যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ১ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন : যুক্তিবিদ্যার ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Logic’-এর উৎপত্তি গ্রিক ”Logike” শব্দ থেকে। Logike এর বিশেষ রূপ ”Logos”। গ্রিক পরিভাষায় Logos এর তিনটি অর্থ রয়েছে- চিন্তা, ভাষা ও বিজ্ঞান। তিনটি বিষয়ের সাথেই যুক্তিবিদ্যার মৌলিক সম্পৃক্ততা রয়েছে। কাজেই ব্যুৎপত্তিগত অর্থে Logic হলো ভাষায় প্রকাশিত চিন্তা সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ১ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. যুক্তিবিদ্যাকে সকল বিজ্ঞানের বিজ্ঞান বলা হয় কেন?
উত্তর : বিজ্ঞান হলো প্রকৃতির কোনো বিশেষ বিভাগ সম্পর্কে সুশৃঙ্খল ও সুসংবদ্ধ জ্ঞান। প্রতিটি বিজ্ঞানের কিছু নিজস্ব নিয়ম ও পদ্ধতি রয়েছে। প্রতিটি বিজ্ঞানের নিয়মনীতি যৌক্তিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বিজ্ঞান সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। আর সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রতিটি বিজ্ঞানকে যুক্তির ওপর নির্ভর হতে হয়। এজন্য যুক্তিবিদ্যাকে সকল বিজ্ঞানের বিজ্ঞান বলা হয়।
২. কলা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : কলা (Art) বলতে দক্ষতা, পারদর্শিতা, নৈপুণ্য বা কোনো বিশেষ জ্ঞানকে বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার কৌশলকে বোঝায়।
কলা হচ্ছে একটি প্রায়োগিক বিদ্যা। এ বিদ্যা কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকে বাস্তবে প্রয়োগ করার নিয়ম-কানুন ও কৌশল শিক্ষা দেয়। যেমন- শল্যচিকিৎসা বিদ্যা (Surgery) সঠিকভাবে অস্ত্রোপচার করার নিয়মকানুন ও কৌশল শিক্ষা দেয় ।
৩. যুক্তিবিদ্যা আমাদের বাস্তব জীবনে কীভাবে সহায়তা করে?
উত্তর : যুক্তিবিদ্যা আমাদের বাস্তব জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে, সত্য উদ্ঘাটনে এবং ভ্রান্তি নিরসনে সহায়তা করে।
যুক্তিবিদ্যার দুটি দিক- ১. বিজ্ঞান বিষয়ক এবং ২. কলাবিদ্যা বিষয়ক। বিজ্ঞান হিসেবে যুক্তিবিদ্যা নির্ভুল চিন্তার নীতিসমূহ আবিষ্কার করে। পাশাপাশি কলাবিদ্যা হিসেবে সত্য করতে আমাদের সাহায্য করে।
৪. Logic এর ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : Logic এর ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল- চিন্তা, ভাষা ও বিজ্ঞান। অর্থাৎ যুক্তিবিদ্যা হল ভাষায় ব্যবহৃত চিন্তার বিজ্ঞান।
যুক্তিবিদ্যার ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Logic’-এর উৎপত্তি গ্রিক ”Logike” শব্দ থেকে।
Logike এর বিশেষ রূপ ”Logos”। গ্রিক পরিভাষায় Logos এর তিনটি অর্থ রয়েছে- চিন্তা, ভাষা ও বিজ্ঞান। তিনটি বিষয়ের সাথেই যুক্তিবিদ্যার মৌলিক সম্পৃক্ততা রয়েছে। কাজেই ব্যুৎপত্তিগত অর্থে Logic হলো ভাষায় প্রকাশিত চিন্তা সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
৫. যুক্তিবিদ্যাকে আকারগত বিজ্ঞান বলা হয় কেন?
উত্তর : যুক্তিবিদ্যার আলোচ্য বিষয় আকারগত সত্যতার ওপর প্রতিষ্ঠিত। এ কারণে যুক্তিবিদ্যাকে আকারগত বিজ্ঞান (Formal Science) বলা হয়। যে শাস্ত্র তার আলোচ্য বিষয়ের আকার নিয়ে আলোচনা করে তাকে আকারগত বিজ্ঞান বলে। যেমন- গণিত, পরিসংখ্যান, কম্পিউটার বিজ্ঞান প্রভৃতি হলো আকারগত বিজ্ঞান।
এ হিসেবে যুক্তিবিদ্যাকেও আকারগত বিজ্ঞান বলা হয়। কেননা, অবরোহ (Deductive) যুক্তিবিদ্যার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে আকারগত সত্যতা লাভ করা। এছাড়া আরোহ (Inductive) যুক্তিবিদ্যাও বস্তুগত সত্যতা অর্জনের পাশাপাশি আকারগত সত্যতার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে। এ কারণে ব্রিটিশ যুক্তিবিদ উইলিয়াম হ্যামিলটন (William Hamilton) বলেন, ‘যুক্তিবিদ্যা হলো চিন্তার আকারগত নিয়মাবলি সম্পর্কিত বিজ্ঞান’।
৬. যুক্তিবিদ্যা একটি চিন্তার বিজ্ঞান – বুঝিয়ে লিখ।
উত্তর : যুক্তিবিদ্যা চিন্তা নিয়ে আলোচনা করলেও সব ধরনের চিন্তা এর অন্তর্ভুক্ত নয়। কেবল অনুধ্যানমূলক চিন্তাই যুক্তিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়। উৎপত্তিগত অর্থে যুক্তিবিদ্যা হলো ভাষায় প্রকাশিত চিন্তা সম্পর্কিত বিজ্ঞান। কিন্তু চিন্তা শব্দটি ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়।
মনোবিজ্ঞানে চিন্তা বলতে কল্পনা, স্মৃতি, প্রত্যক্ষণ, অনুমান প্রভৃতি বোঝায়। আবার চিন্তা বলতে চিন্তার পদ্ধতি, ফল এবং জ্ঞানকেও বোঝায়। যুক্তিবিদ্যা চিন্তা নিয়ে আলোচনা করলেও সব ধরনের চিন্তা যুক্তিবিদ্যার সাথে সম্পর্কিত নয়। কেবল অনুধ্যানমূলক চিন্তাই এর সাথে সম্পর্কিত। এ কারণেই আধুনিক নারী যুক্তিবিদ স্টেবিং বলেছেন, “Logic is the science of reflective thinking”.
৭. Logic এর ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : Logic এর ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল- চিন্তা, ভাষা ও বিজ্ঞান। অর্থাৎ যুক্তিবিদ্যা হল ভাষায় ব্যবহৃত চিন্তার বিজ্ঞান।
যুক্তিবিদ্যার ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Logic’-এর উৎপত্তি গ্রিক ”Logike” শব্দ থেকে। Logike এর বিশেষ রূপ ”Logos”। গ্রিক পরিভাষায় Logos এর তিনটি অর্থ রয়েছে- চিন্তা, ভাষা ও বিজ্ঞান।
তিনটি বিষয়ের সাথেই যুক্তিবিদ্যার মৌলিক সম্পৃক্ততা রয়েছে। কাজেই ব্যুৎপত্তিগত অর্থে Logic হলো ভাষায় প্রকাশিত চিন্তা সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
৮. যুক্তিবিদ্যাকে সকল বিজ্ঞানের বিজ্ঞান বলা হয় কেন?
উত্তর : বিজ্ঞানের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রণীত পদ্ধতি বা সূত্রাবলি যৌক্তিকতা ও বৈধতা যুক্তিপদ্ধতির নিয়ম-কানুন দ্বারা যাচাই করার কারণে যুক্তিবিদ্যাকে সকল বিজ্ঞানের বিজ্ঞান বলা হয়।
বিজ্ঞানকে যথার্থ হওয়ার জন্য সঠিক অনুমান এবং চিন্তাপদ্ধতির জন্য যুক্তিপদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। কারণ, যুক্তিবিদ্যাই একমাত্র সত্য অর্জনের লক্ষ্যে নির্ভুল চিন্তার নিয়মাবলি প্রণয়ন করে। তাই যুক্তিবিদ্যাকে সকল বিজ্ঞানের বিজ্ঞান বলা হয়।
৯. যুক্তিবিদ্যাকে আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান বলা হয় কেন?
উত্তর : যুক্তিবিদ্যা সত্যতাকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে যথার্থ চিন্তার সম্ভাব্যতা নির্ধারণ করে বলে যুক্তিবিদ্যাকে একটি আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান বলা হয়।
যে বিজ্ঞান কোনো আদর্শের আলোকে তার বিষয়বস্তুর মূল্যায়ন করে তাকে আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান বলা হয়। যুক্তিবিদ্যাকেও আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান বলা হয়। কারণ, যুক্তিবিদ্যা সত্যতাকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে যথার্থ চিন্তার গতিপথ নির্ধারণ করে। আর এ সত্যের আদর্শকে সামনে রেখে যুক্তির বৈধতা- অবৈধতা বিচার করে বলে একে আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান বলা হয়।
১০. ব্যুৎপত্তিগত দিক থেকে যুক্তিবিদ্যার সংজ্ঞা দাও।
উত্তর : ব্যুৎপত্তিগত দিক থেকে যুক্তিবিদ্যা হলো ভাষায় প্রকাশিত চিন্তার বিজ্ঞান। যুক্তিবিদ্যার ইংরেজি প্রতিশব্দ ”Logic”-এর উৎপত্তি গ্রিক ”Logike” শব্দ থেকে। ”Logos” শব্দটি ”Logos” শব্দের বিশেষণ।
গ্রিক পরিভাষায় ”Logos” এর তিনটি অর্থ রয়েছে— চিন্তা, ভাষা ও বিজ্ঞান। তিনটি বিষয়ের সাথেই যুক্তিবিদ্যার অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। কাজেই ব্যুৎপত্তিগত অর্থে যুক্তিবিদ্যা হলো ভাষায় ব্যবহৃত চিন্তা সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
আরো দেখো: যুক্তিবিদ্যা ১ম ও ২য় পত্রের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা, উপরের Answer Sheet বাটনে ক্লিক করে সম্পূর্ণ যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ১ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তরসহ সংগ্রহ করে নাও।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post