শব্দ দূষণ কবিতার প্রশ্ন উত্তর : কবিতাংশে গ্রাম আর শহরের জীবনের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরা হয়েছে। গ্রামে সারাদিন নানা রকম পশু আর পাখির ডাকাডাকির শব্দ শোনা যায়। তা শুনে সবার মন ভরে যায়। অন্যদিকে শহরে নানা রকম বিরক্তিকর শব্দে কান ঝালাপালা হয়ে যায়। এতে মনের শান্তি নষ্ট হয়।
শব্দ দূষণ কবিতার প্রশ্ন উত্তর
১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
নিশিরাত – গভীর রাত্রি। মাঝ রাত।
কিচির মিচির – পাখির ডাকাডাকির আওয়াজ।
ফেরিঅলা – রাস্তায় বা বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে যারা জিনিসপত্র বিক্রি করেন।
শব্দদূষণ – অত্যন্ত কোলাহলে শব্দদূষণ ঘটে।
২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
ক. — চেঁচামেচি করো না, সবাই ঘুমুচ্ছে।
খ. ভোর বেলাতেই পাখির — শুনতে শুনতে আমার ঘুম ভাঙে।
গ. — হাঁক দিচ্ছে-থালাবাসন চাই?
ঘ. — আমাদের শোনার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
উত্তর : ক. নিশিরাত; খ. কিচির মিচির; গ. ফেরিঅলা; ঘ. শব্দদূষণ।
শব্দ দূষণ কবিতার প্রশ্ন উত্তর
৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
ক) কবিতায় কোন কোন পশু ও পাখির কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : কবিতায় যেসব পশু ও পাখির কথা বলা হয়েছে সেগুলো হলো- গরু, হাঁস, কবুতর, মোরগ, কুকুর, দোয়েল, চড়ুই, ঘুঘু, টুনটুনি ও পাতি কাক।
খ) শহরে ঘুমানোয় অসুবিধা কেন?
উত্তর : শহরে নানা রকম শব্দে কান ঝালাপালা হয়ে যায়। পাতি কাকের ডাক, হর্নের শব্দ, সিডি, টিভি, টেলিফোন, দরজার বেল ইত্যাদির আওয়াজ, আর ফেরিঅলার হাঁকডাকে শব্দদূষণ ঘটে। ফলে ঠিকমতো ঘুমানো যায় না।
গ) কুকুরের ডাক আর পাখির ডাকের মধ্যে কোনটি তোমার ভালো লাগে? কেন?
উত্তর : কুকুরের ডাক ও পাখির ডাকের মধ্যে পাখির ডাক আমার ভালো লাগে। এর কারণÑ
কুকুরের উচ্চঃস্বরে ঘেউ ঘেউ ডাক শব্দদূষণের সৃষ্টি করে। এ ডাক শুনলে মনে অশান্তি সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে পাখির ডাক খুবই মধুর। কোনো কোনো পাখির ডাক খুবই সুরেলা। শুনলেই মন ভালো হয়ে যায়।
ঘ) গ্রামের মানুষ কোন পাখির ডাক শুনে ঘুম থেকে ওঠেন?
উত্তর : গ্রামের মানুষ সাধারণত মোরগের ডাক শুনে ঘুম থেকে ওঠেন। এছাড়া দোয়েল, চড়–ই, ঘুঘু, টুনটুনি ইত্যাদি পাখির কিচিরমিচির শব্দেও তাঁদের ঘুম ভাঙে।
অতিরিক্ত অনুশীলনীমূলক প্রশ্নের উত্তর
১) কবিতায় কোন কোন পশু ও পাখির কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : কবিতায় যেসব পশু ও পাখির কথা বলা হয়েছে সেগুলো হলো- গরু, হাঁস, কবুতর, মোরগ, কুকুর, দোয়েল, চড়ুই, ঘুঘু, টুনটুনি ও পাতি কাক।
২) শহরে ঘুমানোয় অসুবিধা কেন?
উত্তর : শহরে নানা রকম শব্দে কান ঝালাপালা হয়ে যায়। পাতি কাকের ডাক, হর্নের শব্দ, সিডি, টিভি, টেলিফোন, দরজার বেল ইত্যাদির আওয়াজ, আর ফেরিঅলার হাঁকডাকে শব্দদূষণ ঘটে। ফলে ঠিকমতো ঘুমানো যায় না।
৩) কুকুরের ডাক আর পাখির ডাকের মধ্যে কোনটি তোমার ভালো লাগে? কেন?
উত্তর : কুকুরের ডাক ও পাখির ডাকের মধ্যে পাখির ডাক আমার ভালো লাগে। এর কারণÑ
কুকুরের উচ্চঃস্বরে ঘেউ ঘেউ ডাক শব্দদূষণের সৃষ্টি করে। এ ডাক শুনলে মনে অশান্তি সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে পাখির ডাক খুবই মধুর। কোনো কোনো পাখির ডাক খুবই সুরেলা। শুনলেই মন ভালো হয়ে যায়।
৪) গ্রামের মানুষ কোন পাখির ডাক শুনে ঘুম থেকে ওঠেন?
উত্তর : গ্রামের মানুষ সাধারণত মোরগের ডাক শুনে ঘুম থেকে ওঠেন। এছাড়া দোয়েল, চড়–ই, ঘুঘু, টুনটুনি ইত্যাদি পাখির কিচিরমিচির শব্দেও তাঁদের ঘুম ভাঙে।
৬) নিশিরাতে কারা জোরে ডাকে?
উত্তর : নিশিরাতে কুকুরের দল জোরে ডাকে।
৭) গ্রামে কোন কোন পাখির কিচিরমিচির শোনা যায়?
উত্তর : গ্রামে দোয়েল, চড়–ই, ঘুঘু, টুনটুনি ইত্যাদি পাখির কিচিরমিচির শোনা যায়।
৮) শহরে ফেরিঅলা কী করেন?
উত্তর : শহরে ফেরিঅলা গলিপথে হেঁটে আর হাঁক দিয়ে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে জিনিসপত্র বিক্রি করেন।
৯) ফেরিঅলা কাদের বলে?
উত্তর : রাস্তায় বা বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে যারা জিনিসপত্র বিক্রি করেন তাঁদের ফেরিঅলা বলে।
১০) ‘পল্লির সেই সুরে ভরে যায় মন’ – বাক্যটিতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : গ্রামে শব্দ অনেক কম। আর সামান্য যা কিছু শব্দ হয় তা করে নানা রকম পশুপাখি। সেই শব্দে সবার মন ভরে যায়। তাই গ্রামে মনের শান্তি বজায় থাকে।
১১) কোথায় ঘুম দেওয়া মুশকিল?
উত্তর : শহরে ঘুম দেওয়া মুশকিল।
১২) গ্রামে কোন কোন পাখির ডাক শোনা যায়?
উত্তর : গ্রামে দিনভর নানা রকমের পাখির ডাক শোনা যায়। এদের মধ্যে রয়েছেÑ হাঁস, কবুতর, মোরগ, দোয়েল, চড়–ই, ঘুঘু, টুনটুনি ইত্যাদি।
১৩) শহরের জীবন-জ্বালা কী? পল্লির সাথে শহরের পার্থক্য কোথায়?
উত্তর : শব্দদূষণ শহরের জীবন-জ্বালা।
পল্লিতে শব্দদূষণ নেই বলে মনের শান্তি বজায় থাকে। অন্যদিকে শহরে শব্দদূষণের কারণে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, কোর্সটিকায় তোমরা পঞ্চম শ্রেণির বাংলা সবগুলো গল্প ও কবিতার উত্তর ডাউনলোড করতে পারবে। এই পোস্টে আলোচিত শব্দ দূষণ কবিতার প্রশ্ন উত্তর সংগ্রহ করার জন্য ওপরে দেওয়া Answer Sheet বাটনে ক্লিক করো।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। সকল বিষয়ের ওপর অনলাইন ক্লাস পেতে আজই আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করে নাও।
Discussion about this post