ভূগোল ১ম পত্র ১০ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর : মানচিত্রে ব্যবহৃত মাপনী, অর্থাৎ মানচিত্রের দুটি স্থানের দূরত্বের সঙ্গে প্রকৃত দূরত্বের সম্পর্ককে স্কেল বলে। সাধারণত মানচিত্রে দুটি স্থানের দূরত্বের সাথে প্রকৃত দূরত্বের সম্পর্ককে অনুপাতে বোঝানো হয়। যেমন : মানচিত্রের স্কেল যদি ১= ১০ মাইল হয় তবে এর অর্থ হলো মানচিত্রের দুই স্থানের দৈর্ঘ্য বা দূরত্ব যেখানে তার প্রকৃত দূরত্ব হলো ১০ মাইল। রেখা অঙ্কন করে, প্রতিভূ অনুপাতের মাধ্যমে মানচিত্রের স্কেল নির্দেশ করা হয়।
ভূগোল ১ম পত্র ১০ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. বিভিন্ন প্রকার স্কেলের নাম লেখ।
উত্তর : মানচিত্রের যেকোনো দুটি স্থানের মধ্যে দূরত্ব এবং ভূপৃষ্ঠে বা ভূমিভাগে ঐ দু’টি স্থানের মধ্যে প্রকৃত দূরত্বের যে অনুপাত বা সম্পর্ক, তাকে মাপনী বা স্কেল বলে। বিভিন্ন প্রকার স্কেল হচ্ছে-
(i) সরল স্কেল,
(ii) কর্ণীয় স্কেল,
(iii) তুলনামূলক স্কেল,
(iv) বিশেষ ধরনের স্কেল ও
v) ভার্নিয়ার স্কেল।
২. রৈখিক স্কেলের সুবিধাগুলো ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : রৈখিক স্কেলে মানচিত্রের দূরত্ব ভূমিভাগের দূরত্বের পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যক্ষভাবে অতি সহজেই পরিমাপ করা যায়।
মানচিত্রে রৈখিক স্কেলের সুবিধা হলো এই যে, মানচিত্রটিকে ছবিতে ছোট বড় করলে স্কেলটিও সে অনুপাতে ছোট বা বড় হয়ে সঠিকভাবেই মাপ নির্দেশ করে থাকে, যা অন্য ধরনের স্কেলে সম্ভব হয় না।
৩. বর্গ পদ্ধতিতে মানচিত্রকে কীভাবে সম্প্রসারণ করা যায়?
উত্তর : ছোট ও বড় ছক বা বর্গ, অঙ্কনের সাহায্যে যখন মানচিত্র ছোট ও বড় করা হয়, তখন তাকে ছক বা বর্গ পদ্ধতি বলে।
বর্গ পদ্ধতিতে সর্বপ্রথম মানচিত্রকে নির্দিষ্ট মাপের বাহুবিশিষ্ট কতিপয় বর্গক্ষেত্রে বিভক্ত করা হয়। এরপর প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন মানচিত্রের স্কেল অনুসারে অন্য কাগজে তুলনামূলকভাবে বৃহৎ আকৃতির বাহুবিশিষ্ট সমপরিমাণ বর্গক্ষেত্র অঙ্কন করা হয়। এ পদ্ধতিতে মানচিত্রের সম্প্রসারণ করতে হলে সর্বপ্রথম নির্ণয় করতে হবে মানচিত্রটিকে কতগুণ সম্প্রসারণ করতে হবে। নতুন মানচিত্রের স্কেলকে পুরাতন (মূল মানচিত্র) মানচিত্রের স্কেল দিয়ে ভাগ করলেই মানচিত্র কতগুণ বড় করতে হবে তা পাওয়া যাবে।
৪. মানচিত্রে স্কেল কীভাবে প্রকাশ করা যায় ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মানচিত্রে স্কেল নিম্নোক্তভাবে প্রকাশ করা যায়-
১. সরল স্কেল,
২. কর্ণীয় স্কেল,
৩. তুলনামূলক স্কেল,
৪. বিশেষ ধরনের স্কেল ও
৫. ভার্নিয়ার স্কেল।
৫. প্রতিভূ অনুপাত কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ভূপৃষ্ঠের দুইটি স্থানের মধ্যবর্তী দূরত্ব এবং মানচিত্রে ঐ দুইটি স্থানের মধ্যবর্তী দূরত্বকে যে ভগ্নাংশ দ্বারা প্রকাশ করা হয়, তাকে প্রতিভূ অনুপাত বলে। অর্থাৎ মানচিত্রের দূরত্ব/ভূমির দূরত্ব।
প্রতিভূ অনুপাত = মানচিত্রে দূরত্ব (লব-এর একক সংখ্যাটি মানচিত্রের দূরত্ব বোঝায়) ভূপৃষ্ঠের দূরত্ব (হর-এর সংখ্যাগুলো ভূমির প্রকৃত দূরত্ব বোঝায়)।
৬. মৌজা মানচিত্র কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যে মানচিত্রে গ্রামের ভূমি জরিপ করে বিভিন্ন ভূসম্পত্তি, কৃষিক্ষেত্র, দালানকোঠা, পুকুর ইত্যাদির সীমানা অঙ্কন করা হয়, তাকে মৌজা মানচিত্র বলে।
এ মানচিত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন জমির মালিকানা নথিভুক্ত করা হয়। মৌজা মানচিত্র ১৬” = ১ মাইল এবং ২৫” = ১ মাইল; বাংলাদেশের ১৬” = ১ মাইল থেকে ৬৪” = ১ মাইল স্কেলে এবং অন্যান্য দেশে ১ : ২০,০০০ ধরে অঙ্কন করা হয়।
৭. মানচিত্রের স্কেল বলতে কী বোঝ?
উত্তর : মানচিত্রে ব্যবহৃত মাপনী, অর্থাৎ মানচিত্রের দুটি স্থানের দূরত্বের সঙ্গে প্রকৃত দূরত্বের সম্পর্ককে স্কেল বলে।
সাধারণত মানচিত্রে দুটি স্থানের দূরত্বের সাথে প্রকৃত দূরত্বের সম্পর্ককে অনুপাতে বোঝানো হয়। যেমন : মানচিত্রের স্কেল যদি ১= ১০ মাইল হয় তবে এর অর্থ হলো মানচিত্রের দুই স্থানের দৈর্ঘ্য বা দূরত্ব যেখানে তার প্রকৃত দূরত্ব হলো ১০ মাইল। রেখা অঙ্কন করে, প্রতিভূ অনুপাতের মাধ্যমে মানচিত্রের স্কেল নির্দেশ করা হয়।
৮. কণীয় মাপনী বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : যখন কোনো চতুর্ভুজ বা বহুভুজ ক্ষেত্রের পরস্পর বিপরীত কোণদ্বয় সংযোজক সরলরেখার সাহায্যে পরিমাপ করা যায়, তখন তাকে কর্ণীয় মাপনী বলা হয়।
সাধারণত সরল মাপনী মুখ্য ও গৌণ এ দুটি অংশে বিভক্ত। কিন্তু কর্ণ মাপনীতে গৌণ বিভাগগুলো অপেক্ষা আরও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগ থাকে। এ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগগুলো মাপনীর উপরের দিকে থাকে যার সাহায্যে দশমিক বা একই জাতীয় দুই বা তিন প্রকার এককের (যেমন- গজ, ফুট, ইঞ্জি ইত্যাদি) মাপ সহজেই গ্রহণ করা সম্ভব হয়। ফলে এ ধরনের মাপনীর সাহায্যে নিখুঁতভাবে মানচিত্র অঙ্কন করা যায়।
৯. স্কেল প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মাপনী বা স্কেলের প্রয়োজনীয়তা নিচে উল্লেখ করা হলো-
নকশা বা মানচিত্র তৈরির সময় মাপনী বা স্কেল প্রকাশের প্রয়োজন। সমগ্র পৃথিবী বা তার অংশবিশেষ স্বল্প পরিসর কাগজে অঙ্কন করতে স্কেল এর প্রয়োজন হয়। কোনো মানচিত্রের আয়তন একস্থান থেকে অন্যস্থানের দূরত্ব জানার জন্য স্কেল প্রকাশের প্রয়োজন রয়েছে। জরিপকার্যের জন্য স্কেল প্রকাশের প্রয়োজন রয়েছে।
১০. মানচিত্র ছোট ও বড় করার পদ্ধতিগুলো কী কী?
উত্তর : মানচিত্রের সম্প্রসারণ ও সংকোচনের জন্য যেসব পদ্ধতি প্রচলিত আছে সেগুলোর মধ্যে সচরাচর ব্যবহৃত পদ্ধতি হলো ছক বা বর্গ পদ্ধতি, সম-ত্রিভুজ পদ্ধতি এবং যান্ত্রিক পদ্ধতি।
ছোট ও বড় ছক বা বর্গ অঙ্কনের সাহায্যে যে মানচিত্র ছোট ও বড় করা হয় তাকে ছক বা বর্গ পদ্ধতি বলে। একই প্রকার ছোট বা বড় ত্রিভুজ অঙ্কন করে যখন মানচিত্রকে ছোট বা বড় করা হয় তখন তাকে সম-ত্রিভুজ পদ্ধতি বলে। আবার বিভিন্ন যন্ত্রের সাহায্যে যেমন- পেন্টোগ্রাফ, এইডোগ্রাফ, ক্যামেরা ইত্যাদির সাহায্যে যখন মানচিত্রকে ছোট বা বড় করা হয় তখন তাকে যান্ত্রিক পদ্ধতি বলে।
►► আরো দেখো: ভূগোল ১ম ও ২য় পত্রের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা, উপরের Answer Sheet বাটনে ক্লিক করে সম্পূর্ণ ভূগোল ১ম পত্র ১০ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তরসহ সংগ্রহ করে নাও।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post