যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র ৬ষ্ঠ অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন : চিন্তার মৌলিক নিয়ম হলো সর্বোচ্চ নিয়ম। যেমন: প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নীতি, কার্যকারণ নিয়ম ইত্যাদি। এসব নিয়মের চেয়ে উচ্চতর অন্য কোনো নিয়ম নেই। পাশাপাশি এরূপ নিয়মকে অন্য কোনো নিয়মের অন্তর্ভুক্তও করা যায় না। তাই এরূপ মৌলিক নিয়মের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়।
যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র ৬ষ্ঠ অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. সাদৃশ্যানুমানের সিদ্ধান্ত সম্ভাব্য হয় কেন?
উত্তর : সাদৃশ্যানুমানে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় কার্যকারণ নীতি অনুসরণ করা হয় না। তাই সিদ্ধান্তটি সব সময়ই সম্ভাব্য হয়।
সাদৃশ্যানুমানে কার্যকারণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা ছাড়াই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে এ আরোহ নিশ্চিত সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করতে পারে না, সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করে মাত্র। কারণ এ আরোহানুমানে দুটি বস্তুর মধ্যে কতিপয় বিষয়ে সাদৃশ্যের আলোকে একটি থেকে অন্যটি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সিদ্ধান্তে একটি সম্পর্কে কোনো তথ্য সত্য হলে অন্যটি সম্পর্কেও তা সত্য হবে এমন নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্তের মাঝে একটি সম্ভাবনা থাকে মাত্র ।
২. মনের মৌলিক অনুভূতিকে ব্যাখ্যা করা যায় না কেন?
উত্তর : মনের মৌলিক অনুভূতিগুলো অনন্য বলে সেগুলোর ব্যাখ্যা দেওয়া যায় না।
মনের কিছু মৌলিক অনুভূতি আছে। যেমন: সুখ, দুঃখ, আনন্দ, বেদনা ইত্যাদি। এদের একটির সাথে অপরটির কোনো সাদৃশ্য নেই। পাশাপাশি একটিকে অপরটির সাথে সংযুক্ত করা যায় না। এ কারণেই মনের মৌলিক অনুভূতির ব্যাখ্যা করা অসম্ভব।
৩. পরম নিয়মকে ব্যাখ্যা করা যায় না কেন?
উত্তর : সর্বোচ্চ নিয়ম হওয়ার কারণে মৌলিক বা পরম নিয়মের ব্যাখ্যা দেওয়া যায় না।
মৌলিক বা পরম নিয়ম হলো সর্বোচ্চ নিয়ম। যেমন: প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নীতি, কার্যকারণ নিয়ম ইত্যাদি। এসব নিয়মের চেয়ে উচ্চতর অন্য কোনো নিয়ম নেই। পাশাপাশি এরূপ নিয়মকে অন্য কোনো নিয়মের অন্তর্ভুক্তও করা যায় না। তাই মৌলিক বা পরম নিয়মের ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়।
৪. বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কেন অবরোহমূলক প্রক্রিয়া?
উত্তর : সার্বিক নীতি থেকে বিশেষ নীতি প্রকাশ করা হয় বলে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এক ধরনের অবরোহ প্রক্রিয়া ।
অবরোহমূলক প্রক্রিয়ায় সার্বিক দৃষ্টান্ত থেকে বিশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। অনুরূপভাবে ‘অন্তর্ভুক্তি’ রূপের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় উচ্চতর কোনো সাধারণ নিয়ম থেকে বিশেষ নিয়ম অনুমান করা হয়। এ কারণে বলা হয় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হলো অবরোহমূলক প্রক্রিয়া।
৫. ‘চিন্তার মৌলিক নিয়ম’ এর কেন ব্যাখ্যা হয় না?
উত্তর : সর্বোচ্চ নিয়ম হওয়ার কারণে চিন্তার মৌলিক নিয়মের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়া যায় না।
চিন্তার মৌলিক নিয়ম হলো সর্বোচ্চ নিয়ম। যেমন: প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নীতি, কার্যকারণ নিয়ম ইত্যাদি। এসব নিয়মের চেয়ে উচ্চতর অন্য কোনো নিয়ম নেই। পাশাপাশি এরূপ নিয়মকে অন্য কোনো নিয়মের অন্তর্ভুক্তও করা যায় না। তাই এরূপ মৌলিক নিয়মের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়।
৬. লৌকিক ব্যাখ্যাকে সাধারণ মানুষের ব্যাখ্যা বলা হয় কেন?
উত্তর : লৌকিক ব্যাখ্যায় সাধারণ মানুষের মনগড়া ধারণা প্রাধান্য পায় বলে এরূপ ব্যাখ্যাকে সাধারণ মানুষের ব্যাখ্যা বলা হয় ।
ব্যক্তির মনগড়া ধারণা বা অতিপ্রাকৃত শক্তির আশ্রয়ে যে ব্যাখ্যা প্রকাশ পায় তা-ই লৌকিক ব্যাখ্যা। এ ধরনের ব্যাখ্যা সবাই দিতে পারে। কারণ এরূপ ব্যাখ্যায় ব্যক্তির নিজস্ব ধারণা প্রকাশ পায়। এ কারণে লৌকিক ব্যাখ্যাকে সাধারণ মানুষের ব্যাখ্যা বলে।
৭. মিশ্রকার্য হলো পৃথক কারণের একত্রিত ফল- বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : মিশ্রকার্য হলো পৃথক কারণের একত্রিত ফল-উক্তিটি যথার্থ।
আমরা জানি, মিশ্র কার্য হচ্ছে কয়েকটি স্বতন্ত্র কারণের একত্রিত ফল। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ রূপ হলো ‘বিশ্লেষণ’। এই বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় মিশ্র কার্যের স্বতন্ত্র কারণকে পৃথকভাবে বা আলাদা আলাদা করে দেখানো হয়ে থাকে। যেমন- বর্তমানে সড়ক দূর্ঘটনার কারণ হিসেবে আমরা চালকের অসচেতনতা, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাব, ট্রাফিক আইনের প্রতি অবহেলা ইত্যাদি কারণসমূহকে পৃথক পৃথকভাবে দায়ী করতে পারি। এ কারণেই বলা যায়, মিশ্রকার্য হলো পৃথক কারণের একত্রিত ফল ।
৮. মিশ্রকার্য হলো পৃথক কারণের একত্রিত ফল- বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : মিশ্রকার্য হলো পৃথক কারণের একত্রিত ফল-উক্তিটি যথার্থ।
আমরা জানি, মিশ্র কার্য হচ্ছে কয়েকটি স্বতন্ত্র কারণের একত্রিত ফল। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ রূপ হলো ‘বিশ্লেষণ’। এই বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় মিশ্র কার্যের স্বতন্ত্র কারণকে পৃথকভাবে বা আলাদা আলাদা করে দেখানো হয়ে থাকে। যেমন- বর্তমানে সড়ক দূর্ঘটনার কারণ হিসেবে আমরা চালকের অসচেতনতা, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাব, ট্রাফিক আইনের প্রতি অবহেলা ইত্যাদি কারণসমূহকে পৃথক পৃথকভাবে দায়ী করতে পারি। এ কারণেই বলা যায়, মিশ্রকার্য হলো পৃথক কারণের একত্রিত ফল ।
৯. বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজন হয় কেন?
উত্তর : অন্তর্ভুক্তি হলো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার অন্যতম রূপ।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করার জন্য আলোচ্য ঘটনাকে তার চেয়ে বড় কোনো ঘটনার অধীনে এনে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন হয়। আর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় এ ধরনের প্রক্রিয়াকে বলা হয় অন্তর্ভুক্তি। যেমন: চুম্বকত্বের নিয়মকে বৈদ্যুতিক শক্তির ব্যাপকতর নিয়মের অন্তর্ভুক্ত করে ব্যাখ্যা করার প্রক্রিয়াই হলো অন্তর্ভূক্তি। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনো বৈজ্ঞানিক ঘটনার গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করা হয়। তাই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজন হয়।
১০. বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার রূপ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : বিভিন্ন যুক্তিবিদ বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার যেসব সংজ্ঞা প্রদান করেছেন, তা থেকে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার তিনটি রূপ লক্ষ করা যায়। যেমন: ১. বিশ্লেষণ, ২. শৃঙ্খলযোজন ও ৩. অন্তর্ভুক্তি ।
যে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় কোনো মিশ্র কার্যকে স্বতন্ত্র কারণসমূহের নিয়মের সাথে যুক্ত করা হয় তাকে বিশ্লেষণ বলে। শৃঙ্খলযোজন হলো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় কোনো দূরবর্তী কারণ ও তার কার্যের মধ্যে একটি মধ্যবর্তী অবস্থা আবিষ্কার করার প্রক্রিয়া। অপরদিকে, অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় একটি কম ব্যাপক নিয়মকে বেশি ব্যাপক নিয়মের অধীনে এনে ব্যাখ্যা করা হয়।
►► আরো দেখো: যুক্তিবিদ্যা ১ম ও ২য় পত্রের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা, উপরের Answer Sheet বাটনে ক্লিক করে সম্পূর্ণ যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র ৬ষ্ঠ অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তরসহ সংগ্রহ করে নাও।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post