বীরের রক্তে স্বাধীন এ দেশ প্রশ্ন ও উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকে মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ছিলেন পাকিস্তানে। তিনি পাকিস্তান সামরিক বাহিনী ত্যাগ করে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ তিনি দেশকে শত্রুমুক্ত করতে চেয়েছিলেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ছুটি নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছান ভারতের মালদহ জেলায়। সেখানে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেন জাহাঙ্গীর।
বীরের রক্তে স্বাধীন এ দেশ প্রশ্ন ও উত্তর
১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
টহল – পাহারা দেওয়া।
আসন্ন – নিকট।
অবধারিত – অনিবার্য, যা হবেই, নির্ধারিত।
রক্তস্রোতে – রক্তের ধারায়।
রঞ্জিত – রক্ত দিয়ে লাল করা হয়েছে এমন।
শায়িত – শুয়ে আছে এমন।
২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
ক) ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের দলে ছিলেন অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধা —।
খ) নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে — সেদিন এভাবেই রক্ষা করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন।
গ) সিপাহি মুন্সী আবদুর রউফ — সালের — মে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি থানার সালামতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
ঘ) খুলনা — কাছেই চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন।
উত্তর : ক) নান্নু মিয়া; খ) নূর মোহাম্মদ শেখ ; গ) ১৯৪৩ , ১লা; ঘ) শিপইয়ার্ডের।
বীরের রক্তে স্বাধীন এ দেশ প্রশ্ন ও উত্তর
ক) নূর মোহাম্মদ শেখ কীভাবে নিজের জীবন তুচ্ছ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন বাঁচিয়ে ছিলেন?
উত্তর : পাকিস্তানি হানাদাররা নূর মোহাম্মদ শেখ ও তাঁর সাথী মুক্তিযোদ্ধাদের তিন দিক থেকে ঘিরে আক্রমণ চালিয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা জবাব দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা নান্নু মিয়া প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত হলে নূর মোহাম্মদ শেখ তাঁকে এক হাত দিয়ে কাঁধে তুলে নিয়ে অন্য হাত দিয়ে গুলি ছুড়তে থাকেন।
হঠাৎ শত্রুর গোলার আঘাতে তাঁর পা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেল। তিনি বুঝতে পারলেন মৃত্যু আসন্ন। যতক্ষণ সম্ভব গুলি চালাতে চালাতে তিনি শহিদ হলেন। এভাবেই সাথী মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবনকে তুচ্ছ করেন নূর মোহাম্মদ শেখ।
খ) সিপাহি মুন্সী আবদুর রউফের যুদ্ধের ঘটনাটা লিখি।
উত্তর : ১৯৭১ সালের ৮ই এপ্রিল। মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি নৌসেনাদের ওপর আক্রমণের জন্য মহালছড়ির কাছে বুড়িরঘাট এলাকার চিংড়ি খালের দুই পাশে অবস্থান নেন। পাকিস্তানিরা সাতটি স্পিডবোট ও দুটি মটর লঞ্চ নিয়ে এগিয়ে আসে।
সংখ্যায় অল্প হলেও মুক্তিযোদ্ধারা দমে গেলেন না।
মুন্সী আব্দুর রউফ সিদ্ধান্ত নিলেন নিজের জীবন দিয়ে হলেও সবাইকে রক্ষা করবেন। মুক্তিযোদ্ধাদের দৃঢ়তায় হানাদারদের সাতটি স্পিডবোটই ডুবে গেল। লঞ্চ দুটি থেকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে শত্রুরা পিছু হটতে থাকে। একপর্যায়ে শত্রুর একটি গোলা এসে পড়ল মুন্সী আবদুর রউফের ওপর। শহিদ হলেন এই অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধা।
গ) বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন কীভাবে শহিদ হয়েছিলেন?
উত্তর : মংলা বন্দর জয় করে খুলনা জয়ের উদ্দেশ্যে ছুটে আসছিল মুক্তিযোদ্ধাদের নৌ-জাহাজ বিএনএফ পলাশ ও পদ্মা। খুলনার কাছাকাছি পৌঁছামাত্রই একটি বোমারু বিমান থেকে জাহাজ দুটির ওপর বোমা ফেলা হয়। রুহুল আমিন ছিলেন বিএনএফ পলাশের ইঞ্জিনরুমে। ইঞ্জিনরুমের ওপর বোমা পড়েছিল। এতে তাঁর ডান হাতটি উড়ে যায়।
প্রাণ বাঁচাতে জাহাজ থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁতরে তীরে উঠলেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। নদীতীরে অবস্থানরত বিশ্বাসঘাতক রাজাকাররা তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এভাবেই শহিদ হন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন।
ঘ) গল্প থেকে মুক্তিযুদ্ধের সময় বীরযোদ্ধাদের সম্পর্কে যা জেনেছি তা নিজের ভাষায় লিখি।
উত্তর : গল্প থেকে মুক্তিযুদ্ধের সময় বীরযোদ্ধাদের সম্পর্কে যা জেনেছি তা নিচে উল্লেখ করা হলো-
– মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন অসীম সাহসী।
– মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন।
– মুক্তিযোদ্ধারা বীরের মতো হানাদার পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।
– অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা দেশের মুক্তির জন্য হাসিমুখে জীবন দিয়েছেন।
– মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কারণেই আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি।
– মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের গর্ব।
৪. ব্যাখ্যা করি।
দেশের এ বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য গর্বিত আমরা।
উৎস : আলোচ্য অংশটুকু ‘বীরের রক্তে স্বাধীন এ দেশ’ রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গ : বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসার কথা প্রকাশিত হয়েছে আলোচ্য বাক্যটিতে।
বিশ্লেষণ : ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জয়ী বাহিনী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য হাসিমুখে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। তাঁরা এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের নিয়ে আমাদের গর্বের শেষ নেই।
৫. বিপরীত শব্দ লিখি এবং তা দিয়ে একটি করে বাক্য লিখি।
দুরন্ত: শান্ত
শান্ত ছেলেটি শুধু পড়তে ভালোবাসে।
অসীম: সসীম
আকাশ অসীম না সসীম তা কেউ জানে না।
সুনাম: দুর্নাম
চোর হিসেবে সেলিমের দুর্নাম আছে।
বীর: ভীতু
পপি খুব ভীতু মেয়ে।
জয়: পরাজয়
সোহরাব সাহেব নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিলেন।
জীবন: মৃত্যু
মৃত্যুকে সবারই একদিন বরণ করতে হবে।
৬. ঠিক উত্তরটিতে টিক (✔) চিহ্ন দিই।
ক. বাবা মারা যাওয়ার পর নূর মোহাম্মদ কিসে যোগ দিলেন?
১. বাংলাদেশ রাইফেলসে
২. ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসে ✔
৩. বাংলাদেশ নেভিতে
৪. কোনটিই না
খ. বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ শেখ এর জন্ম-
১. ১৯৩৬ সালের ২৬এ ফেব্রুয়ারি ✔
২. ১৯৩৮ সালের ২৬এ ফেব্রুয়ারি
৩. ১৯৩৬ সালের ২৬এ জানুয়ারি
৪. ১৯৩৭ সালের ২৬এ জানুয়ারি
গ. মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পাকিস্তানিদের কয়টি স্পিডবোট ডুবে গিয়েছিল?
১. পাঁচটি
২. আটটি
৩. সাতটি ✔
৪. নয়টি
ঘ. বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফকে সমাহিত করা হয়-
১. বরিশাল
২. বক্সিবাজার
৩. বোর্ড বাজার ✔
৪. বুড়িঘাট
ঙ. খুলনা শিপইয়ার্ডের কাছেই চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা-
১. নূর মোহাম্মদ শেখ
২. মুন্সী আবদুর রউফ
৩. মতিউর রহমান
৪. মোস্তফা কামাল
[বি:দ্র: সঠিক উত্তর- মোহাম্মদ রুহুল আমীন।]
৭. আমাদের জাতীয় দিবসগুলোর পাশে তারিখবাচক শব্দ লিখি।
ক) শহিদ দিবস – ২১এ ফেব্রুয়ারি
খ) স্বাধীনতা দিবস – ২৬এ মার্চ
গ) বাংলা নববর্ষ – ১লা বৈশাখ/১৪ই এপ্রিল
ঘ) শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস – ১৪ই ডিসেম্বর
ঙ) বিজয় দিবস – ১৬ই ডিসেম্বর
অতিরিক্ত অনুশীলনীমূলক প্রশ্নের উত্তর
১) গোয়ালহাটি গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের নেতা কে ছিলেন?
উত্তর : গোয়ালহাটি গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের নেতা ছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ।
২) গোয়ালহাটি গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাগণ টহল দেওয়ার সময় কী ঘটে?
উত্তর : গোয়ালহাটি গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের টহলের সময় পাকিস্তানি সেনারা তাঁদের অবস্থান টের পেয়ে যায়। রাজাকারদের সাহায্য নিয়ে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের ঘিরে ফেললে দুই পক্ষে যুদ্ধ বেধে যায়।
৩) নূর মোহাম্মদ শেখের ছেলেবেলার পরিচয় দাও।
উত্তর : বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান নূর মোহাম্মদ শেখ ছেলেবেলায় খুব ডানপিটে ছিলেন। শখ ছিল নাটক, থিয়েটার আর গানের প্রতি। কিন্তু কিশোর বয়সে হঠাৎ বাবা-মাকে হারিয়ে তাঁর জীবন বদলে যায়।
৪) নূর মোহাম্মদ শেখ বারবার নিজের অবস্থান পরিবর্তন করছিলেন কেন?
উত্তর : নূর মোহাম্মদ শেখের বারবার অবস্থান পরিবর্তন ছিল যুদ্ধেরই একটি কৌশল। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল একজন নন বরং অনেক মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করছেন- শত্রুদের এ রকম ধারণা দেওয়া।
৫) বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ কত তারিখে শহিদ হন?
উত্তর : বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৭১ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর শহিদ হন।
৬) বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ কবে ও কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৩৬ সালের ২৬এ ফেব্রুয়ারি নড়াইলের মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
৭) বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ ১৯৪৩ সালের ৮ই মে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি থানার সালামতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
৮) মুন্সী আবদুর রউফ ছেলেবেলায় কেমন ছিলেন?
উত্তর : মুন্সী আবদুর রউফ ছেলেবেলায় খুব দুরন্ত ছিলেন।
৯) পাকিস্তানি নৌসেনাদের ওপর আক্রমণের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা কোথায় অবস্থান নিয়েছিলেন?
উত্তর : পাকিস্তানি নৌসেনাদের ওপর আক্রমণের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা মহালছড়ির কাছে বুড়িঘাট এলাকার চিংড়ি খালের দুই পাশে অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন।
১০) বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ কত তারিখে শহিদ হন?
উত্তর : বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ ১৯৭১ সালের ৮ই এপ্রিল শহিদ হন।
১১) নূর মোহাম্মদ শেখের কী ইচ্ছা ছিল?
উত্তর : নূর মোহাম্মদ শেখের নাটক, থিয়েটার আর গান করার ইচ্ছা ছিল।
১২) নূর মোহাম্মদ শেখের জীবন বদলে গেল কেন?
উত্তর : কিশোর বয়সে বাবা-মাকে হারান নূর মোহাম্মদ শেখ। এরই ফলে বদলে যায় তাঁর জীবন।
১৩) কোথায় বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ অন্তিম শয়ানে শায়িত আছেন?
উত্তর : রাঙামাটির বোর্ড বাজারের কাছে নানিয়াচরের চিংড়ি খালের কাছাকাছি বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ অন্তিম শয়ানে শায়িত আছেন।
১৪) কেন নূর মোহাম্মদ বুঝতে পারলেন তাঁর মৃত্যু আসন্ন?
উত্তর : মর্টারের গোলার আঘাতে নূর মোহাম্মদের পা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। তাই তিনি বুঝাতে পাররেন তার মৃত্যু আসন্ন।
১৫) মুন্সী আব্দুর রউফ কীভাবে শহিদ হলেন?
উত্তর : মুন্সী আব্দুর রউফ সাথী মুক্তিযোদ্ধাদের নিরাপদে সরে যেতে বলে হালকা একটি মেশিনগান থেকে গুলি ছুড়ে শত্রুদের রুখে দিতে লাগলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মিলিত আক্রমনের মুখে শত্রুরা গোলা ছুড়তে ছুড়তে পেছনের দিকে পালাতে থাকে। হঠাৎ একটি গোলা এসে পড়ে মুন্সী আব্দুর রউফের ওপর। তিনি শহিদ হন।
১৬) বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিনকে কোথায় সমাহিত করা হয়েছে?
উত্তর: বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিনকে খুলনা শিপইয়ার্ডের কাছেই সমাহিত করা হয়েছে।
১৭) জাহাজ দুটি কোথায় যাচ্ছিল? খুলনার কাছাকাছি আসামাত্র কী ঘটল?
উত্তর : জাহাজ দুটি মংলা থেকে খুলনা দখলের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।
খুলনার কাছাকাছি আসামাত্র একটা বোমারু বিমান থেকে জাহাজ দুুটির ওপর বোমা ফেলা হলো।
১৮) রুহুল আমিন প্রাণ রক্ষা করতে কী করলেন? এর পরও তিনি প্রাণ রক্ষা করতে পারলেন না কেন?
উত্তর : রুহুল আমিন প্রাণ রক্ষা করতে নদীতে ঝাঁপ দেন ও সাঁতরে তীরে ওঠেন।তীরে উঠেও তিনি প্রাণে বাঁচতে পারলেন না। বিশ্বাসঘাতক রাজাকাররা তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
১৯) বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ কত তারিখে শহিদ হন?
উত্তর : বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ ১৯৭১ সালের ৮ই এপ্রিল শহিদ হন।
২০) মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যু অবধারিত ছিল কেন?
উত্তর : মুক্তিযোদ্ধাদের চেয়ে পাকিস্তানিদের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। তাছাড়া তাদের সাথে ছিল ভারী অস্ত্রশস্ত্র। এ কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যু ছিল অবধারিত।
২১) বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ নিজের বীরত্বের পরিচয় দেন কীভাবে?
উত্তর : মুন্সী আবদুর রউফ পাকিস্তানি সৈন্যদের প্রতিরোধ করে সহযোদ্ধাদের জীবন রক্ষা করেন। কিন্তু নিজে শহিদ জন। এভাবে তিনি বীরত্বের পরিচয় দেন।
২২) নূর মোহাম্মদ শেখ কীভাবে নিজের জীবন তুচ্ছ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন বাঁচিয়ে ছিলেন?
উত্তর : পাকিস্তানি হানাদাররা নূর মোহাম্মদ শেখ ও তাঁর সাথী মুক্তিযোদ্ধাদের তিন দিক থেকে ঘিরে আক্রমণ চালিয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা জবাব দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা নান্নু মিয়া প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত হলে নূর মোহাম্মদ শেখ তাঁকে এক হাত দিয়ে কাঁধে তুলে নিয়ে অন্য হাত দিয়ে গুলি ছুড়তে থাকেন।
হঠাৎ শত্রুর গোলার আঘাতে তাঁর পা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেল। তিনি বুঝতে পারলেন মৃত্যু আসন্ন। যতক্ষণ সম্ভব গুলি চালাতে চালাতে তিনি শহিদ হলেন। এভাবেই সাথী মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবনকে তুচ্ছ করেন নূর মোহাম্মদ শেখ।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, কোর্সটিকায় তোমরা পঞ্চম শ্রেণির বাংলা সবগুলো গল্প ও কবিতার উত্তর ডাউনলোড করতে পারবে। এই পোস্টে আলোচিত বীরের রক্তে স্বাধীন এ দেশ প্রশ্ন ও উত্তর সংগ্রহ করার জন্য ওপরে দেওয়া Answer Sheet বাটনে ক্লিক করো।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। সকল বিষয়ের ওপর অনলাইন ক্লাস পেতে আজই আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করে নাও।
Discussion about this post