আমরা যখন কোন ওয়েবসাইটকে গুগলে র্যাঙ্ক করাতে চাই, তখন স্বভাবতই অন্যান্য বিষয়ের সাথে ব্যাকলিংক কথাটি চলে আসে। কি এই ব্যাকলিংক? এটা কেন ব্যবহার করতে হয়? এটার কীভাবে কাজ করে? আর এই ব্যাকলিংক আমরা কীভাবে তৈরি করতে পারি? আজ সে সম্পর্কেই বিস্তারিত আলোচনা হবে কোর্সটিকা ব্লগে। লেখাটি আপনি পড়ুন এবং লিংক শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরও পড়ার সুযোগ করে দিন।
Backlink কী?
Backlink হচ্ছে একটি এক্সটারনাল লিংক (External Link) যা অন্য একটি ওয়েবসাইট থেকে আপনি আপনার সাইটে পেয়ে থাকেন। আরো সহজভাবে বললে, যখন অন্য কেউ তাদের ওয়েবসাইটের কোন এক কনটেন্টে আপনার সাইটের লিংক প্রকাশ করে, তখন তাকে Backlink বলে। একটা উদাহরণ দিচ্ছি।
আবার ধরুন, আপনার বন্ধু আপনাকে জিজ্ঞেস করলো সে কিভাবে ওয়েব ডিজাইন ডিজাইন শিখতে পারে? আপনি তাকে উত্তর দিলেন ওয়েব ডিজাইন শিখতে কোর্সটিকা ব্লগের এই লেখাটি পড়ো। তাহলে, সেটা হয়ে গেল একটি ব্যাকলিংক।
এই ব্যাকলিংক হচ্ছে নিজের সাইটের লিংক অন্য কোন সাইটে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সাবমিট করা এবং সেই লিংকের মাধ্যমে ওই সাইটের ভিজিটরদের আপনার সাইটে নিয়ে আসা। এটা সরাসরি হতে পারে, পরোক্ষভাবে হতে পারে কিংবা সমঝোতার ভিত্তিতেও হতে পারে।
যেমন আপনি যদি কোন সাইটের নির্দিষ্ট একটি কনটেন্টে আমার মতামত প্রকাশ করে তার সাথে আপনার সাইটের লিংকটিও সংযুক্ত করে দেন এবং ওই সাইটের এডমিন যদি কমেন্টটি এ্যাপ্রুভ করে, তাহলে আপনি একটি ব্যাকলিংক পেয়ে গেলেন। আবার আপনি সরাসরি কোন ওয়েবসাইটের এডমিনের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, যেন তারা তাদের পরবর্তী কোন কনটেন্টে আপনার সাইটকে উল্লেখ করে।
কেন আমরা আমাদের সাইটের জন্য ব্যাকলিংক ব্যবহার করবো?
একটি সাইটের গুরুত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে ব্যাকলিংক বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চে শীর্ষে নিয়ে যেতে চান, তাহলে আপনাকে আাপনার ওয়েবসাইট এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ) করতে হবে। আর অফ পেজ এসইও এর ধাপগুলোর মধ্যে লিংক বিল্ডং বা ব্যাকলিংক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। মনে রাখবেন,
আমরা যে কোন তথ্য জানার জন্য গুগলে সার্চ করি। গুগল সার্চে ওই সকল ওয়েবসাইটগুলোই শীর্ষে অবস্থান করে যাদের ব্যাকলিংক বেশি। কারণ গুগল কখনোই চাইবে না, যে সাইটগুলোর জনসমর্থন নেই, সেই সাইটগুলো আপনার সামনে এনে দিক। আর এই গুগল সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ব্যাকলিংক তৈরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সুতরাং যদি প্রতিনিয়ত আপনার সাইটের ব্যাকলিংক বৃদ্ধি পেতে থাকে তখন সার্চ ইঞ্জিন আপনার সাইটকে গুরুত্ব বেশী দেবে এবং র্যাংক প্রদান করবে।
ব্যাকলিংক কি ভিজিটর বাড়াতে সাহায্য করে?
অব্যশই। ব্যাকলিংক যেভাবে আপনার সাইটকে গুগল র্যাঙ্ক পেতে সাহায্য করে, ঠিক ভিজিটর বাড়াতেও সাহায্য করে। যখন কোন ওয়েবসাইটের কনটেন্ট বা পোস্টে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক করানো থাকে, তখন ওই ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসার সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
আমরা কীভাবে ব্যাকলিংক পেতে পারি?
বিশেষ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে আমরা বিভিন্নভাবে ব্যাকলিংক পেতে পারি। কোন সাইটের কোন কনটেন্টে বা মন্তব্যে বা অন্য কোথাও যদি আপনার সাইটের লিংক দেয়া থাকে তাহলে সেটা আপনার সাইটের জন্য ব্যাকলিংক হিসেবে ধরে নেয়া হবে। এমন অনেক ফোরাম আছে যেখানে কেউ তার মতামত ব্যক্ত করার সময়ে যদি আপনার সাইটের লিংক উল্লেখ করে তাহলে আপনি একটি ব্যাকলিংক পাবেন। আপনি আরো অনেক ভাবেই ব্যাকলিংক পেতে পারেন। যেমন:
► কোন ব্লগসাইটে আর্টিকেল লিখার মাধ্যমে
► ফোরাম টিউনিং এর মাধ্যমে
► কোন ব্লগে মন্তব্য করার মাধ্যমে
► কোন ফোরামে মন্তব্যের করার মাধ্যমে
ব্যাকলিংক পাওয়ার এই পদ্ধতিগুলো সার্চ ইঞ্জিন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তবে এর বাইরেও আপনি অন্যান্য উপায়ে ব্যাকলিংক পেতে পারেন। যেমন:
► কোন ওয়েবসাইটের সাথে লিংক এক্সচেঞ্জ। অর্থাৎ অন্য সাইট এডমিনের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে।
► বিভিন্ন সাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে।
► ব্যাকলিংক কেনার মাধ্যমে।
যেকোন সাইট থেকে পাওয়া ব্যাকলিংক কি সমান গুরুত্বপূর্ণ?
একদমই না। আপনাকে ব্যাকলিংক দেবে, এরকম শতশত সাইট হয়তো আপনি পাবেন। কিন্তু গুগলে আপনার সাইট র্যাঙ্ক পাওয়ার জন্য সব ব্যাকলিংকই একই রকমের গুরুত্বপূর্ণ না। আপনাকে সব সময় ওই সকল সাইট থেকেই ব্যাকলিংক নেয়ার চেষ্টা করতে হবে, যাদের র্যাঙ্কিং ভালো।
তাহলে আজ থেকে আপনিও শুরু করে দিন আপনার সাইটের জন্য ব্যাকলিংক সংগ্রহ। হ্যাপি ওয়েব ডেভেলপিং।
তথ্যসূত্র সংগ্রহ: টেকটিউনস এবং মো: ফারুক খাঁন।
প্রিয় পাঠক, কোর্সটিকায় আপনি কোন বিষয়ে লেখা চান, তা জানিয়ে নিচে কমেন্ট করুন। ওয়েব ডিজাইন, ডেভেলপমেন্টে এবং ফ্রিল্যান্সিং শিখতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন।
Discussion about this post