ভূগোল ২য় পত্র ২য় অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন : জনমিতি হলো জনসংখ্যার একটি বৈশিষ্ট্যগত জ্ঞান। জনসংখ্যার পরিবর্তন হয় জন্ম, মৃত্যু ও অভিগমনের মাধ্যমে। এ উপাদানগুলোকেই জনমিতিক উপাদান বলে। জন্মহার, মৃত্যুহার, আকার, বয়স কাঠামো, নারী পুরুষ অনুপাত, মাথাপিছু আয় প্রভৃতি জনমিতিক উপাদান।
এসব উপাদানগুলো জনসংখ্যা পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একটি দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক চিত্র ফুটে উঠে এ উপাদানগুলোর বিশ্লেষণের মাধ্যমে। মোটকথা একটি দেশের জনসংখ্যার সার্বিক পরিস্থিতি জানার জন্য জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদানগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ভূগোল ২য় পত্র ২য় অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. জনসংখ্যার ঘনত্ব কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জনসংখ্যার ঘনত্ব বলতে একটি দেশের প্রতি বর্গকিলোমিটারে যতজন লোক বাস করে তাকে ঐ দেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব বলে।
কোনো দেশের মোট জনসংখ্যাকে সে দেশের মোট আয়তন দ্বারা ভাগ করলেই প্রতি বর্গকিলোমিটারে বসবাসকারী লোকসংখ্যার ঘনত্ব পাওয়া যায়। অর্থাৎ জনসংখ্যার ঘনত্ব = মোট জনসংখ্যা/মোট আয়তন। জনসংখ্যার ঘনত্ব বলতে বিভিন্ন মানুষের সংবদ্ধতা তথা জনবসতির নিবিড়তা বোঝানো হয়ে থাকে।
২. জনমিতিক উপাদানের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জনমিতি হলো জনসংখ্যার একটি বৈশিষ্ট্যগত জ্ঞান। জনসংখ্যার পরিবর্তন হয় জন্ম, মৃত্যু ও অভিগমনের মাধ্যমে। এ উপাদানগুলোকেই জনমিতিক উপাদান বলে।
জন্মহার, মৃত্যুহার, আকার, বয়স কাঠামো, নারী পুরুষ অনুপাত, মাথাপিছু আয় প্রভৃতি জনমিতিক উপাদান। এসব উপাদানগুলো জনসংখ্যা পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একটি দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক চিত্র ফুটে উঠে এ উপাদানগুলোর বিশ্লেষণের মাধ্যমে। মোটকথা একটি দেশের জনসংখ্যার সার্বিক পরিস্থিতি জানার জন্য জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদানগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৩. বান্দরবানের জনবসতি অতি বিরল ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বান্দরবানর এলাকাটি পর্বতময় বলে জনসংখ্যায় বসতি কম।
যে অঞ্চলের জনবসতির ঘনত্ব ৫০০ জনের কম সে অঞ্চলের বসতি অতি বিরল জনবসতির অন্তর্গত। বান্দরবান জেলাটি পর্বতময় হওয়ায় সেখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কি.মি. ৮৭ জন যা অতি বিরল বসতির এর আওতাভুক্ত। তাই বলা যায় বান্দরবানের জনবসতি অতি বিরল।
৪. মানুষ কেন অভিগমন করে?
উত্তর : মানুষ বিভিন্ন কারণে অভিগমন করে থাকে।
মানুষ বিভিন্ন সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা ত কিংবা চিকিৎসাসংক্রান্ত কারণে এক স্থান হতে অন্যস্থানে অভিগমন করে যা আকর্ষণমূলক অভিগমনের অন্তর্ভুক্ত। এসব আকর্ষণজনিত কারণ ছাড়াও কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানুষ অভাব, যুদ্ধ, দাঙ্গা প্রভৃতি বিকর্ষণজনিত কারণেও অভিগমন করে থাকে।
৫. খাগড়াছড়িতে জনসংখ্যার ঘনত্ব কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বন্ধুর ভূপ্রকৃতির জন্য খাগড়াছড়িতে জনসংখ্যা ঘনত্ব কম।
পার্বত্য অঞ্চল কৃষির অনুপযোগী ও যোগাযোগ কষ্টসাধ্য হওয়ায় সে অঞ্চলে জনবসতি কম। এছাড়া বন্ধুর ভূপ্রকৃতির জন্য এসব অঞ্চলে শিল্পায়ন ও সব ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধাও কম হয়। খাগড়াছড়ি অল পর্বতময় হওয়ার কারণে সেখানে উপরোল্লিখিত সুযোগ-সুবিধা কম থাকায় জনসংখ্যার ঘনত্ব কম।
৬. ঘনত্বের বিচারে রাঙ্গামাটি কোন ধরনের জনবসতি অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ঘনত্বের বিচারে রাঙামাটি বিরল জনবসতি অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।
বাংলাদেশে যেসব অঞ্চলে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কি.মি. এ ১,০০০ জনের কম সেসব অঞ্চলকে বিরল জনবসতিযুক্ত অঞ্চল বলে। চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙামাটি জেলার জনসংখ্যা প্রতি বর্গ কি.মি. এ ১,০০০ জনের কম। তাই বলা যায় রাঙামাটি জেলা বিরল জবসতির অন্তর্ভুক্ত।
৭. জনসংখ্যার ঘনত্ব কীভাবে নির্ণয় করা হয়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জনসংখ্যার ঘনত্ব বলতে প্রতি বর্গকিলোমিটারে কতজন লোক বাস করে তাকে বোঝায়। কোনো দেশের জনবসতির ঘনত্ব জানতে হলে ঐ দেশের মোট জনসংখ্যা ও দেশের আয়তন জানতে হবে। জনসংখ্যার ঘনত্ব নির্ণয়ের সূত্রটি নি¤œরূপ:
জনসংখ্যার ঘনত্ব = মোট জনসংখ্যা/মোট আয়তন
৮. জনসংখ্যা পিরামিড বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : নারী-পুরুষের বয়সভিত্তিক বিন্যাস গ্রাফে প্রকাশ করলে ত্রিভুজ বা পিরামিড সদৃশ যে নকশা তৈরি হয় তাকে জনসংখ্যা পিরামিড বলে।
জনসংখ্যা পিরামিড হচ্ছে কোনো স্থানের জনমিতিক বৈশিষ্ট্য প্রকাশক গ্রাফচিত্র। পিরামিডের ভূমি অক্ষে নারী-পুরুষ সংখ্যা এবং লম্ব। অক্ষে বয়সভিত্তিক বিন্যাস যার বামপাশে পুরুষদের এবং ডানপাশে নারীদের বয়সভিত্তিক আয়তলেখ অঙ্কন করে দেখানো হয়।
৯. শরণার্থী বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : গৃহযুদ্ধ, সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের কারণে বা যুদ্ধের কারণে কেউ যদি অভিগমন করে তাকে বলপূর্বক অভিবাসন বলে। বলপূর্বক অভিবাসনের ফলে যেসব ব্যক্তি কোনো স্থানে আগমন করে ও সাময়িকভাবে আশ্রয় গ্রহণ করে এবং সুযোগমতো স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় থাকে, তাদেরকে বলে শরণার্থী।
১০. অভিগমনের সামাজিক প্রভাব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : অভিগমনের ফলে উৎস (origin) ও গন্তব্যস্থলে (destination) সামাজিক প্রভাব পড়ে থাকে। অভিগমনের ফলে গন্তব্যস্থলের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত হয়। মানুষ বিভিন্ন সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হয়। অন্যদিকে পরস্পরের মধ্যে সামাজিক বন্ধন কমে যায়, হতাশা বৃদ্ধি পায়। উৎসস্থলে সামাজিক কার্যক্রমে স্থবিরতা আসতে পারে। যেমন, স্বামী অন্যত্র অভিগমন করার ফলে গ্রামে নারীদের ওপর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক চাপ বৃদ্ধি পায়।
►► আরো দেখো: ভূগোল ১ম ও ২য় পত্রের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা, উপরের Answer Sheet বাটনে ক্লিক করে সম্পূর্ণ ভূগোল ২য় পত্র ২য় অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তরসহ সংগ্রহ করে নাও।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post