বিলাসী গল্পের সৃজনশীল সাজেশন : মানুষকে ঠকিয়ে শিকড়-বাকড় বিক্রি করার প্রয়োজন পড়ে না। কারণ সে জানে, সাপ ধরার পর বিষ দাঁত ভেঙে দিলে বা মুখে চাপা দিলে সে ভয় পায় এবং পালিয়ে বাঁচে। অথচ মৃত্যুঞ্জয় শিকড়-বাকড় সাপের বিষ নষ্ট করে একথা বলে মানুষকে ঠকিয়ে পয়সা নেয়। তাই সে মৃত্যুঞ্জয়কে বোঝায় যে, তাদেরতো খাবার ভাবনা নেই, কাজেই লোক ঠকানোর প্রয়োজন কী? অর্থের বিনিময়ে লোক ঠকানোর কাজটা যে বিলাসীর পছন্দ নয়, তা এই কথার মাধ্যমে বুঝা যায়।
বিলাসী গল্পের সৃজনশীল সাজেশন
সৃজনশীল—১: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
সুন্দর আলি জাত সাপুড়ে হলেও সে সাপ ধরে না বা শিকড়-তাবিজ বিক্রি করে করে না। নিজে হাতে বাঘ মার্কা মলম তৈরি করে গানের আসর বসিয়ে তা বিক্রি করে। এতে লাভ অনেক বেশি। আবার মানুষের উপকারও হয। তার স্ত্রী বেশি লাভ করে মানুষ ঠকানো মোটেও পছন্দ করে না।
ক. ‘বুকফাটা’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘বাঙালির বিষ’ বলতে কী বুঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের সুন্দর আলীর স্ত্রীর সাথে ‘বিলাসী’ গল্পের কার সাদৃশ্য আছে? তুলনামূলকভাবে আলোচনা কর।
ঘ. সাদৃশ্য থাকলেও ‘মৃত্যুঞ্জয় পুরোপুরি সুন্দর আলী নয়’—‘বিলাসী’ গল্প অনুসরণে কথাটির যৌক্তিকতা প্রমাণ কর।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘বুকফাটা’ শব্দটির অর্থ হৃদয়বিদারক।
খ. ‘বাঙালির বিষ’ বলতে বাঙালির ক্ষণস্থায়ী ক্রোধ বা বিদ্বেষকে বুঝানো হয়েছে।
বাঙালির রাগ আছে, হিংসা-বিদ্বেষ আছে। কিন্তু তা কখনো দিনের পর দিন বা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে না। মনের মধ্যে প্রতিশোধ না নেওয়া পর্যন্ত পুষে রাখে না। রাগের বশে বা হিংসার বসে কারো কোন ক্ষতি বা খুন-খারাবি ও করেনা। বাক বিতন্ডা ও অকথ্য গালাগালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ এবং ক্ষণস্থায়ী। সাপের বিষ যেমন অবাধ্যভাবে কার্যকর অর্থাৎ কমর দেওয়ার সাথে সাথেই তার মৃত্যুর ঘন্টা বাজিয়ে দেয়। বাঙালির কথার বিষ এমন অব্যর্থভাবে কার্যকর নয়।
গ. উদ্দীপকের সুন্দর আলীর স্ত্রীর সাথে ‘বিলাসী’ গল্পের বিলাসীর মন-মানসিকতার চমৎকার সাদৃশ্য আছে। কেনোনা সুন্দর আলীর স্ত্রী যেমন মানুষকে ঠকিয়ে অর্থ-বিত্তের মালিক হতে পছন্দ করেনা, তেমনি বিলাসী ও তাবিজ-কবজ, শিকর-বাকর, বিক্রির মাধ্যমে মানুষকে ঠকাতে পছন্দ করে না। যদিও তাতে লাভ অনেক।
সমাজে অনেক লোকই মানুষকে ঠকিয়ে ব্যবসা করে। অনেকে মানুষের এই লোক ঠকানো কে চরমভাবে ঘৃণা করে। তারা নিজেরাও কাউকে ঠকায় না এবং অন্যরা ঠকাক তাও চায়না। উদ্দীপকের সুন্দর আলীর স্ত্রী এবং ‘বিলাসী’ গল্পের বিলাসীর মধ্যে এসব দেখতে পাওয়া যায়।
উদ্দীপকের সুন্দর আলী কম খরচে বেশি লাভ করতে আগ্রহী। স্ত্রী মনে করে খরচ যেহেতু কম সে হতো বেশি দামে মলম বিক্রি করার প্রয়োজন কী? মানুষকে ঠকিয়ে বেশি লাভ করা সে পছন্দ করে না। ক্রেতারা কম দামে জিনিস পাবে আবার উপকৃত হবে- এটাই সে মনেপ্রানে চায়। অন্যদিকে বিলাসী গল্পের মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী বিলাসী ও বেশি লাভ বা অর্থবিত্ত পছন্দ করেনা। এমনিতেই দুজন মানুষের খাওয়া-পরা সচ্ছন্দে মিটে যায়। মানুষকে ঠকিয়ে শিকড়-বাকড় বিক্রি করার প্রয়োজন পড়ে না। কারণ সে জানে, সাপ ধরার পর বিষ দাঁত ভেঙে দিলে বা মুখে চাপা দিলে সে ভয় পায় এবং পালিয়ে বাঁচে। অথচ মৃত্যুঞ্জয় শিকড়-বাকড় সাপের বিষ নষ্ট করে একথা বলে মানুষকে ঠকিয়ে পয়সা নেয়। তাই সে মৃত্যুঞ্জয়কে বোঝায় যে, তাদেরতো খাবার ভাবনা নেই, কাজেই লোক ঠকানোর প্রয়োজন কী? অর্থের বিনিময়ে লোক ঠকানোর কাজটা যে বিলাসীর পছন্দ নয়, তা এই কথার মাধ্যমে বুঝা যায়।
ঘ. সাদৃশ্য থাকলেও ‘মৃত্যুঞ্জয় পুরোপুরি সুন্দর আলী নয়’ কথাটি যথার্থ যুক্তিযুক্ত ও বাস্তবসম্মত। মৃত্যুঞ্জয় সাপুড়ে না হয়েও সাপুড়ের কাজ করে, আর সুন্দর আলী জাত সাপুরে হয়েও ভিন্ন পেশা অবলম্বন করেছে।
মানুষ দু’ রকমের পেশা অবলম্বন করে-এক উপায়ান্তর না দেখে বাধ্য হয়ে, দুই, স্বেচ্ছায় বা নিজের পছন্দমত। বাধ্য হয়ে যারা কোন পেশা বেছে নেয় তাতে তাদের প্রাণবন্ত আনন্দ থাকে না। কিন্তু যারা পছন্দমতো বেছে নেয় তাদের সেই কাজে মনোযোগ ও স্বতঃস্ফূর্ততা থাকে। এখানেই উদ্দীপকের সুন্দর আলী ও বিলাসী গল্পের মৃত্যুঞ্জয়ের মধ্যে পার্থক্য।
বিলাসী গল্পে আমরা দেখতে পাই, বিলাসীকে বিয়ে করে মৃত্যুঞ্জয় আকস্মিকভাবেই সাপুড়ের পেশাটি বেছে নিয়েছে। কোন পূর্ব পরিকল্পনা বা ইচ্ছা ছিল না। তার পোশাক কথাবার্তা বা আচরণ এ একেবারে যা সাপুরে মনে হয়। আসলে সেটা নয়। কায়স্থ ঘরের ছেলে হয়েও সে আনন্দের সঙ্গে সাপুড়ের পেশা বেছে নিয়েছে এবং অর্থ উপার্জন করেছে সচ্ছন্দে। অপরদিকে সুন্দর আলী জাত সাপুড়ে হয়ে অন্য পেশা গ্রহণ করেছে।
সুন্দর আলী জাত সাপুড়ে। সাপুড়ের ঘরে সে জন্মেছে। সাপের খেলা দেখানো, শিকড়-তাবিজ বিক্রি করা, সাপ ধরা ও বিষ বিক্রি করার সবই সে জানে। এইসবই লাভজনক সন্দেহ নাই। তবুও সেই পেশা গ্রহণ করেনি। সে নিজ হাতে ব্যথা বেদনা উপশমের বাঘ মার্কা মলম বানায়। তাতে খরচ পরড় যৎসামান্য, কিন্তু লাভ হয় অনেক বেশি। হাটে বাজারে গানের আসর বসিয়েছে এগুলো বিক্রি করে। অবশ্য তার স্ত্রী এটাকে মানুষ ঠকানোর ব্যবসায়ী মনে করে। তাই পছন্দ করে না। আলোচনার প্রেক্ষিতে এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, মৃত্যুঞ্জয় যেমন পৃথক সত্তার, সুন্দর আলী ও তাই। কাজেই মৃত্যুঞ্জয় সুন্দরী নয়।
সৃজনশীল—২: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ভালোবাসা যে কোন বাধা মানে না, এটা প্রমাণ করেই ডাক্তারের ছেলে সুবোধ বিয়ে করল রিক্সাওয়ালার মেয়ে নন্দিতাকে। সুবোধের বাবা অগ্নিশর্মা হয়ে সুবোধকে বাড়ি থেকে বের করে দিলেন। সুবোধের বাবা ভেবেছেন হয়তো ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসবে। কিন্তু সুবোধের ভালোবাসা মহের চটকদার মোড়কে মোড়ানো ছিল না। নন্দিতা ও তার পরিবারকে নিয়ে গ্রামছাড়া সুবোধ। পা বাড়ালো অজানা ভবিষ্যতে।
ক. মৃত্যুঞ্জয়ের বাগানটা কত বিঘার ছিল?
খ. ‘ভয় পাইবার সময় পাইলাম না’—উক্তিটির প্রেক্ষাপট বর্ণনা কর।
গ. ‘বিলাসী’ গল্পের সমাজবাস্তবতা উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে আলোচনা কর।
ঘ. উদ্দীপকের সুবোধ ‘বিলাসী’ গল্পের মৃত্যুঞ্জয় প্রতিনিধিত্ব করেছে—এ মন্তব্যের যথার্থতা বিচার কর।
২ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. মৃত্যুঞ্জয়ের বাগানটা কুড়ি-পঁচিশ ছিল।
খ. বাল্যবন্ধু মৃত্যুঞ্জয়কে দেখা শেষে বাড়ি ফেরার পথেই ‘বিলাসী’ গল্পের কথক ন্যাড়া উদ্ধত উক্তিটি করেছেন।
সাপুড়ে কন্যা বিলাসী একদিন সন্ধ্যার অন্ধকারে ন্যাড়া মৃত্যুঞ্জয়কে দেখতে পোরোবাড়িতে গেল। গভীর বনের মধ্যে দিয়ে অন্ধকার রাতে ফেরার পথে কিছুটা হলেও ভয় পাচ্ছিল। কিন্তু বিলাসীর সাহসের কথা মনে পড়তেই তার ভয় দূর হয়ে গেল। কেবল ভারতে থাকল, একটা মৃত্যুকল্প রোগী নিয়ে এমন স্থানে একা একটা মেয়ের রাত্রি পাড়ি দেওয়া কত কঠিন কাজ। মৃত্যুঞ্জয় তো যে কোন মুহূর্তে মারা যেতে পারত। তখন নিশ্চয় মেয়েটিকে স্বামীর মৃতদেহের পাশে বসে একাকী রাত কাটাতে হতো। এ পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাড়া বিলাসীর সাহসের উৎস হিসেবে আবিষ্কার করল স্বামী মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি তার সীমাহীন ভালোবাসা। এ সত্য আবিষ্কারের ন্যাড়ার মন এমনই আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল যে শ্বাপদসংকুল পথ পাড়ি দিতে গিয়ে সে ভয় পাওয়ার সময়ই পায় নি।
গ. ‘বিলাসী’ গল্পের সমাজ বাস্তবতা উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে। উনিশ শতকে বাংলাদেশ বিশেষ হিন্দু সমাজের জাত-পাত শ্রেণি বর্ণ-বৈষম্য ছিল অমোঘ নিয়তির মতোই স্বাভাবিক ঘটনা। জাত্যভিমান অনেক ক্ষেত্রে মানবিক বোধ ও শাশ্বত সুন্দরকে ধ্বংস করেছে। সামাজিকভাবে জাত্যভিমান চাপিয়ে দেওয়া অনেক সুকুমার বৃত্তি বা মানবিক চাওয়া-পাওয়া অকালে ঝরে গেছে। ‘বিলাসী’ গল্পে যে সমাজ জীবন চিত্রিত হয়েছে তার মধ্যে জাতিগত বিভেদ সংকীর্ণতা এত নির্মমভাবে উদ্ভাসিত অঙ্কিত হতে চায়।
উদ্দীপকের সুবোধ ভালোবাসার টানে ডাক্তারের ছেলে হয়েছে রিক্সাওয়ালার মেয়ে নন্দিতা কে বিয়ে করে। সুবোধের বাবা অগ্নিশর্মা হয়ে সুবোধকে বাড়ি থেকে বের করে দিলেন। কারণ সুবোধের সমাজ জাতিভেদ প্রথায় আকীর্ণ। ‘বিলাসী’ গল্পের সমাজ ব্যবস্থা ও তাই। কারণ তৎকালীন হিন্দুসমাজ মৃত্যুঞ্জয় বিলাসীর প্রেম ও বিয়ের বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি। কায়স্থের ছেলে মৃত্যুঞ্জয় সাপুড়ে কন্যা বিলাসীকে বিয়ে করার অপরাধে মৃত্যুঞ্জয়কে সমাজচ্যুত হতে হয়। বিলাসী কে নিয়ে মৃত্যুঞ্জয় পরবর্তীকালে বেঁধে জীবন গ্রহণ করে যাযাবর হয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ায়।
সৃজনশীল—৩: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
মুসলমান বন্ধুর বাড়িতে ভাত খাওয়ায় অপরাধ করে ভারত। সে ব্যাপারে বিধান নেওয়ার জন্য জমিদার শশাঙ্ক ন্যায়রতœ রামনিধি চট্টোপাধ্যায়কে নির্বাচন করেন। ন্যায়রতœ সমাজ পতিদের বৈঠকে ভারতের সমস্যার সাথে সম্পর্কহীন কিছু কাহিনী বলে চোখ বন্ধ করেন। কিছুক্ষন পর চোখ খুলে বলেন, ভারতের সর্বনিম্ন শাস্তি সমাজচ্যুতি। তার সাথে যারা বসবাস করে তারাও সমাজচ্যুত।
ক. কোন যুক্তিকে কলি যুগ বলা হয়?
খ. ‘তাহার বয়স আঠারো কি আঠাশ ঠাহর করিতে পারিলাম না’—কেন? বুঝিয়ে বল।
গ. অনুচ্ছেদে লঘু পাপের মে গুরু শাস্তি তা ‘বিলাসী’ গল্পের কোন ঘটনাকে মনে করিয়ে দেয়? তা তুলে ধর।
ঘ. অনুচ্ছেদের এবং ‘বিলাসী’ গল্পের সমাজপতিদের ধর্মরক্ষার কেঠার বিধান মানব ধর্মের পরিপন্থী। ব্যাখ্যা কর।
সৃজনশীল—৪: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
কায়েস্থের ছেলে আদিত্য বিয়ে করে সাপুড়ে কন্যা রীনাকে। তাদের মধ্যে কোনো ভালোবাসার কমতি ছিল না, কিন্তু হিন্দু রক্ষণশীল সমাজ তাদের বিয়েকে মেনে নিতে পারে নি। তারা তাদের যন্ত্রনা দিয়ে গ্রাম ছাড়া করে। গ্রাম ছেড়ে দিয়ে আদিত্য সাপুড়ে পেশা গ্রহণ করে কিন্তু এই পেশাটা গ্রহন করাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এদিন কাল সাপের ছোবলে আদিত্য প্রাণ হারায়, ভালোবাসার টানে রীনা তাকে অনুসরন করে পরপারে চলে যায়।
ক. মৃত্যুঞ্জয়ের বাগানটা কত বিঘার ছিল?
খ. বাঙালির মন্ত্রতন্ত্রের সাথে সাপের বিষের তুলনা প্রসঙ্গে ন্যাড়ার উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের রীনার সঙ্গে ‘বিলাসী’ গল্পের বিলাসীর বৈসাদৃশ্য কোথায়? নির্ণয় কর।
ঘ. “উদ্দীপকে বর্ণিত আদিত্য যেন ‘বিলাসী’ গল্পের মৃত্যুঞ্জেয়ে প্রতিচ্ছবি।”—মন্তব্যের যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল—৫: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
সৌদামিনী মালো স্বামীর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারসূত্রে ধানী জমি, বসতবাড়ি, পুকুরসহ কয়েক একর সম্পত্তির মালিক হয়। এই সম্পত্তির ওপর নজর পড়ে সৌদামিনীর জ্ঞাতি দেওর মনোরঞ্জনের। সৌদামিনীর সম্পত্তি দখলের জন্য সে নানা কৌশল অবলম্বন করে। একবার সৌদামিনী দুর্ভিক্ষের সময় ধান ক্ষেত্রের পাশে একটি মানবশিশু খুঁজে পায়। অসহায়, অসুস্থ শিশুটিকে সে তুলে এনে পরম যত্নে আপন সন্তানের মতো লালন পালন করে। মনোরঞ্জন সৌদামিনীকে সমাজচ্যুত করতে প্রচার করে যে, নমশূদ্রের ঘরে ব্রাহ্মণ সন্তান পালিত হচ্ছে। এ যে মহাপাপ, হিন্দু সমাজের জাত ধর্ম শেষ হয়ে গেল।
ক. ‘বিলাসী’ গল্পের বর্ণনাকারী কে?
খ. মৃত্যুঞ্জয়ের ‘জাতবিসর্জনের’—কারণ বর্ণনা কর।
গ. সৌদামিনী চরিত্রের কোন বৈশিষ্ট্যটি বিলাসীর চরিত্রের সঙ্গে মিলে যায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘মনোরঞ্জন যেন ‘বিলাসী’ গল্পের খুড়ারই প্রতিচ্ছবি’—বিষয়টি মূল্যায়ন কর।
আরও দেখো: ১০০% কমন বাংলা সৃজনশীল এবং MCQ প্রশ্ন উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সাজেশন হিসেবে বিলাসী গল্পের সৃজনশীল সাজেশন আলোচনা করা হয়েছে। এখানে পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য মোট ৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন-উত্তর রয়েছে। আমি আশা করছি, এই প্রশ্নগুলো প্রাকটিস করলে তোমরা পরীক্ষার জন্য শতভাগ কমন পেয়ে যাবে। সবগুলো প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহের জন্য উপরে ‘ANSWER SHEET’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post