মংডুর পথে গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর | আমাদের পূর্ব দিকের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার । সেই দেশ ভ্রমণের ফলে লেখক যেসব অভিজ্ঞতা লাভ করেন তার কিছু বিবরণ এই রচনায় পরিবেশিত হয়েছে। মিয়ানমারের পশ্চিম সীমান্ত শহর মংডু দিয়ে লেখকের ওই দেশ সফর শুরু হয়েছিল। মংডুর মানুষের পোষাক-পরিচ্ছদ, খাদ্যাভ্যাস, ব্যবসায়-বাণিজ্য সম্পর্কে একটি ধারণা এই রচনা থেকে পাওয়া যায়।
মংডুতে বসবাসরত বিভিন্ন ধর্মের লোক সম্পর্কেও পরিচয় আছে এতে । সেখানকার মেয়েরা অনেকটা স্বাধীনভাবে ব্যবসায়-বাণিজ্য করে । এক সময়ে মংডু ছিল আরাকান নামের এক স্বাধীন দেশের অংশ। আরাকানে ছিল মুসলমানদের শাসন। মিয়ানমারে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রাধান্য থাকলেও মংডুতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলমানের বসবাস লক্ষ করেছেন লেখক।
মংডুর পথে গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি, বান্দরবান, রামগড় এলাকার চাকমা, কুকি ও মুরং মেয়েরা এবং সিলেটের মাছিমপুর অঞ্চলের মণিপুরি মেয়েরা তাদের নিজেদের এবং পুরুষদের পরিধেয় বস্ত্র বুনে থাকে । এ কাপড়গুলো সাধারণত মোটা ও টেকসই হয়। নকশা, রং ও বুনন কৌশল সবই তাদের নিজস্ব এঁতিহ্য অনুযায়ী হয়। মেয়েরা কোমর ঢাকা ব্লাউজ ও লুঙ্গির মতো কাপড় পরিধান করে।
ক. ‘ম্রাউক-উ’ কোথায়?
খ. লেখক হোটেলে রাত কীভাবে কাটিয়েছিলেন?
গ. “মংডুর পথে” রচনার কোন বৈশিষ্ট্য উদ্দীপকে প্রতিফলিত? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকে ও মংডুর পথে” রচনার উদ্দেশ্য বিভিন্ন দেশের প্রতি আগ্রহ ও ভালোবাসা সৃষ্টি করা।” – উক্তিটি মূল্যায়ন করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : রাচি থেকে পালামৌ যেতে যেতে যখন দূর থেকে পালামৌ দেখা যায়, তখন মনে হয় যেন মাটিতে মেঘ করেছে। এ দৃশ্য এতই মনোহর যে, ভুলবার নয়। পালামৌ প্রবেশ করতে দেখা যায় নদী। গ্রাম, অসংখ্য পাহাড়, পাহাড়ের পর পাহাড়। আবার পাহাড় । এ যেন বিচলিত নদীর সংখ্যাতীত তরঙ্গ।
ক. প্যাগোডা কী?
খ. লেখকের মুখ, চোখ, কান ও হৃদয় আনন্দে উপচে পড়ল কেন?
গ. উদ্দীপকের সাথে “মংডুর পথে” ভ্রমণ কাহিনীর অমিল দেখাও।
ঘ. “উদ্দীপক ও “মংডুর পথে” উভয় কাহিনীতেই প্রকাশ পেয়েছে পর্যটকের উচ্ছ্বাস।” – মন্তব্যটি বিচার করো ।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : রহমান সাহেব পেশায় প্রকৌশলী। দাপ্তরিক কাজে তিনি সিঙ্গাপুরে যান। সেখানকার পরিকল্পিত রাস্তাঘাট দেখে, অত্যাধুনিক আরামদায়ক গাড়িতে চড়ে তিনি অভিভূত হন। সেখানে একটি বিলাসবহুল সুসজ্জিত হোটেলে তার থাকার ব্যবস্থা করা হয়। হোটেলে ব্যায়ামাগার, সুইমিংপুল, বলরুমসহ যাবতীয় সুবিধাদি পেয়ে তিনি মুগ্ধ হন।
ক. সেলাইবিহীন লুঙ্গির মতো বস্তুটির নাম কী?
খ. লুঙ্গি, ফুজগি ও প্যাগোডা এই তিন নিয়ে মিয়ানমার।” বাক্যটি বুঝিয়ে লেখো ।
গ. উদ্দীপকে হোটেলে রহমান সাহেবের অবস্থা এবং “মংডুর পথে” ভ্রমণকাহিনিতে লেখকের অবস্থার তুলনামূলক আলোচনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকটি মংডুর পথে’ ভ্রমণ কাহিনীর সমগ্র ভাব প্রকাশ করেনি।” – মূল্যায়ন করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : মাহিনের মা-বাবা সুযোগ পেলেই বিদেশে বেড়াতে যান। এবার বাবা-মায়ের সাথে ভুটান গিয়ে মাহিনের খুব ভালো লাগে। ভুটানিদের পোশাক, ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাকে মুগ্ধ করে। সে তাদের খাদ্যাভ্যাস দেখে অবাক হয়। কত বিচিত্র ধরনেন খাবার ও কত বিচিত্র ধরনের পরিবেশন পদ্ধতি। আটা, সবুজ সবজি এবং আলু দিয়ে তৈরি ‘আলুটমা’ তাদের একটি ব্যতিক্রমধর্মী জনপ্রিয় খাবার।
ক. আলাওলের শ্রেষ্ঠ রচনা কোনটি?
খ. ‘লুঙ্গি, ফুঙ্গি, প্যাগোডা’- এই তিন মিলেই মিয়ানমার- উক্তিটি কেন করা হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের ভুটানিদের খাদ্যাভ্যাসের সাথে মংডুর অধিবাসীড়ের খাদ্যাভ্যাসের বৈসাদৃশ্য বর্ণনা কর।
ঘ. ‘‘মিল থাকলেও উদ্দীপকটি ‘মংডুর পথে’ ভ্রমনকাহিনির মূলভাব ধারণ করে না।”- মন্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ :
উদ্দীপক:১ নারকেল শ্রীলঙ্কানদের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত। নারকেল তেল ছাড়া তারা কোনো খাবার রান্না করে না। কারিতে নারকেল তেল ছাড়াও গুঁড়া শুঁটকি শাছ ব্যবহার করা হয়। এই গুঁড়া শুঁটকিকে তারা মসলার অংশ হিসেবে দেখে। এরা রান্নায় প্রচুর মসলা এবং লাল মরিচ ব্যবহার করে।
উদ্দীপক:২ শ্রীলংকার রাস্তায় যেসব তরুণীরা চলাচল করে তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ অতি সাধারণ। দামি পোশাক ও সাজগোজের দিকে তাদের যথেষ্ট আগ্রহ আছে বলে মনে হয় না। স্পষ্টই মনে হয়, এরা জীবন-যাপনে সহজ-সুন্দর এব্য এতেই তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
ক. সেলাইবিহীন লুঙ্গির মতো বস্ত্রটির নাম কী?
খ. ‘বান্ডেল রোড তাদের স্মৃতি বহন করছে’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপক-১ এ ‘মংডুর পথে’ ভ্রমন কাহিনীর যে দিকটি প্রকাশ পেয়েছে তার বর্ণনা দাও।
ঘ. মিয়ানমারবাসীর জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতির পুরো দিকটিই উদ্দীপক-২ এ প্রকাশ পেয়েছে- ‘মংডুর পথে’ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ :
উদ্দীপক:১ নাবিল মা-বাবার সাথে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে সমুদ্রসৈকতের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করে। সে ডুলা হাজারা সাফারি পার্ক, রাবার বাগান, বৌদ্ধমন্দির ইত্যাদি দেখে আনন্দ পেল।
উদ্দীপক:২ খাসিয়া জনগোষ্ঠী কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। তারা প্রচুর পান ও মধু চাষ করে। খাসিয়া মেয়েরা স্থানীয় বাজারে পান বিক্রি করে। তারা ‘কাজিম পিন’ নামক ব্লাউজ ও লুঙ্গি আর ছেলেরা পকেট ছাড়া শার্ট পরিধান করে যার নাম ‘ফুংগ মারুং’।
ক. বার্মায় কাদের খুব সম্মানের চোখে দেখা যায়?
খ. ‘‘গ্লাভস পরে হাত ধোয়ার অবস্থা’’- বলতে লেখক কি বোঝাতে চেয়েছেন?
গ. উদ্দীপক-১ এ ‘মংডুর পথে’ ভ্রমনকাহিনির যে ড়িকটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপক-২ এর খাসিয়া ও ‘মংডুর পথে’ ভ্রমনকাহিনির মিয়ানমারবাসীর মধ্যে নানাবিধ ঐক্য বিদ্যমান- মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : নদ-নদী ও বাংলাদেশ এবই সূত্রে গাঁথা দুটি নাম। এ দেশের মাটি ও মানুধের ক্ষেত্রে নদ-নদী ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ দেশের সমাজ, সভ্যতা, সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি সবকিছুই নদীর সাথে জড়িত। নওগাঁর পাহাড়পুর, বগুড়ার মহাস্থানগড়, কুমিল্লার লালমাই ও ময়নামতি এবং নরসিংদীর উয়ারী- বটেশ^রসহ দেশের প্রাচীন সভ্যকার কেন্দ্রভূমিগুলো নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল।
ক. ‘পাইক্যা’- এর একচেটিয়া চালক কারা?
খ. মিয়ানমারের সীমান্ত শহর মংডুর পথে নেমে লেখকের হৃদয় অচেনা আবেগে উপচে পড়ল কেন? বুঝিয়ে লেখ।
গ. বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতাগুলো যেমন নদঅর তীরে গড়ে উঠেছিল ; মিয়ানমারেরও তেমনি- ‘মংডুর পথে’ রচনার আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘‘ভ্রমনের মাধ্যমে মানুষ একটি দেশের নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে”- উদ্দীপক ও ‘মংডুর পথে’ রচনার আলোকে বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : পরীক্ষা শেষে মাহিম তার বাবা-মায়ের সাথে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছে। সে শুনেছে সমুদ্রসৈকতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক লোকজন বেড়াতে আসে নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করতে। বিশেষ করে সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার জন্য সেখানে অনেক মানুষের ভিড় হয়। আজ বাস্তবে সৈকতে এসে সে দেথতে পেল রাবার বাগান, ডুলাহাজরার সাফারি পার্ক, বৌদ্ধমন্দির, রাখাইনদের বার্মিজ মার্কেট, বাজার ঘাটায় প্রচুর গলদা চিংড়ি।
ক. ‘মংডুর পথে’ ভ্রমনকাহিনির লেখকের নাম কী?
খ. ‘ব্যান্ডেল পথে বলতে কী বুঝ?
গ. উদ্দীপকে মাহিমের ভ্রমনকাহিনির সাথে ‘মংডুর পথে’ ভ্রমনকাহিনির যে দিক প্রকাশ পেয়েছে তা তোমার নিজের ভাষায় লেখ।
ঘ. ‘মংডুর পথে’ প্রবন্ধে লেখকের অনুভূতির সঙ্গে উদ্দীপকের অনুভূতি এক নয় প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : সুলতানি আমলে অভিজাত ও বিত্তবান মুসলিম পুরুষ ও মহিলারা মূল্যবান, রুচিসম্পন্ন ও আকর্ষনীয় পোশাক পরত। পুরুষেরা ইজার ও গোল গলাবন্ধসহ লম্বা জামা পরত। কোমরের সাথে চিকন কাগজসহ চওড়া ফিতা বেঁধে রাখত। তাদের মাথায় থাকত পাগড়ি। মধ্যবিত্তরা পরত পায়জামা, জামা ও পাগড়ি। নিম্নবিত্তরা লুঙ্গি, নিমাও টুপি পরত। অভিজাত মহিলারা খাটো কামিজ, সেলোয়ার ও ওড়না ব্যবহার করত। তারা দামি শাড়িও পরত। সাধারন মহিলারা শুধু শাড়িই পরত।
ক. ‘পাইক্যা’ কী?
খ. ‘বুঝতে পারছি সারা ভ্রমন এভাবে অপূর্ণ কথাবার্তা বলতে হবে।’- ব্রাখ্যা কর।
গ. উদ্দপিকের সুলতানি আমলের মুসলিম পোশাকের সাথে ‘মংডুর পথে’ রচনার মিয়ানমারের পোশাকের পার্থক্য দেখাও।
ঘ. ‘সুলতানি আমলে পোশাক-পরিচ্ছদও সামাজিক শ্রেণিকে নির্দেশ করত’। উক্তিটি মিয়ানমারের জনগোষ্ঠীর জন্য কতটা সত্য? বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : রাতুল টেলিভিশনে মণিপুরিদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান দেখেছে। মণিপুরিরা নিজেদের তৈরি অতি সাধারণ পোশাক পরে। পুরুষরা ধুতি, পাঞ্জাবি এবং নারীরা কোমরে পেচিয়ে পরার মতো এক বিশেষ ধরনের পোশাক পরে। এছাড়া ওরা ওড়না জাতীয় ইন্নাফি নামক পোশাক ও ব্লাউজ পরে।
ক. ভিক্ষুদের পরিধেয় চীবর দেখতে কেমন?
খ. “মংডুর মহিলারা চিরস্বাধীন’_ বুঝিয়ে বলো ।
গ, মণিপুরি উপজাতীয় পোশাক ও মিয়ানমারের অধিবাসীদের পোশাকের মধ্যে সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “পরনের পোশাক দেখেই মণিপুরি এবং মংডুর অধিবাসীদের সহজে চেনা যায়’_ উক্তিটির তাৎপর্য
তুলে ধরো।
►► উত্তর ডাউনলোড : ভাব ও কাজ
►► উত্তর ডাউনলোড : অতিথির স্মৃতি
►► উত্তর ডাউনলোড : পড়ে পাওয়া
►► উত্তর ডাউনলোড : তৈলচিত্রের ভূত
►► উত্তর ডাউনলোড : এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম
►► উত্তর ডাউনলোড : আমাদের লোকশিল্প
►► উত্তর ডাউনলোড : সুখী মানুষ
►► উত্তর ডাউনলোড : বাংলা নববর্ষ
►► উত্তর ডাউনলোড : মংডুর পথে
►► উত্তর ডাউনলোড : বাংলা ভাষার জন্মকথা
অষ্টম শ্রেণীর অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে এখানে ক্লিক করো। নতুন সাজেশন পেতে জয়েন করো SSC and HSC Candidates, Bangladesh ফেসবুক গ্রুপে। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post