ভূগোল ২য় পত্র ৮ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন : মুক্তবাজার অর্থনীতির কতিপয় সুফল এবং কুফল বিদ্যমান থাকলেও বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এর কুফলই বেশি পরিলক্ষিত হয়। মুক্তবাজার অর্থনীতির ফলে অনেক সময় বিভিন্ন প্রকার বিলাসদ্রব্য যেমন- কসমেটিকস সামগ্রী যা একেবারেই প্রয়োজন নয় তা দেশে আমদানি করা হয়ে থাকে।
ফলে বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করা হয়। আবার মুক্তবাজার অর্থনীতির আওতায় দেশের ব্যবসায়ীগণ লাভের আশায় দেশের মূল্যবান কাঁচামাল, খনিজ সম্পদ, শক্তি সম্পদ ইত্যাদি অন্য দেশে রপ্তানি করে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো দুর্বল করে ফেলে।
ভূগোল ২য় পত্র ৮ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. শিল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : শিল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক।
যেকোনো দেশের শিল্প স্থাপিত হলে সেখানে প্রচুর জনবল নিয়োগ একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে প্রচুর শ্রমিক কাজ করে। বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্ন যোগ্যতার জনবল শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকে। অর্থাৎ যে “শিল্পপ্রতিষ্ঠান বেশি সে অঞ্চলে কাজের সুযোগও বেশি থাকে। তাই যায় শিল্প কর্মসংস্থানের সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
২. যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যকে, ত্বরান্বিত করে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যকে ত্বরান্বিত করে।
দেশর একস্থান হতে অন্যস্থানে স্থানান্তরের জন্য উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা আবশ্যক। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে ব্যবসায় সম্প্রসারণ হয়। শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, জ্বালানি, কৃষিজাত ও শিল্পজাত সব বিনিময় স্থানে আনা-নেওয়ার জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রয়োজন। এককথায় দেশের সার্বিক অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য পরিচালনায় পরিবহন ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। তাই বলা যায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যকে ত্বরান্বিত করে।
৩. বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর : অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বলতে একই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে সংঘটিত বিনিময় ব্যবস্থাকে বোঝায়। বাংলাদেশের ভেতরে যে বাণিজ্যগুলো হয়, সেগুলোকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বলে। এক্ষেত্রে গ্রাম পর্যায় থেকে শুরু করে শহর, নগর এমনকি মহানগরী পর্যন্ত বাণিজ্য হয়ে থাকে। যে অঞ্চলে উদ্বৃত্ত শস্য বা অন্যকোনো পণ্যদ্রব্য থাকে সেই অঞ্চল থেকে ঘাটতি অঞ্চলের মধ্যে বিনিময় হয় যা অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের অন্তর্ভুক্ত।
৪. মুক্তবাজার অর্থনীতির কুফল ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মুক্তবাজার অর্থনীতির কতিপয় সুফল এবং কুফল বিদ্যমান থাকলেও বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এর কুফলই বেশি পরিলক্ষিত হয়।
মুক্তবাজার অর্থনীতির ফলে অনেক সময় বিভিন্ন প্রকার বিলাসদ্রব্য যেমন- কসমেটিকস সামগ্রী যা একেবারেই প্রয়োজন নয় তা দেশে আমদানি করা হয়ে থাকে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করা হয়। আবার মুক্তবাজার অর্থনীতির আওতায় দেশের ব্যবসায়ীগণ লাভের আশায় দেশের মূল্যবান কাঁচামাল, খনিজ সম্পদ, শক্তি সম্পদ ইত্যাদি অন্য দেশে রপ্তানি করে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো দুর্বল করে ফেলে।
৫. রেমিটেন্স বলতে কী বোঝ?
উত্তর : দেশে প্রেরিত প্রবাসীদের উপার্জিত অর্থই হলো রেমিটেন্স।
বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতির এক বড় অংশ রেমিটেন্স থেকে আসে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটা অংশ দেশের বাইরে থেকে অর্থ উপার্জন করছে। যাদের উপার্জিত অর্থ দেশের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।
৬. WTO এর সদর দপ্তর, প্রতিষ্ঠাকাল এবং তার সদস্য সংখ্যা কত?
উত্তর : WTO হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা বিশ্বের বাণিজ্যসংক্রান্ত নীতি প্রবর্তন করে। ডঞঙ এর সদর দপ্তর জেনেভার সুইজারল্যান্ড। এটি ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এর সদস্যসংখ্যা ১৬৪।
৭. রপ্তানি বাণিজ্যের দুটি সুবিধা লেখ।
উত্তর : যখন কোনো দেশ তার উৎপাদিত পণ্য অর্থের বিনিময়ে বিদেশে প্রেরণ করে তখন তাকে রপ্তানি বাণিজ্য বলে। যেমন- বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়।
রপ্তানি বাণিজ্যের দুটি সুবিধা হলো- মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটে।
৮. আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন প্রয়োজন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্যের ভারসাম্যের জন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রয়োজন।
সাধারণত, কোনো দেশই প্রাকৃতিক সম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। আবার, কোনো দেশই ভৌগোলিকভাবে একরকম নয়। এক এক দেশে এক এক ধরনের পণ্যসামগ্রী উৎপাদিত হয়। যে দেশে উদ্বৃত্ত পণ্য থাকে সেই উদ্বৃত্ত পণ্য ঘাটতি অঞ্চল বা দেশে তা রপ্তানি করা হয়। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সৃষ্টি হয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ফলে প্রতিটি দেশই পণ্যসামগ্রীতে সাম্যাবস্থায় চলে আসে।
৯. বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প গড়ে ওঠার কারণ কী?
উত্তর : বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্প গড়ে ওঠার কারণ হচ্ছে-
মূলধনের প্রাপ্যতা, বৈদেশিক বিনিয়োগ, অনুকূল জলবায়ু, কাঁচামালের সহজলভ্যতা, সস্তা ও দক্ষ শ্রমিক, পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং অনুকূল জলবায়ু। এসব উপাদানসমূহ বাংলাদেশে সহজেই পাওয়া যায় বলে এ অঞ্চলে তৈরি পোশাক শিল্প গড়ে উঠেছে।
১০. বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর : অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বলতে একই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে সংঘটিত বিনিময় ব্যবস্থাকে বোঝায়। বাংলাদেশের ভেতরে যে বাণিজ্যগলো হয় সেগুলোকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বলে। এক্ষেত্রে গ্রাম পর্যায় থেকে শুরু করে শহর, নগর এমনকি মহানগরী পর্যন্ত বাণিজ্য হয়ে থাকে। যে অঞ্চলে উদ্বৃত্ত শস্য বা অন্যকোনো ও পণ্যদ্রব্য থাকে সেই অঞ্চল থেকে ঘাটতি অঞ্চলের মধ্যে বিনিময় হয় যা অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের অন্তর্ভুক্ত।
►► আরো দেখো: ভূগোল ১ম ও ২য় পত্রের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা, উপরের Answer Sheet বাটনে ক্লিক করে সম্পূর্ণ ভূগোল ২য় পত্র ৮ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তরসহ সংগ্রহ করে নাও।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post