শিক্ষার্থীরা, এবছর যারা মানবিক শাখা হতে যুক্তিবিদ্যা পরীক্ষা দিতে যাচ্ছো, কোর্সটিকায় আজ তোমাদের জন্য ভূগোল গুরুত্বপূর্ণ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করব। তোমাদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ভিত্তিতে এ প্রশ্নগুলো তোমরা উত্তরসহ পেয়ে যাবে। যা তোমরা উত্তরসহ পিডিএফ হ্যান্ড নোট আকারে সংগ্রহ করতে পারবে।
ভূগোল গুরুত্বপূর্ণ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর
ভূগোল ১ম পত্রের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস
- ২য় অধ্যায়: পৃথিবীর গঠন
- ৩য় অধ্যায়: ভূমিরূপ পরিবর্তন
- ৪র্থ অধ্যায়: বায়ুমণ্ডল ও বায়ু দূষণ
- ৫ম অধ্যায়: জলবায়ুর উপাদান ও নিয়ামক
- ৬ষ্ঠ অধ্যায়: জলবায়ু অঞ্চল ও জলবায়ু পরিবর্তন
- ৮ম অধ্যায়: সমুদ্রস্রোত ও জোয়ার ভাটা
- ১০ম অধ্যায়: ব্যাবহারিক মানচিত্র ও স্কেল
১. প্লাইস্টোসিনকালের সোপান কী? বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিনকাল বলে।
উত্তর-পশ্চিমাংশের বরেন্দ্রভূমি, মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় বা উচ্চভূমি এ অঞ্চলের অন্তর্গত। প্লাইস্টোসিনকালে এসব সোপান গঠিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
২. মোহহাবিযুক্তি রেখা কী?
উত্তর : ভূত্বক ও গুরুমণ্ডল পৃথককারী শিলাস্তর হলো মোহোবিযুক্তি রেখা।
ভূকম্পন তরঙ্গের মাধ্যমে জানা যায় অশ্মমণ্ডল ও গুরুমণ্ডলের মধ্যে একটি পাতলা স্তর আছে যা ১৯০৯ সালে সার্বিয়ার ভূকম্পনবিদ মোহোরোভিসিক প্রথম আবিষ্কার করেন। তাঁর নামানুসারে এ স্তরটিকে মোহোবিযুক্তি রেখা বলা হয়।
৩. “আবহাওয়ার তারতম্য বিচূর্ণীভবনের কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : নানা ধরনের প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিলাসমূহ চূর্ণ-বিচূর্ণ হওয়াকে বিচূর্ণীভবন বলে।
আবহাওয়ার তারতম্যের ফলে বিচূর্ণীভবন সংঘটিত হতে পারে। দিন-রাত্রির ও ঋতুভেদে উষ্ণতার পার্থক্যের কারণে শিলাসমূহ অসমানভাবে প্রসারিত ও সংকুচিত হয়। এর ফলে বিচূর্ণীভবন ক্রিয়া সংঘটিত হয়।
আবার তুষারের দ্বারাও বিচূর্ণীভবন হয়ে থাকে। যেহেতু উষ্ণতার তারতম্য ও তুষারপাত আবহাওয়ার অংশ।
৪. ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ভূগর্ভের অভ্যন্তরের শিলার চাপের ফলে ভূপৃষ্ঠে উঁচু ও নিচু অবস্থার সৃষ্টি হয়, যাকে ভঙ্গিল পর্বত বলে।
বিস্তৃত ও সুউচ্চ অনেক পর্বতের সমন্বয়ে ভঙ্গিল পর্বত গঠিত হয়। এ পর্বতের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ভাঁজ। সাধারণত অভ্যন্তরের তলদেশে যেখানে একটি শিলাম-লের প্লেট, পার্শ্ববর্তী প্লেটের তলদেশে ঢুকে পড়ে সে বরাবর বিপুল পরিমাণ পলি এসে জমা হতে থাকে এসব পলি এক পর্যায়ে প্রবল পার্শ্বচাপের কারণে কোথাও ঊর্ধ্বভাবান সঙ্গেই নিম্নভাজের সৃষ্টি করে।
৫. সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি শোষণকারী স্তরটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণকারী স্তরটি হচ্ছে ওজোনোস্ফিয়ার।
ওজোন স্তরটির প্রভাবে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকে। কারণ, এ স্তর না থাকলে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির দহনে প্রাণীর দেহ পুড়ে যেত এবং সমস্ত প্রাণিকুল অন্ধ হয়ে যেত। এ স্তর সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি শোষণ করায় এখানে তাপ ৭৬° সে. পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। তাই ওজোনস্তরের কোনো ক্ষতি হলে বা এটি ফুটো হলে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি ভূপৃষ্ঠে চলে আসবে এবং তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাবে। এতে প্রাণিজগৎ ধ্বংস হয়ে যাবে।
৬. বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন গ্যাসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বায়ুমণ্ডলে যেসব গ্যাসীয় উপাদান আছে তাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস হলো অক্সিজেন।
অক্সিজেন গ্যাস না থাকলে জীবকূলের অস্তিত্ব টিকে থাকতো না। বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন গ্যাসের পরিমাণ ২০.৭১ ভাগ। এ গ্যাস প্রাণীদের শ্বসনকাজে, শক্তি ও উত্তাপ বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হয়। ভূত্বকের শিলা গঠনকারী খনিজের সাথে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় সহজেই মিশ্রিত হয়ে বিচূর্ণীভবনে অংশগ্রহণ করে। প্রাণীকূলের বেচে থাকার জন্য অক্সিজেন অপরিহার্য। তাই বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন গ্যাস ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ।
৭. আর্দ্র বায়ুর উষ্ণতা শিশিরাঙ্কে নেমে গেলে কোন অবস্থার সৃষ্টি হয় ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আর্দ্র বায়ুর উষ্ণতা শিশিরাঙ্কে নেমে গেলে শিশির পড়ে।
বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয়ুবাষ্প থাকে, তাতে বায়ু সম্পৃক্ত হয় না। যদি – কোনো স্থানের বায়ুকে ধীরে ধীরে শীতল করা যায় তাতে উষ্ণতা একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৌছালে বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প থাকে, তাতেই ঐ স্থানের বায়ু পরিপূক্ত হয়। এতে শিশিরের সৃষ্টি হয় এবং এ অবস্থাকে শিশিরাঙ্ক বলে। আর্দ্র বায়ুতে ২-৫ শতাংশ জলীয়বাষ্প থাকে। এটি তাপ বিকিরণ করে ধীরে ধীরে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে শিশির আকারে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়। তাই বলা যায়, আর্দ্র বায়ুর উষ্ণতা শিশিরাঙ্কে নেমে গেলে শিশির পড়ে।
৮. আবহাওয়া ও জলবায়ুর পার্থক্য লেখ।
উত্তর : আবহাওয়া হলো কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানের নির্দিষ্ট সময়ের। বায়ুম-লের তাপমাত্রা, বায়ুর চাপ, বায়ুর প্রবাহ, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি অবস্থা।
অপরদিকে, জলবায়ু বলতে একটি বৃহৎ অঞ্চল জুড়ে আবহাওয়ার উপাদানগুলো যেমন- বায়ুর তাপ, চাপ, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত ইত্যাদির অন্তত ৩০-৩৫ বছরের যে গড় অবস্থা দেখা যায় তাকে বোঝায়।
৯. গ্রিনহাউস কী কাজে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর : নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের দেশগুলোতে শীতকালে সবুজ শাক-সবজি উৎপাদনের জন্য যে কাচের ঘর তৈরি করে, তাকেই গ্রিনহাউস বলে।
গ্রিন হাউসে সূর্যালোক অবাধে প্রবেশ করে কিন্তু নির্গত হওয়ার সময় তাপ শক্তির খানিকটা কাঁচের আচ্ছাদনের ভিতর ধরে রাখে। নির্দিষ্ট মাত্রায় তাপ ধরে রেখে বা সৃষ্টি করে মূলত উদ্ভিজ্জ ও শাকসবজি জন্মাবার জন্য এ ঘর শীতপ্রধান দেশে ব্যবহার করা হয়।
১০. চন্দ্রের আকর্ষণে যে জোয়ার সংঘটিত হয় তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : চন্দ্রের আকর্ষণে মুখ্য জোয়ার সংঘটিত হয়।
চন্দ্রের আবর্তনের সময় পৃথিবীর যে অংশ চন্দ্রের সবচেয়ে সম্মুখে উপস্থিত হয় সেখানে চন্দ্রের আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি হয়। স্থলভাগ অপেক্ষা জলভাগের ওপর এ আকর্ষণ শক্তির কার্যকারিতা অনেক বেশি। ফলে চারদিক হতে পানিরাশি ঐ আকর্ষণ স্থলের দিকে ধাবিত হয়। ফলে চন্দ্রের নিকটবর্তী অংশের পানিরাশি স্ফীত হয়ে ওঠে যা মুখ্য জোয়ার নামে পরিচিত।
১১. বিভিন্ন প্রকার স্কেলের নাম লেখ।
উত্তর : মানচিত্রের যেকোনো দুটি স্থানের মধ্যে দূরত্ব এবং ভূপৃষ্ঠে বা ভূমিভাগে ঐ দু’টি স্থানের মধ্যে প্রকৃত দূরত্বের যে অনুপাত বা সম্পর্ক, তাকে মাপনী বা স্কেল বলে। বিভিন্ন প্রকার স্কেল হচ্ছে-
(i) সরল স্কেল,
(ii) কর্ণীয় স্কেল,
(iii) তুলনামূলক স্কেল,
(iv) বিশেষ ধরনের স্কেল ও
v) ভার্নিয়ার স্কেল।
ভূগোল ২য় পত্রের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস
- ১ম অধ্যায়: মানব ভূগোল
- ২য় অধ্যায়: জনসংখ্যা
- ৪র্থ অধ্যায়: কৃষি
- ৫ম অধ্যায়: খনিজ ও শক্তি সম্পদ
- ৬ষ্ঠ অধ্যায়: শিল্প
- ১০ম অধ্যায়: মানচিত্র অভিক্ষেপ
১. বাংলাদেশ ক্রান্তীয় অঞ্চলের দেশ- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যেসব অঞ্চল দিয়ে ক্রান্তীয় রেখা অতিক্রম করেছে তাকে ক্রান্তীয় অঞ্চলের দেশ বলে।
বাংলাদেশের উপর দিয়ে ২৩.৫° কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে। তাই বাংলাদেশকে ক্রান্তীয় অঞ্চলের দেশ বলে।
২. নামীয় অঞ্চলের সীমানা সুনির্দিষ্ট নয়- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যে সমস্ত রাজনৈতিক অঞ্চলের কেবল নামীয় পরিচিতি রয়েছে সেগুলোকে নামীয় অঞ্চল বলে।
মহাদেশ ও মহাদেশের অংশবিশেষ নামীয় অঞ্চলের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। যেমন- এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলইউরেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি এলাকাও নামীয় অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। নামীয় অঞ্চলের সীমানা সুনির্দিষ্ট নয় এবং এসব অঞ্চলের একক নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রও থাকে না; যেমন- এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকার কোনো রাজধানী নেই। তাই বলা যায়, নামীয় অঞ্চলের সীমানা সুনির্দিষ্ট নয়।
৩. বান্দরবানের জনবসতি অতি বিরল ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বান্দরবানর এলাকাটি পর্বতময় বলে জনসংখ্যায় বসতি কম।
যে অঞ্চলের জনবসতির ঘনত্ব ৫০০ জনের কম সে অঞ্চলের বসতি অতি বিরল জনবসতির অন্তর্গত। বান্দরবান জেলাটি পর্বতময় হওয়ায় সেখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কি.মি. ৮৭ জন যা অতি বিরল বসতির এর আওতাভুক্ত। তাই বলা যায় বান্দরবানের জনবসতি অতি বিরল।
৪. মানুষ কেন অভিগমন করে?
উত্তর : মানুষ বিভিন্ন কারণে অভিগমন করে থাকে।
মানুষ বিভিন্ন সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা ত কিংবা চিকিৎসাসংক্রান্ত কারণে এক স্থান হতে অন্যস্থানে অভিগমন করে যা আকর্ষণমূলক অভিগমনের অন্তর্ভুক্ত। এসব আকর্ষণজনিত কারণ ছাড়াও কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানুষ অভাব, যুদ্ধ, দাঙ্গা প্রভৃতি বিকর্ষণজনিত কারণেও অভিগমন করে থাকে।
৫. পিট কয়লা কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর : কয়লা গঠনের প্রথম অবস্থা হলো পিট।
মাটির তলায় বনভূমি চাপা পড়ে প্রাথমিকভাবে পিট কয়লার সৃষ্টি হয়। এ কয়লা বাদামি রঙের এবং নিকৃষ্ট শ্রেণির হয়। এতে কার্বনের পরিমাণ থাকে ৩০-৩৫ ভাগ।
৬. তেল উৎপাদনে ভারতের অবস্থা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : খনিজ তেল উত্তোলনে ভারত তেমন প্রসিদ্ধ না হলেও দক্ষিণ এশিয়ায় মোটামুটি প্রসিদ্ধ।
ভারতের আসাম ও গুজরাট রাজ্যে প্রচুর তেল উত্তোলিত হয়। ১৯৫০-৫১ সালে ভারতে খনিজ তেলের উৎপাদন ছিল মাত্র ২ লাখ মেট্রিক টন। নতুন নতুন খনি আবিষ্কারের ফলে ভারতের উৎপাদন যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯১-৯২ সালে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৩ লাখ মেট্রিক টন। ২০১১-১২ সালে এর পরিমাণ আরও হ্রাস পেয়ে – ২ কোটি মেট্রিক টনের মতো দাঁড়িয়েছে।
৭. বাংলাদেশ সার শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণ না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশে কৃষিকাজের জন্য প্রচুর পার প্রয়োজন। কিন্তু সার শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি, দক্ষ শ্রমিকের অভাব, মূলধনের স্বল্পতা, অব্যবস্থাপনা, রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রভৃতি কারণে চাহিদামাফিক সার উৎপাদন করতে পারে না। যেটুকু সার উৎপাদন হয় তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তাই বাংলাদেশ সার শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়।
৮. ওসাকাকে জাপানের ম্যানচেস্টার বলা হয় কেন?
উত্তর : ব্রিটেনের ল্যাঙ্কাশায়ার এলাকায় ম্যানচেস্টার হলো প্রধান কার্পাস কেন্দ্র। এখানে সর্বপ্রকার সুযোগ-সুবিধা থাকায় উন্নতমানের বস্ত্র তৈরি হয়। যে কারণে এ অঞ্চলের উৎপাদিত বস্ত্রের প্রায় ৮০ ভাগ রপ্তানি হয়।
অপরদিকে, ওসাকা হলো জাপানের শ্রেষ্ঠ কার্পাস বয়নশিল্প কেন্দ্র। ব্রিটেনের ম্যানচেস্টারে বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধার অধিকাংশই জাপানের ওসাকাতেও বিদ্যমান। ওসাকা অঞ্চলে উৎপাদিত বস্ত্রের সিংহভাগই রপ্তানি করা হয়। এজন্য ওসাকাকে জাপানের ম্যানচেস্টার বলা হয়।
৯. বেলনকার অভিক্ষেপ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : কাগজের তৈরি কোনো নলের মধ্যে ভূগোলকটিকে স্থাপন করে আলোর দ্বারা তার উপর অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলোর ছায়া প্রতিফলিত করে কাগজের নলটিকে কেটে সোজা করলে যে ধরনের অভিক্ষেপ পাওয়া যায়, তাকে নলাকার বা বেলনাকার অভিক্ষেপ বলা হয়। পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চলের আশপাশ অর্থাৎ ক্রান্তীয় অঞ্চলের মানচিত্র সঠিকভাবে অঙ্কন করার জন্য বেলনাকার অভিক্ষেপ ব্যবহার করা হয়।
১০. GPS দ্বারা কী কী কাজ করা যায়?
উত্তর : বর্তমানে মানচিত্র তৈরি, পঠন এবং ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে আধুনিক ব্যবহার হচ্ছে জিপিএস (GPS)।
জিপিএস দ্বারা যেসব কাজ করা যায় তা হলো কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ নির্ণয়, কোনো স্থানের দূরত্ব ও উচ্চতা পরিমাপ, ঐ স্থানের উত্তর দিক, তারিখ ও সময় প্রভৃতি জানা যায়।
শিক্ষার্থীরা, ওপরে দেওয়া Answer Sheet অপশনে ক্লিক করে তোমরা উত্তরসহ সংগ্রহ করতে পারবে। ভূগোল গুরুত্বপূর্ণ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর সাজেশন উত্তরসহ পেতে প্রতিটি অধ্যায়ের নামের ওপর ক্লিক করো। তাহলেই প্রতিটি অধ্যায়ের আলাদা আলাদা প্রশ্নোত্তর ডাউনলোড করার অপশন পাবে।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post