ভূগোল ২য় পত্র ৭ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন : বন্দর গঠন ও এর উন্নতিতে পশ্চাদভূমির গুরুত্ব অপরিসীম। বন্দরের মাধ্যমে যে অঞ্চলের পণ্যদ্রব্য রপ্তানি ও প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য আমদানি করা হয় তাকে ঐ বন্দরের পশ্চাদভূমি বলে।
পশ্চাদভূমি কোনো পণ্যের স্থানীয় চাহিদা মিটাতে সক্ষম হলে তাকে উদ্বৃত্ত অঞ্চল বলে।
এতে করে রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পায় আর ঘাটতি অঞ্চল হলে আমদানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিকভাবেই পশ্চাদভূমি যদি অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ হয় তাহলে বন্দরের উন্নতি হয়। সুতরাং বন্দর গড়ে ওঠার পিছনে পশ্চাদভূমির ভূমিকা অপরিসীম।
ভূগোল ২য় পত্র ৭ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. বন্দরের উন্নতি নির্ভর করে পশ্চাভূমির ওপর – ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কানো একটি বন্দরে যে অঞ্চলের বহির্ঘায়ের কাজ করে সেই অঞ্চলকে উক্ত বন্দরের পশ্চাদভূমি বলে।
অন্যভাবে বলা যায় যেসব স্থানের রপ্তানি দ্রব্যসমূহ কোনো বন্দরের মধ্যদিয়ে বিদেশে প্রেরণ করা হয় এবং ঐসব অঞ্চলের আমদানি দ্রব্যসমূহ ঐ বন্দরের মধ্য দিয়ে বিদেশ হতে আনয়ন করা হয়। সে অঞ্চলটি হলো উক্ত বন্দরের পশ্চাদভূমি। তাই বন্দরের উন্নতি বহুলাংশে এর পশ্চাদভূমির বিস্তার ও সমৃদ্ধির ওপর নির্ভর করে। পশ্চাদভূমি যত বেশি বিস্তৃত, জনবহুল,শিল্পপ্রধান ও সম্পদশালী হবে বন্দর তত বেশি অগ্রগতি লাভ করবে।
২. বন্দর গড়ে উঠার পিছনে পশ্চাৎভূমির ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বন্দর গঠন ও এর উন্নতিতে পশ্চাদভূমির গুরুত্ব অপরিসীম।
বন্দরের মাধ্যমে যে অঞ্চলের পণ্যদ্রব্য রপ্তানি ও প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য আমদানি করা হয় তাকে ঐ বন্দরের পশ্চাদভূমি বলে।
পশ্চাদভূমি কোনো পণ্যের স্থানীয় চাহিদা মিটাতে সক্ষম হলে তাকে উদ্বৃত্ত অঞ্চল বলে। এতে করে রপ্তানি আর ঘাটতি অঞ্চল হলে আমদানি বাণিজ্য (যেমন, বাংলাদেশের খাদ্যশস্য) বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিকভাবেই পশ্চাদভূমি যদি অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ হয় তাহলে বন্দরের উন্নতি হয়।
৩. দেশের সার্বিক উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ সহজতর হয়। পণ্যসামগ্রী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তর, রপ্তানি বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক সম্পদ ও শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহ, দ্রুততম সময়ে একস্থান থেকে অন্যস্থানে গমনাগমন প্রভৃতি উন্নত যোগাযোগের মাধ্যমে খুব সহজেই করা যায়। তাই উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর দেশের সার্বিক উন্নতি অনেকাংশেই নির্ভরশীল।
৪. বন্দরের উন্নতিতে পশ্চাদভূমির ভূমিকা কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বন্দর গঠন ও এর উন্নতিতে পশ্চাদভূমির গুরুত্ব অপরিসীম। বন্দরের মাধ্যমে যে অঞ্চলের পণ্যদ্রব্য রপ্তানি ও প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য আমদানি করা হয় তাকে ঐ বন্দরের পশ্চাদভূমি বলে।
পশ্চাদভূমি কোনো পণ্যের স্থানীয় চাহিদা মিটাতে সক্ষম হলে তাকে উদ্বৃত্ত অঞ্চল বলে। এতে করে রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পায় আর ঘাটতি অঞ্চল হলে আমদানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিকভাবেই পশ্চাদভূমি যদি অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ হয় তাহলে বন্দরের উন্নতি হয়।
সুতরাং বন্দর গড়ে ওঠার পিছনে পশ্চাদভূমির ভূমিকা অপরিসীম।
৫. সাব্বিরের এলাকা থেকে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার পেছনে কোন নিয়ামকটি উল্লেখযোগ্য?
উত্তর : উদ্দীপকে উল্লেখ্য সাব্বিরের এলাকাটি সিরাজগঞ্জ।
সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার পেছনে উল্লেখযোগ্য নিয়ামক হিসেবে ভূমিকা পালন করে যমুনা সেতু। যমুনা সেতু নির্মাণের পর সড়ক ও রেলপথে ঢাকার সাথে সিরাজগঞ্জসহ উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবসার উন্নতি ঘটে।
৬. পরিবহন ও যোগাযোগ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : দেশের একস্থান থেকে অন্যস্থানে অথবা একদেশ থেকে অন্যদেশে পণ্যসামগ্রী, মালপত্র এবং যাত্রী চলাচলের মাধ্যমকে পরিবহন বলে। পরিবহন তিন ধরনের থাকে যথা- স্থল পরিবহন, জল পরিবহন ও আকাশ পরিবহন। পরিবহন ব্যবস্থা ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পর্ক স্থাপন ও চলাচলের মাধ্যমকে যোগাযোগ ব্যবস্থা বলে। যোগাযোগ পরিবহন, ডাক, টেলিগ্রাম ও টেলিযোগ, বেতার ও টেলিভিশন, ই-মেইল, মোবাইল, ইন্টারনেট, ভূউপগ্রহ, ইলেকট্রনিক মাধ্যম, তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।
৭. জাতীয় জনপথ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের প্রধান শহর, বন্দর ও বাণিজ্য কেন্দ্রগুলোর সাথে সংযোগ স্থাপনকারী সড়কপথসমূহকে জাতীয় জনপথ বলে।
বাংলাদেশের পথগুলো বেশ চওড়া ও মসৃণ। এটা নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ বাংলাদেশ সরকারের সড়ক জনপথ সওজ বিভাগের ওপর ন্যস্ত রয়েছে। এ জাতীয় সড়কের পরিমাণ ২১,৫৯৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে জাতীয় মহাসড়ক ৩,৯০৬ কি.মি. এবং ১৩,২০৭ কি.মি. জেলা সড়ক। (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৯)।
৮. বাংলাদেশে কত ধরনের রেলপথ রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বাংলাদেশে তিন ধরনের রেলপথ রয়েছে। যথা:
(১) মিটারগেজ : রেলের দুটি পাটির মধ্যবর্তী ব্যবধান ১ মিটার।
(২) ব্রডগেজ : রেলের দুটি পাটির মধ্যবর্তী ব্যবধান ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। যমুনা নদীর পশ্চিমাংশের জেলাগুলোতে এ রেলপথ চালু রয়েছে।
(৩) ডুয়েলগেজ : মিটারগেজ ও ব্রডগেজ একই লাইনে থাকলে তা ডুয়েলগেজ। যমুনা নদীর পূর্ব ও পশ্চিমাংশের মধ্যে যোগাযোগ করার জন্য ডুয়েলগেজ রেলপথ চালু করা হয়েছে।
৯. বন্দর গড়ে ওঠার পিছনে পশ্চাদভূমির ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বন্দর গঠন ও এর উন্নতিতে পশ্চাদভূমির গুরুত্ব অপরিসীম। বন্দরের মাধ্যমে যে অঞ্চলের পণ্যদ্রব্য রপ্তানি ও প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য আমদানি করা হয় তাকে ঐ বন্দরের পশ্চাদভূমি বলে।
পশ্চাদভূমি কোনো পণ্যের স্থানীয় চাহিদা মিটাতে সক্ষম হলে তাকে উদ্বৃত্ত অঞ্চল বলে। এতে করে রপ্তানি আর ঘাটতি অঞ্চল হলে আমদানি বাণিজ্য (যেমন, বাংলাদেশের খাদ্যশস্য) বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিকভাবেই পশ্চাদভূমি যদি অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ হয় তাহলে বন্দরের উন্নতি হয়। তাই বলা যায় বন্দর গড়ে উঠার পেছনে পশ্চাদভূমির ভূমিকা রয়েছে।
১০. মিটারগেজ ও ব্রডগেজ লাইন বলতে কী বোঝ?
উত্তর : বাংলাদেশের তিন ধরনের রেল লাইনের মধ্যে অন্যতম হলো মিটারগেজ ও ব্রডগেজ রেললাইন।
যেসব রেললাইনের মধ্যবর্তী দূরত্ব ১ মিটার তাকে মিটারগেজ রেললাইন বলে। আর যেসব রেললাইনের মধ্যবর্তী দূরত্ব ১ মিটারের বেশি বা ১.৬৭ মিটার ঐসব রেললাইনকে ব্রডগেজ রেললাইন বলে।
►► আরো দেখো: ভূগোল ১ম ও ২য় পত্রের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা, উপরের Answer Sheet বাটনে ক্লিক করে সম্পূর্ণ ভূগোল ২য় পত্র ৭ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তরসহ সংগ্রহ করে নাও।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post