যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র ২য় অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন : যৌক্তিক সংজ্ঞা হলো কোনো পদের পূর্ণ জাত্যর্থের প্রকাশ। এ কারণে কোনো পদের সংজ্ঞায় আসন্নতম জাতি ও বিভেদক লক্ষণ উল্লেখ করতে হয়। যেমন- ‘মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব’। এখানে ‘মানুষ’ পদের পূর্ণ জাত্যর্থ হিসেবে আসন্নতম জাতি ও বিভেদক লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে। এ কারণে এটি মানুষ পদের যথার্থ সংজ্ঞা। তাই বলা যায়, জাত্যর্থের মাধ্যমে যৌক্তিক সংজ্ঞায় পদের অপরিহার্য অর্থ প্রকাশ পায়।
যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র ২য় অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি কখন ঘটে?
উত্তর : বিভক্ত উপজাতিগুলোর ব্যক্ত্যর্থ মূল পদের চেয়ে বেশি হলে অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে।
যৌক্তিক বিভাগের তৃতীয় নিয়মানুযায়ী, বিভক্ত উপজাতির ব্যক্ত্যর্থ মিলিতভাবে মূল পদ বা জাতির ব্যক্ত্যর্থের সমান হবে। কিন্তু কোনো বিভাগে উপজাতির ব্যক্ত্যর্থ জাতির চেয়ে বেশি হলে যে ভ্রান্তি ঘটবে তা-ই অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি। যেমন- মুদ্রাকে স্বর্ণ, রৌপ্য, তাম্র, ব্রোঞ্জ এবং ব্যাংক নোটে বিভক্ত করলে ‘মুদ্রার’ ব্যক্ত্যর্থ বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে অতিব্যাপক বিভাগজনিত অনুপপত্তি ঘটবে।
২. দ্বিকোটিক বিভাগের সুবিধাগুলো লেখো।
উত্তর : দ্বিকোটিক বিভাগ একটি নির্ভুল আকারগত বিভাগ প্রক্রিয়া। এ বিভাগ প্রক্রিয়ায় কোনো ভ্রান্তি বা অনুপপত্তি ঘটার আশঙ্কা থাকে না। পাশাপাশি এ বিভাগে পদের বিভক্তকরণে কোনো বাস্তব জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না। এখানে কেবল একটি জাতিকে পরস্পর দুটি বিরোধী উপজাতিতে ভাগ করা হয়। এ কারণে বলা হয়, দ্বিকোটিক বিভাগ প্রক্রিয়া একটি সহজ-সরল প্রক্রিয়া ।
৩. অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : যৌক্তিক বিভাগের তৃতীয় নিয়ম লঙ্ঘন করলে অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে।
যৌক্তিক বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী, বিভক্ত উপজাতিগুলোর ব্যক্ত্যর্থ মিলিত ভাবে বিভাজ্য জাতিটির ব্যক্তর্থের সমান হবে। কিন্তু এ নিয়ম লঙ্ঘন করে যদি বিভক্ত উপজাতিগুলোর ব্যক্ত্যর্থ ঐ পদের ব্যক্তর্থের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে। যেমন- মুদ্রাকে স্বর্ণ, রৌপ্য, তাম্র, ব্রোঞ্জ ও ব্যাংক নোটে বিভক্ত করা হলে অতিব্যাপক বিভাগজনিত অনুপপত্তি ঘটে
৪. যৌক্তিক সংজ্ঞা থেকে যৌক্তিক বিভাগ কীভাবে পৃথক?
উত্তর : প্রকৃতিগত দিক থেকে যৌক্তিক বিভাগ যৌক্তিক সংজ্ঞা থেকে পৃথক।
যুক্তিবিদ্যায় ব্যবহৃত পদের দুটি দিক থাকে। একটি হলো পদের গুণগত দিক বা জাত্যর্থ এবং অন্যটি পরিমাণগত দিক বা ব্যক্ত্যর্থ। পদের গুণগত দিক বা জাত্যর্থ যৌক্তিক সংজ্ঞায় আলোচনা করা হয়। অন্যদিকে, পরিমাণগত বা ব্যক্ত্যর্থ যৌক্তিক বিভাগে আলোচনা করা হয়। এ কারণেই যৌক্তিক বিভাগ যৌক্তিক সংজ্ঞা থেকে আলাদা ।
৫. সর্বনিম্ন উপজাতিকে ভাগ করা যায় না কেন?
উত্তর : সর্বনিম্ন বা ক্ষুদ্রতম উপজাতির কোনো নিম্নতর উপজাতি থাকে না বলে এর যৌক্তিক বিভাগ করা সম্ভব নয়।
যৌক্তিক বিভাগের উপজাতি হলো শ্রেণিবাচক পদ। এ জাতীয় পদকে বিভক্ত করলে একক ব্যক্তি বা বস্তুকে পাওয়া যায়। যৌক্তিক বিভাগের নিয়মানুযায়ী যেহেতু একক ব্যক্তি বা বস্তুর বিভাজন করা যায় না, তাই ক্ষুদ্রতম উপজাতিকেও বিভক্ত করা যায় না।
৬. যৌক্তিক সংজ্ঞার মাধ্যমে কীভাবে পদের অপরিহার্য অর্থ প্রকাশ পায়?
উত্তর : যৌক্তিক সংজ্ঞায় পূর্ণ জাত্যর্থ প্রকাশের মাধ্যমে পদের অপরিহার্য অর্থ প্রকাশ পায় ।
যৌক্তিক সংজ্ঞা হলো কোনো পদের পূর্ণ জাত্যর্থের প্রকাশ। এ কারণে কোনো পদের সংজ্ঞায় আসন্নতম জাতি ও বিভেদক লক্ষণ উল্লেখ করতে হয়। যেমন- ‘মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব’। এখানে ‘মানুষ’ পদের পূর্ণ জাত্যর্থ হিসেবে আসন্নতম জাতি ও বিভেদক লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে। এ কারণে এটি মানুষ পদের যথার্থ সংজ্ঞা। তাই বলা যায়, জাত্যর্থের মাধ্যমে যৌক্তিক সংজ্ঞায় পদের অপরিহার্য অর্থ প্রকাশ পায়।
৭. বাহুল্য সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি ঘটে কেন?
উত্তর : জাত্যর্থের গুণ উল্লেখ করার কারণে বাহুল্য সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি ঘটে।
কোনো পদের সংজ্ঞায় জাত্যর্থের অতিরিক্ত গুণ উল্লেখ করা হলে এবং সেই গুণটি যদি ঐ পদের উপলক্ষণ হয় তাহলে বাহুল্য সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি ঘটে। যেমন- মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন বিচারশীল প্রাণী। এখানে ‘বিচারশীল’ গুণটি মানুষ পদের উপলক্ষণ। এ কারণে এখানে বাহুল্য সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি ঘটেছে।
৮. প্রদর্শনমূলক সংজ্ঞা বলতে কী বোঝ?
উত্তর : প্রদর্শনমূলক সংজ্ঞায় কোনো নির্দেশক বস্তুর সংজ্ঞা দেওয়া হয়।
নির্দিষ্ট দৃষ্টান্তের সাহায্যে যখন কোনো ব্যক্তির কাছে সংশ্লিষ্ট শব্দ বা পদের অর্থ ব্যাখ্যা করা হয় তখন এ ব্যাখ্যার প্রক্রিয়াকেই প্রদর্শনমূলক সংজ্ঞা বলা হয়। এ ধরনের সংজ্ঞায় কোনো পদকে সরাসরিভাবে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য পার্থিব বস্তু বা সত্তার মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত করা হয়ে থাকে।
৯. সংকর বিভাগ অনুপপত্তি কেন ঘটে?
উত্তর : যৌক্তিক বিভাগে একাধিক নীতি অনুসরণ করার কারণে সংকর বিভাগজনিত অনুপপত্তি ঘটে।
যৌক্তিক বিভাগের দ্বিতীয় নিয়মানুসারে, কোনো পদের বিভাগায়নে একটি নীতি অনুসরণ করতে হয়। কিন্তু কোনো ক্ষেত্রে একটি মূলনীতির পরিবর্তে একাধিক নীতি অনুসরণ করা হলে বিভাগ প্রক্রিয়ায় যে ভ্রান্তির সৃষ্টি হয়, তাকে সংকর বিভাগজনিত অনুপপত্তি বলে। যেমন: মানুষকে শিক্ষিত ও সৎ নামক পদে বিভক্ত করলে ‘শিক্ষা’ ও ‘সততা’ নামক দুটি নীতি অনুসরণ করতে হয়। এ কারণে এটি সংকর বিভাগজনিত অনুপপত্তির দোষে দুষ্ট হবে।
১০. সর্বনিম্ন উপজাতিকে বিভক্ত করা যায় না কেন?
উত্তর : সর্বনিম্ন বা ক্ষুদ্রতম উপজাতির কোনো নিম্নতর উপজাতি থাকে না বলে এর যৌক্তিক বিভাগ করা সম্ভব নয়।
যৌক্তিক বিভাগের উপজাতি হলো শ্রেণিবাচক পদ। এ জাতীয় পদকে বিভক্ত করলে একক ব্যক্তি বা বস্তুকে পাওয়া যায়। যৌক্তিক বিভাগের নিয়মানুযায়ী যেহেতু একক ব্যক্তি বা বস্তুর বিভাজন করা যায় না, তাই ক্ষুদ্রতম উপজাতিকেও বিভক্ত করা যায় না।
►► আরো দেখো: যুক্তিবিদ্যা ১ম ও ২য় পত্রের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা, উপরের Answer Sheet বাটনে ক্লিক করে সম্পূর্ণ যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র ২য় অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তরসহ সংগ্রহ করে নাও।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post