বিশ্লেষণমূলক রচনা শিশু দিবস pdf : আজ যে শিশুটি জন্ম হলো সে শিশু একদিন বড় হয়ে দেশের ভবিষ্যৎ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সাহিত্যিক বা গুরুত্বপূর্ণ কোনো দায়িত্ব পালন করবে। এখনকার তৃতীয় শ্রেণীর শিশুরা ভালোমতো খেতে পারেনা তারা চিকিৎসার জন্য কোন ধরনের ঔষধ পায় না। শুধু এটুকুই নয়, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের শিশুরা বিভিন্ন ধরনের মৌলিক অধিকার থেকেও বর্ধিত রয়েছে।
বিশ্লেষণমূলক রচনা শিশু দিবস pdf
এমনকি এই শিশুরা বিভিন্ন পরিশ্রমে নিযুক্ত হয়ে অর্থ উপার্জন করার চেষ্টা করছে এবং কিছু কিছু শিশু রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে যাদেরকে আমরা টোকাই বলেই চিনি, অনেকেই ক্ষুধা এবং বিভিন্ন পুষ্টিহীনতায় ভুগছে তাদের দিকে আমাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
শিশু দিবস বিশ্লেষণমূলক রচনা
ভূমিকা: আজ যে শিশুটি জন্ম হলো সে শিশু একদিন বড় হয়ে দেশের ভবিষ্যৎ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সাহিত্যিক বা গুরুত্বপূর্ণ কোনো দায়িত্ব পালন করবে। এখনকার তৃতীয় শ্রেণীর শিশুরা ভালোমতো খেতে পারেনা তারা চিকিৎসার জন্য কোন ধরনের ঔষধ পায় না। শুধু এটুকুই নয়, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের শিশুরা বিভিন্ন ধরনের মৌলিক অধিকার থেকেও বর্ধিত রয়েছে। এমনকি এই শিশুরা বিভিন্ন পরিশ্রমে নিযুক্ত হয়ে অর্থ উপার্জন করার চেষ্টা করছে এবং কিছু কিছু শিশু রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে যাদেরকে আমরা টোকাই বলেই চিনি, অনেকেই ক্ষুধা এবং বিভিন্ন পুষ্টিহীনতায় ভুগছে তাদের দিকে আমাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
বিশ্ব শিশু দিবস
জাতিসংঘ ১৯৫৪ সাল থেকে এই দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে । প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার “বিশ্ব শিশু দিবস” পালন করা হয়। বাংলাদেশে ১৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মদিনেই ‘শিশু দিবস’ পালন করা হয়। এ দিবস পালনের উদ্দেশ্য- হল শিশু কিশোরদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে হবে এবং তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ নির্দেশ করে দিতে হবে
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবস
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। এই ১৭ ই মার্চ তারই জন্মদিন। তবে তিনি শিশুদের প্রতি শুরু থেকেই অনেক বেশি দয়াবান এবং সচেতন ব্যক্তি ছিলেন। ১৭ ই মার্চ ১৯২০ সালে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আমাদের এই দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে অনেক পরিশ্রম করে গেছেন এবং মানুষের মৌলিক অধিকার আদায় এর ক্ষেত্রে কখনোই আপোষ করেন নি। তার জন্মদিন ১৭ মার্চ এ এই বিশ্ব শিশু দিবসটিকে বাংলাদেশে পালিত করেছেন। এ কারনেই ১৭ মার্চ একসাথে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়।
শিশু দিবসের তাৎপর্য
জাতীয় শিশু দিবসের তাৎপর্য অনেক গভীর এবং ব্যাপক। তাই সারা বিশ্বে অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে সোমবারে সকল মানুষের সচেতনতাকে বৃদ্ধি করতে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়। এই দিবসটি পালন করার উদ্দেশ্য হচ্ছে শিশুদের সমস্যা গুলো খুঁজে বের করা এবং তাদের মৌলিক অধিকারগুলো আদায় নিশ্চিত করা। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে দেশের অধিকাংশ মানুষই এই শিশু দিবস সম্পর্কে অবগত নয়। এই কারণে এই শিশু দিবসটি এমন ভাবে পালন করতে হবে যাতে সবাই এর ব্যাপারে অবগত হয় এবং এই শিশু দিবসের তাৎপর্য বুঝতে পারে। শুধুমাত্র খাতা-কলমে শিশুদের অধিকারের কথা না লিখে বাস্তব জীবনে সেটার অগ্রাধিকার দিতে হবে। আর এই অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে সরকারি এবং বেসরকারি কর্মস্থানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে এবং এগিয়ে আসতে হবে আমাদের সর্বস্তরের জনসাধারণের।
শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এই কথার সম্পূর্ণ সত্য যে আজকের শিশুটা একদিন আগামীতে দেশকে শাসন করবে বা দেশের বড় কোন দায়িত্ব গ্রহণ করবে। আজকে পৃথিবীতে যে শিশুটি জন্মগ্রহণ করলো আগামীতে সে বড় ডাক্তার, বিজ্ঞানী বা বড় সাহিত্যিক হয়ে যাবে। শিশুরাই আগামীতে দেশের আদর্শ নাগরিক হবে। তবে এর জন্য তাই শিশুদের সঠিক পরিচর্যা এবং তাদের সুষ্ঠুভাবে বেড়ে ওঠার সুস্থ পরিবেশ। আর তাদেরকে ছোট থেকে পারিপার্শ্বিক আচার-আচরণ এবং সঠিক শিক্ষা দিয়ে ভালো মানুষ বানাতে হবে।
শিশুদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য
দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ২৫ শতাংশই হচ্ছে শিশু। তবে এটা ধ্রুব সত্য যে আজকের শিশুরাই একদিন রাষ্ট্রনায়ক হবে। তারা একদিন দেশের আদর্শ নাগরিক হয়ে এই দেশকে নেতৃত্ব দিবে। আর ছোটবেলা থেকেই আমরা যদি শিশুদের প্রতি সঠিকভাবে পরিচর্যা না করি তাহলে আমাদের দেশ ও জাতি ভবিষ্যদের মুখ থুবড়ে পড়বে এবং একটি জাতি উন্নতির শিখরে পৌছাঁতে পারবে না। এ কারণে আমাদের সবারই শিশুদের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। কিভাবে একজন শিশুর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করে তোলা যায়। কিভাবে একটা শিশুকে সুশিক্ষিই শিক্ষিত করা যায় এই সকল বিষয় সম্পর্কে সকলের সচেতন থাকতে হবে। আর কিভাবে এদেরকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করা যায়। এই সকল বিষয়বস্তু নিয়ে আমাদের গবেষণা করতে হবে এবং শিশুদের প্রতি আমাদের যে দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে সেগুলো যথাযথ সঠিকভাবে পালন করতে হবে।
উপসংহার
যদিও ১৭ ই মার্চ আমাদের দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শিশু দিবস পালিত হয় কিন্তু এই শিশুদের অধিকারগুলো কি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে যেটা একটা ভাববার বিষয়। তবে আমাদের সকলেরই উচিত এই শিশুদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের মৌলিক অধিকার গুলো তাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া। পাঠক আশা করি জাতীয় শিশু দিবসের রচনা সম্পর্কে আমাদের এই লেখা থেকে জানতে পেরেছেন।
আরও দেখো: নবম শ্রেণির সকল বাংলা রচনা PDF
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, বিশ্লেষণমূলক রচনা শিশু দিবস pdf উপরের ‘রচনা PDF’ অপশন থেকে সংগ্রহ করে নাও। এছাড়াও অন্যান্য বিষয়ের ওপর রচনার লিংক উপরে দেওয়া আছে। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় রচনাটি সংগ্রহ করতে পারো।
আমাদের ওয়েবসাইটে তোমার প্রয়োজনীয় সাবজেক্টের প্রশ্নের উত্তর না পেলে কোর্সটিকা ফেসবুক পেজে ইনবক্স করতে পারো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post