স্বল্পমেয়াদী জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের তালিকায় অন্যতম একটি পিল হচ্ছে মিনিকন পিল। অন্যান্য পিলের মতো এই মিনিকন পিল খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী খেলে ডিম্বাণু নির্গমন হয় না। ডিম্বাণু নির্গমন না হওয়ার ফলে শুক্রাণুও মিলিত হতে পারে না। ডিম্বাণু ও শুক্রাণু মিলিত না হলে গর্ভধারণের কোন সম্ভাবনায় নেই।
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে মিনিকন পিল কি? মিনিকন হচ্ছে অস্থায়ী ও স্বল্পমেয়াদী জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল। এই পিলে থাকা হরমোন শরীরের ডিম্বাণু নির্গমন বন্ধ করে গর্ভধারণ হতে দেয় না। যার ফলে পুরো মাস সহবাস করলেও গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে না।
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রভাব কম দেখতে পাওয়া যায়। তাই এই পিলগুলো খাওয়ার নিয়ম ব্যতীত অনিয়ম করা যাবে না।
মিনিকন পিল খাওয়ার নিয়ম
মিনিকন পিলের পাতায় ২৮ টি বড়ি থাকে, যার মধ্যে ২১ টি সাদা ও ৮ টি খয়েরি বা লাল পিল। পিরিয়ড শুরুর ১ম হতে ৫ম দিনের মধ্যে সাদা বড়ি খাওয়া শুরু করতে হবে। এভাবে ২১ টি সাদা বড়ি খাওয়া শেষ হলে লাল পিলগুলো খাওয়া শুরু করতে হবে।
১. সাদা মিনিকন পিল খাওয়ার নিয়ম
মাসিক শুরুর ১ম দিন হতে ৫ দিনের মধ্যে মিনিকন পিল খাওয়া শুরু করতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় মাসিক শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকে পিল খাওয়া শুরু করলে। তবে তা ৫ম দিন পর্যন্ত শুরু করা যায়।
সাদা বড়ির (তীর চিহ্ন বরাবর) মিনিকন পিল খাওয়া শুরু করতে হবে।
২. সাদা পিলগুলো যেভাবে খাওয়া শেষ করতে হবে
সাদা বড়ির তীর চিহ্ন বরাবর প্রতি রাতে একটি করে মিনিকন পিল খেতে হবে। এভাবে ২১ টি মিনিকন পিল খেয়ে শেষ করতে হবে।
৩. লাল পিল গুলো খাওয়ার নিয়ম
সাদা বড়িগুলোতে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোন থাকে যা ডিম্বাণু নির্গমন হতে বাধা দেয়। অপরদিকে, খয়েরি বা লাল বড়িগুলোতে আয়রন থাকে। এই আয়রন বড়িগুলো অনিয়মিত পিরিয়ড কে নিয়মিত হতে সাহায্য করে।
কোন কারণে অনিয়মিত পিরিয়ড হলে সাদা বড়ি খাওয়ার পরে এই লাল পিলগুলো খাওয়া শুরু করুন। পিরিয়ড যদি নিয়মিত হয়ে থাকে তাহলে সাদা বড়ি খাওয়ার প্রয়োজন নেই। সাদা বড়ি খাওয়াকালীন পিরিয়ড শুরু হয়ে থাকে।
সবশেষে যা জানা দরকার
মিনিকন পিল খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী খেলে এই পিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই কম। তাই চেষ্টা করবেন নিয়ম অনুযায়ী খাওয়ার। অনিয়মিত পিরিয়ডের ক্ষেত্রে লাল পিল গুলো খাবেন নয়তো সেগুলো খাওয়ার প্রয়োজন নেই। লাল পিল খাওয়াকালীন পিরিয়ড শুরু হবে যদি শুরু না হয় তাহলে কয়েকদিন অপেক্ষা করার পরে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
Discussion about this post