জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য মোটিভেশনাল উক্তি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। অনেকেই অনেক চেষ্টার পরেও সফলা না হতে পেরে হতাশ হয়ে যায়। তাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে এ মোটিভেশনাল উক্তি।
আজ আমরা এমনই ১০১ টি উক্তি আপনাদের জন্য শেয়ার করব, যেগুলো আপনাকে ভীষণভাবে মোটিভেট করতে সক্ষম। আমরা এসব উক্তি বিভিন্ন মহাপুরুষ এবং বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের থেকে সংগ্রহ করেছি। তারা নিজেরা যেমন সফল, ঠিক তেমনি আমাদের জন্যও রেখে গেছেন সফল হওয়ার কিছু মন্ত্রণা।
১০১ টি মোটিভেশনাল উক্তি
১. ক্লাইভ জেমস: বিখ্যাত না হয়ে জীবন কাটালেও সুন্দর জীবন কাটানো সম্ভব। কিন্তু জীবনের মত জীবন না কাটিয়ে বিখ্যাত হওয়া কখনও সুন্দর জীবন হতে পারে না!
২. ওয়াল্ট ডিজনি: যদি স্বপ্ন দেখতে পারো, তবে তা বাস্তবায়নও করতে পারবে।
৩. হেনরি জেমস: একজন মানুষ অন্য একজন মানুষের নামে তোমার কাছে কিছু বললে তাতে কান দিও না। সবকিছু নিজের হাতে যাচাই করো।
৪. নেলসন ম্যান্ডেলা: সম্পন্ন করার আগে সবকিছুই অসম্ভব মনে হয়।
৫. হযরত আলী (রা): জীবন হোক কর্মময়, নিরন্তর ছুটে চলা। চিরকাল বিশ্রাম নেয়ার জন্য তো কবর পড়েই আছে !
৭. প্রাচীন গ্রীক প্রবাদ: যে তার পিতামাতাকে সম্মান করে, তার মৃত্যু নেই !!
৮. তুরস্কের বিখ্যাত প্রবাদ: সৌন্দর্য একদিন তোমাকে ছেড়ে যাবে, কিন্তু জ্ঞান চিরদিন- তোমার সাথে থাকবে !!
৯. বিখ্যাত ড্যানিশ প্রবাদ: আলস্য হল-শয়তানের বালিশ!
১০. অস্ট্রিয়ান প্রবাদ: অন্ধরা দেখতে না পেলেও আলো আলোই থাকে, সে অন্ধকার হয়ে যায় না।
১১. মার্কাস ইলেরিয়াস: যদি সুখী হতে চাও, তবে এমন একটি লক্ষ্য ঠিক করো, যা তোমার বুদ্ধি আর শক্তিকে জাগ্রত করে, এবং তোমার মাঝে আশা সুখী জীবনের জন্য- খুব অল্প কিছুর প্রয়োজন। এটা তোমার মধ্যেই আছে, এটা তোমার ভাবনার ধরন।
১২. এডিথ ওয়ারটন: আলো ছড়ানোর দু’টি উপায় আছে। এক – নিজে মোমবাতি হয়ে জ্বলো, দুই – আয়নার মত আলোকে প্রতিফলিত করো।
১৩. জর্জ ওয়াশিংটন: খারাপ মানুষের সঙ্গের চেয়ে একা থাকাও অনেক ভালো!
১৪. জার্মান প্রবাদ: চোখ নিজেকে বিশ্বাস করে, কান বিশ্বাস করে অন্যকে!
১৫. ড্যানিশ প্রবাদ: পানির গভীরতা নাকের কাছে উঠে আসার আগেই সাঁতার শিখে নাও।
১৬. প্রাচীন ইংলিশ প্রবাদ: সত্য কথা বলে- শয়তানকে অপমান করো
১৭. বিখ্যাত বেলজিয়ান নীতিবাক্য: যদি বুদ্ধি খরচ করতে না জানো, তবে টাকার থলি থেকে খরচ হবে!
১৮. প্রাচীন গ্রীক প্রবাদ: ভালো মানুষ খুব ধীরে ‘না’ বলে। বুদ্ধিমান মানুষ চট করে ‘না’ বলতে পারে।
১৯. কনরাড হিলটন: সফল মানুষেরা কাজ করে যায়। তারা ভুল করে, ভুল শোধরায় – কিন্তু কখনও হাল ছাড়ে না।
২০. দার্শনিক ঈশপ: সৎ কর্ম যত ছোটই হোক, তা কখনও বৃথা যায় না।
২১. লাও ঝু: হাজার মাইলের যাত্রা শুরু হয় ১টি মাত্র পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে !
২২. জে আর আর টলকিন: যারা নতুন কিছু খোঁজে না, একদিন তাদেরও কেউ খুঁজবে না !
২৩. থমাস কার্লাইল: সব ধরনের অনিশ্চয়তা, হতাশা আর বাধা সত্ত্বেও নিজের সবটুকু দিয়ে সফল হওয়ার চেষ্টাই শক্তিমান মানুষকে দুর্বলদের থেকে আলাদা করে!
২৪. পর্তুগীজ প্রবাদ: শুধু কথা দিয়ে চুলায় রুটি ওঠানো যায় না!
২৫. বিখ্যাত ড্যানিশ প্রবাদ: প্রশ্ন করতে যে লজ্জা পায়, সে শিখতে পারে না.
২৬. জার্মান প্রবাদ: অকর্মার কাছেও মাঝে মাঝে সৌভাগ্য আসে, কিন্তু কখনওই বেশিক্ষণ থাকে না।
২৭. থমাস জেফারসন: সততা হল জ্ঞানী হওয়ার বইয়ের ১ম অধ্যায়!
২৮. মিল্টন বার্লে: সুযোগ যদি তোমার দরজায় কড়া না নাড়ে, তবে নতুন একটি দরজা বানাও !
২৯. দেমোক্রিতাস: সুখ কখনও সম্পত্তি বা অর্থের ওপর নির্ভর করে না। সুখের বাস আত্মার গহীনে !
৩০. বিখ্যাত ড্যানিশ প্রবাদ: বুদ্ধিমানেরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে না !
৩১. বিখ্যাত স্কটিশ নীতিবাক্য: লোভ আর হিংসা পরস্পরের নিকট আত্মীয় !
৩২. নরম্যান ভিনসেন্ট পীল: নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখো। নিজের যোগ্যতার ওপর ভরসা রাখো। নিজের শক্তির ওপর বিনয়ী কিন্তু যথেষ্ঠ আস্থা ছাড়া তুমি সফল বা সুখী হতে পারবে না।
৩৩. প্লেটো: বুদ্ধিমানেরা তখন কথা বলে যখন তাদের কিছু বলার থাকে। বোকারা কথা বলে কারণ তারা ভাবে তাদের কথা বলতে হবে !
৩৪. প্লেটো: বুদ্ধিমানেরা তখন কথা বলে যখন তাদের কিছু বলার থাকে। বোকারা কথা বলে কারণ তারা ভাবে তাদের কথা বলতে হবে !
৩৫. নেপোলিয়ন হিল: যদি খুব ভালো কিছু করতে না পারো, তবে ছোট ছোট কাজ- খুব ভালো করে করো।
৩৬. সক্রেটিস : সবচেয়ে বড় জ্ঞানের পরিচয় হল, তুমি কিছুই জানো না – এটা জানা।
৩৭. প্লুতার্ক: আমরা ভেতর থেকে যেভাবে বদলাই, সে অনুযায়ীই আমাদের বাইরের বাস্তবতা বদলে যায়।
৩৯. জার্মান প্রবাদ: খারাপ হওয়ার জন্য ভালো কাজ না করে হাত গুটিয়ে বসে থাকাই যথেষ্ঠ।
৪০. ড্যানিশ প্রবাদ: নেকড়ের পালের সাথে বসবাস করো, তুমি বিড়াল হলেও- একদিন গর্জন করতে শিখবে।
৪১. আর্নেস্ট হেমিংওয়ে: মানুষ পরাজয়ের জন্য সৃষ্টি হয়নি। তাকে হয়তো ধ্বংস করা যায়, কিন্তু হারানো যায় না।
৪২. এডওয়ার্ড এভরিট হ্যালি: একসাথে হওয়া মানে শুরু, একসাথে থাকা মানে উন্নতি। দীর্ঘ সময় একসাথে চলা মানে সাফল্য।
৪৩. তুর্কী প্রবাদ: কাককে মুখে তুলে খাওয়াতে গেলে, সে তোমার চোখ উপড়ে খাবে।
৪৪. সান জু: যুদ্ধের সবচেয়ে সেরা কৌশল হল, লড়াই করা ছাড়াই শত্রুকে, পরাজিত করতে পারা।
৫০. বেলজিয়ান নীতিবাক্য: অন্যদের তামাশা সহ্য করে ভদ্রতা দেখালে, তা এক সময়ে চরম রাগে পরিণত হয়।
৫১. পর্তুগীজ প্রবাদ: নিজেকে বদলাও, ভাগ্য নিজেই বদলে যাবে।
৫২. মার্ক টোয়েন: জীবনে উন্নতি করার গোপন সূত্র হল কাজ শুরু করা।
৫৩. অস্ট্রিয়ান প্রবাদ: তুমি যদি টাকা ধার করো, তবে তুমি ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ। আর যদি টাকার মালিক হও, তাহলে ব্যাংক তোমার কাছে দায়বদ্ধ।
৫৪. ড. এপিজে আব্দুল কালাম: চলুন আজকের দিনটাকে আমরা উৎসর্গ করি, যাতে আমাদের সন্তানরা কালকের দিনটাকে উপভোগ করতে পারে !
৫৫. রাশিয়ান প্রবাদ: অতীত নিয়ে সবসময়ে পড়ে থাকলে তোমার এক চোখ অন্ধ,
অতীতকে ভুলে গেলে তোমার দুই চোখই অন্ধ।
৫৬. বেন্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন: বললে আমি ভুলে যাব। শেখালে মনে রাখব। সাথে নিলে আমি শিখব !
৫৭. আল হাদিস: অপব্যয়কারী শয়তানের ভাই।
৫৮. স্থান-কাল-পাত্র বুঝে হাসিমুখে কথা বলুন। হৃদয়ের আন্তরিকতা মুখের হাসিতে শতগুণে প্রস্ফুটিত হয়।
৫৯. সহপাঠী বা প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক আর বন্ধুত্ব এক নয়। চেতনা ও আদর্শের মিল রয়েছে এমন কারো সঙ্গেই বন্ধুত্ব হতে পারে।
৬০. কান পেতে থাকুন। সুযোগ অনেক সময়ইদরজায় খুব আস্তে করে টোকা দেয়।
৬১. দুঃখবিলাস বা কোন কিছুই ভালো না লাগা আলস্যের ১টি রূপ। যারা কিছু করে না, তাদেরই আসলে কিছুই ভালো লাগে না। আর যারা ব্যস্ত তাদের কিছু ভালো না, লাগার কোনো সুযোগ থাকে না।
৬২. যে কোন ঘটনাকে সহজ ভাবেগ্রহণ করাই হচ্ছে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি।
৬৩. আমি দুঃখিত কথাটি সব সময় আন্তরিকতার সাথে উচ্চারন করুন।
৬৪. প্রস্তুতি ছাড়া যাত্রা পথের কষ্টকে বাড়িয়ে দেয়। স্বপ্ন ও বিশ্বাস পথ চলার সে প্রস্তুতিরই সূচনা করে।
৬৫. কর্মস্থলে প্রতিযোগীকে সবসময় শ্রদ্ধা করুন। শক্তিশালী প্রতিযোগী আপনার মেধার সর্বোত্তম বিকাশে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।
৬৬. একজন জ্ঞানী জানেন যে তিনি কী জানেন না। আর একজন মূর্খ নিজেকে সবসময় সবজান্তা মনে করে।
৬৭. নিরাময়ের জন্য প্রয়োজন এক প্রশান্ত মন। আপনার মন ভালো তো সব ভালো।
৬৮. হেসে কথা বলুন। এতে আপনি শুধু নিজেই আনন্দিত হবেন না, অন্যরাও খুশি হবে।
৬৯. যা করতে পারবেন না বা করবেন না, সে ব্যাপারে বিনয়ের সাথে প্রথমেই ‘না’ বলুন।
৭০. সমস্যা শব্দটির পরিবর্তে ‘সম্ভাবনা’ শব্দটি বেশি ব্যবহার করুন।
৭১. প্রকৃতির সাথে একাত্ম হোন। প্রকৃতি মন, দেহ ও আত্মার মাঝে সব সময় ভারসাম্য এনে দেয়।
৭২. একজন মানুষকে তার নাম ধরে সম্বোধন করুন। আলাপ-আলোচনায় একাধিকবার তার নাম উল্লেখ করুন।
৭৩. দীর্ঘসূত্রিতা ও আলস্যকে প্রশ্রয় দেবেন না। যখন যা করা প্রয়োজন, তখনই তা করুন।
৭৪. রাগ,অভিমান ও অভিযোগ বোকা ও দূর্বলরা করে। বুদ্ধিমানরা পরিস্থিতি পরিবর্তনে বুদ্ধি ও কৌশল প্রয়োগ করে।.
৭৫. একটি কাজ না করার পেছনে হাজারটি অজুহাত দেখানো যায়, কিন্তু কাজটি করার জন্যে একটি কারণই যথেষ্ট।
৭৬. প্রতিটি কাজ করার আগে অন্তত একবার নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, কাজটি আপনি কেন করবেন।
৭৭. নিয়ত বা অভিপ্রায় হচ্ছে মনের লাগাম। নিয়ত মনকে নিয়ন্ত্রণ করে, দেহকে সঠিক পথে পরিচালিত করে, দেহ- মনে নতুন বাস্তবতার জন্ম দেয়।
৭৮. ব্যর্থরা অবচেতনভাবে ব্যর্থতার সঙ্গে নিজেদের সংযুক্ত করে। সচেতনভাবে সাফল্যের সঙ্গে একাত্ম হলে সাফল্যই আপনার দিকে আকৃষ্ট হবে।
৭৯. যখনই আপনি অনুভব করবেন যে, আপনার শরীরের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, তখনই আপনি সুস্বাস্থ্যের সুপ্রভাতে উপনীত হবেন।
৮০. যার কথার চেয়ে কাজের পরিমাণ বেশী, সাফল্য তার কাছেই এসে ধরা দেয়। কারণ, যে নদী যত গভীর তার বয়ে যাওয়ার শব্দ তত কম।
৮১. শোষিতরা শোষিতের হাতেই সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়। যে কখনো সম্মান পায়নি সে জানে না অন্যকে কিভাবে সম্মান করতে হয়।
৮২. সুন্দর প্রত্যাশা ও প্রত্যয় নিয়ে দিন শুরু করুন। ঘুম ভাঙতেই বলুন, শোকর আলহামদুলিল্লাহ, থ্যাঙ্কস গড বা প্রভু ধন্যবাদ একটি নতুন দিনের জন্যে। দিনের সমাপ্তিও ঘটবে এইভাবে।
৮৩. সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে চার গ্লাস পানি পানের অভ্যাস করুন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে, সহজে পেটের কোন পীড়া হবে না।
৮৪. আজ পর্যন্ত কোন ভিক্ষুক দাতা বা স্বাবলম্বী হতে পারেনি। যে হাত নিতে অভ্যস্ত সে হাত কখনো দিতে পারে না।
৮৫. বুদ্ধিমান সবসময় কথা বা কাজের আগে চিন্তা করে। আর বোকারা চিন্তা করে (পস্তায়) কাজের পরে।
৮৬. প্রশান্ত মনই হচ্ছে শক্তির আসল ফল্গুনধারা। মন প্রশান্ত হলে অন্তরের শক্তি জাগ্রত হয় এবং আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভবকে সম্ভব করে।
৮৭. আপনার সময় নেই– এ অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ সময় কোন কাজে ব্যয় করবেন তা নির্ধারণের অধিকার আপনার রয়েছে।
৮৮. নিজের কাছে নিজ সততা বজায় রাখুন। প্রতিটি কাজে আপনার পক্ষে যা করা সম্ভব, আন্তরিকতার সঙ্গে করুন।
৮৯. প্রো-একটিভ হোন। প্রো-একটিভ মানুষের প্রতি অন্যরা আকৃষ্ট হয়। ইনএকটিভ ব্যক্তি সবসময়ই মানুষের বিতৃষ্ণার কারণ হয়।
৯০. আমরা খ্যাতিমান হতে চাই। কিন্তু খ্যাতির জন্যে নীরব সাধনা ও প্রয়োজনীয় কষ্ট স্বীকার করি না। ফলে সাধনাও হয় না, খ্যাতির শীর্ষেও পৌঁছতে পারি না।
৯১. শৃঙ্খলা জীবনকে সমৃদ্ধ করে। লোহা ও চুম্বকের রাসায়নিক উপাদান এক হলেও সুশৃঙ্খল আণবিক বিন্যাসের কারণে চুম্বকের রয়েছে আকর্ষণী শক্তি যা লোহার নেই।
৯২. সমস্যায় পড়লেই সমাধানের জন্যে উৎকন্ঠিত হবেন না। সমস্যাকে তার প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মধ্যে ছেড়ে দিন। প্রতিটি সমস্যার মধ্যেই নতুন সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে।
৯৩. ব্যক্তিগত খেয়াল বা আবেগ আর জীবনের লক্ষ্যকে এক করে ফেলবেন না। লক্ষ্যকে যখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন তখন তা আপনাকে আবেগের ঊর্ধ্বে নিয়ে যাবে।
৯৪. দেহ হচ্ছে সেরা ওষুধ কারখানা। যখন যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকু ওষুধই সে তৈরি করে। আর এ ওষুধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে পুরোপুরি মুক্ত।
৯৫. কোনো ঘটনার প্রেক্ষিতে সাথে সাথে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন না। একটু থামুন। লম্বা দম নিন।
মনকে জিজ্ঞেস করুন, এ মুহূর্তে আমার কি করণীয়?
৯৬. প্রতিটি কাজ শুরু হয় শুন্য থেকে। ধাপে ধাপে তা পুর্ণতা পায়।
৯৭. আত্মকেন্দ্রিকতা ও ‘আমারটা আগে’ এ দৃষ্টিভঙ্গি জীবনকে এক ক্লান্তিকর বোঝায় পরিণত করে। আর বিনয়, সহানুভূতি ও উপকার যত ক্ষুদ্রই হোক জীবনকে প্রাণবন্ত ও হাস্যোজ্জ্বল করে তোলে।
৯৮. সাহসী ও ঝুঁকি গ্রহণে উৎসাহী হোন। সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। পেছনের দিকে তাকালে দেখবেন, কাজ করে অনুতপ্ত হওয়ার চেয়ে যে সুযোগ আপনি হাতছাড়া করেছেন, তা নিয়েই অনুতপ্ত হচ্ছেন বেশি।
৯৯. মুক্ত বিশ্বাস হচ্ছে সকল সাফল্য সকল অর্জনের ভিত্তি। বিশ্বাসই রোগ নিরাময় করে, মেধাকে বিকশিত করে, যোগ্যতাকে কাজে লাগায়, দক্ষতা সৃষ্টি করে। ব্যর্থতাকে সাফল্যে আর অশান্তিকে প্রশান্তিতে রূপান্তরিত করে।
১০০. সমস্যা তোমাকে থামিয়ে দেয়ার জন্য আসে না, তোমাকে পথ দেখাতে আসে।
১০১. যে ব্যক্তি নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করে না, আমিও তাকে ভাগ্য পরিবর্তনে কোন সাহায্য করি না। – আল কোরআন
Discussion about this post