই। রাবণ রামের সাথে যে অন্যায় করেছিলেন বিভীষণ তা সমর্থন করতে পারেন নি। রাবণের যে পাপে আজ সমস্ত লঙ্কাপুরী কলঙ্কিত সে দোষে বিভীষণ নিজে মরতে চান না। তাই রামের নৈতিকতার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তিনি তাঁর আজ্ঞাবহ হয়েছেন। আর তাই রাবণের ভাই হওয়া সত্ত্বেও তিনি নিজেকে রাঘবের দাস মনে করেন।
৭ ‘রাঘব দাস আমি’ কী প্রকারে তাঁর বিপক্ষে কাজ করিব’- বিভীষণ একথা কেন বলেছেন?
উত্তর: মেঘনাদের তিরস্কারের জবাবে বিভীষণ আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে প্রশ্নোল্লিখিত উক্তিটি করেছেন।
বিভীষণের মতে, তিনি সত্য ও ন্যায়ের পথ অবলম্বন করার জন্য রামের পক্ষ নিয়েছেন। রাক্ষসরাজ রাবণ তাঁর পাপকর্মের কারণে লঙ্কার সর্বনাশ ডেকে এনেছেন। তাই তিনি দেবতাদের অনুগ্রহপ্রাপ্ত ন্যায়নিষ্ঠ রামকে প্রভু হিসেবে মেনে নিয়েছেন। বিভীষণ বলেন যে, ন্যায়ধর্মের পথ অবলম্বন করার জন্য রামের দাসে পরিণত হয়েছেন তিনি, ফলে তাঁর পক্ষে আর রামের বিরুদ্ধাচরণ সম্ভব নয়।
বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর
৮. মেঘনাদ লক্ষ্মণকে ‘ক্ষুদ্রমতি নর’ বলেছেন কেন?
উত্তর: নিরস্ত্র মেঘনাদকে যুদ্ধে আহ্বান করার কারণে মেঘনাদ লক্ষ্মণকে ক্ষুদ্রমতি নর বলেছেন।
কপটতার আশ্রয় নিয়ে লক্ষ্মণ মেঘনাদের যজ্ঞাগারে প্রবেশ করেন। এছাড়াও লক্ষ্মণ নিরস্ত্র মেঘনাদকে যুদ্ধে আহ্বান জানান। যুদ্ধসাজে সজ্জিত লক্ষ্মণ অস্ত্রহীন মেঘনাদের সাথে যে আচরণ করেছেন তা মোটেও বীরের কাজ নয়। তাই মেঘনাদ লক্ষ্মণকে ক্ষুদ্রমতি নর বলেছেন।
৯. ‘চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে’-ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ‘চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে’- লাইনটি দ্বারা অধমকে উত্তম স্থানে আসীন করানোকে বোঝানো হয়েছে।
বিভীষণ রামের অনুগত ছিলেন। রামের আদর্শানুসারী হওয়ায় রাক্ষসকুলের বীর মেঘনাদ বিভীষণকে ভর্ৎসনা করেন। মেঘনাদের মতে, রাম তুচ্ছ ও হীন চরিত্রাধিকারী। তাঁকে আদর্শ হিসেবে বিভীষণ অনুসরণ করার মাধ্যমে মূলত চণ্ডালকে তথা হীনকে রাজার আসনে বসিয়েছেন।
১০. মেঘনাদ কীভাবে লঙ্কার কলঙ্ক মোচন করতে চেয়েছেন?
উত্তর: মেঘনাদ লক্ষ্মণকে হত্যা করে লঙ্কার কলঙ্ক মোচন করতে চেয়েছেন।
লঙ্কা রাক্ষসদের রাজ্য। সেখানে কোনো গুপ্তচর বা শত্রট্ট প্রবেশের সাহস পায় না কিংবা প্রবেশের ক্ষমতাও রাখে না। অথচ লক্ষ্মণ সবার চোখে ধুলো দিয়ে লঙ্কায় প্রবেশ করে রাজ্যের কলঙ্ক সৃষ্টি করেছেন। তাই লক্ষ্মণকে হত্যা করে মেঘনাদ লঙ্কার কলঙ্ক মোচন করতে চেয়েছেন।
১১. ‘হে পিতৃব্য, তব বাক্যে ইচ্ছি মরিবারে! রাঘবের দাস তুমি’-উক্তিটিতে মেঘনাদ কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: ‘হে পিতৃব্য, তব বাক্যে ইচ্ছি মরিবারে! রাঘবের দাস তুমি’ -উক্তিটি দ্বারা বোঝানো হয়েছেÑবিভীষণও রামচন্দ্রের আজ্ঞাবহ হয়েছে তা শুনে মেঘনাদ ক্ষোভে, দুঃখে, যন্ত্রণায় তাঁর চাচাকে বলে যে, এ কথা শুনে তার মরে যেতে ইচ্ছে হয়।
মেঘনাদ যুদ্ধে যাবার আগে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে পূজা দিতে প্রবেশ করে। হঠাৎ সেখানে লক্ষ্মণকে দেখে সে অবাক হয়, কিন্তু সাথে বিভীষণকে দেখে ক্ষোভে, দুঃখে, অপমানে কাকাকে যথেষ্ট ভর্ৎসনা করে। তাদের কুলগৌরব সম্পর্কে সচেতন করার জন্য নানা উপমা দেয়। রাক্ষসকুলে জন্ম নিয়ে বিভীষণ কীভাবে রাঘবের পক্ষ নেয় তা শুনে মেঘনাদের মরে যেতে ইচ্ছা করে।
১২. “লঙ্কার কলঙ্ক আজ ভন্তির আহরে।”- দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: এই উক্তির মাধ্যমে মেঘনাদ বোঝাতে চেয়েছেন যে, লক্ষ্মণকে হত্যা করার মাধ্যমে তিনি লঙ্কার কলঙ্ক মুক্ত করবেন। মেঘনাদের মতে, লক্ষ্মণ একজন অবমানিত ও নিম্নশ্রেণির ব্যক্তি, যিনি লঙ্কার পবিত্র যজ্ঞাগারে প্রবেশ করেছে। মেঘনাদ মনে করেন, যুদ্ধের মাধ্যমে লক্ষ্মণকে হত্যা করে এবং তাকে যমালয়ে পাঠিয়ে লঙ্কার কলঙ্ক থেকে মুক্তি পেতে হবে।
১৩. “চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে”- পংক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: এই উক্তিটি মেঘনাদ বিভীষণকে উদ্দেশ্য করে বলেছে। এখানে মেঘনাদ বলছেন যে, যিনি হীন বা নিকৃষ্ট জাতি বা শ্রেণির (যেমন চandaল) মানুষকে রাজা বা সম্মানের স্থানায় বসানো হচ্ছে, তা শুধু বিভীষণের জন্য। বিভীষণ লক্ষ্মণকে লঙ্কার রাজ্যে প্রবেশের সুযোগ দিয়েছিলেন, যা মেঘনাদ মনে করেন, অবমাননা ও অপমানের শামিল।
১৪. “স্থাপিলা বিধুরে বিধি স্থাণুর ললাটে”- কথাটি বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: এই উক্তিটি মেঘনাদ বিভীষণকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন। “স্থাপিলা বিধুরে বিধি স্থাণুর ললাটে” দ্বারা মেঘনাদ বলতে চেয়েছেন, সৃষ্টিকর্তা সমস্ত কিছুকে নির্দিষ্ট নিয়মে স্থাপন করেছেন, ঠিক যেমন চাঁদ আকাশে নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মেঘনাদ বিভীষণকে তার অবস্থান, আত্মমর্যাদা ও বংশগৌরব মনে করিয়ে দিচ্ছেন, যাতে বিভীষণ তার দায়িত্বপূর্ণ কাজের প্রতি সজাগ হন।
১৫. “শাস্ত্রে বলে, গুণবান যদি পরজন, গুণহীন স্বজন, তথাপি নির্গুণ স্বজন শ্রেয়ঃ পরঃ পরঃ সদা!”- বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: এই শাস্ত্রবাক্য দ্বারা বোঝানো হয়েছে, গুণবান হলেও তিনি যদি পর ব্যক্তি হন, তবে গুণহীন হলেও স্বজনই শ্রেয়। অর্থাৎ, যিনি আপন, তিনি হয়তো গুণে হীন, তবে তাকে পরের তুলনায় শ্রেয় মনে করা হয়। মেঘনাদ এই কথাটি বিভীষণকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, যে, স্বজনের মূল্য সবার থেকে বেশি, যদিও তার গুণ কম।
◉ আরও দেখ: একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সকল গল্প-কবিতার CQ-MCQ সমাধান
শিক্ষার্থীরা, উপরে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা বই থেকে বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হয়েছে। আমি আশা করছি, এই প্রশ্নগুলো প্রাকটিস করলে তোমরা পরীক্ষার জন্য শতভাগ কমন পেয়ে যাবে। সবগুলো অনুধাবন প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ আকারে সংগ্রহের জন্য উপরে ‘ANSWER SHEET’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post