শব্দদূষণ কবিতার প্রশ্ন উত্তর : সুকুমার বড়ুয়া বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ছড়াকার। তিনি ১৯৩৮ সালের ৫ই জানুয়ারি চট্টগ্রামের রাউজান থানার বিনাজুরী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর রচিত কয়েকটি গ্রন্থ: ‘পাগলা ঘোড়া’, ‘ভিজে বেড়াল’, ‘চন্দনা রঞ্জনার ছড়া’, ‘এলোপাতাড়ি’, ‘নানা রঙের দিন’, ‘চিচিংফাঁক’ প্রভৃতি। তিনি শিশুসাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছেন।
শব্দদূষণ কবিতার প্রশ্ন উত্তর
১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
নিশিরাত, কিচির মিচির, ফেরিঅলা, শব্দদূষণ।
- নিশিরাত—গভীর রাত্রি। মাঝ রাত।
- কিচির মিচির—পাখির ডাকাডাকির আওয়াজ।
- ফেরিঅলা—রাস্তায় বা বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে যারা জিনিসপত্র বিক্রি করেন।
- শব্দদূষণ—অত্যন্ত কোলাহলে শব্দদূষণ ঘটে।
২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
ফেরিঅলা, নিশিরাত, শব্দদূষণ, কিচির মিচির।
ক. চেঁচামেচি করো না, সবাই ঘুমুচ্ছে।
খ. ভোর বেলাতেই পাখির শুনতে শুনতে আমার ঘুম ভাঙে।
গ. হাঁক দিচ্ছে-থালাবাসন চাই?
ঘ. আমাদের শোনার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
উত্তর : ক. নিশিরাত; খ. কিচির মিচির; গ. ফেরিঅলা; ঘ. শব্দদূষণ।
৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
ক) কবিতায় কোন কোন পশু ও পাখির কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : কবিতায় যেসব পশু ও পাখির কথা বলা হয়েছে সেগুলো হলো- গরু, হাঁস, কবুতর, মোরগ, কুকুর, দোয়েল, চড়ুই, ঘুঘু, টুনটুনি ও পাতি কাক।
খ) শহরে ঘুমানোয় অসুবিধা কেন?
উত্তর : শহরে নানা রকম শব্দে কান ঝালাপালা হয়ে যায়। পাতি কাকের ডাক, হর্নের শব্দ, সিডি, টিভি, টেলিফোন, দরজার বেল ইত্যাদির আওয়াজ, আর ফেরিঅলার হাঁকডাকে শব্দদূষণ ঘটে। ফলে ঠিকমতো ঘুমানো যায় না।
গ) কুকুরের ডাক আর পাখির ডাকের মধ্যে কোনটি তোমার ভালো লাগে? কেন?
উত্তর : কুকুরের ডাক ও পাখির ডাকের মধ্যে পাখির ডাক আমার ভালো লাগে। এর কারণ—কুকুরের উচ্চঃস্বরে ঘেউ ঘেউ ডাক শব্দদূষণের সৃষ্টি করে। এ ডাক শুনলে মনে অশান্তি সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে পাখির ডাক খুবই মধুর। কোনো কোনো পাখির ডাক খুবই সুরেলা। শুনলেই মন ভালো হয়ে যায়।
ঘ) গ্রামের মানুষ কোন পাখির ডাক শুনে ঘুম থেকে ওঠেন?
উত্তর : গ্রামের মানুষ সাধারণত মোরগের ডাক শুনে ঘুম থেকে ওঠেন। এছাড়া দোয়েল, চড়–ই, ঘুঘু, টুনটুনি ইত্যাদি পাখির কিচিরমিচির শব্দেও তাঁদের ঘুম ভাঙে।
৪. শহুরে জীবনের সাথে গ্রামের জীবনের তুলনা করি ও লিখি।
বিষয়বস্তু: পরিবেশ
শহুরে জীবন: শহরের পরিবেশ খুব বিশ্রী। বড় বড় দালানকোঠায় শহর ভরা। এখানে নেই মুক্ত বাতাস। রাস্তাঘাটে সবসময় মানুষের ভিড় লেগে থাকে।
গ্রামের জীবন: গ্রামের পরিবেশ খুবই সুন্দর। সবুজ প্রকৃতি মন জুড়িয়ে দেয়। ঠাণ্ডা বাতাসে প্রাণ ভরে যায়।
বিষয়বস্তু: শব্দ
শহুরে জীবন: শহরে শব্দদূষণ অনেক বেশি। রাস্তাঘাটে গাড়ির হর্নের যন্ত্রণায় কান ঝালাপালা হয়ে যায়। এছাড়াও হাজারো শব্দের কারণে মনের শান্তি নষ্ট হয়।
গ্রামের জীবন: গ্রামে শব্দদূষণ অনেক কম। সারাদিন নানা পশুপাখির আওয়াজে মন ভরে যায়।
বিষয়বস্তু: রাস্তাঘাট
শহুরে জীবন: শহরের রাস্তাঘাট অনেক উন্নত। রাস্তাঘাটে প্রচুর গাড়ি চলে। প্রায়ই জ্যাম লেগে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।
গ্রামের জীবন: গ্রামের রাস্তাঘাট অনুন্নত, রাস্তায় মানুষজনের চলাচল কম। তাই গাড়ির সংখ্যাও কম।
বিষয়বস্তু: জীবনযাত্রা
শহুরে জীবন: শহরের মানুষজন খুব ব্যস্ত। সারাদিন মানুষ নানা কাজে ছোটাছুটি করে। শহরে মানুষকে নিজেদের নিয়েই চিন্তিত থাকতে হয়।
গ্রামের জীবন: গ্রামের মানুষজনের জীবনযাত্রা খুবই সাধারণ। অধিকাংশ মানুষই কৃষিকাজ করে। গ্রামের মানুষজন মিলেমিশে থাকে।
বিষয়বস্তু: হাটবাজার
শহুরে জীবন: শহরে হাটবাজারগুলো বড় ও উন্নতমানের। তবে পরিবেশ খুব নোংরা হয়।
গ্রামের জীবন: গ্রামে হাটবাজারগুলো অনুন্নত। সপ্তাহের নির্দিষ্ট কিছু দিন হাট বসে। গ্রামের হাটে অনেক ঐতিহ্যবাহী জিনিস পাওয়া যায়।
৫. কথাগুলো বুঝে নিই।
পল্লির সেই সুরে ভরে যায় মন
শহুরে জীবন জ্বালা-শব্দদূষণ।
শহরে শান্তিতে বসবাস করা মুশকিল। কারণ হাজার রকমের শব্দ কান ঝালাপালা করে দেয়। গ্রামে শব্দ অনেক কম, তার ফলে মনের শান্তি বজায় থাকে।
৬. কবিতাটি আবৃত্তি করি।
উত্তর : পাঠ্য বই থেকে কবিতাটি মুখস্থ করে শিক্ষকের সহায়তায় আবৃত্তি কর।
আরও দেখো—পঞ্চম শ্রেণির বাংলা সকল গল্প-কবিতার প্রশ্ন উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের বাংলা বই থেকে শব্দদূষণ কবিতার প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ থাকবে। পিডিএফ ফরমেটে উত্তরমালা সংগ্রহের জন্য ‘Answer Sheet’ অপশনে ক্লিক করো। এছাড়াও বাংলা বইয়ের বহুনির্বাচনি, শূন্যস্থান, মিলকরণ ইত্যাদি প্রশ্নোত্তরের জন্য উপরের লিংকটি অনুসরণ করো।
Discussion about this post