ভূগোল ১ম পত্র ৬ষ্ঠ অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন : নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্যরশ্মি লম্বভাবে কিরণ দেয় বলে এ অঞ্চলে তাপমাত্রা ও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। ফলে এ অঞ্চলে বড় বড় গাছ জন্মাবার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এখানকার গাছগুলো খুব লম্বা হয়। ত্রিশ থেকে পাশ মিটার উঁচু গাছের অরণ্যের জন্য এ অঞ্চল প্রসিদ্ধ।
এগুলো কঠিন কাঠের গাছ। গাছের পাতাগুলো বড় আকৃতির হয়ে থাকে। এখানে উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু বিরাজ করার গাছের পাতাগুলো একসাথে ঝরে পড়ে না। এ অঞ্চলের উদ্ভিদকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা- বৃষ্টিবহুল অরণ্য, জঙ্গল ও ঝোপজাতীয় অরণ্য, উপকূলীয় অরণ্য।
ভূগোল ১ম পত্র ৬ষ্ঠ অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. নিরক্ষীয় অঞ্চলে গভীর অরণ্য সৃষ্টি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে সূর্য সারাবছর লম্বভাবে কিরণ দেয় বলে অধিক তাপ থাকে। এই অধিক তাপই জলীয়বাষ্প তৈরির মাধ্যমে সারাবছরই অধিক বৃষ্টিপাত ঘটায়।
যেকোনো অঞ্চলে বৃক্ষ বেড়ে ওঠার জন্য তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত অতীব প্রয়োজনীয় উপাদান। সারাবছর এরূপ বৃষ্টিপাত ও তাপের জন্য নিরক্ষীয় অঞ্চলে গভীর অরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২. ওজোনস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সময়ের বিবর্তনে মানুষের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকা- যেমন- শিল্পকারখানা স্থাপন, কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিক সারের ব্যবহার, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি, বনভূমি ধ্বংস ইত্যাদি হতে ক্ষতিকারক গ্যাস (CO2, CH4, CFC, N2O) নির্গত হয়ে বায়ুম-লের সাথে মিশে যাচ্ছে এবং পৃথিবীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বায়ুম-লে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে তা ওজোনস্তরকে ধ্বংস করছে। সুতরাং বলা যায়, মানুষের নেতিবাচক কর্মকা- ওজোনস্তর ক্ষতি হওয়ার কারণ।
৩. নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থান ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : নিরক্ষরেখার উভয় পার্শ্বে নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চল অবস্থিত। নিরক্ষরেখার উভয় দিকে ৫°- ১০° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে এ জলবায়ু পরিলক্ষিত হয়।
দক্ষিণ আমেরিকার আমাজান নদীর অববাহিকা, ব্রাজিলের উত্তরাংশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল, গায়ানার উপকূলভাগ, ভেনেজুয়েলার অংশবিশেষ ও কলম্বিয়ার দক্ষিণাংশ, পেরূর উত্তরাংশ, ইকুয়েডর, মালয়েশিয়া, আফ্রিকার কগো নদীর অববাহিকা ও গিনি উপকূল প্রভৃতি অঞ্চল নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।
৪. সমতাপ ও সমবর্ষণ রেখা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : কাছাকাছি কয়েকটি এলাকায় সমান তাপবিশিষ্ট অঞ্চলকে মানচিত্রে একটি রেখা দ্বারা যুক্ত করা হলে তাকে সমতাপ রেখা বলে। আর কাছাকাছি কয়েকটি এলাকায় যখন একই পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয় তখন তা একটি রেখা দ্বারা যুক্ত করলে একে সমবর্ষণ রেখা বলে।
৫. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয় এবং কেন?
উত্তর : সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, সমুদ্রের পানির স্তর বৃদ্বি দ্ধ প্রভৃতি কারণে জীববৈচিত্র্য ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে নিম্নভূমি প্লাবিত হচ্ছে বনভূমি, উদ্ভিদকুল লোনা পানি দ্বারা প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে এসব উদ্ভিদকুল ও প্রাণিকুলের বসবাসের অনুকূল পরিবেশে সরাসরি আঘাত হানার মধ্য দিয়ে ধ্বংস সাধিত হচ্ছে। ফলে জীববৈচিত্র্য ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।
৬. নিরক্ষীয় জলবায়ুতে উদ্ভিদের প্রকৃতি কেমন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্যরশ্মি লম্বভাবে কিরণ দেয় বলে এ অঞ্চলে তাপমাত্রা ও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। ফলে এ অঞ্চলে বড় বড় গাছ জন্মাবার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এখানকার গাছগুলো খুব লম্বা হয়। ত্রিশ থেকে পাশ মিটার উঁচু গাছের অরণ্যের জন্য এ অঞ্চল প্রসিদ্ধ। এগুলো কঠিন কাঠের গাছ। গাছের পাতাগুলো বড় আকৃতির হয়ে থাকে। এখানে উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু বিরাজ করার গাছের পাতাগুলো একসাথে ঝরে পড়ে না। এ অঞ্চলের উদ্ভিদকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা- বৃষ্টিবহুল অরণ্য, জঙ্গল ও ঝোপজাতীয় অরণ্য, উপকূলীয় অরণ্য।
৭. পানি বন্টনে বায়ুমণ্ডল কীভাবে ভূমিকা রাখে?
উত্তর : সূর্যের তাপে নদী, সাগর, পুকুর প্রভৃতি উৎস হতে পানি বাস্পীভবনের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে যায়। বায়ুমণ্ডল হতে পরে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়। ভূপৃষ্ঠ হতে আবার – সমুদ্র, হ্রদ, ভূগর্ভ, নদী প্রভৃতি স্থানে পুনঃবন্টিত হয়। অর্থাৎ পানি সূর্যের তাপে বাষ্পীভবনের মাধ্যমে বাযুম-লে প্রবেশ করে এবং সেখান থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন উৎসে পানি বন্টিত হয়। তাই পানি বন্টনে বায়ুমণ্ডলের ভূমিকা অপরিসীম।
৮. গ্রিনহাউস বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : গ্রিনহাউস হচ্ছে কাচের তৈরি সবুজ ঘর।
শীতপ্রধান দেশে গাছপালাকে রক্ষা করার জন্য এবং সূর্যের তাপ দেওয়ার জন্য এ ধরনের কাচের ঘর তৈরি করে সবুজ গাছপালা উৎপন্ন করা হয়। কাচের মধ্যে সহজেই সূর্যের কম তরঙ্গ দৈর্ঘ্যরে তাপ শোষিত হয় এবং উত্তপ্ত হয়ে দীর্ঘ তরঙ্গের তাপে পরিণত হয়, যা কাচের মধ্য দিয়ে আর বাইরে বের হয় না, এরকম ঘটনাকে গ্রিনহাউস বলা হয়।
৯. গ্রিনহাউস কী কাজে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর : নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের দেশগুলোতে শীতকালে সবুজ শাক-সবজি উৎপাদনের জন্য যে কাচের ঘর তৈরি করে, তাকেই গ্রিনহাউস বলে।
গ্রিন হাউসে সূর্যালোক অবাধে প্রবেশ করে কিন্তু নির্গত হওয়ার সময় তাপ শক্তির খানিকটা কাঁচের আচ্ছাদনের ভিতর ধরে রাখে। নির্দিষ্ট মাত্রায় তাপ ধরে রেখে বা সৃষ্টি করে মূলত উদ্ভিজ্জ ও শাকসবজি জন্মাবার জন্য এ ঘর শীতপ্রধান দেশে ব্যবহার করা হয়।
►► আরো দেখো: ভূগোল ১ম ও ২য় পত্রের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা, উপরের Answer Sheet বাটনে ক্লিক করে সম্পূর্ণ ভূগোল ১ম পত্র ৬ষ্ঠ অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তরসহ সংগ্রহ করে নাও।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post