মাসি পিসি গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় মাত্র আটচল্লিশ বছর বেঁচেছিলেন। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে বিএসসি পড়ার সময়ে মাত্র বিশ বছর বয়সে বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে তিনি প্রথম গল্প “অতসীমামী” লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। তারপর জীবনের বাকি আটাশ বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে লিখে গেছেন। মাঝে বছর তিনেক মাত্র তিনি চাকরি ও ব্যবসায়িক কাজে নিজেকে জড়ালেও বাকি পুরো সময়টাই তিনি সার্বক্ষণিকভাবে সাহিত্যসেবায় নিয়োজিত ছিলেন।
উপন্যাস ও ছোটগল্প লেখক হিসেবে মানিক বাংলা সাহিত্যে খ্যাতিমান। অল্প সময়েই প্রচুর গল্প-উপন্যাস সৃষ্টি করেন। সেই সঙ্গে লিখেছেন কিছু কবিতা, নাটক, প্রবন্ধ ও ডায়েরি। বিজ্ঞানমনস্ক এই লেখক মানুষের মনোজগৎ তথা অন্তর্জীবনের রূপকার হিসেবে সার্থকতা দেখিয়েছেন। একই সঙ্গে সমাজবাস্তবতার শিল্পী হিসেবেও স্বাক্ষর রেখেছেন। ‘জননী’, ‘দিবারাত্রির কাব্য’, ‘পদ্মানদীর মাঝি’, ‘পুতুলনাচের ইতিকথা”, ‘চিহ্ন’ প্রভৃতি তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস। তাঁর বিখ্যাত ছোটগল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য : ‘প্রাগৈতিহাসিক’, ‘সরীসৃপ’, ‘সমুদ্রের স্বাদ’, ‘কুষ্ঠরোগীর বৌ’, ‘টিকটিকি’, ‘হলুদ পোড়া”, ‘আজ কাল পরশুর গল্প’, ‘হারানের নাতজামাই’, ‘ছোট বকুলপুরের যাত্রী’ প্রভৃতি । কলকাতায় ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দের তেসরা ডিসেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মাসি পিসি গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯০৮ সালের ১৯শে মে জন্মগ্রহণ করেন।
২. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃপ্রদত্ত নাম কী?
উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃপ্রদত্ত নাম হলো প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
৩. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কত বছর বেঁচেছিলেন?
উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ৪৮ বছর বেঁচেছিলেন।
৪. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম গল্পের নাম কী?
উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম গল্পের নাম ‘অতসীমামী’।
৫. সালতি কোথায় লাগানো ছিল?
উত্তর: সালতি কংক্রিটের পুলের কাছে খালের ধারে লাগানো ছিল। .
৬. কয়জন লোক আঁটিবাঁধা খড় ওপরে ওঠাচ্ছিল?
উত্তর: তিনজন লোক আঁটিবাঁধা খড় ওপরে ওঠাচ্ছিল।
৭. কার মাথায় কদমছাঁটা রুক্ষ চুল?
উত্তর: কৈলাশের মাথায় কদমছাটা রুক্ষ চুল।
৮. ‘বেলা আর নেই কৈলেশ’—উক্তিটি কার?
উত্তর: ‘বেলা আর নেই কৈলেশ’- উক্তিটি মাসির।
৯. কে আহ্লাদিকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর কথা বলেছে?
উত্তর: কৈলাশ আহ্লাদিকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর কথা বলেছে।
১০. ‘খুনসুটি রাখো দিকি কৈলেশ তোমার।’—উক্তিটি কার?
উত্তর: ‘খুনসুটি রাখো দিকি কৈলেশ তোমার’- উক্তিটি মাসির।
১১. আহ্লাদির স্বামীর নাম কী?
উত্তর: আহ্লাদির স্বামীর নাম জগু।
১২. চায়ের দোকানে কৈলেশের সাথে কার দেখা হয়েছিল?
উত্তর: চায়ের দোকানে কৈলাশের সাথে জগুর দেখা হয়েছিল।
১৩. কৈলাশের সাথে জগুর কোথায় দেখা হয়েছে?
উত্তর: কৈলাশের সাথে জগুর চায়ের দোকানে দেখা হয়েছে।
১৪. কখন কৈলাশের স্বভাব বিগড়ে যায়?
উত্তর: হাতে দুটো পয়সা এলে কৈলাশের স্বভাব বিগড়ে যায়।
১৫. পিসির মতে, জগু বারো মাস কোথায় পড়ে থাকে?
উত্তর: পিসির মতে, জগু বারো মাস শুঁড়িখানায় পড়ে থাকে।
মাসি পিসি গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর
১৬. জগুর বউয়ের নাম কী?
উত্তর: জগুর বউয়ের নাম আহ্লাদি।
১৭. ‘বজ্জাত হোক, খুনে হোক, জামাই তো’—উক্তিটি কার?
উত্তর: ‘বজ্জাত হোক, খুনে হোক, জামাই তো’- উক্তিটি মাসির।
১৮. ‘মাসি-পিসি’ গল্পের বুড়ো লোকটির নাম কী?
উত্তর: ‘মাসি-পিসি’ গল্পের বুড়ো লোকটির নাম- রহমান।
১৯. কে বাহকদের মাথায় খড় চাপিয়ে যায়?
উত্তর: বুড়ো রহমান বাহকদের মাথায় খড় চাপিয়ে যায়।
২০. বুড়ো রহমানের মেয়ে কোথায় মারা গেছে?
উত্তর: বুড়ো রহমানের মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে মারা গেছে।
২১. কে সালতির সামনের দিকে ছিল?
উত্তর: মাসি সালতির সামনের দিকে ছিল।
২২. ‘মাসি-পিসি’ গল্পে শকুনেরা উড়ে এসে কোথায় বসে?
উত্তর: ‘মাসি-পিসি’ গল্পে শকুনেরা উড়ে এসে পাতাশূন্য শুকনো গাছটায় বসে।
২৪. আহ্লাদির বাবা কোন রোগে মারা যায়?
উত্তর: আহ্লাদির বাবা কলেরা রোগে মারা যায়।
২৫. আহ্লাদির পরিবার-পরিজন কীভাবে মারা গিয়েছিল?
উত্তর: আহ্লাদির পরিবার-পরিজন কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল।
২৬. কাদের সেবাযতেœ আহ্লাদি বেঁচে গিয়েছিল?
উত্তর: মাসি-পিসির সেবাযতেœ আহ্লাদি বেঁচে গিয়েছিল।
২৭. মাসি পিসিকে কী বলে সম্বোধন করত?
উত্তর: মাসি পিসিকে বেয়াইন বলে সম্বোধন করত।
২৮. কোথায় তরিতরকারি ও ফলমূলের দাম চড়া ছিল?
উত্তর: শহরে তরিতরকারি ও ফলমূলের দাম চড়া ছিল।
২৯. মাসি-পিসি কীভাবে শহরে যেত?
উত্তর: মাসি-পিসি সালতি বেয়ে শহরে যেত।
৩০. আহ্লাদির জমি-জমার অধিকাংশ কার দখলে চলে গেছে?
উত্তর: আহ্লাদির জমি-জমার অধিকাংশ গোকুলের দখলে চলে গেছে।
◉ আরও দেখ: একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সকল গল্প-কবিতার CQ-MCQ সমাধান
শিক্ষার্থীরা, উপরে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা বই থেকে মাসি পিসি গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর আলোচনা করা হয়েছে। আমি আশা করছি, এই প্রশ্নগুলো প্রাকটিস করলে তোমরা পরীক্ষার জন্য শতভাগ কমন পেয়ে যাবে। সবগুলো অনুধাবন প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ আকারে সংগ্রহের জন্য উপরে ‘ANSWER SHEET’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post