যাব আমি তোমার দেশে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর : ‘যাব আমি তোমার দেশে’ কবিতায় গ্রামকে এক মনোমুগ্ধকর, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এবং শান্তিময় স্থান হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। কবিতায় গ্রামের বিস্তীর্ণ মাঠ, সরু আঁকাবাঁকা পথ, বন-বনানী, নদী-নালা, দীঘি, শাপলা-ফুল, ধানের ক্ষেত, পাখির ডাক ইত্যাদির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
গ্রামের মেয়েদের চলাফেরা, শিশুদের দুরন্তপনা, গাছের ছায়ায় বিশ্রাম, দীঘির জলে পদ্ম-শাপলার খেলা—এসবই কবিতায় প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য ও পল্লিজীবনের চিত্রকে জীবন্ত করে তুলেছে। শহরের কোলাহলপূর্ণ জীবনের বিপরীতে কবিতায় গ্রামকে এক শান্ত, নির্মল ও স্বর্গসম পরিবেশ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেখানে প্রকৃতি ও মানুষের মাঝে এক গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান।
যাব আমি তোমার দেশে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন—১: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
শহরের দুই বন্ধু শফিক ও আশিক পরিকল্পনা করে এবার গ্রীষ্মের ছুটিতে তাদের গ্রামের বন্ধু শাহেদের বাড়িতে যাবে। তারা কখনো গ্রাম দেখেনি। বইয়ের পাতায় আর টেলিভিশনে দেখেছে বহুবার, ভালোও লেগেছে কিন্তু সশরীরে যাওয়া হয়নি কখনো। তাই এ সুযোগ তারা কিছুতেই হাতছাড়া করবে না। তাদের ভালোলাগা আরো শতগুণ বেড়ে গেছে শাহেদ যখন নিজ গ্রামের বন-বনানী, ফুল, পাখি, দীঘি, শাপলা, মেঠো পথ, ছেলেমেয়েদের দুরন্তপনা ইত্যাদির নয়নাভিরাম বর্ণনা তাদের শুনিয়েছে।
ক. ‘যাব আমি তোমার দেশে’ কবিতাটি কে লিখেছেন?
খ. ‘যাব আমি তোমার দেশে’ কবিতায় গ্রাম্য মেয়ে কেমন করে চলে?
গ. উদ্দীপকে শহুরে দুই বন্ধুর গ্রাম দেখার যে ব্যাকুলতা প্রকাশ পেয়েছে তোমার পাঠ্য পুস্তকের কোন কবিতায় এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ পেয়েছে—ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে শাহেদ তার গ্রামের যে নয়নাভিরাম বর্ণনা করেছেন ‘যাব আমি তোমার দেশে’ কবিতার আলোকে তার বর্ণনা দাও।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘যাব আমি তোমার দেশে’ কবিতাটি পল্লীকবি জসীমউদ্দীন লিখেছেন।
খ. ‘যাব আমি তোমার দেশে’ কবিতায় গ্রাম্য মেয়ের চলার দৃশ্য স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা। কবি বলেছেন, ‘তাহার পরে মুঠি ছড়িয়ে দিয়ে কদম-কলি, কোথাও মেলে বনে পাতা গ্রাম্য মেয়ে যায় যে চলি।’ অর্থাৎ, সে যখন হাঁটে, তখন তার পথচলায় কদম ফুলের কলি ছড়িয়ে পড়ে এবং বনঝোপের পাতা যেন আপনিই মেলে যায়। এতে তার চলার মধ্যে এক ধরনের মাধুর্য, কোমলতা ও সহজাত গ্রাম্য সৌন্দর্য ফুটে ওঠে।
গ. উদ্দীপকে শহুরে দুই বন্ধু শফিক ও আশিকের গ্রাম দেখার যে ব্যাকুলতা প্রকাশ পেয়েছে, তা জসীম উদ্দীন-এর ‘যাব আমি তোমার দেশে’ কবিতার সঙ্গে গভীরভাবে সঙ্গতিপূর্ণ।
শহরের ব্যস্ত জীবনে বেড়ে ওঠা শফিক ও আশিক কখনো গ্রাম দেখেনি, কিন্তু বন্ধু শাহেদের বর্ণনা শুনে তাদের মনে এক অন্যরকম আকর্ষণ ও আগ্রহ জন্মেছে। একইভাবে, কবিতায় কবি গ্রামের মনোরম প্রকৃতি, মাঠ-ঘাট, দীঘি, বন-বনানী, সরু পথ, ফুল-পাখি, গ্রামের দুরন্ত ছেলেমেয়েদের খেলা ইত্যাদির এক চিত্র তুলে ধরেছেন, যা পাঠকের মনেও গ্রাম দেখার আকাক্সক্ষা সৃষ্টি করে।
কবিতার বক্তা গ্রামের ছেলে “পল্লি-দুলাল” এর সঙ্গে মিশতে চায়, গ্রামের পথে হাঁটতে চায়, শাপলা-লতায় জড়িয়ে দীঘির জলে দোল খেতে চায়, এমনকি গ্রামের সরল মানুষদের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক গড়তে চায়। শহরের যান্ত্রিক জীবনের কোলাহলমুক্ত প্রকৃতির সান্নিধ্যে আসার এই আকর্ষণ উদ্দীপকের শহুরে দুই বন্ধুর মধ্যেও প্রকাশ পেয়েছে। তারা বই বা টেলিভিশনে গ্রাম দেখলেও বাস্তবে কখনো অনুভব করতে পারেনি, তাই শাহেদের মুখে গ্রামের কথা শুনে তাদের মন ছুটে যেতে চায় সবুজ-শ্যামল গ্রামবাংলায়। কবিতার বক্তার মতোই তারা গ্রামের অজানা সৌন্দর্যকে ছুঁয়ে দেখতে চায়, গ্রামীণ জীবনের নির্মল পরিবেশকে উপভোগ করতে চায়।
সুতরাং, শহরের দুই বন্ধুর অনুভূতি এবং কবিতার মূল ভাব একই সুরে বাঁধা, যা গ্রামবাংলার প্রতি এক গভীর ভালোবাসা ও আকর্ষণ প্রকাশ করে।
ঘ. উদ্দীপকে শাহেদ তার গ্রামের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের যে বর্ণনা দিয়েছে, তা জসীম উদ্দীন-এর ‘যাব আমি তোমার দেশে’ কবিতার সঙ্গে পুরোপুরি মিলে যায়।
কবিতায় কবি গ্রামবাংলার এক অপূর্ব চিত্র তুলে ধরেছেন, যেখানে রয়েছে দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ, বন-বনানী, সরু মেঠো পথ, দীঘি, শাপলা, কদম ফুল, নদীর পানি, ধান-কাউনের ক্ষেত, বাঁকা-সোজা পথে আঁকা গরুর পায়ের চিহ্ন, বন-জঙ্গলে পাখির ডাক, দুরন্তপনায় মেতে থাকা গ্রামের ছেলে-মেয়েদের আনন্দঘন জীবন।
শাহেদ তার শহুরে বন্ধুদের যেভাবে গ্রামের সৌন্দর্যের বর্ণনা দিয়েছে, কবিতার বক্তাও তেমনভাবেই গ্রামের মায়াবী প্রকৃতির প্রেমে পড়ে গেছে। কবিতায় কবি বলেছেন—‘আকাশ যাহার বনের শীষে দিক হারা মাঠ চরণ ঘেঁসে’, যা গ্রামের মুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশের সৌন্দর্য প্রকাশ করে। গ্রামের শিশুরা দল বেঁধে খেলে, দীঘির জলে সাঁতার কাটে, শাপলা-লতায় দোল খায়—এসব দৃশ্য শাহেদের বর্ণনার সঙ্গে মিলে যায়। কবিতায় আরও আছে, ‘পল্লি-দুলাল, যাব আমি তোমার দেশে’, যা শহরের দুই বন্ধুর গ্রামের প্রতি আকর্ষণ ও ভালোবাসার প্রতিফলন।
শাহেদ যেমন তার গ্রামের মেঠোপথ, ফুল-পাখি, দীঘির জল, শিশুদের দুরন্তপনা, বন-বনানীর অপরূপ দৃশ্যের বর্ণনা দিয়ে বন্ধুদের মন আকৃষ্ট করেছে, তেমনি কবিতার বক্তাও গ্রামের পথে হাঁটার, ফুলের সুবাস নেবার, পাখির সঙ্গে ভাব জমানোর আকাক্সক্ষা প্রকাশ করেছে। সব মিলিয়ে, কবিতার প্রতিটি চিত্রকল্প শাহেদের গ্রামের বর্ণনার সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
সৃজনশীল প্রশ্ন—২: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
নিলয় ছোটবেলা থেকেই শহরে বড় হয়েছে। গ্রাম সম্পর্কে তার কোনো প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নেই, শুধু দাদার কাছে গল্প শুনে কল্পনায় গ্রামকে রঙিন করে রেখেছে। একদিন তার স্কুলের বন্ধুরা ঠিক করে, তারা গ্রীষ্মের ছুটিতে তাদের এক বন্ধুর গ্রামের বাড়িতে যাবে। এই সুযোগ পেয়ে নিলয়ের আনন্দ আর ধরে না। সে ভাবতে থাকে, কেমন হবে সেই গ্রামের নদী, শাপলা ফুলে ভরা দীঘি, পাখির ডাক, মেঠোপথ আর মাঠে খেলা করা দুরন্ত ছেলেমেয়েরা। গ্রাম সম্পর্কে দাদার বলা গল্পগুলো কি সত্যিই মিলবে? এই কৌতূহল ও উত্তেজনা নিয়েই সে গ্রামের পথে রওনা হয়।
ক. ‘যাব আমি তোমার দেশে’ কবিতাটি কোন কাব্য থেকে সংকলিত?
খ. ‘যাব আমি তোমার দেশে’ কবিতায় গ্রামকে কীভাবে বর্ণনা করা হয়েছে?
গ. উদ্দীপকে নিলয়ের গ্রাম দেখার যে কৌতূহল ও আনন্দ প্রকাশ পেয়েছে, তা ‘যাব আমি তোমার দেশে’ কবিতার ভাবের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কিত? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘যাব আমি তোমার দেশে’ কবিতার আলোকে গ্রামের সৌন্দর্য ও জীবনযাত্রার বর্ণনা দাও।
২ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘যাব আমি তোমার দেশে’ কবিতাটি কবি জসীমউদ্দীনের ‘ধানক্ষেত’ কাব্য থেকে সংকলিত।
খ. ‘যাব আমি তোমার দেশে’ কবিতায় গ্রামকে এক মনোমুগ্ধকর, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এবং শান্তিময় স্থান হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
কবিতায় গ্রামের বিস্তীর্ণ মাঠ, সরু আঁকাবাঁকা পথ, বন-বনানী, নদী-নালা, দীঘি, শাপলা-ফুল, ধানের ক্ষেত, পাখির ডাক ইত্যাদির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। গ্রামের মেয়েদের চলাফেরা, শিশুদের দুরন্তপনা, গাছের ছায়ায় বিশ্রাম, দীঘির জলে পদ্ম-শাপলার খেলা—এসবই কবিতায় প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য ও পল্লিজীবনের চিত্রকে জীবন্ত করে তুলেছে। শহরের কোলাহলপূর্ণ জীবনের বিপরীতে কবিতায় গ্রামকে এক শান্ত, নির্মল ও স্বর্গসম পরিবেশ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেখানে প্রকৃতি ও মানুষের মাঝে এক গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান।
গ. উদ্দীপকে নিলয়ের গ্রাম দেখার যে কৌতূহল ও আনন্দ প্রকাশ পেয়েছে, তা ‘যাব আমি তোমার দেশে’ কবিতার ভাবের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
কবিতায় গ্রামকে এক সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও মনোমুগ্ধকর জায়গা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যেখানে প্রকৃতি এবং মানুষের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। কবিতার কথক গ্রামের প্রকৃতি, পাখির ডাক, দীঘি, শাপলা ফুল এবং শিশুদের দুরন্ত খেলা নিয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন, যা নিলয়ের অনুভূতির সঙ্গে একেবারে মেলে। নিলয়ের মতো কবিতার কথকও গ্রামের সৌন্দর্য সম্পর্কে কল্পনা করেন এবং তার গ্রামে যাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
নিলয় যেমন তার দাদার কাছ থেকে গল্প শুনে গ্রামকে কল্পনা করে, কবিতার কথকও নিজের মনের মধ্যে গ্রামের দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যগুলো আঁকে। কবিতায় গ্রামের সরু পথ, দীঘি, শাপলা, পাখির ডাক, শিশুদের খেলাধুলা সবকিছুই যেন এক ভিন্ন পৃথিবী, যার প্রতি কথকও এক অপার আগ্রহ অনুভব করে। তেমনি নিলয়ের কল্পনায় গ্রাম ছিল এক বিশেষ জায়গা, যেখানে নদী, শাপলা ফুল, পাখির ডাক, মেঠো পথ আর মাঠে খেলা করা দুরন্ত ছেলেমেয়েরা ছিল। তার কৌতূহল এবং উত্তেজনা, যা সে গ্রামে গিয়ে দেখতে চায়, তা ঠিকই কবিতার কথকের গ্রাম্য দৃশ্যের প্রতি ভালবাসার মতো।
এভাবে, নিলয়ের গ্রামে যাওয়ার আনন্দ এবং কৌতূহল কবিতার ভাবের সঙ্গে সম্পর্কিত, কারণ কবিতার কথকও গ্রামের প্রতি তার গভীর অনুভূতি এবং আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যা নিলয়ের অভিজ্ঞতা থেকে অনেকটাই মিল।
ঘ. ‘যাব আমি তোমার দেশে’ কবিতার আলোকে গ্রামের সৌন্দর্য ও জীবনযাত্রা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। কবিতার কথক গ্রামকে একটি মনোমুগ্ধকর স্থান হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যেখানে প্রকৃতি এবং মানুষের জীবন একসাথে মিলে-মিশে রয়েছে।
কবিতায় গ্রামকে ফুলে-ফুলে সজ্জিত, পাখির সুরে পরিপূর্ণ এবং শাপলা ফুলে ভরা দীঘির মাধ্যমে চিত্রিত করা হয়েছে। এখানে গাছপালা, ফুলের সুগন্ধ এবং মেঘের ভ্রমণ এক অদ্ভুত মধুর পরিবেশ সৃষ্টি করে। দীঘির জলে শাপলা ফুল ফুটে থাকে এবং তার পাপড়ি সাঁতার কাটতে থাকা পানির ঢেউয়ের মতো দুলে ওঠে।
কবিতায় নানা ধরনের গাছপালা, যেমন হিজল এবং শিমুল গাছের উল্লেখ রয়েছে, যা গ্রামের সৌন্দর্যকে আরও প্রশস্ত করে। গাছের ছায়ায় গ্রামবাসীরা আরাম করে বিশ্রাম নেয় এবং গ্রাম্য পরিবেশের স্নিগ্ধতায় মুগ্ধ হয়।
এই কবিতায় গ্রাম্য জীবনযাত্রার সাদাসিধে এবং আনন্দময় দিকের চিত্র পাওয়া যায়। সেখানে গ্রামের ছেলেমেয়েরা মাঠে খেলে, পাখির ডাক শুনে, ফুল তোলায় মেতে ওঠে। গাঁয়ের বাচ্চারা প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে থাকে, তাদের জীবনযাত্রা সাদাসিধে এবং একেবারে প্রাকৃতিক উপায়ে চলে।
কবিতায় গ্রামের সরু পথ, বাঁকা রাস্তা এবং ক্ষেতের ভেতর দিয়ে চলার বর্ণনা এসেছে। সেখানে এক ধরনের নির্জনতা এবং প্রাকৃতিক ভ্রমণের আনন্দ অনুভূত হয়।
সব মিলিয়ে, কবিতায় গ্রামকে একটি সম্পূর্ণ নির্জন, শুদ্ধ এবং সৌন্দর্যপূর্ণ স্থান হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেখানে প্রকৃতি ও মানুষ একে অপরকে পরিপূরক করে এবং সেখানে জীবনযাত্রা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক।
সৃজনশীল প্রশ্ন—৩: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
তামিম শহরের একটি নামী স্কুলে পড়ে। ছুটির দিনে সে সাধারণত বই পড়ে, ভিডিও গেম খেলে কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে শপিং মলে ঘুরতে যায়। কিন্তু এবারের গ্রীষ্মের ছুটিতে তার চাচার সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ হয়। প্রথমে তার খুব একটা ইচ্ছা ছিল না, কিন্তু গ্রামে পৌঁছে সে অভিভূত হয়ে যায়। চারপাশে সবুজের সমারোহ, মাঠে খেলছে ছেলেরা, দীঘির জলে ফুটেছে শাপলা, মেঠোপথ ধরে হেঁটে যাচ্ছে গরুর গাড়ি, পাখির কলতানে মুখরিত সকাল-এসব দেখে তামিমের মন ভরে ওঠে এক অজানা আনন্দে। শহরের কোলাহল থেকে দূরে এই নির্জন, শান্ত পরিবেশ তাকে নতুন এক অভিজ্ঞতা দেয়।
ক. যাব আমি তোমার দেশে’ কবিতায় কবি কোথায় যেতে চেয়েছেন?
খ. ‘যাব আমি তোমার দেশে’ কবিতায় পাড়ার দস্যি ছেলেরা কী করে? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে তামিমের যে অভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে, তা ‘যাব আমি তোমার দেশে’ কবিতার ভাবের সঙ্গে কীভাবে মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপক এবং ‘যাব আমি তোমার দেশে’ কবিতার আলোকে গ্রামের জীবনযাত্রার বৈচিত্র্য তুলে ধরো।
সৃজনশীল প্রশ্ন—৪: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
রাফি ছোটবেলা থেকেই শহরে বড় হয়েছে। প্রযুক্তির প্রতি তার প্রচণ্ড আগ্রহ, সারাদিন মোবাইল আর কম্পিউটারে ব্যস্ত থাকে। কিন্তু এবার ঈদের ছুটিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে গ্রামের দাদাবাড়িতে যাওয়ার সুযোগ পায় সে। প্রথমে মনে হয়েছিল গ্রামে গিয়ে সময় কাটানো কঠিন হবে, কিন্তু সেখানে গিয়ে তার ধারণা বদলে যায়। বিকেলে সে গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে ধানক্ষেতে দৌড়ায়, পুকুরে ঝাঁপিয়ে সাঁতার কাটে, গাছের ডালে বসে পাখির গান শোনে। রাতে খোলা আকাশের নিচে বসে জোনাকির আলো দেখে মুগ্ধ হয়। শহরের কৃত্রিম জীবন থেকে দূরে গ্রামের প্রকৃতি তাকে এক নতুন আনন্দে ভরিয়ে দেয়।
ক. কবি ধল-দীঘিতে সাঁতার কেটে কী তুলেন আনবেন?
খ. কবি কেন পল্লি-দুলালের দেশে যেতে চান? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের ঘটনাটি ‘যাব আমি তোমার দেশে’ কবিতার ভাবের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কিত? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. কবিতার আলোকে গ্রামের প্রতি মানুষের টান ও আকর্ষণের কারণ ব্যাখ্যা কর।
আরও দেখো— নবম দশম শ্রেণির বাংলা সকল গল্প-কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের বাংলা মূল বই থেকে যাব আমি তোমার দেশে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও তোমাদের পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত বেশকিছু সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। এ প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ থাকবে। পিডিএফ ফরমেটে উত্তরমালা সংগ্রহের জন্য ‘Answer Sheet’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post